27/05/2024
#সহজে_কলকাতা_ভ্রমন
বেনাপোল থেকে বনগাঁ তারপর শিয়ালদা স্টেশনে কম খরচে কিভাবে যাবেন? মাত্র ৭০ রুপিতে _ তাহলে চলুন একটু ভেংগেচুরে বলছি (নতুনদের জন্য)।
যারা ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়েছেন এবং কম খরচে কিভাবে কলকাতা যাবেন ভাবছেন বা জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই গাইডলাইন।
প্রথমে #বেনাপোল বর্ডার পর্যন্ত আসুন তারপর সোনালি ব্যাংকে ১০৫৫ টাকা জমা দিয়ে ভ্রমণ ট্যাক্স ও বর্ডার উন্নয়ন ফি কপি নিয়ে নিন আর নতুন যে বিল্ডিং হয়েছে ওই বিল্ডিং এর একদম নিচে মানে আপনি যেখানে দিয়ে প্রবেশ করবেন ঠিক তার পাশেই টাকা জমা নেওয়ার কাউন্টার।
আপনি চাইলে ভ্রমণের ১ সপ্তাহ আগে আগে ঘরে বসে
অনলাইনের মাধ্যমে ট্যাক্স জমা দিতে পারবেন বিকাশ বা নগদ বা রকেটের মাধ্যমে। নিচের লিংক থেকে:
https://sbl.com.bd:7070/nbrTravelTax/Collection/Create
ফি জমা দেওয়ার পরে ভ্রমণ ট্যাক্স কপি প্রিন্ট করুন, যাত্রার দিন ওই কপি বেনাপোল বর্ডারে দেখালেই হবে।
এবার গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করুন আর ব্যাগ স্ক্যানিং হয়ে গেলে (যদিও স্ক্যানার (গত ১ মাস ধরে নষ্ট দেখেছি) ব্যাগ নিয়ে সামনে এগিয়ে যান তারপর সিকিউরিটি অফিসারকে ট্রাভেল ট্যাক্স ও এক্সট্রা উন্নয়ন ফি স্লিপের কপি দেখান তারপর এগিয়ে যান সামনের দিকে। আবার আর একটি বিল্ডিং এর ভিতর প্রবেশ করে লাইনে দাঁড়িয়ে আপনার পাসপোর্ট এ ডিপার্চার সিল ও সাইন দিয়ে দিবে সেটার জন্য ভিড় থাকলে লাইনে দাড়ান আর ইমিগ্রেশন অফিসারের ডেস্কে আপনার পাসপোর্ট জমা দিন আর সব ঠিক থাকলে সিল ও সাইন করে দিয়ে দিবে। আর হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারে কোথায় যাবেন আর কেন যাবেন -- সেগুলোর সঠিক উত্তর দিন।
এবার পাসপোর্ট ও ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান আর সেখানেও পাসপোর্ট চেকিং করে দ্রুত ছেড়ে দিবে তারপর সামনে এগিয়ে গেলেই ভারতের সিমানার মধ্যে প্রবেশ করলেন তারপর দেখবেন অসংখ্য নীল/লাল জামা পরিধান করা কুলি ভাইয়েরা আছেন।
এই এরিয়াকে বলা হয় "নো ম্যান্স ল্যান্ড" (no mans land) অর্থাৎ ভারত বা বাংলাদেশ কারো যায়গা না, ইমিগ্রেশন এর জন্য ব্যবহার করা হয়। যাইহোক ওখানে লাইনে দাঁড়িয়ে যান আর ভারতের অফিসাররা পাসপোর্ট চেক করে আপনাকে একটি স্লিপ দিবে আর সেই স্লিপটি পাসপোর্ট এর ভিতরে রেখে দিবেন তারপর সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন, আরো একবার পাসপোর্ট + ব্যাগ স্ক্যানিং হবে আর জিজ্ঞেস করবে যে, ভারতের রুপি আছে কিনা, এটা অফিসারের ইচ্ছা, কি জিজ্ঞেস করবে, তবে ভয়ের কিছু নেই, আমি এই পর্যন্ত ১৭বার ভারত ভ্রমণ করেছি, তারপরও ইমিগ্রেশনের কাছে গেলে কিছুটা ডর করে, জানিনা কেন?
