04/12/2022
সিকিম! গ্যাংটক! লাচুং!
নিউ ইয়ার স্পেশাল গ্রুপ ট্যুর প্যাকেজ !
(ঢাকা-গ্যাংটক-ছাঙ্গু লেক-লাচুং-ইয়ামথাং ভ্যালী-জিরো পয়েন্ট)
New Year Special Group Tour Package of Sikkim
(Dhaka - Gangtok - Changu Lake - Lachung - Yumthang Valley - Zero Point)
☎ বুকিং হেল্পলাইন : +8801613721336
🔲 গ্যাংটকে ৪ রাত, লাচুংয়ে ১ রাত.
🔲 ট্যুরের তারিখ :
🔳 ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ - ৫ জানুয়ারি, ২০২৩
🔲 ট্যুর প্রাইজ :
জনপ্রতি ৳২৫,৫০০/- (ডবল শেয়ারিং বেসিস)
🔲 ভিসায় চ্যাংড়াবান্ধা পোর্ট থাকতে হবে। মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে যেতে ভিসায় নিউ জলপাইগুড়ি পোর্ট থাকতে হবে। কোলকাতা হয়েও আমাদের গ্রুপের সঙ্গে জয়েন করতে পারবেন।
🔲 ট্যুর প্রাইজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত :
🔳 পরিবহন খরচ (ঢাকা-শিলিগুড়ি-ঢাকা শ্যামলী বিজনেস ক্লাস বাস, সাইটসিয়িং সহ অন্যান্য পরিবহন ৮ সিটের রিজার্ভ গাড়িতে)।
🔳 খাবার খরচ (সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার)।
🔸সকালের নাস্তা বুফে স্টাইলে পরিবেশন করা হবে। খাবারের তালিকায় থাকবে ব্রেড, বাটার টোস্ট, জ্যাম, সিদ্ধ ডিম, অমলেট, পুরি-সবজি, আলু-পরোটা, ইডলি, পোহা(চিড়ার পোলাও), ধোকলা ও জুস।
এর মধ্য দিয়ে যেকোনো ৫ টি আইটেম রোটেশন করে পরিবেশিত হবে।
🔸দুপুর ও রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে
ইন্ডিয়ান - ভাত, রুটি, ডাল, স্যালাড, ভাজা, দু রকমের সবজি, মাছ/চিকেন/মাটন/পনির, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি।
চাইনিজ - ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস, ভেজ মাঞ্চুরিয়ান, চিলি চিকেন গ্রেভি/সেজোয়ান চিকেন/হট গার্লিক চিকেন/চিলি পনির।
মুঘলাই বেইজড - স্পেশাল চিকেন/মাটন বিরিয়ানি, চিকেন কষা/চিকেন বাটার মাসালা/পনির বাটার মাসালা/কড়াই পনির, স্যালাড।
একেক বেলায় একেক আইটেমের খাবার রোটেশন করে পরিবেশন করা হবে।
🔸সন্ধ্যার জলখাবারের তালিকায় থাকবে চা/কফি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই/মোমো/ভেজ পাকোড়া/পনির পাকোড়া/চিকেন পাকোড়া।
🔳গাইড (একজন অভিজ্ঞ ট্যুর কোঅর্ডিনেটর ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের সাথে থাকবে যাতে ট্যুরটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। এছাড়াও ছাঙ্গু লেক ও নর্থ সিকিমের জন্য একজন লোকাল গাইড গ্রুপের সাথে থাকবে)।
🔳থাকার খরচ (মাউন্টেন ভিউ প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির রুম। রুম হিটার, গিজার, চা/কফি মেকার, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াইফাই ফ্যাসিলিটি সহ)।
🔳সাইটসিয়িং (সকল সাইটসিয়িং ৮ সিটের রিজার্ভ গাড়িতে)।
🔳পারমিট (সিকিম প্রবেশের জন্য ইনার লাইন পারমিট, নর্থ সিকিম ও ছাঙ্গু লেক ভ্রমণের জন্য প্রটেকটেড এরিয়া পারমিট সহ সকল ধরনের পারমিট)।
🔳New Year's Eve Celebration Party
✖ট্যুর প্রাইজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয় :
🔳ট্রাভেল ট্যাক্স।
🔳বর্ডার রিলেটেড সব ধরনের খরচ।
🔳সব ধরনের প্রবেশ ফি ও রাইড ফি।
🔳জিরো পয়েন্ট ট্রাভেল ফি (অনুমতি পাওয়া গেলে জনপ্রতি ₹৫০০-₹৭০০ পে করতে হবে)।
🔲 চাইল্ড পলিসি :
আলোচনার মাধ্যমে অ্যামাউন্ট নির্ধারণ করা হবে।
🔲 বুকিং পলিসি :
জনপ্রতি ৳৫০০০/- জমা দিয়ে বুকিং কনফার্ম করতে হবে। যাত্রার ১৫ দিন পূর্বে সম্পূর্ণ অ্যামাউন্ট পরিশোধ করতে হবে।
🔲 ট্রিপ আইটিনারি (Trip Itinerary)
1️⃣ ১ম দিন [ঢাকা হতে বুড়িমারী-চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে শিলিগুড়ির উদ্দ্যেশে রওনা]:
সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকার কল্যাণপুর থেকে শ্যামলী পরিবহনের বিজনেস ক্লাস বাসে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা, রাতব্যাপী বাসযাত্রা।
🍲 খাবার : না।
2️⃣ ২য় দিন [গ্যাংটকে গমন]:
রাতভর বাসযাত্রার পর খুব সকালে বুড়িমারী বর্ডারে পৌছাবেন। পরে রিফ্রেশ হয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চ্যাংড়াবান্ধা হতে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা। শিলিগুড়ি পৌছে হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজায় দুপুরের খাবার খেয়ে রিজার্ভ প্রাইভেট গাড়িতে করে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। রাংপো চেকপোস্ট পৌছে সিকিম প্রবেশের জন্য ইনার লাইন পারমিট নিতে হবে। পারমিটের ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। এরপর আঁকা বাঁকা পাহাড়ী রাস্তার দুপাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নাগাদ পৌছে যাবেন গ্যাংটক। এরপর হোটেলে চেক ইন করে নেবেন। পরে রিফ্রেশ হয়ে চা জলখাবার খেয়ে হোটেলে আরাম করতে পারেন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বিখ্যাত এম জি মার্গ থেকে। লোকাল মার্কেট থেকে কিনে নিতে পারেন পছন্দের জিনিসপত্র। রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
🍲 খাবার : দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার। (সকালের খাবার নিজ খরচে খেয়ে নেবেন)।
3️⃣ ৩য় দিন [গ্যাংটক লোকাল সাইটসিয়িং এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন]:
সকালে হোটেল থেকে ব্রেকফাস্টের পরে প্রাইভেট কারে করে বেরিয়ে পড়ুন গ্যাংটকের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানাদি এক্সপ্লোর করতে। এর মধ্যে রয়েছে তাশি ভিউ পয়েন্ট(Tashi View Point), এনচে মনাস্ট্রি(Enchey Monastery), নামগিয়াল ইনস্টিটিউট অব টিবেটোলজি(Namgyal Institute of Tibetology), দো দ্রুল চোর্তেন মনাস্ট্রি(Do Drul Chorten Monastery), গনেশ টক Ganesh Tok (এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর গ্যাংটক শহর অপরূপ দেখায়), গ্যাংটক রোপওয়ে Gangtok Ropeway (ক্যাবল কার), বাকথাং ওয়াটার ফলস(Bakthang Water Falls), হ্যান্ডিক্রাফট এ্যান্ড হ্যান্ডলুমস সেন্টার(Handicraft & Handlooms Centre), ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন সেন্টার(Flower Exhibition Centre), Gonjang Monastery, মহাত্মা গান্ধী মার্গ(Mahatma Gandhi Marg), ঠাকুরবাড়ি টেম্পল(Thakurbari Temple), Tsuglakhang Monastery & Temple, প্লান্ট কনজারভেটরি(Plant Conservatory)। হোটেলে ফিরে আরাম করতে পারেন চাইলে ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন হোটেল গ্রাউন্ডে। রাত ৯ টা থেকে কমপ্লিমেন্টারি রিফ্রেশমেন্টস, কমপ্লিমেন্টারি স্নাক্স, বোনফায়ার, আনলিমিটেড লাইভ বারবিকিউ, লাইভ মিউজিক সহ আরও অনেক এক্টিভিটিসের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বছরকে বরন করবো। রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
🍲 খাবার : সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার।
4️⃣ ৪র্থ দিন [ছাঙ্গু লেক ভ্রমণ]:
সকালে হোটেলে ব্রেকফাস্ট করে ৮ টার মধ্যে প্রাইভেট গাড়িতে করে বেরিয়ে পরবেন অপরূপ সুন্দর ছাঙ্গু লেকের উদ্দেশ্যে। চীন সীমান্তে নাথুলাগামী পথে গ্যাংটক থেকে ৩৫ কিমি দূরে বরফে মোড়া পাহাড়ের বুকে ৫০ফুট গভীর টলটলে জলের হ্রদ ছাঙ্গু। শীতকালে ছাঙ্গুর জলে বরফ জমে যায়। এই লেকটি পরিযায়ী পাখি আর ব্রাক্ষ্মণী হাঁসেদের বাসস্থান। বসন্তে হ্রদের চারপাশ রঙিন হয়ে ওঠে রডোডেনড্রন, প্রিমুলা আর নীল-হলুদ পপি ফুলে। স্থানীয় বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কাছে পবিত্র হ্রদ। লেকের কাছেই ছাঙ্গু বাবার মন্দির আর দুস্প্রাপ্য প্রিমুলা অর্কিড উদ্যান। যাত্রাপথে দেখতে পাবেন kyongnosla watet falls, Mandakini water falls সহ অনেক ভিউ পয়েন্ট। লেকের পাড়ে গরম পোশাক, ইয়াকের দুধের চিজ, কিউরিও- নানা পশরা নিয়ে বসেছে স্থানীয় দোকানিরা। লেকের পাড়ে দেখা মিলবে চমরি গাইয়ের। চাইলে ইয়াক রাইড করতে পারেন ও রোপওয়েতে (ক্যাবল কার) চড়তে পারেন কারন ক্যাবল কার থেকে ছাঙ্গু লেক এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার সব থেকে ভালো ভিউ পাওয়া যায়। গ্যাংটকে ফেরার পথে হনুমান টক ঘুরে দেখবেন। হোটেলে ফিরে লেট লাঞ্চ করে নেবেন। পুরো বিকেল নিজেদের মতো করে ঘুরে দেখতে পারেন। বিখ্যাত এম জি মার্গ বা লাল বাজার থেকে পছন্দমতো কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন। চা প্রেমীরা সিকিমের টেমি টি গার্ডেনের অর্গানিক গ্রীন টি কিনতে ভুলবেন না। রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
