14/08/2023
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন!
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে আমাদে?
(13)
Purabaria, Pakundia, Kishoregonj, Dhaka
Kishoreganj
2326
Be the first to know and let us send you an email when পোড়াবাড়ীয়া মেলা : পাকুন্দিয়া - কিশোরগঞ্জ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to পোড়াবাড়ীয়া মেলা : পাকুন্দিয়া - কিশোরগঞ্জ:
পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলা
আবহমান গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য ধারন করে আজও টিকে আছে আমাদের “ পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলা ” । কিন্তু কালের বিবর্তন ও আধুনিক সংস্কৃতির আগ্রাসনের ফলে আজ অতীত ঐতিহ্য গুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে আমাদের গ্রাম বাংলার তথা বৈশাখী মেলার অতীত ঐতিহ্য।একটা সময় ছিল যখন , পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলায় প্রতি বছর বানর খেলা দেখাতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক গুলো প্রশিক্ষিত বানর নিয়ে উপস্থিত হতো ! যা মেলায় আগত দর্শনার্থী বিশেষ করে শিশুদের প্রচন্ড বিনোদিত করতো। কিন্তু বর্তমানে এই খেলাটা বিলুপ্তির পথে বলা চলে।তাছাড়া পোড়াবাড়ীয়া মেলায় এক সময়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ লাঠি খেলা ও সাপ খেলা ।আর বিশেষ করে সার্কাস দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসতো বিনোদন প্রিয় মানুষেরা ।এসব ঐতিহ্য গুলোও এখন আর চোখে পড়ে না !কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গরুদৌড় ও ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা যা আমরা ছোট বেলায় দেখেছি মেলার আশপাশের খোলা মাঠে !!মেলায় বড় করে প্যান্ডেলে কাপড় দিয়ে ঘেরাও করে ভিতরে পুতুল নাচের ব্যবস্থা করা হতো যাতে ছোট বড় সকল বয়সের লোকজন বিনোদন খুঁজে নিতো।বৈশাখ আসার আগেই পোড়াবাড়ীয়া সহ আশপাশের এলাকার আকাশে রঙ বেরঙের অসংখ্য ঘুড়ি দেখা যেত । তরুন তরুণীরা নাটাই হাতে বিকেল বেলায় বেড়িয়ে পড়তো। মাঝে মাঝে কেউ কেউ ঘুড়িতে বিশেষ ধরনের ধনুক ব্যবহার করতো যার আওয়াজে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠতো !অনেকেই নাটায়ের সূতা গাছে বেঁধে সারা রাত ঘুড়ি উড়াতো।ছোট বেলায় মেলায় গিয়ে হাওয়াই মিঠাই খান নি এমন লোক খোঁজে পাওয়া খুবই কম। কিন্তু বর্তমানে তা আর তেমন চোখে পড়ে না।তাছাড়া বাঁশ বেতের তৈরী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী মেলায় পসরা সাজিয়ে বসতো যা আজ বিলুপ্তির পথে ।একটি কথা না বললেই নয়, সেটা হল আমরা মুরুব্বিদের কাছ থেকেশুনেছি পূর্বে পোড়াবাড়ীয়া মেলা বসতো বিশাল একটা আয়তন জোড়ে । যা বর্তমান আয়তনের চেয়ে কয়েক গুন বড় ছিল। কিন্তু এখন মেলার নির্ধারিত জায়গায় ফসলাদি, বসতবাড়ি ও কতিপয় কারণে মেলার আয়তন দিন দিন অনেক কমে গেছে।তাছাড়াও প্রতিহিংসার বসবতি হয়ে পোড়াবাড়ীয়া মেলার সন্নিকটে পাশের গ্রামে পহেলা বৈশাখের নামে আরও একটি বিতর্কিত মেলা বসানোর কারণেও পোড়াবাড়ীয়া মেলায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে।দিন দিন জারি,সারি , পুথি ও বাউল গান আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।পূর্বে এসব আয়োজন পহেলা বৈশাখ থেকে টানা তিনদিন থাকলেও বর্তমানে তেমন জমজমাট হয়ে উঠছে না। তবে তার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল আধুনিক সংস্কৃতির আগ্রাসন ।অপ্রিয় হলেও সত্য যে, অতীতে মেলায় প্রকাশ্যে জুয়া ও হাউজি খেলা অনুষ্ঠিত হতো। বিতর্কিত কিছু লটারী খেলা হতো।যা বর্তমানে প্রকাশ্যে হওয়া তো দূরের কথা , গোপনেও কোন জায়গায় এধরনের অপকর্ম হয়না বললেই চলে।পরিশেষে বলতে চাই , বাংলা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এসব ঐতিহ্য পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলায় যদি আবার ফিরিয়ে আনা যায় ,তাহলে মেলা হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় !!সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।