এখানে বলে রাখা ভালো যে, ভারতের রুপি নেওয়া যাবে না। আপনি শুধু টাকা আর ডলার নিতে পারবেন। ইমিগ্রেশন ও ব্যাগ স্ক্যানিং শেষ করে সামনে এগিয়ে গেলেই আপনাকে ২/৩ জন লোক ধরবে আর বলবে যে স্লিপ পূরন করে দিবে মানে ওই যে একটা স্লিপ দিয়েছিল যা পাসপোর্ট এর ভিতর রেখেছেন সেটা + পাসপোর্ট টা ওদের কাছে দিন আর ওরা দ্রুত ফিলাপ করে দিবে তবে তাদেরকে প্রতি পাসপোর্ট অনুযায়ী ২০ টাকা করে দিতে হবে আর এটাই ওখানে নিয়ম তবে আপনি যদি নিজে পূরন করতে পারেন তাহলে লাগবে না। তবে নিজের কাছে একটি কলম থাকতে হবে আর কোথায় কি পূরন করবেন তা জানা থাকতে হবে। যদিও ফর্ম ফিলাপ একদম সহজ যেমন নাম, পাসপোর্ট নং, বয়স, এরাইভ্যাল তারিখ, ভারতের হোটেল/রিলেটিভ এর ঠিকানা, বাংলাদেশি ফোন নং ইত্যাদি।
যাইহোক ব্যাগ স্ক্যানিং শেষে সামনে এগিয়ে যান, অফিসার আপনার ছবি তুলে রাখবে এবং সিল দিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট দিবে তবে আপনার নাম, বাবার নাম জিজ্ঞেস করতে পারে, কোথায় যাবেন এসব আর কি।
যাইহোক আপনি এবার ফ্রি মানে আর কোথাও বাধা নেই। এবার আপনি সামনে এগিয়ে গেলেই দেখবেন ডলার/টাকা চেঞ্জ করার জন্য ভিতরে ১টি এজেন্সি আছে তাদের কাছ থেকে রুপি করে নিতে পারেন বা ডলার চেঞ্জ করে নিতে পারেন অথবা বাইরে গিয়েও করে নিতে পারেন। এবার মেইন গেট দিয়ে বাইরে বের হলেই ভারতের পিচের রাস্তা পাবেন আর ওখান থেকেই আপনাকে যাত্রা শুরু করতে হবে।
গেট দিয়ে বের হয়ে মেইন রাস্তার বাম পাশেই টেম্পু স্ট্যান্ড অবস্থিত। একটি হলুদ টেম্পুতে ৫ জন করে যেতে পারে আর ভাড়া ৫০ রুপি নিবে (করোনার আগে ৩০ রুপি ছিল) অর্থাৎ বর্ডার টু বঁনগা রেল স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া প্রতিজন ৫০ রুপি নিবে আর স্টেশনে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১৫/২০ মিনিটস। আর ৫ মিনিটের মধ্যে টেম্পুতে যাত্রী হয়ে যাবে।
ওহ ভালো কথা, পিচের রাস্তার ওই পারে গিয়ে দেখবেন ছোট একটি মোবাইল/সিমের দোকান আছে সেখান থেকে এয়ারটেল সিম কিনে নিবেন আর বলবেন যে অল ইন্ডিয়া সিম প্যাকেজ নিবেন, যাতে বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে ২ টাকার কমে কথা বলতে পারেন৷ আর ২০০/৩০০ টাকা একবারই টপ আপ করে নিবেন আর পারলে ১৪৯ বা ১৯৯ রুপি টপ আপ করে নিলে প্রতিদিন ১ বা ১.৫ জিবি ডাটা পাবেন আর ২৮ দিন মেয়াদ পাবেন। ২৮ জিবি ডাটা পাবেন এই ১৪৯ রুপির মধ্যে। এটা আপনার ইচ্ছা আপনি কি ধরণের প্যাকেজ নিবেন।
এখন টেম্পুতে উঠে পড়ুন তারপর বঁনগা রেল স্টেশনে নেমে রেল স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে ভিড় থাকলে লাইনে দাঁড়িয়ে শিয়ালদাহ স্টেশনের টিকিট কেটে নিন, ভাড়া নিবে মাত্র ২০ রুপি।
