08/05/2021
***ভারত থেকে বাংলাদেশ ফিরে আসা প্রসঙ্গে***
যারা ভারতে আটকে গেছেন তাদের জন্য কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
বিশেষ করে যারা চেন্নাই, ভেলোর,মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ,দিল্লি
আটকে গেছেন। অথবা বিভিন্ন জায়গায় আটকে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,
বেনাপোল এবং আখাউড়া ২ বর্ডার খোলা আছে।
এই ২ বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশিদের আসতে কোন বাধা নাই। তবে ভারতে প্রবেশ করা যাবে না।
আপনার ভিসার ধরণ মেডিক্যাল/বিজনেস/এন্ট্রি/স্টুডেন্ট/ডবল এন্ট্রি যাই হোক না কেন আপনি দেশে আসতে পারবেন।
যাদের ( মেডিক্যাল ভিসার মেয়াদ শেষ) তাঁরা বিনা দ্বিধায় শুধু বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এনওসি নিয়ে আসতে পারবেন।
যাদের ডবল এন্ট্রি ও অন্যান্য ভিসা মেয়াদ শেষ তারা FRRO তে আবেদন করে একজিট পারমিট ও এনওসি নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
যাদের আরো ভারতেই থাকতে হবে তাঁরা অনলাইনে
FRRO তে আবেদন করবেন। যথাযথ যৌক্তিক কারন দেখাবেন। এই মধ্য ডাক্তারের সুপারিশ পত্র অন্যতম
যা উনি আপনার নাম ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে
লিখে দিবেন।
১
আপনার ভিসার ধরণ/ভিসায় যাই লেখা থাকুক না কেন যেমন বেনাপোল/হরিদাসপুর/এয়ার যাই লেখা থাকুক আপনি চাইলে বেনাপোল/আগরতলা দিয়ে
বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
(অনেকেই চিন্তা করছেন বেনাপোল দিয়ে ঢুকেছি আখাউড়া দিয়ে আসতে পারবো কিনা? এর সরাসরি
উত্তর পারবেন) এর জন্য কোন স্পেশাল পারমিট কিংবা FRRO করা লাগবে না।
FRRO ওয়েব এড্রেস
কোলকাতা দিয়ে বেনাপোল আসতে চাইলে কোলকাতা বাংলাদেশ ডেপুটি দূতাবাস কেন্দ্র এ যোগাযোগ করবেন।
ঠিকানা-
9, Circus Ave, Bangabandhu Sheikh, Mujib, Kolkata, West Bengal 700017, India
+91 33 4012 7500
03340127500
কোলকাতা
এনওসির জন্য মেইল করবেন -
[email protected]
--------------
আখাউড়া দিয়ে আসতে চাইলে আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে যোগাযোগ করবেন।
ঠিকানা:-
near Circuit House, Kunjaban, Agartala, Tripura 799006, India
+91 381 232 4807
03812324807
আগরতলা এনওসির জন্য আবেদন-
[email protected]
(বিভিন্ন স্টেট থেকে যারা আসবেন তারা কোভিড টেস্ট করে রিপোর্ট সহ মেইল করেই আগরতলা রওনা দিয়ে দিবেন) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মেইল করে এনওসি নিন আগরতলা থেকে দ্রুত রেসপন্স পাবেন।
দিল্লিতে যারা আছেন বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে তেমন লাভ নাই। আপনাকে করোনা পরিস্থিতির জন্য ঢুকতেই দিবে না। তাই কষ্ট করে না যাওয়া ভালো। ফোনে পাওয়া ও খুবই মুস্কিল। দিল্লি যোগাযোগ না করে /অফিসে যাওয়ার আশায় বসে না থেকে কোলকাতা/আগরতলা যোগাযোগ করুন। তবে করোনাকালীন এই সময়ে যারা প্রাইভেট সহ বিভিন্ন হাসপাতালে অর্থের অভাবে সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করতে চান তাদের বাংলাদেশ হাই কমিশন দিল্লির অনুমোদন লাগবে, তারা দিল্লি দূতাবাস এ ইমেইল এ যোগাযোগ করবেন।
consular.newdelhi..gov.bd
দিল্লিতে নিকট আত্বীয় পরিজন মারা গেলে পাসপোর্ট ক্যান্সেল করতে ও এম্বেসিতে জরুরিভিত্তিতে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ঠিকানা-
EP-39, Dr. S. RadhaKrishnan Marg, Chanakyapuri, New Delhi, Delhi 110021,
