25/03/2024
রিয়াজুল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
ما بيتي ومنبري روضة من رياض الجنة ومنبري على حوضي. رواه الامام بخاري ومسلم.
অর্থাৎ আমার ঘর (কবর) এবং আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান বেহেশতের বাগান সমূহের একটি বাগান। আর আমার মিম্বার হাউজে কাউসারে উপর রয়েছে।
ব্যাখ্যা: বেহেশতের বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য- ওই স্থানে বেহেস্তের মতো সবসময় রহমত নাযিল হইতে থাকে। অথবা সেখানে এবাদত করলে বেহেশতে যাওয়ার উছিলা হবে। অথবা বাস্তবিকই এ জায়গাটুকু বেহেস্ত থেকে আনা হয়েছে এবং পূণরায় তাকে বেহেস্তে নিয়ে যাওয়া হবে।
রিয়াজুল জান্নাহয় বরকতময় কয়েকটি খুঁটি পরিচয়:
১, উসতুওয়ানাতু আয়েশা: হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন, মসজিদে এমন একটি জায়গা আছে মানুষ যদি তা জানতো তাহলে সেখানে বসার জন্য লটারি দিতো। পরে তিনি সেই জায়গাটি দেখিয়ে দেন। এখানে মহাজিরগণ বেশিরভাগ সময় বসতেন। বিধায় এই খুটিকে উস্তুনায়ে মহাজিরীনও বলা হয়।
২. উসতুওয়ানাতুনায়ে আবু লুবাবা: হযরত আবু লুবাবা রাদিয়াল্লাহ আনহু ঐ খুঁটিতে নিজেকে বেঁধে রেখেছিলেন। ঐ অবস্থায় তার তওবা কবুল হয়। এ কারণে এই খুটিকে তওবার খুঁটিও বলা হয়।
৩. উসতুওয়ানাতুস সারীর: রওজা বরাবর উত্তর দিকে। এখানে হুজুর সাল্লাল্লাহু ইসলাম এতেকাফ করতেন এবং আরাম করতেন।
৪. উসতুওয়ানাতুল হারাস: এখানে পাহারাদারগণ বিশেষ করে হযরত আলী রাঃ থাকতেন।
৫. উসতুওয়ানাতুল উফুদ: কোন প্রতিনিধি দল আসলে এখানে বসানো হতো। ও সস রাম এখানে তাদেরকে আহকাম শিক্ষা দিতেন।
৬. উসতুওয়ানাতুত তাহাজ্জুদ: এই খুটির নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়শই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।
রিয়াজুল জান্নায় প্রবেশ করতেই প্রথমে একটি উঁচু জায়গা রয়েছে যা বাউন্ডারি করে রাখা হয়েছে। এখানে আসলে ছুফ্ফা সাহাবাগণ দ্বীন শিখতেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রিয়াজুল জান্নায় ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
মাহবুব নোমানী