Sadid Tours & Travels

Sadid Tours & Travels ভ্রমন শরীর মনকে সতেজ রাখে, মস্তিষ্ককে উন্নত করে। পৃথিবীর যেকোন দেশে ভ্রমন করতে যোগাযোগ করুন…. ✈️

জর্ডান ও ব্রুনাইয়ে সরকারী আবেদনের লিংক
05/04/2024

জর্ডান ও ব্রুনাইয়ে সরকারী আবেদনের লিংক

Before going abroad, learn the language of the respective country and appropriate work. Go abroad knowing details about work

06/02/2024



আজকের এম্বাসি কতৃক প্রকাশিত নোটিশের সারকথা।
অতিরিক্ত ফাইল জমার তুলনায় কর্ম ক্ষমতা কম থাকায় অক্টোবর এর শেষ অব্দি যাদের ভিসা আবেদন (ফেইস) ফি অলরেডি জমা হয়ে গেছে বা ফেইস করে ফেলেছেন তাদের ভিসার কাজ চলমান থাকবে এবং অতি দ্রুত ফলাফল পাবেন।
চলমান ফেইস ডেইট নিয়ে আপাতত নিউজ দেয়নি।
আর যাদের পারমিট আসছে বা আসবে ফি দেন নাই তারা আগামী এপ্রিলের পরে ফেইস ডেইট পাবেন। 🥹
🙏ব্যক্তিগত মতামত - প্রিয় ভাইয়েরা। যারা অনেকদিন হয়ে গেছে পারমিট পাননি বা পেয়েছেন দয়া করে ভালো এজেন্সি হলে একটু ধৈর্য ধরেন। আপনি এখান থেকে অন্য জায়গায় দিলে সময় আরও বেশি লাগবে।
কাজেই ইউরোপ যেতে হলে যে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় তা থেকে পেছনে ফিরে যায়েন না। বাংলাদেশের এম্বাসি গুলোর মধ্যে ইন্ডিয়া আর কসোভোর এম্বাসিই বেশি ঝামেলা করে। তার মধ্যে অতিরিক্ত চাপ।
দুই আড়াই মাস অপেক্ষা করেন ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। যারা নতুন ফাইল জমা করবেন ভেবে ছিলেন তারা Kosovo কে সালাম করে মন্টিনিগ্রো বা নর্থ মেসডোনিয়াতে দিয়ে দেন ভালো এজেন্সি দেখে। আর তারা এও উল্লেখ করেছে যে, ভিসা প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করবে ভবিষ্যতে।
অপেক্ষিত ভাইদের জন্য আমার পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছুই নাই।
🥹🙏🙂

25/01/2024

অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় ও নিরাপদ দেশ হচ্ছে জার্মানি। এর পেছনের কারণ হচ্ছে ইউরোপের এই দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, অভিবাসীদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকুরি ও কর্মসংস্থার ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্বপ্ন থাকে জার্মানিতে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার। জেনে নেয়া যাক কী উপায়ে ঐতিহ্যবাহী জার্মানি যেতে হবে, ভিসার খরচ কেমন হবে এবং ভিসা পেতে কী কী কাগজ-পত্র (ডকুমেন্ট) লাগবে। সেই সঙ্গে দেশটির সাধারণ অভিবাসন নীতিমালা সম্পর্কেও জানা যাবে।

জার্মানির ভিসা আবেদনের নিয়মঃ

শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যপূর্ণ এই দেশটিতে যেতে হলে অবশ্যই যৌক্তিক কারণ ও বৈধ ভিসা থাকতে হবে। বৈধ ভিসা ছাড়া কেউই জার্মানিতে যেতে পারবেন না। জার্মানি যাওয়ার কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে। এদের মধ্যে ট্যুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (কাজের ভিসা)। কর্মসংস্থানের সুযোগ, শিক্ষা, উদ্যোক্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং বাসিন্দা হওয়া এসব কারণে মূলত দেশটিতে যেতে চায় অভিবাসন প্রত্যাশীরা। ভিসা প্রত্যাশীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা, হেলথ ইন্সুরেন্স ও জার্মান ভাষায় ন্যূনতম দক্ষতা থাকতে হবে।
পাঁচ ধরনের ভিসার আবেদনের পদ্ধতি আলাদা। প্রথমত, আপনাকে নির্দিষ্ট করতে হবে ভিসার ধরণ, অর্থাৎ কোন ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে চান।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ

আপনি যদি দক্ষ কর্মী হয়ে থাকেন তবে জার্মানির উদ্যোক্তা বা চাকরিদাতা আপনাকে স্পন্সরের মাধ্যমে স্বপ্নের দেশটিতে নিয়ে যেতে পারেন। এভাবে আপনি মর্যাদাকর ‘জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা’র মাধ্যমে দেশটিতে যেতে পারবেন। জার্মানিতে ব্যবসা পরিচালনা করে এমন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন আপনি। এই ভিসার আওতায় সেই দেশটিতে থাকা ও কাজ করার অনুমতি পাবেন আপনি। এই ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির দেয়া অফার লেটারটা সঙ্গে থাকা ভীষণ জরুরি। জার্মানিতে প্রায়ই দক্ষ অভিবাসী কর্মীর প্রয়োজন হয়৷ তাই জার্মান সরকার এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন।
জার্মানিতে ভালো বেতনের পাশাপাশি ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নিচে দেয়া হলো। জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার আগে নির্দিষ্ট কাজের ওপর দক্ষতা থাকতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি কার্ড) ফটোকপি থাকতে হবে।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা আইএলটিএসে ভালো স্কোর থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কাজের উপরে প্রশিক্ষণ সনদ থাকতে হবে।

বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সাক্ষরিত সনদপত্র ও বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি কার্ড) ফটোকপি লাগবে।
জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে এই সব ডকুমেন্ট/ নথিপত্র প্রয়োজন হয়। তাছাড়া, আপনি যদি জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট বা ওয়ার্ক ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে ন্যূনতম সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস হতে হবে। তাছাড়া জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জনের পর জার্মানিতে যেতে হবে। এই সব যৌগ্যতার সমন্বয়ে আপনি হাতে পেয়ে যেতে পারবেন স্বপ্নের ওয়ার্ক পারমিট ভিসাটি।

চাকরিপ্রার্থী ভিসা (জব সিকার ভিসা)ঃ

চাকরিপ্রার্থী ভিসার (জব সিকার ভিসা) মাধ্যমে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি জার্মানিতে এসে চাকরি/কাজ খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকে। এই বিশেষ ভিসার মেয়াদ ৬ মাস। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি যদি চাকরি বা কর্মসংস্থান করে ফেলতে পারেন তবে তাহলে জব সিকার ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় উন্নীত হবে। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তিনি কর্মসংস্থান খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ

জার্মান সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা সুবিধা দিয়ে থাকে। কেউ যদি দেশটিতে পড়তে যেতে চান, তাহলে তারা সরাসরি জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো অর্থ আয় করা যায়।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করলে, ভিসা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ মাত্র তিন মাস। এর পর এটি বৈধতা হারাবে। তবে ওই শিক্ষার্থী জার্মানিতে আসার পর যদি আরও বেশি সময় তার শিক্ষা কার্যক্রম সেখানে চালিয়ে যেতে চায় তবে তাকে আলাদাভাবে রেসিডেন্স পারমিটের (বসবাসের অনুমতি) জন্য আবেদন করতে হবে। এর পর সেই নির্ধারিত কোর্সের (শিক্ষা কার্যক্রম) মেয়াদ শেষ হবার পর চাকরি খোঁজার জন্য রেসিডেন্স পারমিটে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময় জার্মানিতে অবস্থান করা যাবে। চাকরি পাওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।

স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে জার্মানির যে ইউনিভার্সিটিতে আপনি ভর্তি হয়েছেন তাদের দেয়া ‘অ্যাডমিশন লেটার’ হাতে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পড়াশোনা চালানোর মতো যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।

