Afnan Travels-আফনান ট্রাভেলস

Afnan Travels-আফনান ট্রাভেলস বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাভেল,
হজ্ব এবং ওমরাহ এজেন্ট। রেজিষ্ট্রেশন নং : ১৩৩৭

আমার ফেইসবুক পেইজ লাইক ও শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।
07/05/2024

আমার ফেইসবুক পেইজ লাইক ও শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।

আলহামদুলিল্লাহ অনেক নাটকীয়তার পর তিনি এখন মুক্ত বাতাসে। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ❤️❤️❤️❤️
03/05/2024

আলহামদুলিল্লাহ অনেক নাটকীয়তার পর তিনি এখন মুক্ত বাতাসে। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ
❤️❤️❤️❤️

পরনে এহরামের কাপড়। ল্যাগেজ সহ মক্কার মিসফালাহ কবুতর চত্বরের এক পাশে বিমর্ষ চেহারায়  বসে থাকতে দেখা গেলো দুজন পঞ্চাশোর্ধ ...
27/04/2024

পরনে এহরামের কাপড়। ল্যাগেজ সহ মক্কার মিসফালাহ কবুতর চত্বরের এক পাশে বিমর্ষ চেহারায় বসে থাকতে দেখা গেলো দুজন পঞ্চাশোর্ধ বাংলাদেশিকে।

মাওলানা ফরিদ ভাই ওখানেই কাছাকাছি কোথাও ব্যবসা করেন৷ দুজনকে দেখে তিনি এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কথা বললেন।

যা জানা গেলো, এজেন্সি উমরাহর জন্য ভিসা ও টিকিট দিয়ে পাঠিয়েছে। উনারা জেদ্দায় নেমে মুয়াল্লিমের বাসে মক্কায় এসেছেন। আসার পর স্থানীয় এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। যে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তা তারা খুজে পাননি।

যে স্থানীয় মুয়াল্লিমের ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে সে ফোন রিসিভ করছেনা। এখন লাগেজ নিয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করা যাচ্ছেনা আবার হোটেলও পাচ্ছেননা৷ ওভারব্রীজের নিচে একদিন কাটিয়ে দিয়েছেন উনারা৷

ফরিদ ভাই লোকাল এজেন্টের নাম্বার নিয়ে কল দিলেন। তিনি রেগেমেগে বললেন, ওদেরকে হোটেলের ঠিকানা ত দিয়েছিই। আসেনা কেনো?

জবাবে মাওলানা ফরিদ ভাই বললেন, বাংলাদেশ থেকে এসে অচেনা জায়গায় শুধু ঠিকানা দিলেই অনেকের পক্ষে যাওয়া ত অসম্ভব। তাছাড়া... ওপাশ থেকে লাইন কেটে দিলেন তিনি।

পরবর্তীতে এই মাওলানার ফোন থেকে হাজীদের বাড়িতে কল দিয়ে ঢাকার এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে কেন্দুয়া ব্রিজের কাছে হোটেলে পৌছিয়ে দেওয়া হয়।

এখানে কার দোষে কে কষ্ট করলো?

কিছু কিন্তু এজেন্সি ভিসা টিকিট হাতে ধরিয়ে দিয়ে প্লেনে তুলে দেয়। জেদ্দা ও মক্কা মদীনায় কার কাছে যাবে কে রিসিভ করবে কোনো কিছুরই ঠিক ঠিকানা থাকেনা।

আবার উমরাহ যাত্রীরাও অল্প টাকার প্যাকেজে আসেন। কম টাকায় কম সার্ভিস বলতে যা হয় আরকি।

একটু সতর্কতা জরুরি। এজেন্সির পুরাতন রিপোর্ট কি, সার্ভিসের মান কি ইত্যাদি জেনে আসা উচিত।

আলহামদুলিল্লাহ। আফনান ট্রাভেল্স সব সময় সাথে থেকে পূর্ণ উমরাহ ও হজ্জের কাজ সম্পন্ন করল থাকে। এই ব্যাপারে আমাদের এজেন্সি খুব কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করে আলহামদুলিল্লাহ।

06/03/2024

আজ উমরাহ কাফেলা রিসিভ করার এবং তাদের থেকে সাক্ষাৎকার নেয়ার, একটা লাইভ হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে, ইনশাআল্লাহ

