25/09/2023
দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তর্গত বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৭০০ টি নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২২,১৫৫ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৩ সালে বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ৩১০টি । বর্তমানে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০ টি এ নদ-নদীগুলোর উপনদী ও শাখানদী রয়েছে। উপনদী শাখানদীসহ) বাংলাদেশের নদীর মোট দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ২৪,১৪০ কিলোমিটার ।
ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা নদী-৫৫টি
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা নদী-৩টি
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী একটি- পদ্মা।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদী একটি কুলিখ।
মোট আন্তঃসীমান্ত নদী -৫৮টি।
বাংলাদেশে উৎপত্তি ও সমাপ্ত এমন নদী দুটি -হালদা ও সাঙ্গু।
বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা কত এইটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমাদের সমাজে ও বিসিএস ভিত্তিক বইগুলোতে ৭০০ বা ২৩০ টি এই তথ্য প্রচলিত রয়েছে। তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর গবেষণা মতে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা ৪০৫ টি ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাই শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীসমূহের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী:-
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদী রয়েছে।এর মধ্যে প্রধান নদ-নদীগুলো হলো:পদ্মা,মেঘনা,যমুনা,কর্ণফুলী,ব্রহ্মপুত্র,তিস্তা,পশুর, সাঙ্গু, ইত্যাদি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী:-
আঠারবাঁকি নদী, আড়িয়াল খাঁ নদ ,আতাই নদী, আন্ধারমানিক নদী, আফ্রা নদী,অর্পণগাছিয়া নদী, ইছামতি-কালিন্দি, কচা নদী, কপোতাক্ষ নদ, কুমার নদ (চুয়াডাঙ্গা) ,কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ),কুমার আপার নদী,কুমার লোয়ার নদী,কয়রা নদী,করুলিয়া নদী,কাকশিয়ালী নদী,কাজীবাছা নদী,কাটাখালী নদী,কাটাখাল নদী,কালীগঙ্গা নদী (পিরোজপুর),কীর্তনখোলা নদী,খায়রাবাদ নদী,খোলপেটুয়া নদী,গড়াই নদী,গুনাখালি নদী,গলঘেসিয়া নদী,গুলিশাখালী নদী,ঘাঘর নদী,ঘাসিয়াখালী নদী,চত্রা নদী,চুনকুড়ি নদী,চন্দনা-বারাশিয়া নদী,চাটখালী নদী,চিত্রা নদী,ঝপঝপিয়া নদী,টর্কি নদী,টিয়াখালি নদী,ঢাকি নদী,তেঁতুলিয়া নদী,তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী,দড়াটানা-পয়লাহারা