🍲 খাবার : সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার।
5️⃣ ৫ম দিন [গ্যাংটক থেকে লাচুংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা, দূরত্ব ১২৫ কিমি, লাচুংয়ে রাত্রিযাপন]:
সকালে গ্যাংটকের হোটেল থেকে ব্রেকফাস্ট করে ১০ টার মধ্যে রিজার্ভ প্রাইভেট কারে লাচুংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা। যাত্রাপথে দেখতে পাবেন Seven Sisters Waterfalls (This is one of the most beautiful waterfalls in Sikkim), Butterfly Water Falls, Bhewa Water Falls, Naga Water Falls, Theng Tunnel, Chungthang Dam View Point, Bhim Nala Water Falls। বিকেল নাগাদ লাচুংয়ে পৌছে হোটেলে চেক ইন করবেন। রিফ্রেশ হয়ে হোটেলে আরাম করতে পারেন চাইলে সন্ধ্যায় লাচুং শহর নিজেদের মতো হেটে দেখতে পারেন। রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
🍲 খাবার : সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার।
6️⃣ ৬ষ্ট দিন [লাচুং-ইয়ামথাং ভ্যালি (Valley of Flowers)-জিরো পয়েন্ট-গ্যাংটক]:
সকালে লাচুংয়ের হোটেল থেকে ব্রেকফাস্ট করে ৬ টার মধ্যে অপরূপ সুন্দর ইয়ামথাং ভ্যালি ও জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ১১,৮০০ ফুট উচ্চতায় রডোডেনড্রন আর প্রিমুলার দেশ ইয়ামথাং। চারপাশে পাহাড় ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ইয়ামথাং ভ্যালি (Yumthang Valley)। পাহাড় প্রেমিদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। ইয়ামথাং ভ্যালির সৌন্দর্য্য আপনাকে স্বর্গীয় অনুভূতি দেবে। ইয়ামথাং ভ্যালি দর্শন শেষে জিরো পয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ইয়ামথাং ভ্যালীর থেকে জিরো পয়েন্টের দূরত্ব ২৬ কিমি। চীন সীমান্ত কাছাকাছি বলে বিদেশী পর্যটকদের এই পর্যন্তই যাওয়ার অনুমতি মেলে। ১৫৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত জিরো পয়েন্টের অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার নজর কাড়বেই। (জিরো পয়েন্ট পরিদর্শনের খরচ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত নয়, অনুমতি পেলে এক্সট্রা পেমেন্ট করে যেতে হবে)। জিরো পয়েন্ট দর্শন শেষে লাচুংয়ের হোটেলে ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে নেবেন। তারপর চেক আউট করে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। গ্যাংটকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
🍲 খাবার : সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার জলখাবার, রাতের খাবার।
7️⃣৭ম দিন [গ্যাংটক থেকে প্রাইভেট কারে শিলিগুড়ি ড্রপ, শিলিগুড়ি থেকে এসি বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা]:
গ্যাংটকের হোটেল থেকে সকালের নাস্তা খেয়ে ৭ টার মধ্যে চেক আউট। গ্যাংটক থেকে রিজার্ভ প্রাইভেট কারে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা। রাংপোতে পৌছে এফআরও এবং পুলিশ চেকপোস্টের কাজ সম্পন্ন করে পুণরায় যাত্রা শুরু। এরপর শিলিগুড়ি পৌছে হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজায় দুপুরের খাবার খেয়ে শ্যামলী বিজনেস ক্লাস বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা। চ্যাংড়াবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় যাত্রা শুরু। সারারাত ব্যাপী বাসযাত্রা।
🍲 খাবার : সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার।
8️⃣ ৮ম দিন [ঢাকায় আগমন]:
সারারাত বাস যাত্রার পর সকালে ঢাকায় ফিরবেন। সীমাহীন স্মৃতি নিয়ে এবার বাড়ি ফেরার পালা।
🍲খাবার : না।
🔲 ট্যুর সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে ও বুকিং করতে যোগাযোগ করুন :
Mobile - +8801601721335
Whatsapp - +8801601721335
E-Mail - [email protected]