02/12/2023

আসসালামু আলাইকুম
১২ ডিসেম্বর উমরাহ এর জন্য কিছু আসন খালি আছে ভালো ডিসকাউন্ট পাবেন ইনশাআল্লাহ তারাতাড়ি যোগাযোগ করতে হবে।
01719151269

আল্লাহ কবুল করুন আমীন
17/11/2023

আল্লাহ কবুল করুন আমীন

হুদুদে হারাম : হুদুদে হারাম অর্থ হারামের সীমানা। মক্কা মোকাররমার চারদিকের নির্দিষ্ট সীমারেখার ভেতরের এরিয়াকে হারাম বলা হ...
15/11/2023

হুদুদে হারাম : হুদুদে হারাম অর্থ হারামের সীমানা। মক্কা মোকাররমার চারদিকের নির্দিষ্ট সীমারেখার ভেতরের এরিয়াকে হারাম বলা হয়ে থাকে।
হজরত জিবরাইল আ: হজরত ইবরাহিম আ: কে স্থানগুলোর দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে হারামের সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। তারপর রাসূলে করিম সা: এই চিহ্নগুলো নির্মাণ করেন। পরে হজরত উমর রা:-এর খিলাফত আমলসহ পরবর্তী সময়ে এসব সীমানা চিহ্ন পুনঃনির্মাণ করা হয়। হারামের সীমানা হলো কাবা শরিফ থেকে জেদ্দার দিকে ১০ মাইল, যেখানে সুমাশিয়াহ (হুদাইবিয়ার সন্ধির স্থান)-এর সন্নিকটে হারামের সীমানা চিহ্নস্বরূপ মিনার নির্মিত রয়েছে। কাবা শরিফ থেকে মদিনা মুনাওয়ারার দিকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তানইম নামক স্থানে কাবা শরিফ থেকে ইয়েমেনের দিকে ১১ মাইল দূরে ইজাআতে লবণ নামক স্থানে। ইরাকের দিকে ১১ মাইল, জাবানার দিকে ১৪ মাইল, তায়েফের দিকে আরাফাতের কাছাকাছি ১১ মাইল পর্যন্ত হারামের সীমানা।
মক্কা মোকাররমা শহর তথা এসব সীমারেখার ভেতর অর্থাৎ হারামের সীমানার ভেতর কোনো স্থলপ্রাণী শিকার বা হত্যা করা, ধরা, তাড়ানো, ঘাস ইত্যাদি কাটা হারাম। হজ বা ওমরাহকারী বা অন্য প্রয়োজনের তাগিদে হারামের সীমানার ভেতর প্রবেশ করতে হলে মনে রাখতে হবে, এখন আপনি হাকিমিনের দরবারের ঘাস পরিধির মধ্যে প্রবেশ করেছেন। এ সময় আদব, বিনয়, পবিত্রতা সবকিছু বজায় রাখতে ও থাকতে হবে।

সুবহানাল্লাহ
01/11/2023

সুবহানাল্লাহ

01/11/2023
আল্লাহ ফিলিস্তিনের মাজলুম মুসলিম দেরকে হেফাজত করুন আমীন
28/10/2023

আল্লাহ ফিলিস্তিনের মাজলুম মুসলিম দেরকে হেফাজত করুন আমীন

কিউট হাজী সাহেব।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ জিয়ারত করার তাওফিক দান করুন আমীন।
23/10/2023

কিউট হাজী সাহেব।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ জিয়ারত করার তাওফিক দান করুন আমীন।

নবীজি সা: এর রওজা মোবারক। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জীবনে একবার হলেও নবীজির রওজায় সালাম দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
22/10/2023

নবীজি সা: এর রওজা মোবারক।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জীবনে একবার হলেও নবীজির রওজায় সালাম দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন

বিশ্বের সকল মুসলমানদের মনের আশা জীবনে একবার হলেও আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ তওয়াফ করার তা...
21/10/2023

বিশ্বের সকল মুসলমানদের মনের আশা জীবনে একবার হলেও আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ তওয়াফ করার তাওাফক দান করুন। আমীন

🕋🕋 উমরাহ (আদায়) ওয়াজিব হওয়া এবং তার ফযীলত। 🕋🕋وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لَيْسَ أَحَدٌ إِلاَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ وَعُمْرَةٌ وَق...
19/10/2023

