Foreign Travels System

Foreign Travels System Tours and Travels
(4)

Get Ready for Dubai... অবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দিয়েছেন  আরব আমিরাত কর্তৃপক্...
29/09/2021

Get Ready for Dubai...
অবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দিয়েছেন আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ।

🇺🇸 USA 🇺🇸5 Years multiple Visit Visa.   ✅ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা। Land of Opportunity নামে প...
24/09/2021

🇺🇸 USA 🇺🇸
5 Years multiple Visit Visa.

✅ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা। Land of Opportunity নামে পরিচিত এই দেশে ভ্রমন করার শখ সবার ই থাকে। আমেরিকার ৫ বছরের মাল্টিপল ভিজিট ভিসা নিয়ে আপনিও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Dreamland USA তে। ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসার জন্য আপনি নিজে বা পরিবার সহ আবেদন করতে পারেন। এই ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ। আপনি নিজে আবেদন করতে পারেন অথবা এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার ভিসা অন্য কেউ করে দিতে পারবে না, শুধুমাত্র প্রসেসিং এ সাহায্য করতে পারবে।
🇺🇸কিছু Question জেনে রাখা ভালো 🇺🇸
✅কিভাবে ভিসা প্রসেসিং শুরু করবেন ?
✅Single এপ্লাই করবেন নাকি Family সহ ?
✅ ব্যাংক এ কেমন টাকা থাকলে ভালো হয় ?
✅ জমিজমার পেপারস কি কোন কাজে লাগবে ?
✅ মাসিক ইনকাম কত থাকলে ভিসা পাবার যোগ্য ?
✅ FDR বা DPS তেমন কোন কাজে আসে কি না ?
✅ যারা বাড়ি ভাড়া পান তাদের কি পেপারস লাগবে ?
✅ যারা বিদেশে আছেন তারা কিভাবে এপ্লাই করবেন ?
✅সরকারী চাকুরীজিবীদের ভিসা পেতে কি দরকার হয় ? 🇺🇸✅প্রস্তুতি নিবেন কিভাবে ?
🇺🇸আপনার কোন হেল্প লাগলে
আমরা অবশ্যই আপনাকে সহযোগিতা করবো।
🇺🇸আপনার সপ্ন যদি হয় আমেরিকার ৫ বছরের মাল্টিপল ভিজিট ভিসা পাওয়ার, তাহলে সেই কাংখিত সপ্ন পুরনের জন্য আমরা আছি আপনার পাশে।
USA 5 Years multiple visit visa নির্ভুল প্রসেসিং এর জন্য আমাদের সাথে একটা meeting session বদলে দিবে সব ধারনা।
আপনার সপ্ন পুরনে শুভ কামনা রইলো।

🇺🇸 USA 🇺🇸 ✅ 5 Years  multiple visit visa.  ✅ Visa Category - B1/B2.  ✅ 2/3 Country Visited.  ✅ Businessman / Job Holder....
17/09/2021

🇺🇸 USA 🇺🇸

✅ 5 Years multiple visit visa.
✅ Visa Category - B1/B2.
✅ 2/3 Country Visited.
✅ Businessman / Job Holder.
✅ Family / Single Both.
✅ Submission within 1 month.
✅ High Success rate.
✅ Best B2B Service.
✅ Payment After Visa.
♦️ Knock me for more details.

Explore Dubai with us
17/09/2021

Explore Dubai with us

17/09/2021
নতুন প্রানে, নতুন ঘ্রানে ফুল ফুটুক সবার মনে। শুভ নববর্ষ ১৪২৮ বাংলা। সবাইকে পহেলা বৈশাখ - নতুন বংগাব্দ এর শুভেচ্ছা।
14/04/2021

নতুন প্রানে, নতুন ঘ্রানে
ফুল ফুটুক সবার মনে।

শুভ নববর্ষ ১৪২৮ বাংলা।

সবাইকে পহেলা বৈশাখ - নতুন বংগাব্দ এর শুভেচ্ছা।

সামনে ছুটি- ঘুরে আসুন ঝরনা রানী- খৈয়াছড়া(খুব অল্প খরচে দেখে আসুন বাংলা রুপ)আজ আমরা আপনাদের নিয়ে যাব সীতাকুণ্ডের পার্শ্বব...
23/04/2018

সামনে ছুটি- ঘুরে আসুন ঝরনা রানী- খৈয়াছড়া
(খুব অল্প খরচে দেখে আসুন বাংলা রুপ)
আজ আমরা আপনাদের নিয়ে যাব সীতাকুণ্ডের পার্শ্ববর্তী এলাকা মীরসরাই। যেখানে রয়েছে প্রকৃতির এক আজব খেয়াল খৈয়াছড়া ঝর্না। খৈয়াছড়া অভিযান রোমাঞ্চকর অনুভূতিতে পরিপূর্ণ। এই অভিযানের শুরুতে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হল সাবধানতা এবং কিছুটা সাহস। কেননা খৈয়াছড়া ঝর্ণা যেতে হলে আপনাকে বেশ কিছুটা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। তবে একজন গাইড ছাড়া এইখানে না যাওয়াই ভালো, এতে করে আপনাদের অভিযান আরো অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়বে।

Khoiachora1
আপনি যদি ঢাকার দিক থেকে যান তাহলে চট্টগ্রামের মিরসরাই পার হয়ে বারটাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে নামবেন। বরটাকিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে দশ মিনিট হাঁটলে পথে রেললাইন পরবে, রেললাইন পার হয়ে আরো দশ মিনিট হাঁটলে ঝিরি পাবেন। ইচ্ছে করলে ঢাকা চট্টগ্রাম রোড থেকে ঝিরি পর্যন্ত আপনি সি.এন.জি নিয়েও যেতে পারবেন। ঐখান থেকে আপনাকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার মূল ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। ঝিরি থেকে শেষ স্টেপ পর্যন্ত সোয়া দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢল সমস্যার কারণ হতে পারে সেজন্য অবশ্যই দড়ি সাথে নিবেন, প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে। খৈয়াছড়া ঝর্ণা ট্র্যাকিং বাংলাদেশের অন্য ঝর্ণাগুলো থেকে একটু আলাদা। তাই সবসময় সতর্কতার সাথে পা ফেলবেন। এই অভিজানে অবশ্যই খাবার পানি, শুকনো খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সাথে রাখবেন। কেননা বিপদ তো আর বলে কয়ে আসেনা। আর খাবার খেয়ে খাবারের প্যাকেট কিংবা খোসা যেখানে সেখানে ফেলে দয়া করে প্রকৃতির বারোটা বাজাবেন না।

