03/11/2022
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফর্মটি যেভাবে সাজাবেন...
• ভিসা আবেদন ফর্ম।
• জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন কার্ডের কপি।
• বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/পানির বিল/ টেলিফোন বিলের ফটোকপি।
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ ডলার এন্ড্রোসমেন্ট সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।...
• ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি ( পেশা ব্যবসায়ী হলে )
• জমির খতিয়ান এর ফটোকপি ( পেশা কৃষি হলে )
• সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের অনাপত্তি পত্র/ NOC ( পেশা চাকরিজীবন হলে) ।
• স্কুল আইডি কার্ড / বেতন জমার রশিদ ( পেশা STUDENT হলে )
• সর্বশেষ ভারতীয় ভিসা কপি ( যদি থাকে )
সকল পুরাতন পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।
পুরাতন পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে...
• জিডি কপি,
• লস্ট সার্কুলেশন কপি,
• এফিডেভিট কপি করে নিয়ে যেতে হবে।
NOTED WITH THANKS
আপনার মূল পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগে থেকে সর্বনিন্ম ৬ মাস মেয়াদী হতে হবে।
পাসপোর্টে অন্তত: দু’টি সাদা পাতা থাকতে হবে। পাসপোর্টের অনুলিপি (দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং তৃতীয় পৃষ্ঠা এবং বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর এসডোর্সমেন্ট, (যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।
রঙ্গিন পোশাকে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২X২ সাইজের ছবি তুলবেন, ছবি ল্যাব প্রিন্টেড হলে ভালো হয়।
ছবি তোলার সময় সাদা পোশাক, সাদা টুপি এবং চোখে চশমা পরা যাবে না।
ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট গত ৬ মাস থেকে আবেদনের আগের দিন পর্যন্ত নিবেন।
ব্যাংকে এন্ডিং ব্যালেন্স মিনিমাম ২০ হাজার থাকতে হবে।
আর যদি ডলার এন্ড্রোসমেন্ট করেন তাহলে মিনিমাম ১৫০ ডলার এন্ড্রোস করতে হবে। তবে বেশি করা ভালো।
ফর্ম ফিলাপ করে টাকা জমা দেওয়ার আগে অবশই পেপারস গুলো পাসপোর্ট এর তথ্যের সাথে মিল রেখে
আপনি নিজে ভাল করে চেক করে নিবেন, যেন কোথাও কোন ভুল না থাকে।
• আপনার আবেদনপত্র অবশ্যই ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
অন্যথায় আপনার আবেদন পত্রটি ৭ দিন পর আইভেক এর সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুছে যাবে,
তারপর প্রিন্ট করে ফী ৮৪০ টাকা জমা দিয়ে ভিসা সেন্টারে চলে যান। টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে মোবাইলে একটি কনফ্রামেশন ম্যাসেজ পাবেন।
আপনি আপনার যে কোন বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এবং কিছু ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
সকাল সকাল ভিসা সেন্টারে চলে যাবেন কারন কোন ডকুমেন্টস মিসিং থাকলে সময় থাকতেই কালেক্ট করে জমা দিতে পারবেন।
ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে (বাবা/মা, ভাই/বোন অবিবাহিত, স্বামী/স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে যারা যারা ভিসা আবেদন করবেন
বায়োমেট্রিক ডাটা কেপচার এর জন্য ১২ বছরের নিচে সবাইকে ভিসা সেন্টারে আসতে হবে।
পাসপোর্ট কালেক্ট করার সময় পরিবারের যেকোনো একজন সবার পাসপোর্ট কালেক্ট করতে পারবেন।
আবেদন পত্র জমা দেয়ার সময় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকা যমুনা ফিউচার পার্কের ভিসা সেন্টারে ভিড় কমতে থাকে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর একটা রিসিট দিবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের ডেট লেখা থাকবে,
পাসপোর্ট কালেক্ট করতে পারবেন দুপুর ৩ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
নরমালি কিছুদিন আগেও ৫-৭ কর্ম দিবসের মধ্যেই পাসপোর্ট কালেক্ট করা যেতো।
তবে বর্তমানে এম্বাসিতে আবেদন পত্র বেশি বেশি জমা হওয়াতে এখন ১০-২০ দিন বা তার বেশিও সময় লাগছে...
শুক্রবার ও শনিবার ভিসা সেন্টার বন্ধ থাকে,
ভিসা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর আপনার ভিসা হয়েছে কিনা সেটা পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না।
তবে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য রেডি আছে কিনা বা কোন পর্যায়ে আছে সেটির ট্র্যাকিং দেখতে পারবেন নিচে👇দেয়া লিংকে ব্রাউজ করে https://passtrack.net/regular_visa_application.php
লিগালি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে এবং আনতে পারবেন।
পরিশেষে একটি অনুরোধ রইলো
আপনার পাসপোর্ট একান্তই আপনার নাহ এটি একটি দেশ ও জাতির সন্মান বহন করে।
আপনি যখন বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে যান, তখন আপনার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে চিনে অন্য দেশের মানুষজন।
নিজেকে, নিজের দেশকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন। তাতে আপনার মর্যাদা বাড়বে, দেশের মর্যাদা বাড়বে।
মনে রাখবেন
আপনার সন্তান আপনার শ্রেষ্ঠ সম্পদ,আপনার সন্তানকে মাদকের কুফল সম্পর্কে এখনই সচেতন করুন। ধন্যবাদ