বঁনগা টু শিয়ালদা যেতে ট্রেনে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘন্টা ১০ মিনিটের মতো বা আরো কম সময়। টিকিট কাটার সময় ২০ রুপি ভাংতি দিবেন বা ৫০ রুপির নোট বা ১০০ রুপির নোট দিবেন কারণ ৫০০/২০০০ রুপির নোট দিলে টিকিট পাবেন না। তাই রুপি যখন নিবেন তখন ১০০ রুপি/৫০ রুপির কিছু নোট অবশ্যই নিবেন নতুবা বিপদে পড়বেন। ট্রেন কোন প্লাটফর্ম থেকে ছাড়বে বা আসবে সেটা কাউন্টার থেকে টিকিট নেওয়ার সময় জেনে নিবেন৷ যদি ১ নং প্লাটফর্ম থেকে বলে তাহলে আপনি যেখান থেকে টিকিট কিনলেন ওটাই ১ নং প্লাটফর্ম আর যদি বলে ২ নং প্লাটফর্ম থেকে ছাড়বে বা আসবে তাহলে ২ নং প্লাটফর্ম এ চলে যাবেন ওভারব্রীজ ব্যবহার করে আর ৩ নং বললে ওই ২ নং এর পাশের টাই ৩ নং প্লাটফর্ম। বঁনগা রেল স্টেশনে ৩ টি প্লাটফর্ম থাকে। তো এবার ট্রেন আসলে সাথে সাথে দেরি না করে উঠে পড়বেন আর চেয়ারে বসে পড়বেন কারণ দেরি হলেই ট্রেন মিস করবেন আর সিটও পাবেন না কারণ ট্রেন মাত্র ৫/১০ মিনিট অপেক্ষা করে, এর বেশি নয়। টিকিট নেওয়ার সময় যদি কোন ট্রেন দাঁড়ানো দেখেন, ওটাই শিয়ালদা যাওয়ার লোকাল ট্রেন, উঠে পড়ুন।
আপনি ২ ঘন্টা ১০ মিনিটের মধ্যে শিয়ালদাহ স্টেশনে পৌঁছে যাবেন। এই লোকাল ট্রেনটি ৩/৪ মিনিট অন্তর স্টেশনে থামে, মিনিমাম ২০/২২ টি স্টেশন আছে শিয়ালদাহ স্টেশন পর্যন্ত।
ট্রেন যখন বঁনগা স্টেশন থেকে ছাড়বে তখন অনেক গুলো স্টেশন হয়ে শিয়ালদাহ স্টেশন পৌঁছাবে কারণ এটি লোকাল ট্রেন আর ৪০/৫০ মিনিট পর পর ট্রেন পাবেন। বারাসাত স্টেশন, গুমা স্টেশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, দমদম স্টেশন তারপর ই শিয়ালদাহ স্টেশনে পৌঁছাবে।
তো শিয়ালদাহ স্টেশন তো নামলেন এবার কি করবেন? এবার একটু হাটলেই মেইন গেট পাবেন বাইরের মেইন রাস্তা যাওয়ার জন্য তারপর দেখবেন অনেক ট্যাক্সি/টেম্পু। আপনি যদি হাওড়া স্টেশনে যেতে চান তাহলে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করলে ২৫০/৩০০ রুপি নিবে, যেতে সময় লাগবে ৩৫/৪০ মিনিটস আর যদি টেম্পু ভাড়া করেন তবে ১৭০/২০০ রুপি পর্যন্ত নিবে তবে নতুন দেখলেই ওরা ভাড়া বেশি চাইবে এটা নিশ্চিত থাকুন তবে দামাদামি করে নিবেন।
যদি বাসে যেতে চান তাহলে পাশেই মেইন রাস্তা আছে আর হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার অনেক বাস পাবেন যেমন ৪১ নং গাড়ি তাছাড়া যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে কোন বাস হাওড়া যাবে সো টেনশনের কোন কারণ নেই। শিয়ালদা থেকে হাওড়া স্টেশনে যেতে ১৫ রুপি ভাড়া নিবে লোকাল বাসে আর সময় লাগবে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা যেহেতু হালকা জ্যাম তো থাকবেই আর নামিয়ে দিবে হাওড়া স্টেশনের একদম কাছেই। যেখানে নামিয়ে দিবে সেখান থেকে মাটির নিচে রাস্তা আছে সেই আন্ডার পাস রাস্তা ব্যবহার করে এগিয়ে গিয়ে উঠলেই আপনি সরাসরি হাওড়া স্টেশনের প্লাটফর্মে