🕋🕋 উমরাহ (আদায়) ওয়াজিব হওয়া এবং তার ফযীলত। 🕋🕋

وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لَيْسَ أَحَدٌ إِلاَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ وَعُمْرَةٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّهَا لَقَرِينَتُهَا فِي كِتَابِ اللهِ (وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ للهِ)

ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, প্রত্যেকের জন্য হাজ্জ ও ‘উমরাহ অবশ্য পালনীয়। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, কুরআনুল কারীমে হাজ্জের সাথেই ‘উমরাহ’র উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে হাজ্জ ও ‘উমরাহ পূর্ণভাবে আদায় কর’’। (আল-বাকারাঃ ১৯৬)

১৭৭৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ‘উমরাহ’র পর আর এক ‘উমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারা। আর জান্নাতই হলো হাজ্জে মাবরূরের প্রতিদান। (মুসলিম ১৫/৭৯, হাঃ ১৩৪৯, আহমাদ ৯৯৫৫)

ঐতিহাসিক মক্কা।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হজ্বের জন্য কবুল করুন। আমীন
18/10/2023

ঐতিহাসিক মক্কা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হজ্বের জন্য কবুল করুন। আমীন

দাড়ি রাখলে একজন মানুষকে কতো সুন্দর দেখায়❤️❤️❤️❤️
17/10/2023

দাড়ি রাখলে একজন মানুষকে কতো সুন্দর দেখায়❤️❤️❤️❤️

🖋✒️ স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার রব পরীক্ষা করলেন 🖋✒️পরীক্ষার মাধ্যমেই খাঁটি বন্ধু চেনা যায়। অবশ্য যে খাঁটি বন্ধু, সে অবশ্...
16/10/2023

🖋✒️ স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার রব পরীক্ষা করলেন 🖋✒️

পরীক্ষার মাধ্যমেই খাঁটি বন্ধু চেনা যায়। অবশ্য যে খাঁটি বন্ধু, সে অবশ্যই বন্ধুর জন্য নিজেকে পরীক্ষার মুখোমুখি করে। কারণ বন্ধুর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া তার নিকট চরম সুখের, পরম আনন্দের।

যে আল্লাহ জগতের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানবের তরে। যার দয়ার ঝরনাধারায় সিক্ত হয় মানবের প্রতিটি শিরা-উপশিরা প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসেÑ তাঁর প্রতি মানবহৃদয় ব্যাকুল হওয়াই স্বাভাবিক। তাঁর হুকুমের সামনে সমর্পিত হয়ে নিজের সর্বস্ব কুরবানী করার মানসিকতাই হল প্রকৃত মনুষ্যত্ব।

যুগে যুগে যেসকল মহামানব আল্লাহর প্রেমে মাতোয়ারা ছিলেন। দিয়েছিলেন প্রভুপ্রেমের অগ্নি-পরীক্ষা, তাঁদের সর্বাগ্রে রয়েছেন সায়্যিদুনা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। তাঁর ব্যাপারেই আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

وَ اِذِ ابْتَلٰۤي اِبْرٰهٖمَ رَبُّهٗ بِكَلِمٰتٍ فَاَتَمَّهُنَّ..

আর (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীমকে তাঁর রব কয়েকটি বিষয় দ্বারা পরীক্ষা করলেন আর তিনি সেগুলো পুরণ করলেন। Ñসূরা বাকারা (২) : ১২৪

ইবরাহীম আ.-কে যেসকল বিষয় দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল তার কয়েকটি :

১. নিজ সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা

এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

قَدْ كَانَتْ لَكُمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِيْۤ اِبْرٰهِيْمَ وَ الَّذِيْنَ مَعَهٗ اِذْ قَالُوْا لِقَوْمِهِمْ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنْكُمْ وَ مِمَّا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَ بَدَا بَيْنَنَا وَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَ الْبَغْضَآءُ اَبَدًا حَتّٰي تُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَحْدَهٗۤ اِلَّا قَوْلَ اِبْرٰهِيْمَ لِاَبِيْهِ لَاَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَ مَاۤ اَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللهِ مِنْ شَيْءٍ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَيْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَيْكَ الْمَصِيْرُ.

তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি না। তোমাদের ও আমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হল চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন। Ñসূরা মুমতাহিনা (৬০) : ৪

অনুরূপভাবে সূরা মারইয়ামের ৪৮ নং আয়াতে আছেÑ ইবরাহীম আ. তাঁর পিতাকে বলেনÑ

وَ اَعْتَزِلُكُمْ وَ مَا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ وَ اَدْعُوْا رَبِّيْ عَسٰۤي اَلَّاۤ اَكُوْنَ بِدُعَآءِ رَبِّيْ شَقِيًّا..

আর আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদের ও আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা কর তাদের এবং আমি আমার রবের ইবাদত করব। আশা করি আমি আমার রবের ইবাদাত করে বিফল হব না। Ñসূরা মারইয়াম (১৯) : ৪৮

২. আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া

এ বিষয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ

قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَ انْصُرُوْۤا اٰلِهَتَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ فٰعِلِيْنَ، قُلْنَا يٰنَارُ كُوْنِيْ بَرْدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ،وَ اَرَادُوْا بِهٖ كَيْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَخْسَرِيْنَ.

তারা (একে অন্যকে) বলতে লাগল, তোমরা তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দাও এবং নিজেদের দেবতাদেরকে সাহায্য কর, যদি তোমাদের কিছু করার থাকে।

(সুতরাং তারা ইবরাহীমকে আগুনে নিক্ষেপ করল) এবং আমি বললাম, হে আগুন! ঠাণ্ডা হয়ে যাও এবং ইবরাহীমের পক্ষে শান্তিদায়ক হয়ে যাও।

তারা ইবরাহীমের বিরুদ্ধে এক দুরভিসন্ধি আঁটল, কিন্তু আমি তাদেরকেই করলাম মহা ক্ষতিগ্রস্থ। Ñসূরা আম্বিয়া (২১) : ৬৮-৭০

৩. স্বদেশ ত্যাগ

এর বর্ণনা কুরআন কারীমে এভাবে এসেছেÑ

وَ قَالَ اِنِّيْ ذَاهِبٌ اِلٰي رَبِّيْ سَيَهْدِيْنِ.

আর (ইবরাহীম) বললেন, আমি আমার বরের কাছে যাচ্ছি, অবশ্যই তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ৯৯

وَ نَجَّيْنٰهُ وَ لُوْطًا اِلَي الْاَرْضِ الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا لِلْعٰلَمِيْن.

আর তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই ভূখণ্ডের দিকে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখেছি। Ñসূরা আম্বিয়া (২১) : ৭১

وَ قَالَ اِنِّيْ مُهَاجِرٌ اِلٰي رَبِّيْ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ.

আর তিনি (ইবরাহীম) বললেন, আমি আমার রবের পানে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান। Ñসুরা আনকাবুত (২৯) : ২৬

৪. স্ত্রী ও দুধের শিশুকে জনশূন্য তরুলতাহীন মরু প্রান্তরে রেখে আসা

এই দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে ইবরাহীম আ. এর এই দুআতেÑ

رَبَّنَاۤ اِنِّيْۤ اَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِيْ بِوَادٍ غَيْرِ ذِيْ زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ فَاجْعَلْ اَفْىِٕدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِيْۤ اِلَيْهِمْ وَ ارْزُقْهُمْ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُوْنَ.

হে আমার রব! আমি আমার এক সন্তানকে আপনার সম্মানিত ঘরের নিকট এক শস্যহীন প্রান্তরে (এনে) আবাদ করেছি। আমার রব! তারা (অর্থাৎ সে ও তার বংশধর) যেন নামায কায়েম করে। অতএব আপনি মানুষের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং তাদের ফলমূল থেকে রিযিক দান করুন, সম্ভবত তারা শোকর করবে। Ñসূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৭

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদীসে আছে যে, দুধের শিশু ইবরাহীম আ. ইসমাঈল ও তার মাকে মরুভূমিতে রেখে আসার সময় ‘সানিয়্যা’ নামক স্থানে এই দুআ করেছিলেন। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩৬৪

৫. সন্তান কুরবানী

ইবরাহীম আ. নিঃসন্তান অবস্থায় জীবন কাটান। বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পর সন্তান লাভ করেন। যেমন কুরআনে কারীমে বর্ণিত হযরত ইবরাহীম আ.-এর বক্তব্যÑ

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ وَهَبَ لِيْ عَلَي الْكِبَرِ اِسْمٰعِيْلَ وَ اِسْحٰقَ اِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ.

সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে ইসমাঈল ও ইসহাক দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দুআ শোনেন। Ñসূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৯

বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া কলিজার টুকরো একমাত্র সন্তান ইসমাঈলকে (তখনো ইসহাক আ.-এর জন্ম হয়নি) আল্লাহর হুকুমে কুরবানী করার মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে তাঁকে। সে বিবরণ কুরআনে কারীমের ভাষায়Ñ

رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ، فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِيْمٍ، فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَا ذَا تَرٰي قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ، فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ، وَ نَادَيْنٰهُ اَنْ يّٰۤاِبْرٰهِيْمُ، قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ، اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓؤُا الْمُبِيْنُ، وَ فَدَيْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيْمٍ.

(ইবরাহীম আ. বললেন :) ‘হে আমার রব! আমাকে একজন সৎপুত্র দান করুন।’ অতএব আমি তাঁকে সুসংবাদ দিলাম এক সহনশীল পুত্রের। অতঃপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে ছোটাছুটি করার বয়সে উপনীত হল; তখন তিনি বললেন, ‘হে আমার ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি। এখন তুমি চিন্তা করে দেখ তোমার অভিমত কী?’

সে বলল, ‘হে আমার বাবা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে, আপনি তা করে ফেলুন। আল্লাহ চাহেন তো, আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল পাবেন!’

অতঃপর যখন তাঁরা উভয়ে আদেশ মান্য করলেন এবং পিতা পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিলেনÑ (তখন তাদের মনের যে অবস্থা ছিল তা বর্ণনাতীত)

আর আমি তাঁকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহীম! যথেষ্ট, যথেষ্ট হয়েছে। থামুন, আপনি স্বপ্ন সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছেন।’ আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এটা ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আর আমি তাঁর পুত্রের পরিবর্তে দান করলাম এক মহান কুরবানীর পশু। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ১০০-১০৭

ফলাফল

এই হল ইবরাহীম আ.-এর অগ্নি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত চিত্র। নিজেকে খোদার প্রেমে বিলীন করেছেন।

কিন্তু মহান আল্লাহ কি তার প্রেমিকদেরকে বিলীন হতে দেন?! তিনি তো বরং তাদের চির উদ্ভাসিতই করেন।

ইবরাহীম আ. আল্লাহর জন্য তাঁর পিতা ও গোত্রকে ত্যাগ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে উত্তম পরিবার দান করেছেন। দিয়েছেন ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুবের মতো সন্তান। যারা সবাই নবী হয়েছেন। ইরশাদ হয়েছেÑ

فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَ مَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ يَعْقُوْبَ وَ كُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا.

অতঃপর যখন তিনি পৃথক হয়ে গেলেন ওদের থেকে এবং ওরা আল্লাহ ছাড়া যাদের পূজা করত তাদের থেকে, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং উভয়কে করলাম নবী। Ñসূরা মারইয়াম (১৯) : ৪৯

আল্লাহর প্রেমে নিজ সত্তাকে বিসর্জন দিতে চেয়েছেন; কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে করেছেন সমুন্নত এবং তার পরবর্তী সমস্ত নবীকে পাঠিয়েছেন তাঁরই বংশে। ইরশাদ হয়েছেÑ

وَ تَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ،سَلٰمٌ عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ، كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ.

এবং তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে এ রীতি চালু রেখেছি যে, (তারা বলে)Ñ সালাম বর্ষিত হোক ইবরাহীমের ওপর। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ১০৮-১১০

وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا وَّ اِبْرٰهِيْمَ وَ جَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَ الْكِتٰبَ فَمِنْهُمْ مُّهْتَدٍ وَ كَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ .

নিশ্চয় আমি নূহ ও ইবরাহীমকে প্রেরণ করেছিলাম এবং উভয়ের বংশধরদের জন্য স্থির করেছিলাম নবুওত ও কিতাব। Ñসূরা হাদীদ (৫৭) : ২৬

অনুরূপ হযরত ইসমাঈল আ. কুরবান হতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, তো মহান আল্লাহ তাঁকে নবী হিসেবে কবুল করলেন এবং তাঁরই বংশে পাঠালেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে।

আমাদের জন্য শিক্ষা

ইবরাহীম আ.-এর পরীক্ষা এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিস্ময়কর সাহায্য ও পুরস্কারের ঘটনাবলি কুরআনে কারীমে কেন উল্লেখ করা হল? যেন এগুলো পড়ে প্রভু-প্রেমের তৃষ্ণা আমাদের অন্তরেও তৈরি হয়। তাঁর হুকুমের সামনে সবকিছু কুরবানী করার প্রেরণা লাভ হয়। এটাই তো ঈমান। এটাই তো সাফল্যের চাবিকাঠি; দুনিয়া ও আখেরাতে।

আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْهِمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللهَ وَ الْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَ مَنْ يَّتَوَلَّ فَاِنَّ اللهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ.

নিশ্চয় তোমাদের জন্য তাদের (ইবরাহীম ও তার অনুসারীদের কর্মপন্থার) মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ, প্রত্যেক এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের আশা রাখে। আর কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে (সে যেন মনে রাখে) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, সকল প্রশংসার অধিকারী। Ñসূরা মুমতাহিনা (৬০) : ৬

জীবন নদী পাড়ি দেওয়ার সময় ছোট বড় বহু পরীক্ষার সম্মুখীন আমরাও হতে পারি। তখন যদি ইবরাহীমী আদর্শকে আঁকড়ে ধরতে পারি। আল্লাহর হুকুমের সামনে জাগতিক সকল স্বার্থকে কুরবানী করতে পারি; তবেই তো মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আখেরাতের সফলতা। আল্লাহ আমাদের এমন সৎসাহস দান করুন আমীন।
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আলহাসান
সূত্র: আল-কাউসার

পৃথিবীর সকল মুমিনগণের দিল অপেক্ষায় থাকে। কখন আল্লাহর ঘরে এসে হাজিরা দিবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ জিয়ারত ...
15/10/2023

পৃথিবীর সকল মুমিনগণের দিল অপেক্ষায় থাকে। কখন আল্লাহর ঘরে এসে হাজিরা দিবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বাইতুল্লাহ জিয়ারত করার তাওফিক দান করুন আমীন।

১০০% সঠিক কথা।আল্লাহ ফিলিস্তিন কে মুক্ত করুন। আমীন
15/10/2023

১০০% সঠিক কথা।
আল্লাহ ফিলিস্তিন কে মুক্ত করুন। আমীন

আল্লাহ তায়ালা ফিলিস্তিনের সন্তানদেরকে কুদরতি ভাবে হেফাজত করুন। আমীন
14/10/2023

আল্লাহ তায়ালা ফিলিস্তিনের সন্তানদেরকে কুদরতি ভাবে হেফাজত করুন। আমীন

🕋🕋 যিয়ারতে বাইতুল্লাহ : মুমিনের সাধ, মুমিনের স্বপ্ন 🕋🕋বাইতুল্লাহ! কী সুন্দর নাম! এ নাম শোনার সাথে সাথে মুমিনের মনেস্নিগ্...
14/10/2023

🕋🕋 যিয়ারতে বাইতুল্লাহ : মুমিনের সাধ, মুমিনের স্বপ্ন 🕋🕋

বাইতুল্লাহ! কী সুন্দর নাম! এ নাম শোনার সাথে সাথে মুমিনের মনেস্নিগ্ধ অনুভ‚তি সৃষ্টি হয়। অন্যরকম ভালোলাগা মনকে দোলা দেয়। হৃদয়ের ভেতর ‘বাইতুল্লাহ’ যিয়ারতের আকুতি জেগে ওঠে। তাই একজন মুমিন হৃদয়-গভীরে বাইতুল্লাহ যিয়ারতের স্বপ্ন পুষতে থাকে। আর এ স্বপ্ন তার ঈমানকে নতুনভাবে সজীব করে তোলে।

যুগে যুগে কত মানুষ বাইতুল্লাহ যিয়ারতের স্বপ্ন দেখেছে! এ স্বপ্নের মধুর বেদনা হৃদয়ে বহন করেছে। তবে সবার স্বপ্নই কি পূরণ হয়েছে? কারো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে একবার, কারো দুবার, কারো বহু বার। আর কারো স্বপ্ন তাদের সাথে সাথে মাটির নিচেই ঘুমিয়ে গেছে। বাইতুল্লাহ যিয়ারতের স্বপ্ন কারো জীবনে কত বিস্ময়করভাবে পূর্ণ হয়েছে! পার্থিব যুক্তিতে যাকে বিচার করা যায় না।

