25/01/2024
ঘুরে এলাম স্বপ্নের থাইল্যান্ড
এখানে অনেকেই থাইল্যান্ডে অনেকবার ট্যুর দিয়েছেন, তাই তারা আমার থেকে অনেক ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু আমার এই পোস্ট টা তাদের জন্য, যারা প্রথমবার ট্রাভেল করছেন্ আর মোস্ট ইমপোরটেন্টলি, কোনো ট্রাভেল এজেন্সী ছাড়া সম্পূর্ণ নিজে নিজে প্ল্যান করে ট্যুর দিতে চাচ্ছেন।
আমাদের এই ট্রিপের পুরো আইটিনারি প্ল্যান করা থেকে শুরু করে হোটেলবুকিং, ফ্লাইটবুকিং, আইল্যান্ড আর সিটি ট্যুর প্ল্যানিং আমাদের নিজেদের করা, কোন থার্ডপার্টি বা ট্রাভেল এজেন্সি ইনভলভ্ড ছিলো না
আমাদের ট্রিপ টা ছিলো ৮ রাত ৯ দিনের
৩ রাত Bangkok
৩ রাত Phuket
২ রাত Phi Phi Islands
নিচে পুরো ডিটেইলস দেয়া হলো
Day 1: Fly to Bangkok in US BANGLA Airlines. ফ্লাইট ছিলো সকাল ১০ টায়, কিন্তু ফ্লাইট ১ ঘণ্টা লেট হওয়ায় বাংলাদেশ ছেড়ে যায় সকাল ১১ টায়। থাইল্যান্ড পৌঁছে ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেল এ চেক ইন করতে করতে বেলা ৪ টা। প্রথমদিন আঁশেপাশে শপিং মল (Terminal 21) এবং sukumvit ঘুরে ডিনার করে হোটেলে এসে ঘুম দিলাম কারণ পরের দিন Phuket এর ফ্লাইট
Day 2: Fly to Phuket from Bangkok. সকাল ১০ টায় এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট ধরে ফুকেটের উদ্দ্যেশে রওনা দেই। ১১ঃ৩০ এ ফুকেট পৌঁছে শাটল সার্ভিসের মাধ্যমে হোটেলে পৌঁছাই দুপুর ১ঃ৩০ এ। এখানে একটু বলে রাখি, ১/২ জন ট্রাভেল করলে এয়ারপোর্ট থেকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মোড অফ ট্রান্সপোর্টেশন হচ্ছে শাটল সার্ভিস কারণ গ্র্যাব বা ট্যাক্সি তে ডাবল খরচ হবে। তবে ৪ জন এর গ্রুপ হলে গ্র্যাব বেস্ট অপশন কারণ তখন এয়ারপোর্টও থেকে বের হয়েই চলে যেতে পারবেন। শাটলএর জন্য ওয়েট করা লাগবে না।
ফুকেট পৌঁছে হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে বের হই লাঞ্চ এর জন্য। চমৎকার ভিউ এর সাথে লাঞ্চ শেষ করে একটু Patong Beach Phuket Thailand ঘুড়ে হোটেলে ফিরে রেস্ট করলাম। এরপর সন্ধ্যায় বের হলাম বিখ্যাত বাংলা রোড এক্সপ্লোর করতে। ওখান থেকেই রাতের ডিনার শেষ করে হোটেলে এসে ঘুম, কারণ পরদিন আমাদের Phi Phi Island এ ট্যুর ছিলো