গিয়ে পৌঁছাবেন, জেনে নিবেন কোন প্লাটফর্ম থেকে আপনার কাংখিত ট্রেনটি ছাড়বে অর্থাৎ আপনি যদি ভেলর বা চেন্নাই বা দিল্লি যান। তবে দিল্লিতে যদি রাজধানী এক্সপ্রেসে করে যান সেক্ষেত্রে ৮/৯ নং প্লাটফর্ম থেকে ছাড়বে আর চেন্নাই যেতে চাইলে ২২/২৩ নং প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ে। তবুও ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে জেনে নিবেন বা দেখে নিবেন বিস্তারিত।
#কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর জানুন:
-----------------------------------------------
#আমি শিয়ালদা স্টেশন থেকে কলকাতা নিউমার্কেট কিভাবে যাবো?
উত্তরঃ খুবই সহজ। শিয়ালদা স্টেশন নেমে একটা ট্যাক্সি/অটো ভাড়া করুন আর সরাসরি নিউমার্কেট এরিয়া বা মারকুইস স্ট্রিট/গালিব স্ট্রিট এর ঠিকানা ড্রাইভারকে দেখিয়ে ভাড়া ঠিক করে চলে যাবেন তবে ভাড়া নিবে ২৫০/৩০০ রুপি আর ৪ জন পর্যন্ত যেতে পারবেন, সময় লাগবে ৪০/৪৫ মিনিটের মতো। যদি ওই এরিয়ার দিকে #হোটেল ঠিক করা থাকে তাহলে সেই ঠিকানা ড্রাইভারকে দেখিয়ে নিন সেক্ষেত্রে উনি আপনাকে ওই হোটেলে নামিয়ে দিবে।
#আমি তো এয়ারপোর্টে যেতে চাচ্ছি কিন্তু কিভাবে?
উত্তরঃ আপনি বঁনগা স্টেশন গিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটে উঠবেন আর দমদম স্টেশন অথবা দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনের যে কোন একটি স্টেশনে নেমে যাবেন তবে দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন খুব কাছে। ওখান থেকে এয়ারপোর্ট মাত্র ২ কি.মি. দূরে অবস্থিত। সেক্ষেত্রে ওখানে নেমে একটা ট্যাক্সি ভাড়া নিলে মাত্র ২০০/২৫০ রুপি নিবে এর বেশি দিবেন না বা চাইলে দামাদামি করবেন কারণ ট্যাক্সিতে যেতে মাত্র ১০/১২ মিনিট সময় লাগবে। আর কোন অটো এয়ারপোর্ট এর মেইন এরিয়াতে প্রবেশ করতে দিবেনা।
#অতো ঝামেলার ভিতর যেতে চাচ্ছিনা সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট যাওয়ার সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ ওকে, তাহলে বেনাপোল বর্ডার পার হলে পাশেই ট্যাক্সি/প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড পাবেন সেখান থেকে হলুদ ট্যাক্সি সরাসরি এয়ারপোর্টের দোতলা পর্যন্ত ভাড়া নিবে ১৮০০/২০০০ রুপি আর একটু প্রাইভেট টাইপের ভালো কার নিবে ২৩০০/২৫০০ রুপি, এসি সহ নিলে ভাড়া নিবে ২৫০০/২৮০০ রুপি, সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘন্টার মতো। চাইলে যাওয়ার সময় কোন এক হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে নিতে পারবেন তারজন্য ড্রাইভার ২০/২৫ মিনিট অপেক্ষা করবে হোটেলের সামনে। আপনাকে ঠিক যায়গা নামিয়ে দিবে বা এয়ার টিকিট দেখালেই হবে।
#নিউ মার্কেট এরিয়ার কোথায় মিডিয়াম ও ভালো মানের হোটেল পাবো?