Khoiachora2
এই ঝর্নাটি স্থানীয়দের কাছে চতল নামে পরিচিত। এই ঝর্নাটির উপরে আরো দুটি ধাপ রয়েছে, যেগুলো যথাক্রমে শিমুলতলি ও আমতলি নামে পরিচিত। এই পাহাড়ের সৌন্দর্য বর্ণনা করার কিছু নেই, নিজের চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য অনুধাবন করা অসম্ভব।
পর্যটকদের থাকার জন্য সীতাকুন্ডে খুব সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে তবে পর্যটকরা চাইলে এখানে অবস্থিত মন্দিরগুলোতে অনুমতি নিয়ে থাকতে পারেন। আর এটাই হবে এডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণপীপাষুদের সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতা। সীতাকুণ্ড থেকে বারটাকিয়া বাজারের দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার। তবে থাকার জন্য ভুল করেও চট্টগ্রাম শহরকে বেঁছে নিবেন না, তাহলে শহরের যানযট ঠেলে এটুকু আসতে আপনার সারাটা দিনও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ফটো ও লেখা- google মামা

আবার শুরু হবে............পাখিদের মিলন্মেলা.।।  পাখি দেখতে...............পাখিদের নগরে
27/10/2017

আবার শুরু হবে............পাখিদের মিলন্মেলা.।।
পাখি দেখতে...............পাখিদের নগরে

AMAZING VIETNAM..............
09/10/2017

AMAZING VIETNAM..............

এখন ই সময়...............কাশবনের মাজে নিজেকে লুকানোর শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর সাদা কাশফুল
05/10/2017

এখন ই সময়...............কাশবনের মাজে নিজেকে লুকানোর

শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর সাদা কাশফুল

বাংলাদেশে বনাঞ্চলের পরিমান এমনিতেই কম। তার মাঝে উত্তরাঞ্চলে তো বন খুঁজে পাওয়াই কঠিন। যমুনা ইকো পার্ককে বলা যায় উত্তরবঙ্গ...
05/10/2017

বাংলাদেশে বনাঞ্চলের পরিমান এমনিতেই কম। তার মাঝে উত্তরাঞ্চলে তো বন খুঁজে পাওয়াই কঠিন। যমুনা ইকো পার্ককে বলা যায় উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় কৃত্রিম বন। বিশেষজ্ঞরা উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে এই আশংকা করে থাকেন যে অদূর ভবিষ্যতে হয়তবা এইখানে মরুভুমিকরন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেটা সময়ই বলে দিবে। কিন্তু আপনি যদি একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসতে পারেন যমুনা ইকো পার্ক থেকে, তাহলে সেই আশংকা আপনার মনে দানা বেঁধে উঠতে পারবে না। চলুন, যান্ত্রিক এই নগর থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিয়ে সবুজের আলিঙ্গনে বাঁধা পড়ি।
আমার যা ঘোরাঘুরি হয় তার বেশিরভাগই হয় অফিসিয়াল কাজে। এইরকম এক অফিসিয়াল ট্যুরে গত বছরের এপ্রিল মাসে গিয়েছিলাম রাজশাহীতে। ৭ দিনের ট্যুরে রাজশাহী থেকে পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ হয়ে ঢাকা ফিরেছিলাম। সিরাজগঞ্জ ছিলাম দুইদিন দিনরাত। এর মাঝে একদিন বিকেলে সময় পেয়ে এরিয়া ম্যানেজারের বাইকে চড়ে বসলাম যমুনা পার্কে যাব বলে। সেদিন বিকেলে প্রচণ্ড বাতাস ছিল। যমুনার পাড়ে সবসময়ই বাতাস থাকে। তাঁর উপর আগের রাতেই একপশলা বৃষ্টি হয়েছিল। তাই এপ্রিল মাস হওয়া সত্ত্বেও প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। এমন হিমশীতল আবহাওয়ায় কাঁপতে কাঁপতেই পৌঁছে গেলাম ইকো পার্কের প্রবেশপথে।

সন্ধ্যায় ইকো পার্ক বন্ধ করে দেয়। আমরা যখন গিয়েছি তখন দর্শনার্থীরা বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিছুটা অনুরোধ আর ১০০ টাকার একটা নোটের কল্যাণে গেটকিপারকে ম্যানেজ করে আধা ঘণ্টার জন্য পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম। বাইক থাকায় পুরো পার্ক ঘুরে দেখার জন্য আধা ঘন্টাই যথেষ্ট ছিল। গেট দিয়ে ঢুঁকেই দুটি রাস্তা। একটা রাস্তা বামে চলে গেছে; আরেকটা সোজা চলে গেছে যমুনা নদী পর্যন্ত। আমরা সোজা রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম।

নদীতীরে এসে দেখি মোটা তারের জাল। এই জাল দিয়ে পুরো পার্কটাকে ঘিরে রাখা হয়েছে যেন পার্কের অধিবাসীদের (বানর, হরিণ ইত্যাদি) কোন সমস্যা না হয়। তাঁরের জালের ভেতর দিয়ে যমুনা নদী এবং ত্র উপর এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু বঙ্গবন্ধু সেতু দেখা যায়।

ডানদিকে যাবার রাস্তা বন্ধ। অতএব বাম দিকের রাস্তা ধরে বাইক ছুটে চলল।

মনে মনে তপুর সেই গানটার প্যারোডি করে ফেললাম।
একপাশে অরণ্য, আর একপাশে নদী।
আমার ১২০ সিসির বাইক, যাবে কি?
(তপুপ্রেমীরা দয়া করে মাইন্ড খাইবেন না প্লীজ)।

চলার পথেই চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য কিছু ছোট কুঁড়েঘর কিংবা যাত্রী ছাউনি।

বাইকের রাস্তায় ইটের খোয়া বিছানো ছিল। বা পাশের জঙ্গল আমাদের কাছে টানছিল। কতক্ষণ আর সে আকর্ষণ উপেক্ষা করা যায়। তাই জঙ্গলে ঢোকার পথ চোখে পড়তেই বাইক চালিয়ে জঙ্গলের ভিতর ঢুকে পড়লাম।