Day 3: Transfer to Phi Phi Islands in Ferry. ফি ফি আইল্যান্ডে যাওয়ার অনেকগুলো ফেরি সার্ভিস আছে, যার মধ্যে আমরা বেছে নিয়েছিলাম ফি ফি ক্রুসার। এই কোম্পানির সুবিধা হলো আপনি ফুকেটে যেই হোটেলেই স্টে করবেন, আপনাকে হোটেল থেকে পিক করে ডকে নিয়ে যাবে। এইখরচ টা ফেরী টিকেটে ইনক্লুডেড। আমরা সকাল ৭ঃ৩০ এ ডকে যাবার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি এবং সকাল ৮ঃ৪৫ এ rassada pier এ পৌঁছাই। ফেরী ছাড়ে সকাল ৯ঃ১৫ তে। ২ঃ৩০ ঘণ্টার ম্যাজিকাল রাইড শেষে আমরা ফি ফি আইল্যান্ডের টন সাই পিয়েরে পৌঁছাই বেলা ১২ টায়।
ডকে নেমেই প্রথমে পরেরদিনের আইল্যান্ড হপিং এর জন্য ট্যুর প্যাকেজ ঠিক করে ফেলি। এখানে বেশ কিছু ট্যুর কোম্পানি এর শপ পাবেন, একটু ভালো করে দেখেনিবেন কোন প্যাকেজ টায় সবচেয়ে কম টাকায় সবচেয়ে বেশি একটিভিটি পাবেন। অবশ্যই ভালো মত দামদর করে নিবেন।
এরপর আমরা হোটেল এ চেক ইন করি। আমাদের হোটেলটা আইল্যান্ডের অনেকটাই ভেতরে ছিলো তাই অনেক হাঁটতে হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, ফি ফি তে কোন ট্যাক্সি বা টুকটুক নাই, সবখানে পায়ে হেঁটে যেতে হবে, সো প্রচুর হাঁটার প্রিপারেশন নিয়ে রাখা ভালো।
হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে একটু সুইমিং পুলের ইনফিনিটি ভিউ উপভোগ করলাম, এবং পাশের বীচের স্বচ্ছ টল টলে নীল পানিতে গা ভিজালাম। এত স্বচ্ছ, ক্রিস্টাল ক্লিয়ার পানি, প্রাণ জুড়িয়ে যায় পুরা। এরপর ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চের জন্য বের হলাম। লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিয়ে বের হলাম আইল্যান্ড এক্সপ্লোরে। চমৎকার এই প্যারাডাইজ এক্সপ্লোর করতে করতে কখন যে ডিনারের টাইম হয়ে গেলো টের ই পেলাম না। এরপর ডিনার করে আরও কিছুক্ষন বীচে হাঁটাহাটি করে রুমে ব্যাক করে ঘুম।
Day 4: সকালে একটু দেরিকরে ঘুম থেকে উঠে হোটেলেই ব্রেকফাস্ট করে বের হলাম আমাদের আজকের দিনের একটিভিটি আইল্যান্ড হপিং এ। আমরা আগেরদিন ৭ আইল্যান্ড ট্যুর প্যাকেজটি নিয়েছিলাম যার মধ্যে এনক্লুডেড ছিলো ব্যামবু আইল্যান্ড, মাঙ্কি আইল্যান্ড, ন্যুইট বে, পিলেহ ল্যাগুন, ভাইকিংস কেভ আর বিখ্যাত মায়া বে। মায়া বে প্রতি বছর অগাস্ট সেপ্টেম্বর এই দুইমাস বন্ধ থাকে পর্যটক দেড় জন্য। অক্টোবর এর ১ তারিখ থেকে আবার খোলা। তাই আপনারা যারা ফি ফি আইল্যান্ড যাবেন, চেষ্টা করবেন অক্টোবর এ যেতে।