উত্তরঃ আপনি ওই এরিয়াতে গিয়ে Marquis street or Mirza galib street or Park street এরিয়াতে ভালো মানের হোটেল পাবেন। এছাড়া নিউমার্কেট এর পাশে প্রচুর হোটেল পাবেন। এই সব স্থান থেকে নিউ মার্কেট হাটার দূরত্ব যা আপনি হেটেই যাতায়াত করতে পারবেন।
ভালো মানের এসি রুম প্রতিরাত ২০০০ থেকে ২৫০০ রুপির মধ্যে পেয়ে যাবেন। ভালোর কোন শেষ নেই কারণ কারো কাছে ৩০০০ বা ৩৫০০ রুপির রুমও ভালো আবার কারো কাছে ১২০০/১৫০০ রুপির রুমও ভালো।
ধর্মতলা এরিয়াতে গেলে অনেক কমের মধ্যে হোটেল রুম পাবেন যেমন ৫০০/৬০০/৮০০ রুপির মধ্যে পেয়ে যাবেন কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পাবেন না। তবে খুজলে হয়তো পেয়ে যাবেন।
#আচ্ছা, আমি ভারতে যাওয়ার সময় কি রুপি নিয়ে যেতে পারবো?
উত্তরঃ মোটেও না। আপনি যখন ভারতে যাবেন তখন শুধু টাকা আর আমেরিকান ডলার নিতে পারবেন। এছাড়া আর কোন কারেন্সি নেওয়া ১০০% বেআইনি বা অবৈধ।
#তাহলে কি পরিমান ডলার বা টাকা নিতে পারবো?
উত্তরঃ একজন প্রতি বছর ১২০০০ ডলার পর্যন্ত নিতে পারবেন অথবা তবে ডলারের সংকট থাকলে ৫/৬ হাজার ডলারের বেশি পাবেন না।
বাংলাদেশি টাকা ১০০০০ টাকার বেশি নয়। বাকি টাকা ব্যাংক থেকে ডলার করে সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে ভারত/শ্রীলঙ্কা /ভুটান এসব দেশে ৫০০০ ডলার করে কিন্তু আমেরিকা/ইংল্যান্ড/থাইল্যান্ড /সিংগাপুর/চীন এসব দেশে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত নিতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৩ সালের রুলস অনুযায়ী।
#কিন্তু অনেকেই তো শুনি ৩০০০০ বা ৪০০০০ বা ৫০০০০ টাকা এমনকি ১/২ লাখ টাকাও সাথে করে নিয়ে যায়?
উত্তরঃ জি, এটা ঠিকই শুনেছেন। কিন্তু ১০০০০ টাকার বেশি নেওয়া বৈধ নয়। ইমিগ্রেশন অফিসার ১০০% যাত্রীর মধ্যে দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে হয়তো ২০/২৫% মানুষদের, এটা আপনি যখন ইমিগ্রেশন অফিস অতিক্রম করবেন তখন বুঝবেন বা দেখবেন। তাই অনেকে ডলারের ঝামেলা এড়াতে রিস্ক নিয়ে থাকে।
তবে ধরা পড়লে নিশ্চিত ভাবে টাকা রেখে দিতে পারে তবে মেডিকেল ভিসাতে অনেক সময় রিকোয়েষ্ট করলে তারা ছেড়ে দিতে পারে কিন্তু সেটা অফিসারের মনের উপর ডিপেন্ড করছে। আশা করছি উত্তর পেয়েছেন।
#কিন্তু ডলার কিভাবে নিবো বা ট্রাভেল কার্ড করে নিলে কি হবে?
