23/06/2022
আরামের সাথে আভিজাত্য নিশ্চিত করতে টাঙ্গুয়ার হাওরে ❝গলুই❞।
আমরা অনেকেই ভারতের কেরালা কিংবা কাশ্মীরের ডাল লেকে ওয়াটার এক্সপেরিয়েন্স নিয়েছি। এবার ওয়াটার এক্সপেরিয়েন্স নিবো দেশের মধ্যেই প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত টাঙুয়ার হাওরে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি এই টাঙ্গুয়া। স্থানীয়দের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান, প্রথমটি সুন্দরবন।
কি আছে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাত্রা করতে যাওয়া অন্যতম প্রিমিয়াম এই হাউজ বোটটিতেঃ
❍ ৮৫ ফুট লম্বা, প্রস্থে ১৭ ফুট (মাঝামাঝি) এবং উচ্চতায় ৭ ফুট এই গলুইয়ে হামাগুড়ি কিংবা নিজেকে বেন্ড করে চলাচল করতে হবে না। একদম সোজা হেটে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চলে যেতে পারবেন। চাইলে দৌড়াদৌড়িও করা যাবে।
❍ এতে রয়েছে ৭টি কেবিন। কেবিনের ভিতরেও রয়েছে মাথা ব্যান্ড না করে চলাচলের সুযোগ। প্রতিটি কেবিনের ইন্টেরিয়রেই রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
❍ দুই কেবিনের মাঝে আমরাই ব্যবহার করেছি ডাবল কাঠের লেয়ার। যাতে করে এক কেবিন থেকে অন্য কেবিনের পরিপূর্ণ প্রাইভেসি সংরক্ষিত থাকে।
❍ ২ কেবিনে রয়েছে এটাষ্ট ওয়াশরুমের ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে আরো তিনটি সেপারেট ওয়াশরুম। সর্বমোট ৫টি ওয়াশরুমের মধ্যে ৩টি হাই-কমোড এবং ২টি লো-কমোড।
❍ কেবিন, লবি এবং করিডরের লাইটিং এ রয়েছে নান্দনিকতার সাথে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
❍ লবির ঠিক সামনেই রয়েছে দোল খেতে খেতে হাওর দেখার জন্য দৃষ্টি নন্দন দোলনা। যেখানে বসে দোল খেতে খেতে আনমনে হারিয়ে যাবেন কল্পনার রাজ্যে।
❍ রুম ঠান্ডা রাখার গলুইয়ের ছাদ তৈরি করা হয়েছে ৬ টি লেয়ারের মাধ্যমে। এর প্রতিটি লেয়ারই রুমের ভিতরে গরম আদ্রতা প্রবেশে বিগ্ন ঘটাবে। এছাড়াও প্রতিটি কেবিনেই ঠান্ডার জন্য সার্বক্ষণিক রয়েছে ওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা।
❍ বোটের ভিতরেই রয়েছে ফোল্ডেড ছোফা দিয়ে সুসজ্জিত নান্দনিক লবি। হাওরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হওয়ার সাথে সাথে যেখানে বসে পরিবারপরিজন এবং বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতে পারবেন একদমই পারিবারিক আবহে।
❍ খাবারদাবারের জন্যও রয়েছে ভিতরেই ডাইনিং এর ব্যবস্থা।
❍ বোটের পিছনের দিকে রয়েছে ফ্লোটিং হাওর ভিউ স্ট্যান্ড। যেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাওর বিলাস জমবে বেশ।
❍ যারা ছবি উঠাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বোটের মধ্যেই রয়েছে নানা অনুষঙ্গ। তাই ছবিপ্রেমীদের জন্য গলুই হবে সেরা পছন্দ।
❍ গলুইয়ের সুবিশাল ছাদে উঠার জন্য রয়েছে ২টি সিড়ি।
❍ গলুই পরিচালনা এবং অতিথিদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে ০৬ জন সাপোর্ট স্টাফ।