চারদিক ছিল অসম্ভব নির্জন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। তাই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।

চলার পথে হঠাত করেই চোখে পড়ছিল বানর যারা কিচকিচ শব্দ তুলে এ দাল থেকে ও ডালে লাফাচ্ছিল আর আমাদের দেখে ভেঙচি কাটছিল।

পার্কের ভিতর আরও আছে হরিণ, সজারু, ময়ূর এবং খরগোশ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে পার্কের চারপাশের রাস্তাটা হচ্ছে উপবৃত্তাকার। তাই হঠাত করেই আমরা দেখলাম যে আমরা পার্কের প্রবেশ্মুখে চলে এসেছি। যাত্রা শুরু করেছিলাম সোজা রাস্তা ধরে। ঘুরতে ঘুরতে ফিরে এসেছি বামপাশের রাস্তা ধরে। শখ মিতে নি পুরোপুরি। তাই আর একবার চক্কর দিয়ে ইকো পার্ক ভ্রমণ শেষ করলাম।
যমুনা ইকো পার্কের কিছু তথ্য জেনে নিন। ১২৪ একর আয়তনের এই পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখ। উদ্বোধন করেন সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব খান মোহাম্মদ ইব্রাহীম। উদ্বোধনের সময় পার্কে ৮ টি হরিণ ছাড়া হয়। পরবর্তী কিছুদিনের মাঝেই পার্কে ১০ টি খরগোশ, ২১ টি হরিণ, ৫ টি সজারু, ২ টি বানর এবং ২ টি ময়ূর ছাড়া হয়। এরপর পযায়ক্রমে আরো বিভিন্ন সময় এসব প্রাণী ছাড়া হয় পার্কে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শেয়াল আর কুকুরের আক্রমণে অনেকগুলই মারা যায় তাই বেশ কিছু প্রাণীকে খাচাবন্দী করে রাখা হয়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ পর্যটক এই পার্ক দেখতে আসেন। পিকনিক পার্টিও মাঝে মাঝেই আসে। যার ফলে বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ প্রতিনিয়তই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এক দিনের প্যাকেজ ট্যুরের জন্য যমুনা ইকো পার্ক চমৎকার জায়গা। হাতে সময় থাকলে বেরিয়ে পড়ুন। খুব ভোরে রওনা দিলে পার্ক ঘুরে রাতেই ঢাকা ফেরা যাবে। শেষ করার আগে চলুন দেখে নেই উপগ্রহ থেকে যমুনা ইকো পার্ককে কি চমৎকার লাগে দেখতে।

photos from google
collected from ইস্টিশন

কম সময়ে কাছে কোথাও একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন এমন অনেক জায়গাই আছে ঢাকার আশে পাশে। তারমধ্যে খুব সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়ার ...
05/10/2017

কম সময়ে কাছে কোথাও একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন এমন অনেক জায়গাই আছে ঢাকার আশে পাশে। তারমধ্যে খুব সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়ার মতো একটি জায়গা হলো গোলাপ গ্রাম। বিশ্বাস করুন, এই গ্রাম আপনার যান্ত্রিক জীবনের অনেকটা ক্লান্তিই দূর করে দিবে।

বাসেও যাওয়া যায় আবার ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে যাওয়া যায়। আমার মতে নৌকা করে যাওয়া ভাল। মন ভাল হয়ে যাবে।

ঢাকা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে মিরপুর-১ কিংবা মাজার রোড নেমে রিকশা ঠিক করে দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাবেন (এটা মিরপুর এর দিয়াবাড়ি, উত্তরার না)। ভাড়া নেবে ৩০-৩৫ টাকা মত।

বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পর পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছাড়ে। সাহদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪৫ মিনিট-১ ঘণ্টা লাগবে। সেখানে একেক জনের জন্য ২০ টাকা করে নিবে।

অথবা হাতে চালানো নৌকা রিজার্ভ করতে পারেন। সময় লাগবে আড়াই-৩ ঘন্টা মত। দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটে যাওয়ার সময়টা আপনি সত্যি মুগ্ধ হয়ে থাকবেন।

সাহদুল্লাপুর ঘাটে পৌঁছানোর পর ঘাটের বট গাছের নিচে বসে চা-নাস্তা করে নিতে পারেন। এরপর পুরো গ্রামটা হেঁটে ঘুরবেন। আমি যতটা ভেবেছিলাম তার থেকেও বেশি সুন্দর এই গ্রাম। পুরোটাই যেন গোলাপের বাগান! যতদূর যাবেন গোলাপে ঢাকা চারপাশ আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে। পুরোটা গ্রামকে বলা যায় গোলাপ গ্রাম। উঁচু জমিগুলো ছেয়ে আছে গোলাপে। লাল, হলুদ, সাদা—কত বর্ণের যে গোলাপ তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

কিংবা নৌকা থেকে নেমে অটো তে করে ৫ টাকা দিয়ে সোজা গোলাপের বাজারে যেতে পারেন। ওই বাজার থেকেই সারাদেশে ফুল যায়। ঢাকার বেশি ভাগ ফুল এখান থেকে আসে। শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন ফুলের বাজারগুলোতে গোলাপের প্রধান যোগান দেন এখানকার চাষিরা। গ্রামে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এসে ভিড় জমান সেখানে। জমতে থাকে বেচাকেনা, চলে রাত পর্যন্ত।

গ্রামের সবখানে শুধু ফুলের বাগান। অন্য কিছু চোখে পরে নাই।

মন ভাল করার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হতে পারে না। সারাদিন ফুলের রাজ্যে কাটিয়ে দিলেন। চাইলে অনেকগুলো ফুল কিনে আনতে পারবেন, খুব সস্তা দাম। ৫০ টা গোলাপ এর দাম মাত্র ৮০-১০০ টাকা।

বাসে যেতে চাইলে মাজার এর সামনে কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায়। ওখান থেকে সরাসরি আক্রান বাজার। ভাড়া ২০ টাকা। আক্রান বাজার থেকে অটো তে করে ফুলের বাজারে কিংবা সাহদুল্লাহপুর গ্রাম ১০ টাকা।