উত্তরঃ যে কোন ব্যাংকের বৈদেশিক শাখাতে যাবেন আর ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ২ কপি ছবি এবং পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে যাবেন সেই সাথে কত হাজার টাকা থেকে ডলার কিনবেন সেই পরিমাণ টাকা নিয়ে যাবেন। ডলারের রেট এখন ১২০ টাকা = ১ ডলার বা কম বেশি হতে পারে যা জেনে নিবেন।
ব্যাংকের অফিসারকে গিয়ে বলুন, এতো ডলার লাগবে, তারাই আপনাকে করে দিবে অথবা ২০০/৩০০/৫০০ ডলার ট্রাভেল কার্ড করে নিয়ে যেতে পারেন। ট্রাভেল কার্ডে লোড করে নিয়ে গিয়ে ভারতের হাসপাতাল, শপিং মলে খরচ করতে পারবেন, এমনকি বুথ থেকে উঠাতে পারবেন।
#আমি কি বেনাপোল থেকে আরো সহজে যেতে পারবো কলকাতা?
উত্তরঃ জি পারবেন। বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে পিচের রাস্তায় গেলেই দেখবেন অসংখ্য বাস কোম্পানি যেমন গ্রীনলাইন/দেশ ট্রাভেলস/শ্যামলী পরিবহণ। আপনি কাউন্টারে গিয়ে কখন বাস ছাড়বে জেনে নিবেন। যে বাস আগে ছাড়বে তাদের কাছ থেকে টিকিট কেটে নিবেন। টিকিটের দাম ৩৫০ রুপি প্রতিজন, এসি বাস।
তবে কাউন্টার বাদে বাইরে থেকে নিলে ৩০০ বা ৩২০ রুপিতে পাবেন। কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নেওয়াই বেটার হবে। বাসে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা আর ডিরেক্ট মারকুইস স্ট্রিটের পাশেই নামিয়ে দিবে যা নিউ মার্কেট এর পাশে। তবে কেউ এয়ারপোর্টে নামতে চাইলে ১ নং গেটের কাছে নামিয়ে দিতে বলবেন, ওখান থেকে ৩/৫ মিনিট হেটে গেলেই এয়ারপোর্টের ২য় তলাতে যেতে পারবেন।
#আচ্ছা, বনগাঁ থেকে শিয়ালদা স্টেশন যাওয়ার Local ট্রেন কখন কখন ছাড়ে?
উত্তর: বেনাপোল থেকে বনগাঁ স্টেশন এর দূরত্ব প্রায় ৮ কি.মি। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন অনেক ট্রেন যাতায়াত করে নিচে আপডেট সময়সূচি দেওয়া হলো:
** ছাড়ার সময়: বনগাঁ স্টেশন থেকে...
√ সকাল ৮ টা ০৮ মিনিটে
√ সকাল ৮ টা ৩২ মিনিটে
√ সকাল ৯ টা ০৫ মিনিটে
√ সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে
√ সকাল ১০ টা ২৮ মিনিটে
√ সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে
** ছাড়ার সময়: শিয়ালদা স্টেশন থেকে..
(পৌঁছানোর সময় ২ ঘণ্টা)
√ রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে
√ রাত ৪ টা ১৫ মিনিটে
√ রাত ৪ টা ৫৫ মিনিটে
√ ভোর রাত ৫ টা ৫৪ মিনিটে
√ সকাল ৭ টা ১২ মিনিটে
√ সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে
লিখাঃ সংগৃহীত