নদী,দাড়ির গাঙ নদী,দেলুতি নদী,নুন্দা-উত্রা নদী,নবগঙ্গা নদী,নড়িয়া নদী,নেহালগঞ্জ-রঙমাটিয়া নদী,পটুয়াখালী নদী,পুটিমারি নদী,পুরাতন পশুর নদী,পশুর নদী,পাণ্ডব নদী,পানগুছি নদী,পালং নদী,ফটকি নদী,বগী নদী,বুড়িশ্বর-পায়রা নদী,বলেশ্বর নদী,বাদুড়গাছা নদী,বিশখালী নদী,বিশারকন্দা-বাগদা নদী,বিষ্ণু-কুমারখালি নদী,বেগবতী নদী,বেতনা নদী,বেলুয়া নদী,ভদ্রা নদী,ভুবনেশ্বর নদী,ভৈরব নদ,ভৈরব নদী (বাগেরহাট),ভৈরব-কপোতাক্ষ নদ,ভোলা নদী,মংলা নদী,মুক্তেশ্বরী টেকা নদী,মধুমতি নদী, মরিচ্চাপ-লবঙ্গবতী নদী,মাথাভাঙ্গা নদী,মাদারগাঙ নদী,মাদারীপুর বিলরুট নদী,মালঞ্চ নদী,মিনহাজ নদী,রূপসা নদী,রাবনাবাদ নদী,রায়মঙ্গল নদী,লোহালিয়া নদী,শাকবাড়িয়া নদী, শাতলা-হারতা-নাথারকান্দা নদী,শালদহ নদী,শিবসা নদী,শোলমারি নদী,সুগন্ধা নদী,সন্ধ্যা নদী,সয়া-হাড়িভাঙ্গা নদী,সাপমারা-হাবড়া নদী,সালতা নদী,সিরাজপুর হাওর নদী,হরি নদী,হরিহর নদী,হামকুড়া নদী,হাড়িয়া নদী,হাপরখালী নদী,হাবরখালী নদী,হিশনা-ঝাঞ্চা নদী,মালঞ্চ নদী।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী:-
আখিরা-মাচ্চা নদী,আত্রাই নদী,আত্রাই বা কাঁকড়া নদী (দিনাজপুর),আত্রাই বা গুড়,নদী (নওগাঁ-নাটোর),আত্রাই নদী (পাবনা),আলাই নদী,আলাইকুমারী নদী,ইছামতি নদী (দিনাজপুর),ইছামতি নদী (পাবনা),ইছামতি নদী (বগুড়া),ইছামতি নদী (বগুড়া-সিরাজগঞ্জ),ইরামতি নদী,করতোয়া নদী,করতোয়া নদী (নীলফামারী),কাগেশ্বরী নদী,কাটাখালী নদী (গাইবান্ধা),কালা নদী,কালাপানি নদী,কালুদাহা নদী,কুমলাল-নাউতারা নদী,কুরুম নদী,কুলিক নদী,খড়খড়িয়া-তিলাই নদী,খালসিডিঙ্গি নদী,গদাই নদী,গভেশ্বরী নদী,পদ্মা নদী,গাংনাই নদী,গিদারী নদী,গিরাই নদী,গুকসী নদী,গোবরা নদী,গোহালা নদী,ঘড়িয়া খাল নদী,ঘাঘট নদী,ঘিরনাই নদী,ঘোড়ামারা নদী,চাওয়াই নদী,চিকনাই নদী,চিকলী নদী,চিরি নদী,চিড়ি নদী,চুঙ্গাভাঙ্গা নদী,ছাতনাই নদী,ছোট ঢেপা নদী,ছোট যমুনা নদী,ছোট সেনুয়া নদী,টাঙ্গন নদী,ডাহুক নদী,ঢেপা নদী,তালমা নদী,তিস্তা নদী,তিস্তা নদী (পঞ্চগড়),তীরনই নদী,তীরনই নদী (পঞ্চগড়),তুলসীগঙ্গা নদী,দুধকুমার নদী,দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী,ধরলা নদী,ধাইজান নদী,ধুম নদী,নর্ত নদী,নলশীসা নদী,নলেয়া নদী,নাগর আপার নদী,নাগর লোয়ার নদী,নারোদ নদী,পলিমারি নদী,পাগলা নদী,পাথরঘাটা নদী,পাথরাজ নদী,পুনর্ভবা নদী,পেটকী নদী,ফকিরনী নদী,ফুলকুমার নদী,ব্রহ্মপুত্র-যমুনা,বড়াল আপার নদী,বড়াল লোয়ার নদী,বাঙালি নদী,বাদাই নদী,বার্নাই নদী,বান্নী নদী,বুরাইল নদী,বুল্লাই নদী,বুড়িখোড়া নদী,বুড়ি তিস্তা নদী,বেরং নদী,বেলান নদী,বেসানী নদী,বোরকা নদী,ভাদাই নদী,ভুল্লী নদী,ভেরসা নদী,মহানন্দা আপার নদী,মহানন্দা লোয়ার নদী,মাইলা নদী,মালদাহা নদী,মুসাখান নদী,মানস নদী,যমুনা নদী (পঞ্চগড়),রতনাই নদী,রামচণ্ডি নদী,রাক্ষসিনী-তেঁতুলিয়া নদী,লেংগা নদী,লোনা নদী,শিব নদী,সতী-স্বর্ণামতি-ভাটেশ্বরী নদী,সিমলাজান নদী,সিরামাখালী খাল নদী,সিংগিমারী নদী,সুই নদী,সেনুয়া নদী,শুক নদী,হারাবতী নদী,হুড়াসাগর নদী