কি কি দেখবেনঃ গোলাপের ক্ষেত, বিরুলিয়াতে আছে রজনীগন্ধা আর গ্লডিওলার বাগান, বেশ কয়েকটি জমিদারবাড়ি, বিরুলিয়া ব্রিজের গোড়া থেকে হাতের বাম দিকে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই সুদর্শন প্রাচীন বটগাছ। রাস্তায় যাওয়ার সময় দেখা পেতে পারেন মহিষের গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গাড়িয়াল। এ বিলুপ্তপ্রায় দৃশ্যটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার “নৌকায় করে গোলাপের দেশে ইভেন্টে” যাওয়ার সময়।

কোথায় খাবেনঃ সাদুল্লাহপুর যেখানে অটো থামে সেখানেই খাবারের হোটেল আছে, তবে খুবই নিম্নমানের। ভাল হয় ঢাকা থেকে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে গেলে।

collecter
photos from Google

বাংলার অ্যামাজন রাতারগুলনিঝুম ঝকঝকে দুপুর। তটিনীর কূলে ডেকে যায় একলা ডাহুক। এমন নিস্তব্ধ দুপুরে শুধু নৌকার বৈঠা শব্দ কর...
02/10/2017

বাংলার অ্যামাজন রাতারগুল

নিঝুম ঝকঝকে দুপুর। তটিনীর কূলে ডেকে যায় একলা ডাহুক। এমন নিস্তব্ধ দুপুরে শুধু নৌকার বৈঠা শব্দ করছে ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল। এমনই এক ঘোর মাখা সময়েই ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম বাংলার অ্যামাজন নামে পরিচিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাতারগুলে।

রাতারগুল আমাদের দেশের একমাত্র ‘ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা জলাবন। সিলেট থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এই সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলাবনের অবস্থান।

উত্তরে মেঘালয় থেকে নেমে আসা স্রোতস্বিনী গোয়াইন নদী, দক্ষিণে বিশাল হাওর। মাঝখানে ‘জলাবন’ রাতারগুল। উইকিপিডিয়ায় পাওয়া তথ্যমতে সারা পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশ আছে এর দুটি, একটা শ্রীলংকায় আর আরেকটা আমাদের রাতারগুলে।

অনিন্দ্যসুন্দর বিশাল এ বনের সঙ্গে তুলনা চলে একমাত্র অ্যামাজনের। রেইন ফরেস্ট নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের স্বাদুপানির সবচাইতে বড় সোয়াম্প বন কিন্তু ওই অ্যামাজনই। ঠিক অ্যামাজন সোয়াম্পের মতোই স্বাদুপানির বন আমাদের এই রাতারগুল।

সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটিগাছ ‘রাতাগাছ’ নামে পরিচিত। সেই মুর্তা অথবা রাতাগাছের নামানুসারে এই বনের নাম হয়েছে রাতারগুল। অ্যামাজনের মতোই গাছগাছালির বেশির ভাগ অংশই বছরে চার থেকে সাত মাস থাকে পানির নিচে। ভারতের মেঘালয়ের জলধারা গোয়াইন নদীতে এসে পড়ে, আর সেখানকার এক সরু শাখা চেঙ্গী খাল হয়ে পানিটা প্লাবিত করে পুরো রাতারগুল জলাবনকে। বর্ষা মৌসুমের প্রায় সবসময়ই পানি থাকে বনে ( মে – সেপ্টেম্বর)। শীতকালে অবশ্য সেটা হয়ে যায় আর দশটা বনের মতোই, পাতা ঝরা শুষ্ক ডাঙ্গা। আর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়েচলা মেঠোপথ। আর তখন জলজ প্রাণীকুলের আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বড় বড় ডোবাগুলোতে।

বর্ষায় বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন যেন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে পথ চলতে হয়। তবে বর্ষায় এ বনে চলতে হবে খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর।

বনবিভাগের তথ্যমতে- এই বনের আয়তন তিন হাজার ৩২৫ দশমিক ৬১ একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। বিশাল এ বনে রয়েছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। রাতারগুল বনে সাপের মধ্যে নির্বিষ গুইসাপ, জলঢোড়া ছাড়াও রয়েছে গোখরাসহ বিষাক্ত অনেক প্রজাতি। বর্ষায় বনের ভেতর পানি ঢুকলে এসব সাপ উঠে পড়ে গাছের ওপর।

বনের ভেতর দাঁপিয়ে বেড়ায় মেছোবাঘ, কাঠবিড়ালি, বানর, ভোঁদড়, বনবিড়াল, বেজি, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউস, রুইসহ আরো অনেক জাতের মাছ পাওয়া যায় এই বনে। পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতে মাঝেমধ্যে আসে বিশালকায় সব শকুন। আর লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঘাঁটি গাড়ে বালিহাঁসসহ হরেক জাতের পাখি। শুকনো মৌসুমে ডিঙ্গি নিয়ে ভেতরে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আপনাকে উড়ে সরে গিয়ে পথ করে দেবে। এ দৃশ্য আসলেই দুর্লভ!

গাছের মধ্যে এখানে করচই বেশি। হিজলে ফল ধরে আছে শয়ে শয়ে। বটও চোখে পড়বে মাঝেমধ্যে। আর বনের দক্ষিণে মুর্তা (পাটি) গাছের প্রাধান্য। রাতারগুলের বেশ বড় একটা অংশে বাণিজ্যিকভাবে মুর্তা লাগিয়েছে বন বিভাগ। মুর্তা দিয়ে শীতল পাটি হয়। মুর্তা বেশি আছে নদীর উল্টো পাশে। এ ছাড়া ওদিকে শিমুল বিল হাওর আর নেওয়া বিল হাওর নামে দুটো বড় হাওর আছে।

জলের নিচের অপূর্ব জগত

বর্ষায় হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুবে থাকা গাছগুলো দেখার অভিজ্ঞতা অপূর্ব। শীতকালে আবার বনের ভিন্নরূপ। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে মূর্তা ও জালি বেতের বাগান। সে সৌন্দর্য আবার অন্য রকম! বন এভাবে জলে ডুবে থাকে বছরে চার থেকে সাত মাস। বর্ষা কাটলেই দেখা যাবে অন্য চেহারা। তখন বনের ভেতরের ছোট নালাগুলো পরিণত হবে পায়ে চলা পথে। সেই পথ দিয়ে হেঁটে অনায়াসে ঘুরে বেড়ানো যায়।