PABX : +91 11 2412 1391-94
------------------
মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ এম্বেসীর ঠিকানা
Jolly Maker Bungalow no.8, Cuffe Parade Opposite World Trade Centre, Mumbai, Maharashtra 400005,
ই মেইল
[email protected]
২
আখাউড়া থেকে যাদের নিজ জেলা কাছে তারা আগরতলা দিয়ে ঢুকবেন।
বেনাপোল দিয়ে যাদের নিজ জেলা কাছে তারা বেনাপোল দিয়ে ঢুকবেন।
৩
আপনি যেই স্থল বন্দর দিয়েই আসুন কোভিড টেস্ট এর রিপোর্ট ৫ কপি ও এনওসি ৫ কপি নিবেন।
পাসপোর্ট এর অতিরিক্ত কপি রাখুন।
মোবাইল এ পাসপোর্ট ও ভিসার ছবি রাখুন
দয়া করে করোনা পজেটিভ নিয়ে কেউ দেশে আসবেন না। পজেটিভ হলে আইসোলেশন এ থাকুন। করোনা পজেটিভ এমন কাউকে দেশে আসতে উৎসাহ প্রদান করবেন না।
৪
যাদের অর্থ শেষ সরকারি ব্যাবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে ও খাওয়া দাওয়া করতে চান তারা বেনাপোল দিয়ে আসার চেষ্টা করুন। সরকারি ব্যাবস্থা রয়েছে।
ঝিকরগাছায় গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দুশ’,জন কে সরকারি ভাবে ফ্রি রাখা হচ্ছে।
৫
যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, এবং ভালো মানের হোটেলে থাকতে চান তারা বন্দর এ কতৃপক্ষ কে বলুন।
৬
যারা কোলকাতা থেকে বর্ডার এ আসবেন আনুমানিক ট্যাক্সি ভাড়া ২ হাজার রুপির মতো। রাস্তা মোটামুটি। চেষ্টা করবেন সকালে রওনা দিতে।
কলকাতা থেকে স্থল বন্দর আসা পর্যন্ত। রাস্তায় খাওয়া দাওয়া করে নেওয়াই উত্তম।
৭
বর্ডার এ সময়ের ঠিক নাই কতক্ষন লাগতে পারে।
ভিড়ের উপর নির্ভর করে।
৮
আপনি অসুস্থ হলে, অসুস্থ বোধ করলে সরকার আপনার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। শুধু মাত্র সরকারি হাসপাতালে। রোগী অসুস্থ থাকলে বাংলাদেশ ঢুকেই
বেনাপোল স্বাস্থ্য বিভাগ কে অবগত করবেন।
রোগীর ক্যানসার/ডায়ালাইসিস রোগী হলে মেডিক্যাল কলেজ এ রেফার এর অনুরোধ করবেন।
ক্যান্সার /ডায়ালাইসিস রোগীদের যথেষ্ট ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কোয়ারেন্টাইন কমিয়ে দেয় এই জন্য করোনা ভেরিফাইড কপি বার কোড সহ নিয়ে আসবেন।ও অনুরোধ করবেন।
৯
আপনাকে যদি সন্দেহজনক মনে হয়, কিংবা করোনা রিপোর্ট পজেটিভ থাকে আপনাকে সরাসরি যশোর হাসপাতালে পাঠাবে।
যশোরের জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনাল, হাসান ইন্টারন্যাশনাল, সিটি প্লাজা, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমেটরি, ম্যাগপাই, আর এস, মণিহার, ম্যাক্স, সোনালী, সিটি হোটেল, শাহরিয়ার, বলাকা, নয়ন, নিউওয়ে, প্রিন্স, সিটি, যশোর হোটেল, বেনাপোলের রজনীগন্ধা, পোর্টভিউ, অ্যারিস্টোকেট, জুয়েল আবাসিক, চৌধুরী হোটেল, নিশাদ হোটেল, ফ্রেশ হোটেল, নাহিদ হোটেল, হোটেল সানসিটি, মৌ হোটেল, হোটেল সিটি, বেনাপোল পর্যটন ও রহমানিয়া হোটেলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের ৪টি আবাসিক হোটেল প্রস্তুত করা হোটেলগুলো হলো টাইগার প্লাস, হোটেল উত্তরা আবাসিক, হোটেল আল কাশেম ও হোটেল হাসান আবাসিক।
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের পুরাতন ভবনে ২৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত হচ্ছে।
যশোর ও বেনাপোলের ২৯টি হোটেলকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়াও পাশের খুলনা ৮টি হোটেল, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের হোটেলগুলোও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে।
সংগৃহীত