08/07/2022
ভারতে কিছু এলাকায় মুসলিমরা গরু তো দূরের কথা ছাগল পর্যন্ত কুরবানি দিতে পারছে না।
আর বাংলাদেশে অনেকেই কুরবানি ওয়াজিব নয় - এই অজুহাতে ছেড়ে দিচ্ছেন।
রক্ত প্রবাহিতে করার আমল যা বছরে একবার মাত্র করা যা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে যে আমলটি ছাড়েননি - সেটাকে কেন এত ছোট মনে করছি আমরা?
টাকার অভাব?
সাহাবারা অনেক ধনী ছিলেন না - তারা সারা বছর টাকা জমাতেন ঈদুল আদহাতে পশু কেনার জন্য।
ছাগী, ভেড়া - দুধ দাঁত পড়ে নতুন দুটো দাঁত উঠেছে মানে এক বছর হয়েছে কিনুন, কম দামে পাবেন। কুরবানি করুন।
তাও পুরো টাকা ম্যানেজ করতে না পারলে স্ত্রীকে বলেন তার জমানো কিছু টাকা দিয়ে শরীক হতে।
অন্য খরচ কমান। ইবাদতে বাদ দিয়ে ফার্নিচার কেনার দরকার নেই।
নিজে খান, গরীব প্রতিবেশীকে খাওয়ান।
দারোয়ান, ময়লাওয়ালা, বাসার খাদিমা - এদের দেন।
ইসলামে মানুষকে খাওয়ানো সবচেয়ে উত্তম আমলগুলোর মধ্যে একটা।
গরীব আত্মীয়স্বজনদের দেন।
আত্মীয়তার হক আদায় হবে।
আত্মীয়স্বজন গরীব না হলে হাদিয়া দেন।
সম্পর্ক ভালো হবে।
কৃপণতা করবেন না।
গরীব হয়ে যাওয়ার ভয় করবেন না।
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লার জন্য একটা খরচ করলে তিনি সেটা পূরণ করে দেবেন।
শয়তানের ওয়াসওয়াসাতে 'লোক দেখানো' হয় কিনা - এই ভয় না করে কুরবানি করুন।
আল্লাহ আপনাদের ভালো করবেন।