রাতারগুল বনে ঢুকতে হয় ডিঙি নৌকায় চেপে। নৌকা একবার বনে ঢুকলেই আর কথা নেই ! দুটি মাত্র শব্দ লাগবে আপনার ভাব প্রকাশের জন্য, আপনি হয় তো বলে উঠবেন- “আমি মুগ্ধ” ! আর বোনাস হিসেবে পাবেন গোয়াইন নদী দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার অসাধারণ সুন্দর পথ, বিশেষ করে বর্ষায়। এ ছাড়া নদীর চারপাশের দৃশ্যের সঙ্গে দেখবেন দূরে ভারতের মিজোরামের উঁচু সবুজ পাহাড়।

যেভাবে যেতে হবে

রাতারগুল যাওয়া যায় বেশ কয়েকটি পথে। তবে যেভাবেই যান, যেতে হবে সিলেট থেকেই।

প্রথম উপায়- সিলেট থেকে জাফলং – তামাবিল রোডে সারীঘাট হয়ে সরাসরি গোয়াইনঘাট পৌঁছানো। এরপর গোয়াইনঘাট থেকে রাতারগুল বিট অফিসে আসবার জন্য ট্রলার ভাড়া করতে হবে, ভাড়া ৯০০ – ১৫০০ এর মধ্যে (আসা-যাওয়া) আর সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বিট অফিসে নেমে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বনে ঢুকতে হবে, এতে ঘণ্টাপ্রতি লাগবে ২০০-৩০০ টাকা।

দ্বিতীয় উপায় হলো- সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে গোয়াইনঘাট পৌঁছানো, ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা। ওসমানী এয়ারপোর্ট–শালুটিকর হয়ে যাওয়া এই রাস্তাটা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর। এরপর একইভাবে গোয়াইনঘাট থেকে রাতারগুল বিট অফিসে আসবার জন্য ট্রলার ভাড়া করতে হবে, ভাড়া ৮০০ – ১৫০০ টাকার মধ্যে (আসা-যাওয়া) আর সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বিট অফিসে নেমে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বনে ঢুকতে হবে, এতে মাঝি ঘণ্টাপ্রতি নেবে ২০০-৩০০ টাকা।

আরো একটি উপায়ে আপনি পৌঁছাতে পারেন রাতারগুল- সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে মোটরঘাট (সাহেব বাজার হয়ে) পৌঁছাতে হবে, ভাড়া নেবে ২০০-৩০০ টাকা আর সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক। এরপর মোটরঘাট থেকে সরাসরি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বনে চলে যাওয়া যায়, এতে ঘণ্টাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা লাগবে। এই তৃতীয় পথটিতেই সময় ও খরচ সবচেয়ে কম।

কিছু সতর্কতা

রাতারগুল বা তার আশপাশে খাবারের হোটেল বা থাকার কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই খাবার গোয়াইনঘাট বা সিলেট থেকে নিয়ে যেতে পারেন।

আরেকটা বিষয়, নৌকায় করে বেড়ানোর সময় পানিতে হাত না দেয়াই ভালো। জোঁকসহ বিভিন্ন পোকামাকড় তো আছেই, বর্ষায় বিষাক্ত সাপও পানিতে বা গাছে দেখতে পাওয়া যায় । সাঁতার না জানলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখা জরুরি।

এ ছাড়া ছাতা, বর্ষাতি কিংবা রোদ টুপিও সঙ্গে নিতে হবে। এখানে বেড়ানোর নৌকাগুলো অনেক ছোট। এক নৌকায় পাঁচজনের বেশি উঠবেন না।

আরেকটি কথা- পলিথিন, বোতল, চিপসের খোসা, বিস্কুটের খোসা ইত্যাদি জিনিস পানিতে ফেলবেন না দয়া করে। আমাদের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।

ভ্রমণ শুভ হোক!

photos from Google
Courtesy Ntv online vromon

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা...
02/10/2017

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা "সাগর কন্যা" হিসেবে পরিচিত।
অবস্থান: পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।
ইতিহাস: কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরকানীদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। 'কুয়া' শব্দটি এসেছে 'কুপ' থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতারিত হয়ে আরকানীরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কুপ খনন করেছিলনে, সেই থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা।
বর্ননা: ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের এটাই একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই ভাল দেখা যায়, সব চাইতে ভালোভাবে সূর্যোদয় দেখা যায় সৈকতের গঙ্গামতির বাঁক থেকে আর সূর্যাস্ত দেখা যায় পশ্চিম সৈকত থেকে।
এছাড়া আরও যে সব দর্শনীয় স্থান রয়েছে কুয়াকাটায় সেগুলো হলো- ফাতরার বন: সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকে ম্যানগ্রোভ বন শুরু হয়েছে, যার নাম ফাতার বন। সংরক্ষিত বনভুমি ফাতরার বন ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, ফাতরা, গরান, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং বানর, শূকরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। সমুদ্রসৈকত থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে এক ঘণ্টার যাত্রাপথে ফাতরার বনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
কুয়াটারা 'কুয়া': কুায়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিয়ের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির, নাম সীমা বৌদ্ধ মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।
কেরানিপাড়া: সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদেও প্রধান কাজ কাপড় বুনন।
আলীপুর বন্দর: কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় একটি মাছ ব্যবসা কেন্দ্র আলীপুর। এ বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায় মাছ ধরতে।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আরকেটি বাসস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির। এ মন্দিরেই রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। এখান থেকে কিছু দূরে আমখোলা পাড়ায় রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাখাইন বসতি।
গঙ্গামতির জঙ্গল: কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত পূব দিকে শেষ হয়েছে গঙ্গামতির খালে গিয়ে। আর এখানে শুরু হয়েছে গঙ্গামতির বা গজমতির জঙ্গল। বিভিন্ন রককম গাছপালা ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বন মোরগ, বানর ও নানা রকম পাখির।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী। সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী রুটে চলাচল করে এমভি দ্বীপরাজ, সৈকত ইত্যাদি লঞ্চ। এসব লঞ্চে প্রথম শ্রেনীর দ্বৈত কেবিনের ভাড়া ৮৫০-১০০০ টাকা। পুটুয়াখালী বাস স্টেশন থেকে প্রতি ঘন্টায় কুয়াকাটার বাস ছাড়ে। ভাড়া ৬০-৭০ টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল এসে সেখান থেকেও বাসে চড়ে কুয়াকাটা আসা যায়। ঢাকা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালীর লঞ্চগুলো ছাড়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায়। ঢাকা থেকে সরসরি বাসও চলে কুয়াকাটার পথে। কমলাপুর বিআরটিসি বাস স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ছাড়ে সরকারী পরিবহন সংস্থার বাস। আর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার পথে চলে সাকুরা, সুরভী, দ্রুতি ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ভাড়া ৪৫০-৫০০ টাকা।

photos from Google
courtesy -Bangladesh porjoton corporation-

কাজের চাপে নাকাল হয়ে অনেকেই ছুটে যেতে চান প্রকৃতির কাছে। সুখবর হল সামনেই আসছে পুজোর ছুটি। এই ছুটিতে চলে যেতে পারেন মুক্ত...
26/09/2017