আমাদের যাত্রা স্পিড বোটে করে শুরু হয় দুপুর ১২ঃ৩০ এ, প্রথমেই যাই ব্যামবু আইল্যান্ডে। আমাদের স্পিডবোট টা বড় ছিলো এবং আমাদের সাথে বিভিন্ন দেশের আরও ২২-২৩ জন ট্যুরিস্ট ও ছিলেন। এরপর ওখান থেকে মাঙ্কি আইল্যান্ড, ন্যুইট বে তে গিয়ে পরে পিলেহ ল্যাগুন এ গিয়ে স্নরকেলিং করি। আপনারা যারা ভালো সুইমিং পারেন, তারা অবশ্যই এই একটিভিটি টা করবেন, কারণ পানির নীচে রঙ বেরঙের মাছ আর বেবী শার্ক দেখার এক্সপেরিয়েন্স টা মিস না করাই ভালো। কিন্তু সাঁতার না জানলে এইএকটিভিটি না করাই ভালো, কারণ পানিতে অনেক ঢেউ থাকে।
স্নরকেলিং শেষে আমরা যাই এইদিনের ট্রিপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায়, মায়া বে তে। যারা গিয়েছেন তারা জানেন, যারা জাননি, অবশ্যই যাবেন। মায়া বে তে আলাদা এন্ট্রি ফি পার পারসন ৪০০ বাহ্ত, যেটা আমাদের প্যাকেজে ইনক্লুডেড ছিলো। মায়া বে তে ৩০ মিনিট ছিলাম, এরপর ঐখান থেকে রওনা হয়ে সানসেট দেখে আমরা আমাদের ওইদিন এর ট্যুর শেষ করি সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ এ।ফি ফি আইল্যান্ডে সবকিছু অনেক তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, তাই আমরা হোটেলে ফ্রেশ হয়েই ডিনার এর জন্য বের হই। রাতে ফি ফি এর বিখ্যাত হিপিস বারে লাইভ ফায়ার শো দেখতে দেখতে চমৎকার ডিনার সেরে নিয়ে আমাদের ফি ফি আইল্যান্ড ট্রিপ শেষ করি
Day 5: Phi Phi Island থেকে ফেরীত ফুকেট চলে আসি সকাল ১১ঃ৩০ টায়। ডক থেকে হোটেলে এসে পৌঁছাই দুপুর ১২ঃ৩০ এ। হোটেলে চেক ইন করে লাঞ্চের জন্য বের হই। তখন আমাদের পরের দিনের ফুকেট ডে ট্রিপ এর প্যাকেজ টা ঠিক করে ফেলি। আমাদের হোটেলের পাশেই একটা ট্যুর কোম্পানির শপ ছিলো, ওখানে গিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ এক্সপ্লোর করে দামাদামি করে আমরা একটা ডে ট্রিপের প্যাকেজ সিলেক্ট করি। এরপর লাঞ্চ করে, হোটেলে কিছুক্ষন সুইমিং পুলে দাপাদাপি করে একটু রেস্ট নিয়ে বাংলা রোড এক্সপ্লোর করতে বের হই। এরপর রাতে ডিনার করে ঘুম।
Day 6: সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট সেড়ে হোটেল লবিতে ওয়েট করি, এরপর আমাদের ডে ট্যুর এর ড্রাইভার এসে আমাদের পিক আপ করে নিয়ে যায়। আমাদের সাথে গাড়িতে আরো ১০ জন ছিলো।