এখন যিয়ারতে বাইতুল্লাহ আগের চেয়ে সহজ। আরামদায়ক সফর। বিমানে ওঠার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাওয়া যায় পবিত্র হিজায ভ‚মিতে। কিন্তু একটা সময় এটা ছিল জীবনের কঠিনতম সফরের একটি। দিনের পর দিন। মাসের পর মাস পায়ে হেঁটে কিংবা সাওয়ারীতে চড়ে; তবেই পৌঁছা যেত বাইতুল্লাহ্য়-আল্লাহর ঘরে। কেউ বা যেত সাগর পথে। প্রতি মুহূর্তে যেখানে মৃত্যুর ভয় থাকত মনের ভেতর। কারো কারো স্বপ্ন আবার মাঝপথেই সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যেত। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখত যিয়ারতে বাইতুল্লাহর।

বাইতুল্লাহর সফর শারীরিকভাবে যেমন কষ্টের ছিল তেমনি আর্থিকভাবেও এর জন্য অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ সফরের পথ-খরচ, পরিবারের খরচ, সেখানে থাকার খরচ সব মিলিয়ে প্রয়োজন ছিল অনেক অর্থের। যা জোগাড় করা সবার পক্ষে সহজ ছিল না।

কিন্তু কেউ যদি হিম্মত ও সাহস করে, প্রকৃতপক্ষে যিয়ারতে বাইতুল্লাহর স্বপ্ন দেখে, ইশকের আগুনে তার হৃদয় জ্বলতে থাকে, তাহলে আর্থিক অসচ্ছলতা তার সামনে বাধা হতে পারে না।

এমন অসংখ্য ঘটনা ইতিহাস আলো করে আছে, যেখানে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষ ত্যাগের নযরানা পেশ করে যিয়ারতে বাইতুল্লাহর স্বপ্ন পূরণ করেছে। অতীত ইতিহাসে এর নযীর যেমন অসংখ্য, নিকট ইতিহাসেও এর দৃষ্টান্ত বিরল নয়।

হজ্বের জন্য দৃঢ় সংকল্প করি এবং প্রস্তুতি নেই

কোনো আমলের জন্য দৃঢ় সংকল্প করার বিশেষ ফযীলত রয়েছে। বান্দা যখন কোনো আমলের নিয়ত করে কিন্তু ওযরের কারণে আমলটি করতে পারে না, আল্লাহ তাআলা তাকে সে আমলের সাওয়াব দান করেন। এক হাদীসে আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ سَأَلَ اللهَ الشّهَادَةَ بِصِدْقٍ، بَلّغَهُ اللهُ مَنَازِلَ الشّهَدَاءِ، وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ.

যে ব্যক্তি মন থেকে আল্লাহর কাছে শাহাদাতের তামান্না করে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেন; যদিও সে নিজ বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯০৯

আল্লাহ তাআলা রাহীম ও কারীম। অসীম তাঁর দয়া। সীমাহীন তাঁর দান। বান্দাকে দেয়ার জন্য তিনি শুধু বাহানা খোঁজেন। তাই এখন থেকে আমরা যদি হজ্বের দৃঢ় সংকল্প করি এবং কিছু কিছু করে এর জন্য অর্থ সঞ্চয় করি তাহলে আশা করা যায় এই ওসীলায় আল্লাহ আমাদেরকে হজ্ব করার তাওফীক দান করবেন। হজ্ব না করতে পারলেও নিয়তের কারণে হজ্বের সাওয়াব দান করবেন।

এ প্রসঙ্গে তাকী উসমানী দা. বা.-এর বোনের ঘটনাটি আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয়। তাকী উসমানী দা. বা. লেখেন, একবার তিনি (বড় বোন নাঈমা খাতুন) আব্বাজানের খেদমতে আরয করলেন, আমার জন্য দুআ করুন- আল্লাহ যেন হজ্বের সৌভাগ্য দান করেন। আব্বাজান জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি হজ্বের খুব শওক? তিনি হাঁ সূচক উত্তর দিলেন। আব্বাজান বললেন, নাহ্, তোমার শওক নেই। আপা হয়রান হয়ে বললেন, সত্য বলছি, বাইতুল্লাহ যিয়ারতে আমার বড়ই আকাক্সক্ষা!