কাজের চাপে নাকাল হয়ে অনেকেই ছুটে যেতে চান প্রকৃতির কাছে। সুখবর হল সামনেই আসছে পুজোর ছুটি। এই ছুটিতে চলে যেতে পারেন মুক্ত হাওয়ায় কিছু সময় কাটাতে। আর এজন্য উপযুক্ত জায়গা হতে পারে বিছানাকান্দি। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ যায় ওখানে। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক সিলেটের বিছানাকান্দি সম্পর্কে।

বিছানাকান্দিতে যাবার আগে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। ঢাকা থেকে সিলেট রুটের যেকোন বাস/ট্রেন ধরে চলে আসতে পারেন সিলেটে। তবে সিলেটে আসলেই বিছানাকান্দির দেখা পাওয়া যাবে না। বিছানাকান্দি সিলেট শহর থেকে বেশখানিক পথ দূরে। শহর থেকে সিএনজি/মাইক্রো ভাড়া করে প্রথমে আসতে হবে গোয়াইনঘাট উপজেলার হাঁদারপাড় নামক স্থানে। তবে এই পথটুকুও কম উপভোগ্য নয়। বাইরে চোখ রাখলেই অফুরন্ত সবুজ মাঠ ঘাট দেখতে পারবেন আর একটু লক্ষ্য করলেই মাঠগুলোর পিছনে নীল পাহাড়গুলো চোখে পড়বে। নীল আকাশ আর তার চাইতেও নীল পাহাড় এবং সবুজের যে অপূর্ব সমন্বয় তা শহরের মানুষগুলোর জন্য যেন উপহারের মত।
হাঁদারপাড় নামক স্থানটিতে আসলে পথ ততটা সুখকর নয়। এখানে গাড়ির কোন ব্যবস্থা নেই। গরম থাকলে হেঁটে বিছানাকান্দি পর্যন্ত চলে যেতে পারেন চাইলে। সেক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। তবে বর্ষাকালে সেই সুযোগটুকু নেই। তবে তার জন্য ভাবনা নেই। হাঁদারপাড় থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরবোটগুলো সোজা আপনাকে নিয়ে যাবে বিছানাকান্দিতে। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পরতে পারে ৭০০-৮০০ টাকা। তবে মোটরবোটের সাহায্য নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে কেননা ৪ কিলোমিটার পথ হেটে যাওয়াটা অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর হতে পারে। বিশেষ করে দলে যদি বয়স্ক কিংবা বাচ্চা কেউ থাকে সেক্ষেত্রে হেঁটে যাবার চিন্তাটা বাদ দেওয়াই উত্তম।

নৌকা করে বিছানাকান্দি আসার পুরো পথটা অসম্ভব রোমাঞ্চকর। স্বচ্ছ আর ঠাণ্ডা পানি ঠেলে নৌকার এঁকেবেঁকে বয়ে চলা মনে এনে দেয় অদ্ভুত প্রশান্তি। তার উপর বাড়তি পাওনা হিসেবে তো আছে আশেপাশের গগনচুম্বী পাহাড় আর মাথার উপর শুভ্র শান্ত আকাশের আবরণ। পথ যত কমতে থাকে অস্পষ্ট পাহাড়গুলো স্পষ্ট নিরেট আকার নিতে থাকে আর তখন মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতে হয়। যেন কোন শিল্পীর আঁকা ছবির মত এ দৃশ্য, প্রতিটি খাঁজে রয়েছে অপার সৌন্দর্য আর নিখুঁত কারুকার্যের নিদর্শন। পথে চলত চলতে দুপারে দেখা মিলতে পারে কিছু আদিবাসীদের। এমনি করে চলতে চলতে কখন যে পথ শেষ হয়ে আসে তা বলা মুশকিল। কিন্তু পথ শেষ হলে হবে কি সৌন্দর্যের শেষ হবার উপায় নেই। কারন তখন আপনি চলে এসেছেন অপরূপা বিছানাকান্দিতে।
এখানে পৌঁছে যখন মনে হবে সেই পাহাড় সেই আকাশই তো এখানে। কিন্তু পা ফেলার সাথে সাথে এই ভাবনাটুকু কখন যে তলিয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। পা রাখতেই টের পাওয়া যাবে কেন বিছানাকান্দিতে আসা । স্বচ্ছ আর হিমশীতল পানির নিচে যেন শত শত পাথরের মেলা বসেছে। নানা রঙের, নানা আকারের আর বিচিত্র সব উপাদানের পাথরে ভরপুর এই জায়গাটিকে পাথরের রাজ্য বললে ভুল হবে না। শুধু পা ভিজিয়ে ক্ষান্ত থাকেন না এখানে আসা মানুষগুলো। শরীর এলিয়ে দিয়ে যখন চোখ বুজে আসে তখন একে পাথরে ভরা বাথটাব বলেই মনে হয়। বর্ষার সময়টাতে পানিতে টইটুম্বুর থাকে বিছানাকান্দি আর তখন একে তুলনা করা যায় সবে কৈশোর ছেড়ে যৌবনে পা দেওয়া তরুনীর সাথে। অপরূপ চোখ জুড়ানো এক মোহনীয়তায় যেন আবিষ্ট করে রাখে এখানে আসা মানুষগুলোকে। তবে শীতকালে বিছানাকান্দি ভ্রমন না করাই শ্রেয়।