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী:-
আত্রাখালি নদী,আবুয়া নদী বা নান্দিয়া গাং,আমরি খাল নদী,ইসদার খাল-বারভাঙ্গা নদী,উপদাখালী নদী,উমিয়াম নদী,কর্ণঝরা নদী,কর্ণ-বালজা নদী,করিস নদী,কাঁচামাটিয়া নদী,কাপনা নদী,কামারখাল নদী,কামারখালী নদী,কালদাহার-কানিয়াকুল নদী,কালনী নদী,কালাপানিঝরা নদী,কুশিয়ারা নদী,কোরাঙ্গী নদী,খাজাচিং নদী,খাসিমারা নদী,খেপা নদী,খোয়াই নদী,গুমাই নদী,ঘাগটিয়া নদী,ঘানুরা-বগালা নদী,ঘোড়াউত্রা নদী,চামতি নদী,চিতলখালী নদী,চেলা নদী,জাফলং-ডাউকি নদী,জালিয়া ছড়া নদী,জালুখালি নদী,জুরী নদী,ডাউকা নদী,ধলা নদী,দুধদা নদী,দোলতা নদী,ধনু নদী,ধলাই-বিসনাই নদী,ধলাই নদী,নকলা-সুন্দ্রাকাশি নদী,নরসুন্দা নদী,নলজুর নদী,নয়াগাং নদী,নয়া গাং নদী,নিতাই নদী,পাটনাই-পাইকারতলা নদী,পাবিজুড়ি-কুশি গাঙ-কুশিয়া নদী,পিয়াইন নদী,পিয়াইন নদী (সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণা),পুরনো সুরমা নদী,পোড়া খাল-খাইয়া নদী,বটরখাল নদী,বড় গাং নদী,বাউলাই নদী,বাথাইল নদী,বালই নদী,বিজনা-গুঙ্গাইজুরি নদী,বিবিয়ানা নদী,বেকরা নদী,বেতৈর নদী,বেদুরি নদী,ভাবনা-বাঁশিয়া-বহিয়া নদী,ভোগাই-কংস নদী,মগড়া নদী,মনু নদী,মরা সুরমা নদী,মহারশি নদী,মহাসিং নদী,মালিজি নদী,মিরগী নদী,জাদুকাটা-রক্তি নদী,লংলা নদী,লাইন নদী,লাউরানজানি নদী,লুভা নদী,সাইদুলি-বারনি নদী,সাতারখালী নদী,সারি গোয়াইন নদী ,সিনাই নদী,সিঙ্গুয়া নদী,সুতাং নদী,সুরমা নদী,সোনাই-বরদাল নদী,সোমেশ্বরী নদী,সোমেশ্বরী নদী (ধর্মপাশা),সোমেশ্বরী নদী (শ্রীবর্দী-ঝিনাইগাতি),
উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী
আইমান-আখিলা নদী,আইমান-মোবারি নদী,আড়িয়াল খাঁ নদী,ইছামতি নদী মানিকগঞ্জ),ইছামতি নদী (সিরাজদিখান),ইলিশমারী নদী,এলংজানী নদী,কাটাখালি নদী,কালিগঙ্গা নদী (মানিকগঞ্জ),খিরো নদী (ত্রিশাল),খিরো নদী (ভালুকা),গাংডুবি নদী,গাজীখালী নদী,গোল্লার নদী,চাতাল নদী,চাপাই নদী,চিলাই নদী,জয়পাড়া খাল নদী,ঝারকাটা নদী,জিঞ্জিরাম নদী,ঝিনাই নদী,টঙ্গী নদী,টংকি নদী,তালতলা নদী,তুরাগ নদী,তুলসীখালী নদী,ধলেশ্বরী নদী,নাগদা নদী,নাঙ্গলা নদী,নালজুরি নদী,নাংলী নদী,পদ্মা নদী,পাগারিয়া-শিলা নদী,পারুলি খাল নদী,পাহাড়িয়া নদী,পুরনো ধলেশ্বরী