03/02/2024
উমরাহ পালন করবেন কিভাবে?
১) উমরা শুরুর নিয়ত করবেন। আর বলবেন, لَبَّيْكَ عُمْرَةً (‘লাব্বাইকা উমরাতান’)
২) নিয়ত এর পর থেকে তালবিয়া পাঠ করবেন- (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারীকা লাক।)
৩) হারাম শরীফ এ প্রবেশ এর দোয়া: (আউযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া ওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীমি মিনাশ শায়তানির রাজীম। বিসমিল্লাহ ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লাহুম্মাগফির লি যুনুবী ওয়াফতাহ লি আবওয়াবা রাহমাতিক।)
৪) হাজরে আসওয়াদে সামনে আসতে হবে এবং হাজরে আসওয়দ চুমু দিতে হবে চুমু দিতে না পারলে হাতের ইশারা করে (বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার) বলে তাওয়াফ শুরু করবেন,
৫) তাওয়াফ করতে যখন রুকন এ ইয়ামিন এর কাছে এসে পড়বে তখন করনার স্পর্শ করবেন, (যদি সম্ভব হয়)
৬) রুকন এ ইয়ামিন থেকে হাজরে আসাওয়াত পর্যন্ত যেতে যেতে নিচের দোয়া টা পড়বেন-(রববানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল-আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা ‘আযাবান নার।) [সূরা আল-বাকারাহ: ২০১]
৭) হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত আসলে একবার তাওয়াফ সম্পূর্ন হবে, এভাবে ৭ বার তাওয়াফ করতে হবে ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রথম ৩ বার রমল করতে হবে, (রমল মানে দৌড়ানোর মত ভাব)
৮) সাত বার তাওয়াফ এর পর মাকামে ইব্রাহিম এর দিকে অগ্রসর হতে হবে এই সময় নির্মে আয়াত টি পড়ুন: (ওয়াত্তাখিযূ মিম মাকামি ইব্রাহীমা মুসল্লা।) এর পর মাকাম এ ইব্রাহিম এর পেছনে বা সম্ভব নাহলে মসজিদ এর যে কোন জায়গায় ২ রাকাত নামাজ পড়ে নিতে হবে,
৯) মকাম এ ইব্রাহিম নামাজ এর পর জমজম এর পানি খাবেন এবং তা মাথায় ঢেলে দিবেন,
# উমরাহ ভিসা
# উমরাহ গ্রুপ প্যাকেজ
# উমরাহ কাস্টমাইজড প্যাকেজ
# মক্কা-মদিনার হোটেল
# ট্রান্সপোর্টসহ যাবতীয় সার্ভিসের জন্য......
১০) তারপর সাফা পাহাড় এর দিকে অগ্রসর হন এবং নিচের আয়াত টি পড়ুন: (ইন্নাস্সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহ।)
এর পর সাফা পাহাড় এ উঠুন এবং এই দোয়া পরুন: (আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহী।) সাফা পাহাড় এ এতটা উঠুন যাতে করে কাবা চোখে পড়ে এবং কাবার দিকে মুখ করে তিনবার বলুন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, তারপর নিচের দোয়া গুলো দুই হাত তুলে তিন বার বলুন: (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল্ মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ইউহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ্।) তারপর নিজের ইচ্ছা মত দোয়া করুন,
১১) এর পর সাফা থেকে মারওয়া পাহাড় এর দিকে অগ্রসর হন সাফা মারওয়া মধ্যবত্তি সবুজ বাতিচিহ্নিত জায়গাটুকুতে পুরুষ হাজীগণ দৌড়ানোর মত করে দ্রুত গতিতে হেঁটে যাবেন। তবে মহিলারা এই জায়গাটুকুতেও চলার গতি স্বাভাবিক রাখবেন। সবুজ বাতি চিহ্নিত আলামতের মাঝে চলার সময় নিচের দো‘আটি পড়বেন,
(রাবিবগ্ফির্ ওয়ার্হাম্, ইন্নাকা আন্তাল আ‘য়ায্যুল আকরাম্।) এখান থেকে স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে উঠবেন। মারওয়া পাহাড়ের নিকটবর্তী হলে, সাফায় পৌঁছার পূর্বে যে আয়াতটি পড়েছিলেন, তা পড়তে হবে না। মারওয়ায় উঠার পরে কা‘বাঘরের দিকে মুখ করে দুই হাত তুলে আল্লাহর একত্ববাদ, বড়ত্ব ও প্রশংসার ঘোষণাসহ সাফার মত এখানেও দো‘আ করবেন।
এরপর মারওয়া পাহাড় থেকে সাফা পাহাড় এর দিকে অগ্রসর হতে হবে এভাবেই দ্বিতীয় সাই টি সম্পর্ন হবে,
একই নিয়মে সাঈর বাকি চক্করগুলোও আদায় করবেন।
সাঈ শেষ হওয়ার পর মাথার চুল ছোট বা মুণ্ডন করে নেবেন।