বিছানাকান্দি ভারত এবং বাংলাদেশের বর্ডার এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ১০০ গজ দূরে থাকা লাল পতাকাগুলোর সারি জানান দেয় যে ওপাশেই ভারত। এখান থেকে সহজেই ভারতীয় জলপ্রপাত গুলো দেখা যায় যা থেকে পানি বয়ে আসে বিছানাকান্দি পর্যন্ত। একটি কাঠের ব্রিজ বাংলাদেশের বর্ডারের মধ্যে পড়েছে যা পানি প্রবাহের বিপরীত দিকে অবস্থিত উচ্চভুমি আর সমতল ভূমির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ করে। এর ফলে আদিবাসীদের গবাদীপশু চারনের বিশেষসুবিধা হয়েছে।

পাথর, পানি, পাহাড় আর আকাশ নিয়েই যেন বিছানাকান্দি। এখানে আসার পর যে কথাটি সর্বপ্রথম মনে হয় তা হল প্রশান্তি। এই প্রশান্তিটুকু নিমিষেই ভুলিয়ে দেয় প্রতিদিনকার শত গ্লানি। প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে যেন হার মানতেই হয় নাগরীক সভ্যতাকে। আর এই চরম সত্যটুকু উপলব্ধি করতে হলে আপনাকে চলে আসতে হবে বিছানাকান্দিতে।

মনে রাখা ভাল
১. সময় থাকলে পান্তুমাই থেকেও ঘুরে আসতে পারেন ।বিছানাকান্দির পাশেই অবস্থিত এই স্পটটিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

২. পাথরে চলার সময় বাড়তে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। নয়তো পা পিছিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৩. খাবারের পর্বটুকু হাঁদারপাড় থেকে সেরে আসা ভালো। বিছানাকান্দিতে খাবারের দোকান পাওয়া দুর্লভ। ছোটখাটো কিছু দোকান ছাড়া তেমন কিছু নেই। তবে চাইলে সিলেট শহর থেকেই খাবার প্যাক করে নিয়ে আসতে পারেন।

৪. পানিতে কোন ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। এর সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

৫. বিছনাকান্দি যেহেতু জিরো পয়েন্টে অবস্থিত তাই ভ্রমনকারীদের বর্ডারের আশেপাশে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

৬. অনেক সময় বর্ষাকালে এখানে আকস্মিক বন্যা হতে পারে। তাই যাবার পূর্বে আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।

টাঙ্গুয়ার হাওর:-বিস্তৃর্ণ জলরাশি শুধু আমাকেই নয় আমার ধারণা প্রতিটি মানুষকেই প্রচন্ডভাবে আকর্ষণ করে,হাওর এলাকা হচ্ছে তেমন...
24/09/2017

টাঙ্গুয়ার হাওর:-

বিস্তৃর্ণ জলরাশি শুধু আমাকেই নয় আমার ধারণা প্রতিটি মানুষকেই প্রচন্ডভাবে আকর্ষণ করে,হাওর এলাকা হচ্ছে তেমনই এক বিস্তৃর্ণ জলরাশির জায়গা যা মানুষকে খুব বেশি করে আকর্ষন করে ।

আমাদের দেশ বাংলাদেশে হাওর বাওড়ে ভরপুর তার মাঝে সুনামগন্জের টাঙ্গুয়ার হাওর হলো সবচেয়ে সুন্দর এবং সবচেয়ে জনপ্রিয়ও বটে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে ।

ঝরনা রানীআকার আকৃতি ও গঠনশৈলির দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা ‘খৈয়াছড়া’। এই ঝর্ণাতে আছে মোট...
24/09/2017