শুরুতেই আমরা স্টার্ট করি এলিফেন্ট স্যাঙ্কচুএরি ভিজিট করে। সেখানে কেও কেও এলিফ্যান্ট সাফারি নিয়েছিলো, কিন্তু আমরা নেই নি। বাট হাতির সাথে ছবি তুলে আর সময় কাটিয়ে ভালোই লেগেছিলো। এরপর ওইখান থেকে আমরা গেলাম ওল্ড টাউন ফুকেট দেখতে। খুবই কালারফুল একটা প্লেস। ছবি তোলার জন্য পারফেক্ট। এরপর গেলাম ক্যাশোনাট ফ্যাক্টরি, হানি হার্ভেস্টীং, এবং এরপর শ্যালং (Challong) টেম্পলে। সেখান থেকে বিগ বুদ্ধা দেখতে গেলাম, যেটা পাহাড়ের একদম টপে এবং এখান থেকে চারপাশে পুরো ফুকেট দেখা যায়। ট্রিপের মেইন এট্রাকশান, টাইগার কিংডমে, বাঘের সাথে ছবি তোলার জন্য। বাঘের এতো কাছ থেকে এক্সপেরিয়েন্স করাটা ছিলো একটা ওয়াইল্ড এডভেঞ্ছার। অবশ্যই এটা ট্রাই করবেন। সেখান থেকে হোটেলে ব্যাক করে আমাদের ওইদিনের ডে ট্রিপের সমাপ্তি।
Day 7: Fly back to Bangkok. সকাল ১০ টার ফ্লাইটে ব্যাংকক এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ব্যাংকক পৌঁছে দুপুর ১ টায় হোটেলে চেক ইন করি। এরপর বের হই শপিং এ। প্রথম দিন MBK তে শপিং সেড়ে একেবারে রাতে ডিনার করে হোটেলে এসে ঘুম।
Day 8: Last Day. সকাল ১০ টা থেকে শপিং এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে প্লাটিনাম মল, প্রাতুনাম এসব জায়গা ঘুরে টুক টাক কেনা কাটা সেরে ৫ টায় হোটেলে ব্যাক করে ফ্রেশ হয়ে আমাদের এবারের থাইল্যান্ড ট্যুর এর লাস্ট এক্টিভিটি করার জন্য বের হই, যেটা হচ্ছে প্রায়া লিভারে রিভার ক্ররুজ। গ্র্যাব নিয়ে সোজা এশিয়াটীক রিভারফ্রন্ট পিএরে চলে যাই সন্ধ্যা ৭ টায়। ৭ঃ৪৫ এ আমাদের ক্রুজ স্টার্ট। পুরো ২ ঘন্টার এই ক্রুজে ফ্রি বাফেট ডিনার ও ইঙ্কলুডেড ছিলো। এখানে পুরো ব্যাংকক এর একটা গ্লিম্পস আপনি পেয়ে যাবেন। ব্যাংকক এলে অবশ্যই এটা ট্রাই করবেন। রাত ৯ঃ৪৫ এ ক্রুজ শেষ করে হোটেলে ফিরে একটু আশেপাশের এরিয়া এক্সপ্লোর করে শুয়ে পরি, কারন পরদিন আবার ফিরতি ফ্লাইট।
Day 9: বেলা ৩ঃ৩০ এ US Bangla এর ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছাই বিকাল ৫ঃ৩০ এ।
এটা ছিল আমাদের ৮ দিনের আইটিনারি। এবার আমাদের পুরো ট্রিপের খরচের একটা সামারি দিচ্ছি
১। ঢাকা-ব্যাঙ্কক-ঢাকা ফ্লাইট (US Bangla): ২ জনের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ফেয়ার ছিলো ৬০,০০০/= টাকা
২। ব্যাঙ্কক-ফুকেট-ব্যাঙ্কক (Air Asia): ২ জনের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ফেয়ার ছিলো ১৮,০০০/= টাকা
৩। ব্যাঙ্কক হোটেল (৩ রাত) - Arawana Regency Hotel - টোটাল ১০,০০০/= টাকা
৪। ফুকেট হোটেল (৩ রাত) - Patong Lodge Hotel - টোটাল ১২,০০০/= টাকা
৫। ফি ফি আইল্যান্ড হোটেল (২ রাত) - U Rip Resort - টোটাল ১3,০০০/= টাকা
৬। ফুকেট ডে ট্রিপ - টোটাল ৩০০০ বাহত = ৯০০০/= টাকা