আব্বাজান জিজ্ঞেস করলেন, এত বড় কাজের জন্য তুমি কোনো রাহা খরচ জমা করছ? তিনি বললেন, না। আব্বাজান বললেন, এর অর্থ হল, তোমার এ আকাক্সক্ষা নিছক মুখের জমাখরচ। সত্যি যদি তামান্না হত তাহলে কিছু না কিছু তুমি সঞ্চয় করতেই! আপা ওজর পেশ করে বললেন, সংসার থেকে কিছু বাঁচলে তো সঞ্চয় করব! আব্বাজান বললেন, তুমি কি এক-দু আনাও এ কাজের জন্য বাঁচাতে পার না? তিনি বললেন, এতটুকু তো বাঁচাতে পারি। কিন্তু এর দ্বারা হজ্বের খরচ কীভাবে পুরা হবে?

আব্বাজান বললেন, বান্দা যখন কোনো নেক কাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে তখন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সাহায্য আসে। তারপর যদি সে নেক আমল পূর্ণ নাও হয়, ইনশাআল্লাহ তার আজর ও সওয়াব তো অবশ্যই পাওয়া যায়। কিন্তু চেষ্টাহীন, উদ্যোগহীন আকাক্সক্ষায় কোনো কাজ হয় না।

এর বহু দিন পর ১৯৫৬ সালে যখন আপার ইনতেকাল হল এবং ওয়ারিছগণ তাঁর মীরাসের খোঁজ-খবর নিলেন তখন দেখা গেল, তাতে কাপড়ের ছোট্ট একটি থলে রয়েছে, যার গায়ে লেখা- ‘হজ্বের রাহাখরচ’। খুলে দেখা গেল, সম্ভবত পঁয়ষট্টি টাকা। আব্বাজান যখন এ থলে দেখলেন বে-ইখতিয়ার তাঁর চোখে পানি চলে এল। তখন তিনি সবাইকে এ ঘটনা আগাগোড়া শোনালেন। পরে আব্বাজান এ অসামান্য মেহনতের সামান্য সঞ্চয়ের সাথে প্রয়োজনীয় অর্থ যোগ করে তাঁর বদলী হজ্ব আদায়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। (আমার স্মৃতি : কিছু সুখের, কিছু দুঃখের, পৃষ্ঠা, ৪-৬)

আরেকটি ঘটনা। দারুল উলূম দেওবন্দের সদ্য প্রয়াত শাইখুল হাদীস সাঈদ আহমদ পালনপুরী রাহ.-এর মামার।

হযরত বলেন- ‘আমাদের খান্দানে তিনিই সর্বপ্রথম হজ্ব করেন।’ তিনি কীভাবে হজ্ব করেছেন তার অবাক করা কাহিনীও বলেছেন পালনপুরী রাহ.। হযরত বলেন, তখনকার যুগে চার শ রুপিতে হজ্ব করা যেত। পড়াশোনার সময় পকেট খরচ হিসেবে তার বাবা যে টাকা দিতেন তার থেকে কিছু সঞ্চয় করে রাখতেন তিনি। এতে মোটামুটি বেশ টাকা জমা হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ করেই তিনি হজে¦র প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং পৌনে চার শ টাকায় হজ্ব সম্পন্ন করেন। পঁচিশ রুপি তার উদ্বৃত্ত থেকে যায়।

দরিদ্রতা, অর্থকষ্ট, বৈরি পরিবেশ সত্তে¡ও যিয়ারতে বাইতুল্লাহর স্বপ্ন পূরণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এসব ঘটনা। এখান থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু।
manthly al-qawsar
mawlana shahadat sakib
Afnan Travels-আফনান ট্রাভেলস

আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল মুমিনগণের নেক দোয়া কবুল করুন আমীন।
13/10/2023

আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল মুমিনগণের নেক দোয়া কবুল করুন আমীন।

Address

Head Office: Rahmania International Complex. (10 Th Floor) 28/1-C, Toyenbee Circular Road, Suite# 17, Motijheel, Dhaka-1000
Dhaka

Telephone

+8801719151269

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Afnan Travels-আফনান ট্রাভেলস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Afnan Travels-আফনান ট্রাভেলস:

Share

Category


Other Travel Companies in Dhaka

Show All