20/03/2024
ধরুন আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবেন। অনলাইনে এয়ারটিকিট সার্চ করলেন। টিকিট এর ভাড়া ৩,৮০০ টাকা কিন্তু আমাদের দেশের
কোন এক পোর্টাল তাদের সার্চ পেজে দেখালো ভাড়া ৩,৪০০ টাকা।
এটা দেখে আপনি মহাখুশী। আপনি নেক্সট পেজে অর্থাৎ বুকিং পেজে না গিয়েই ধরে নিলেন টিকিট এর মূল্য ৩,৪০০ টাকা কিন্তু বাস্তব চিত্র একটু ভিন্ন।
আপনি বুকিং পেজে গেলেই ৩৪০০ টাকার সাথে আরও কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখবেন এই যেমন,
টিকিট বেজ ফেয়ার: ৩২০০
টিকিট এর ট্যাক্স: ৫০০
সার্ভিস চার্জ: ২০০
মোট: ৩,৯০০ টাকা
(যদি নির্দিষ্ট ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে ডিসকাউন্ট ৫০০ টাকা)
এখন আপনার কাছে ঐ ব্যাংক এর কার্ড নাই তাহলে উপায়?
না থাকলে আপনাকে যারা ৩৪০০ টাকা দেখালো তাদের কেই টিকিট এর মূল দামের থেকেও ১০০ টাকা বেশি অর্থাৎ ৩৯০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে সব চার্জ মিলিয়ে আর না হয় কারও হাতে পায়ে ধরে সেই ব্যাংক এর কার্ড ব্যবস্থা করতে হবে।
কার্ড না হয় ব্যবস্থা করলেন, কিন্তু কাহানী আভি বাকী হেয়, এই ধরেন আপনি আন্তর্জাতিক কোন ভ্রমণের টিকিট নিলেন এখন ক্রেডিট কার্ড আপনার না, সেই ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার থেকে বিশেষ ভাবে ডিক্লারেশন ফর্ম নিতে হবে কার্ড এর ছবি সহ। এখন নিরাপত্তার স্বার্থে আমিতো কখনো আমার কার্ডের ছবি কাউকে দিবো না। হয়তো কেউ না বুঝে দিয়েও দিতে পারে। আর এই কাজটা না করলে যে কোন সময় আপনি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন যে কার্ড এর মালিক কে? আপনি কি ভাবে এই কার্ড পেলেন কারণ আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ষ্ট্যাণ্ডার্ড পলিসি হিসেবেই এই ভ্যারিফিকেশন গুলো করে থাকে ভ্রমণের পূর্বে।
এখন মূলত বিষয়টা দাঁড়ালো যে, আপনাকে যা দেখানো হচ্ছে বাস্তবে আসলে এমনটা নয়। এই সব আসলে মানুষ বোকা বানানোর পলিসি মাত্র। দিন শেষে লস দিয়ে কেউ বিজনেস করবে না আর করলেও সে টিকে থাকতে পারবে না। এটাই বাস্তব।
-Copy