নদী,পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী,পুংলী নদী,বংশী নদী,বংশী নদী (সাভার),ব্রহ্মপুত্র নদী (নরসিংদী-মুন্সীগঞ্জ),বাকসাতরা নদী,বাজ্জা-মেধুয়া নদী,বানার আপার নদী,বানার লোয়ার নদীবালু নদী,বুড়িগঙ্গা নদী,বৈরান নদী,বোশখালীর নদী,মরা জিঞ্জিরাম নদী,মাহারি নদী,মিনিখালী নদী,লাবুন্ধা নদী,লোহাজং নদী,শীতলক্ষ্যা নদী,সালদা নদী,সুতী নদী,সুতিয়া নদী,সোনাখালী নদী,হাই নদী,হাড়িদোয়া নদী
পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী
ইছামতি নদী (রাঙ্গামাটি),ঈদগাও নদী,কর্ণফুলি নদী,কাসালং নদী,চেঙ্গি নদী,ডলু-টংকাবতী নদী,নাফ নদী,বুড়া মাতামুহুরী নদী,বাঁকখালি নদী,ভারুয়াখালি নদী,ভোলাখাল নদী,মাইনী নদী,মাতামুহুরী নদী,রাংখাইন নদী,সাঙ্গু নদী,হালদা নদী।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী:-
আর্সি-নালিয়া নদী,কাকড়ি নদী,কাস্তি নদী,গোমতী নদী,ঘুংঘুর নদী,ছোট ফেনী নদী,ডাকাতিয়া নদী,ডাসাডিয়া নদী,তিতাস নদী,পুরনো তিতাস নদী,ধনাগোদা নদী,ফেনী নদী,বিজলি নদী,বুড়ি নদী,ভুলুয়া নদী,মুহুরী নদী,মেঘনা আপার নদী,মেঘনা লোয়ার নদী,লহর নদী,লংগন বলভদ্রা নদী,সালদা নদী,সেলোনিয়া নদী,সোনাই নদী,মুহুরী নদী,হাওড়া নদী।
বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার আন্তঃসীমান্ত নদীর তালিকা;-
রায়মঙ্গল,ইছামতী-কালিন্দী,বেতনা-কোদালিয়া,ভৈরব-কপোতাক্ষ,মাথাভাঙ্গা,গঙ্গা,পাগলা,আত্রাই,পুনর্ভবা,তেতুলিয়া,টাংগন,কুলিক বা কিল,নাগর,মহানন্দা,ডাহুক,করতোয়া,তালমা,ঘোড়ামারা,দিওনাই-যমুনেশ্বরী,বুড়িতিস্তা,তিস্তা,ধরলা,দুধকুমার,ব্রহ্মপুত্র,জিঞ্জিরাম,চিল্লাখালি,ভোগাই,সোমেশ্বরী,দামালিয়া/যালুখালী, নয়াগাঙ,উমিয়াম,যাদুকাটা,ধলা,পিয়াইন,শারি-গোয়াইন,সুরমা,কুশিয়ারা,সোনাই-বারদল,জুরি,মনু,ধলাই,লংলা,খোয়াই,সুতাং,সোনাই,হাওড়া,বিজনী,সালদা,গোমতী,কারাই-ডাকাতিয়া,সিলোনিয়া,মুহুরী,ফেনী,কর্ণফুলি,নিতাই,সাংগু,মাতামুহুরী,নাফ।
অন্যান্য নদী:-
উপরে উল্লেখিত আন্তঃসীমান্ত নদী এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবাহিত ৪০৫টি নদী ছাড়াও আরও প্রায় চার শতাধিক নদী রয়েছে। সেসবের কিছু নদীর নাম নিচে দেয়া হলো।
অমাবস্যাখালী নদী,অযোধ্যা নদী,অর্জুনদাড়া নদী,আউলিয়াখানা নদী,আমনদামন নদী,আস্তাইল নদী,কম্পো নদী,কাওরাইদ নদী,কাজীপুর নদী,কালিন্দী নদী,কাচমতি নদী,খাড়িয়া নদী,গন্দর নদী,গুমানি নদী,খোয়াথল্যাংতুইপুই নদী,চিলাই নদী সুনামগঞ্জ),চোরখাই নদী,জলঢাকা নদী,তেতুলিয়া নদী,তৈনগাঙ,থেগা নদী,নাগেশ্বরী নদী,ধানখালী নদী,ধানসিঁড়ি নদী,নীলগঞ্জ নদী,পঞ্চবেণী,প্রাণসায়র নদী,ফটিকছড়ি নদী,বরাক নদী,বান্দসা নদী,বুড়ো গৌরাঙ্গ নদী,ময়ুর নদী,রহমত খালি নদী।
তথ্য সূত্র:-উইকিপিডিয়া