ঝরনা রানী

আকার আকৃতি ও গঠনশৈলির দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা ‘খৈয়াছড়া’। এই ঝর্ণাতে আছে মোট ৭টি মুল ধাপ (কারো মতে ৯টি) এবং অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ, যা বাংলাদেশের আর কোন ঝর্ণাতে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই ‘খৈয়াছড়া’ কে বলা যায় বাংলাদেশের ঝর্ণা রাণি।অবস্থানঃ খৈয়াছড়া ঝর্ণা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর মধ্যে ১ কিলোমিটার পথ গাড়িতে যাওয়া যায় এবং বাকী পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে। ২০১০ সালে সরকার বারৈইয়াঢালা ব্লক থেকে বড়তাকিয়া ব্লকের ২৯৩৩.৬১ হেক্টরর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করলে খৈয়াছড়া ঝর্ণা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত হয়।বিবরনঃ খৈয়াছড়ার মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি অন্যান্য ঝর্ণার মতো সরাসরি পাহাড় থেকে নিচে এসে পড়েনি। ঝর্ণাটির মোট ৭টি ধাপ (কারো মতে ৯টি ধাপ) আছে। এর মধ্যে খুব সহজে নিচ থেকেই দেখা যাবে তিনটি ধাপ, কিন্তু ওপরের চারটি ধাপ দেখতে হলে বাম পাশের প্রায় খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হবে বেশ খানিকটা ওপরে।ওপরের ওঠার পর তার সৌন্দর্য আপনার সমস্ত কষ্ট ভুলিয়ে দিবে। ওপরে উঠলে দেখা মিলবে আরো একটি ধাপের। এর বাম পাশ দিয়ে সামান্য হাঁটলেই দেখা মিলবে অপর তিনটি ধাপের। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তাহলে এই তিনটি ধাপের পাশ দিয়ে পাহাড় বেয়ে উঠে যান আরো ওপরে, সেখানে আশপাশের বহুদূর বিস্তৃত পাহাড় আর জঙ্গলের অপূর্ব দৃশ্য কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনাকে ভুলিয়ে দেবে আপনার পরিশ্রম আর নিরাপদে নিচে ফিরে যাওয়ার ভাবনার কথা।ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তাটি দারুন মনোমুগ্ধকর। গাড়ির রাস্তা পার হয়ে যখন হাঁটা শুরু করবেন এর চারি পাশের দৃশ্য দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য হবেন। খানিকক্ষণ উঁচু-নিচু রাস্তা পার হয়ে একসময় এসে পড়বেন পাহাড়ি ঝিরিপথে। এরপরই শুরু হবে আপনার আসল অ্যাডভেঞ্চার। আপনাকে ঝিরি পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। কখনো হাঁটুপানিতে পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটবেন তো সেই পানিই কখনো কখনো আপনার কোমর ছাড়িয়ে বুক পর্যন্ত উঠে আসবে। আনুমানিক দেড় ঘণ্টার মতো হাটার পর আপনি ঝর্ণার কাছে পৌছে যাবেন। এরপর যখন খৈয়াছড়ার দর্শন পাবেন, তখন বিস্ময়ে অভিভূত হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।এই ঝর্ণার পানিতে গোসল করার লোভ সামলানো কারো পক্ষেই সম্ভব না। সুতরাং দেরি না করে নেমে পড়ুন ঠান্ডা ঝর্ণার জলে। পানি যেহেতু খুব বেশীনা তাই ডুবে যাওয়ার ভয় নেই। ঝর্ণার বাম দিক থেকে ডানদিক অপেক্ষাকৃত গভীর।যেভাবে যাবেনঃ ঢাকার যেকোনো বাস কাউন্টার থেকে চট্টগ্রামগামী বাসে উঠবেন। যাওয়ার পথে ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পার হয়ে বারতাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামবেন। পথে যানজট না থাকলে ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন মিরেরসরাই। বড় তাকিয়া বাজারে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে গিয়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলে দেবে কোন পথে যেতে হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে নেমে পূর্বদিকে গ্রামের রাস্তা ধরে দশ মিনিট হাঁটলে পথে রেললাইন পরবে, রেললাইন পার হয়ে আরো দশ মিনিট হাঁটলে ঝিরি পাবেন। ইচ্ছে করলে ঢাকা চট্টগ্রাম রোড থেকে ঝিরি পর্যন্ত আপনি সি.এন.জি নিয়ে (৭০-৮০টাকা লাগবে) যেতে পারবেন। ঐখান থেকে আপনাকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার মূল ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। প্রয়োজন হলে সেখান থেকে গাইডও নিয়ে নিতে পারেন। ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা একটিই, আর পথে আরো অনেক অ্যাডভেঞ্চারপিয়াসীর দেখা পাবেন, কাজেই পথ হারানোর ভয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। এছাড়া সীতাকুন্ড বা মিরেরসরাই নেমে ঐখান থেকে সি.এন.জি নিয়েও আসতে পারেন ঝিরির আগ পর্যন্ত।জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পাহাড়ি ঝিরিপথ ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটলে দেখা পাবেন ঝর্ণার। হাতে সময় নিয়ে যাওয়া ভালো, ঝর্ণা দেখে ফিরতে ফিরতে বেশ সময় লাগবে। খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন, তবে ঝর্ণায় যাওয়ার পথেই অন্তত তিনটি জায়গায় দেখা মিলবে স্থানীয় হোটেলের, চাইলে সেখান থেকেও খেয়ে নিতে পারেন। খাবারের দাম তুলনামূলক সস্তাই হবে।থাকার জায়গাঃ বড়তাকিয়া বাজারে থাকার কোন হোটেল নেই। কিন্তু আপনি চাইলে চেয়ারম্যানের বাংলোয় উঠতে পারেন। এছাড়াও স্থানীয় লোকদের সাথে ব্যবস্থা করে তাদের বাড়ীতে থাকতে পারবেন। মিরেরসরাই বা সীতাকুন্ডে আপনি থাকার জন্য বেশ কিছু স্থানীয় হোটেল পাবেন। মিরেরসরাই বা সীতাকুন্ডে খাওয়ার জন্য অনেক রেস্টুরেন্টও পাবেন।সতর্কতাঃ মনে রাখবেন অব্যবহৃত খাবার, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের ফিল্টার, পানির বোতলসহ অন্যান্য আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না। এই গুলি সাথে করে নিয়ে আসবেন এবং বাইরে এসে কোথাও ফেলবেন। জোঁক ছাড়ানোর জন্য সাথে লবন বা গুল রাখবেন। জোঁক কামড়ালে হাত দিয়ে টেনে ছাড়াতে যাবেন না, লবণ/গুল ছিটিয়ে দিলেই কাজ হবে।ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা বেশ দুর্গম এবং পাথরের যায়গা পিচ্ছিল থাকতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে পথ চলবেন। মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ওই দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা অনেক কঠিন হবে। একেবারে ওপরের ধাপগুলো খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হবে তাই সেই ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হয়ে চলতে হবে। পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা না থাকলে ওপরে ওঠার চেষ্টা না করাই ভালো। কিভাবে যাওয়া যায়: ঢাকার যেকোনো বাস কাউন্টার থেকে চট্টগ্রামগামী বাসে উঠবেন। যাওয়ার পথে ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পার হয়ে বারতাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামবেন। পথে যানজট না থাকলে ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন মিরেরসরাই। বড় তাকিয়া বাজারে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে গিয়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলে দেবে কোন পথে যেতে হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে নেমে পূর্বদিকে গ্রামের রাস্তা ধরে দশ মিনিট হাঁটলে পথে রেললাইন পরবে, রেললাইন পার হয়ে আরো দশ মিনিট হাঁটলে ঝিরি পাবেন। ইচ্ছে করলে ঢাকা চট্টগ্রাম রোড থেকে ঝিরি পর্যন্ত আপনি সি.এন.জি নিয়ে (৭০-৮০টাকা লাগবে) যেতে পারবেন। ঐখান থেকে আপনাকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার মূল ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। প্রয়োজন হলে সেখান থেকে গাইডও নিয়ে নিতে পারেন। ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা একটিই, আর পথে আরো অনেক অ্যাডভেঞ্চারপিয়াসীর দেখা পাবেন, কাজেই পথ হারানোর ভয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। এছাড়া সীতাকুন্ড বা মিরেরসরাই নেমে ঐখান থেকে সি.এন.জি নিয়েও আসতে পারেন ঝিরির আগ পর্যন্ত।জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পাহাড়ি ঝিরিপথ ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটলে দেখা পাবেন ঝর্ণার। হাতে সময় নিয়ে যাওয়া ভালো, ঝর্ণা দেখে ফিরতে ফিরতে বেশ সময় লাগবে। খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন, তবে ঝর্ণায় যাওয়ার পথেই অন্তত তিনটি জায়গায় দেখা মিলবে স্থানীয় হোটেলের, চাইলে সেখান থেকেও খেয়ে নিতে পারেন। খাবারের দাম তুলনামূলক সস্তাই হবে।

photos from Google

Address

ROAD #06, HOUSE # 408, 1ST FLOOR, Avenue # 03, MIRPUR DOHS
Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Foreign Travels System posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Foreign Travels System:

Share

Category

Nearby travel agencies


Other Travel Agencies in Dhaka

Show All