❍ ভোজন রসিকদের জন্য অভিজ্ঞ বাবুর্চির তত্বাবধানে গলুইয়ে রয়েছে প্রতিদিন হাওরের বড়-ছোট মাছ, হাস সহ হরেক রকমের বাহারি আয়োজনে ১ রাত ২ দিনের ট্যুরে থাকছে সর্বমোট ৯ বেলা খাবার পরিবেশন। যার মধ্যে প্রথম দিনে ৩ বেলা মূল খাবারের সাথে মধ্যাহ্নের আগে ও সন্ধ্যায় ২টি স্ন্যাক্সস। দ্বিতীয় দিনে ২ বেলা মূল খাবারের সাথে ২টি স্ন্যাকস।
❍ দিনে এবং রাতে নির্দিষ্ট সময়ে জেনারেটর এবং আইপিএস সুবিধা। মোবাইল কিংবা ক্যামেরার চার্জের জন্য প্রতিটি কেবিন এবং লবিতে রয়েছে চার্জিং পয়েন্ট, তাই থাকুন নিশ্চিন্তে।
❍ পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া।
❍ সার্বক্ষণিক ফিল্টার্ড জার পানির সুব্যবস্থা।
❍ সুনামগঞ্জ টু সুনামগঞ্জ সার্ভিস পরিচালিত হবে তাই সকাল সকাল সুনামগঞ্জ পৌঁছেই তাহিরপুর পর্যন্ত কষ্টকর জার্নি করা লাগছে না।
❍ ওয়াচ টাওয়ার, নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, খরচার হাওর এবং মাটিয়ান হাওর সহ পরিচিত সব টুরিস্ট স্পট।
🏘️ কেবিনের ক্যাটাগরিঃ
ব্যক্তিগত বুকিং এর ক্ষেত্রে ভাড়ার তালিকাঃ
- প্রিমিয়াম কেবিনঃ
জনপ্রতিঃ ৮৫০০ টাকা (১ কেবিনে ২ জন)
জনপ্রতিঃ ৭৫০০ টাকা (১ কেবিনে ৩ জন)
- এক্সেকিউটিভ কেবিনঃ
জনপ্রতিঃ ৭৫০০ টাকা (১ কেবিনে ২ জন)
জনপ্রতিঃ ৬৫০০ টাকা (১ কেবিনে ৩ জন)
- ডিলাক্স কেবিনঃ
জনপ্রতিঃ ৫৫০০ টাকা (১ কেবিনে ২ জন)
- ইকোনমি (শেয়ার্ড স্পেস)
জনপ্রতিঃ ৪৫০০ টাকা।
গ্রুপ বুকিং এর ক্ষেত্রে ভাড়ার তালিকাঃ
🔖 ২৪ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৬,০০০ টাকা।
🔖 ২০ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৭,০০০ টাকা।
🔖 ১৬ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৮,০০০ টাকা।
🔖 ১২ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৯,০০০ টাকা।
🍽️ খাবার মেন্যু (১ রাত ২ দিনের ট্যুরের জন্য)
- প্রথম দিন
সকালের নাস্তাঃ ব্রেড, বাটার, জেলি, সিদ্ধ ডিম, কলা, চা এবং পানি
স্ন্যাক্সসঃ ফল, বিস্কুট, চা এবং পানি
দুপুরের খাবারঃ সাদা ভাত, মাছ ভুনা, ছোট মাছের চচ্চরি, সবজি, ভর্তা, ডাল, সালাদ, পানি
বিকেলের স্ন্যাক্সসঃ পাকোড়া/নুডুলস, চা, পানি
রাতের খাবারঃ সাদা ভাত, হাসের রেজালা, লাউ চিংড়ি, মুড়ি ঘন্ট, সালাদ, পানি
- দ্বিতীয় দিনঃ
সকালের নাস্তাঃ লেটকা খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, ডিম ভুনা, সালাদ, চা, পানি
স্ন্যাকসঃ স্লাইস কেক, চা, পানি
দুপুরের খাবারঃ সাদা ভাত, মুরগির মাংস, মাছ ফ্রাই, সবজি, ভর্তা, সালাদ, পানি
বিকেলের স্ন্যাক্সসঃ মুড়ি ভর্তা, চা, পানি
⛵ ভ্রমণ শুরু হবে সুনামগঞ্জ থেকে এবং শেষ হবে সুনামগঞ্জেই।
আমৃত্যু স্মৃতির ক্যানভাসে ধরে রাখার মতো গলুইয়ের সাথে হোক আপনার টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ।
বিঃদ্রঃ জুন মাসে শুক্র-শনিবার থাকছে ১০% ডিসকাউন্ট এবং সপ্তাহের মাঝে থাকছে ১৫% ডিসকাউন্ট।
🛶 টাঙ্গুয়ার হাওরে যেকোনো ধরণের নৌকা রিজার্ভ করা অথবা প্যাকেজ ট্যুরের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ❝হাওর হুইলস❞।
বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ
📞+880 1886 032425
✉ m.me/TanguaHaorWheels
✉ https://wa.me/message/PYRXMGN6HLZHO1