23/08/2022
꧁শ্রীমদ্ভাগবত জয়ন্তী মহোৎসব ২০২২꧂
🙏শ্রীমদ্ভাগবত মাহাত্ম্য🙏
এক সেট ভাগবত যদি কোনো গৃহে থাকে, তাহলে সেই গৃহ তীর্থে পরিণত হয়,কারণ সেই গৃহে ভগবান আছেন ।
শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ শ্রীমদ্ভাগবতীয় প্রবচন, ২২ আগস্ট ২০২০, মায়াপুর।
শ্রীমদ্ভাগবতে(১২.১৩.১৩) বলা হয়েছে ঃ ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে যদি কেউ স্বর্ণ সিংহাসনে শ্রীমদ্ভাগবত স্থাপন করেন এবং তা উপহারস্বরূপ প্রদান করেন, তবে তিনি পরম চিন্ময় গতি লাভ করেন।
""হে প্রিয় বৎস,যতদিন পর্যন্ত শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থটি কারও গৃহে থাকে,ততদিন পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষেরা দুধ,ঘি,মধু ও জল উপভোগ করে।
""যে ব্যক্তি শ্রদ্ধায় দাঁড়িয়ে শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থকে প্রণাম নিবেদন করে,আমি তাকে ধন-সম্পদ, ভার্যা,সন্তানাদি ও ভক্তিপূর্ণ সেবা দান করি।
"শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণের ফলে ধার্মিক হয় এবং সর্ব রোগ ও পাপ মুক্ত হয়ে দীর্ঘ-জীবন লাভ করে।
কলি-যুগে যেখানেই পবিত্র শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ হয়,সেখানেই সকল দেব-দেবী সমভিব্যাহারে আমি বাস করি। প্রিয় বৎস, যারা ষোড়শোপচারে শ্রীমদ্ভাগবতের পূজা করে ও ভক্তি সহকারে ভাগবত শ্রবণ করে তাদের দ্বারা আমি নিয়ন্ত্রিত।
যে প্রতিদিন শ্রীমদ্ভাগবতের অর্ধ বা এক চতুর্থাংশ শ্লোকও পাঠ বা শ্রবন করে,এক সহস্র গো-দান জনিত ফল সে লাভ করে।
প্রিয় বৎস, যেখানে শ্রীমদ্ভাগবত কথা আলোচনা হয়, সেখানেই সকল পবিত্র নদ-নদী,কুন্ড,হ্রদ,সকল যজ্ঞ,সপ্ত তীর্থক্ষেত্র-অযোধ্যা,মথুরা,মায়া(হরিদ্বার), কাশী,কাঞ্চি,অবন্তি(উজ্জয়িন)ও দ্বারকা-এবং পবিত্র পর্বতসমূহ উপস্থিত থাকে।
শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থকে যে পায়ে হেঁটে পরিক্রমা করে, প্রতি পদক্ষেপে তার অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
"শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণে যে বিশুদ্ধতা অর্জন করা যায়,বদরিকাশ্রম দর্শনে বা প্রয়াগ-সঙ্গমে অবগাহন করেও সেই শুদ্ধতা অর্জন করা যায় না।