৭। ফি ফি আইল্যান্ড ট্রিপ - টোটাল ২৬০০ বাহত = ৭২০০/= টাকা
৮। ফুকেট-ফি ফি-ফুকেট ফেরী - টোটাল - ৫৫০০/= টাকা
৯। এশিয়াটিক রিভার ক্রুজ - টোটাল - ৫৫০০/= টাকা
১০। খাবার (ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুর, রিভার ক্রুজ এর ডিনার আর ওল ব্রেকফাস্ট বাদে, এগুলা ইঙ্কলুডেড ছিলো) - পার মিল এভারেজ ৩০০ বাহত (২ জনের), ১৪ বেলা = ৩০০x১৪= ৪২০০ বাহত = ১২,৬০০/= টাকা, সাথে স্ট্রিট ফুডের জন্য আরো ২,৪০০ টাকা, টোটাল = ১৫,০০০/=
১১। লোকাল ট্রান্সপোর্টঃ (গ্র্যাব, বি টি এস, শাটল) - টোটাল ৩৮০০ বাহত = ১১,৪০০ /= টাকা
১২। শপিং - এটা যার যার বাজেট অনুযায়ী।
১৩। ভিসা ফি - ৯,৫০০ (২ জনের)
১৪। টুরিস্ট সিম - ৫০০ বাহত = ১৫০০ টাকা
আমাদের টোটাল ব্যাংকক ট্রিপের খরচ (শপিং বাদে) = ৬০,০০০+১৮,০০০+ ১০,০০০+১২,০০০+১৩,০০০+৯,০০০+৭,২০০+ ৫,৫০০+৫,৫০০+১৫,০০০+১১,৪০০+৯,৫০০+১৫০০ = ১,৭৭,৬০০/= টাকা (২ জনের)
কিছু টিপ্স/নোটঃ
১। ভিসা করিয়েছিলাম শেয়ারট্রিপ থেকে (ব্যাঙ্ক স্টেট্ম্যান্ট, স্যালারি সার্টিফিকেট, এন ও সি, ২ কপি করে ছবি লাগবে), ভিসা পেতে সময় লেগেছিল ১০ দিন।
২। সমস্ত হোটেল, ডমেস্টিক ফ্লাইট, ফি ফি আইল্যান্ড যেতে ফেরী এগুলো বুক করেছিলাম বুকিং ডট কম আর এগোডা থেকে।
৩। ব্যাঙ্ককে যতটা সম্ভব বি টি এস মেট্রো ইউজ করবেন। টুক টুক পরিহার করাই ভালো
৪। খাবারের খরচ কিছুটা কমাতে চাইলে সেভেন ইলেভেন থেকে রেডিমেড ফুড কিনে নিতে পারবেন।
৫। থাইল্যান্ডে যেকোন জিনিষ কেনার ক্ষেত্রে দামাদামি করে নিবেন।
৬। শপিঙের ক্ষেত্রে
- ব্র্যান্ডের ভালো কোয়ালিটির জিনিষ পাবেন - Icon Siam, Terminal 21
- ভালো জুতা এবং ডিলস এন্ড ডিস্কাউন্ট এর জন্য - MBK
- ড্রেস এবং এক্সেসরিজ - Platinum Mall, Pratunam
থাইল্যান্ডে এখন জুতা, ড্রেস এগুলো রিজনেবল বাজেটে কিনতে পারলেও গ্যাজেট, ব্যাগ এগুলো বাংলাদেশে মাচ বেটার কোয়ালিটির পাবেন। কস্মেটিক্স ব্র্যান্ড শপ থেকে নেয়াই ভালো।
উপরের ডিটেইলস এটা সম্পুর্ন আমাদের নিজেদের ঠিক করা এবং এক্সপেরিএন্স শেয়ার করা। আপনাদের প্ল্যান অনুযায়ি অনেক ডিটেইলস ভিন্ন হতে পারে। তবে আশা করি যারা প্রথমবারের জন্য যাচ্ছেন, এই ট্যুর প্ল্যান কিছুটা হলেও আপনাদের হেল্প করবে। এই সেইম আইটিনারি কোন ট্রাভেল এজেন্সি এর কাছ থেকে নিলে খাবার, ইন্টারনাল ট্রান্সপোর্ট বাদেই খরচ ১,৬০,০০০/১,৭০,০০০ টাকা এর কাছাকাছি পরবে। সো এখানে আপনারা অনেকটা টাকা সেইভ করতে পারবেন।
হ্যাপি ট্রাভেলিং 😁😊