উদ্যোক্তা হিসেবে অভিবাসন ভিসাঃ

আপনার যদি অভিনব ও দুর্দান্ত ব্যবসায়িক আইডিয়া/প্রস্তাব থাকে তবে আপনি এন্ট্রাপ্রেনিউর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সেই ব্যবসাকে জার্মানিতে চালু করার মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও নগদ অর্থ থাকতে হবে। এর সর্বনিম্ন পরিমাণ হচ্ছে ১০ লাখ ইউরো। শুরুতে অন্তত ১০ জার্মান নাগরিককে আপনার নতুন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিতে হবে।


ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ভিসাঃ

আপনি যদি জার্মান বাসিন্দার পরিবারের সদস্য অথবা তার ওপর নির্ভরশীল (স্পাউজ বা সন্তান) হয়ে থাকেন তবে ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জার্মানিতে বসবাসরত পরিবারের মূল সদস্যের সঙ্গে থাকার আবেদন করতে হলে সন্তানদের বয়স ১৬ বছরের নীচে হতে হবে। তবে এমন নির্ভরশীল সদস্যের বয়স ১৬ এর বেশি হলে তাকে জার্মান ভাষার ওপর দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।

ট্যুরিস্ট ভিসাঃ

যারা জার্মানি পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করতে চান তাদের অবশ্যই জার্মানির ট্যুরিস্ট ভিসা (পর্যটক) নিতে হবে। জার্মানির ট্যুরিস্ট ভিসাকে অনেকেই ভিজিট ভিসা বলে থাকেন। জার্মান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে৷ জার্মান দূতাবাস থেকে সরাসরি এই ভিসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে।

কোন কাজে কত বেতনঃ

জার্মানিতে একজন কর্মীকে কত বেতন দেয়া হয়ে থাকে তা জানার আগ্রহ অনেকেরই আছে। জার্মানিতে একজন কর্মী মাসে সর্বনিম্ন দুই থেকে ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ বেতন পান। অর্থাৎ সেখানে ন্যূনতম মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকা। জার্মানিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন কাজ (পার্টটাইম) করেও মাসে এক লাখ টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
জার্মানিতে মোট কাজের সময় ৮ ঘণ্টা এবং অনেকেই এই সময়ে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারেন।

যেসব কাজের চাহিদা বেশিঃ

বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি এই দেশটিতে কাজ করছেন। সেখানে দক্ষ শ্রমিক ও কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য চাকরি হলো সিকিউরিটি গার্ড, ফুড প্যাকেজিং, শপিং মল, ড্রাইভিং, মেকানিক্যাল, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ক্লিনিং ম্যানের।
অন্যদিকে আপনি যদি জার্মানিতে যেয়ে থাকেন, আপনাকে প্রথমে এই সমস্ত কাজে প্রশিক্ষণ থাকা জরুরি। আপনি ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন যদি আপনি নির্দিষ্ট কিছু চাকরি বা কর্মে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন।


জার্মানিতে কোন ভিসায় যাওয়া সহজঃ

অনেকেই জানতে চান কোন ভিসায় দ্রুততম সময়ে জার্মানিতে যাওয়া যায় এবং কোন ভিসা সহজে পাওয়া যায়। বর্তমানে, জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশ থেকে সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা বা জব সিকার ভিসার মাধ্যমে জার্মানিতে যেতে পারেন।

অনার্স বা মাস্টার্স শেষ করার পর আপনি সহজেই স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করে জার্মানিতে যেতে পারেন। তবে জার্মানিতে যাওয়ার আগে আপনার ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, তাহলে সেখানে ভালো করতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা চাইলে স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানিতে পার্ট-টাইম কাজ করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আগে জার্মানি যেতে হলে অনেক কষ্ট করতে হতো। কিন্তু এখন ট্যুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় যে কেউ সহজেই জার্মানিতে যেতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে জার্মান দূতাবাসে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে এবং তারপর ভিসা পেতে পারেন।

আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ সমস্ত তথ্য নিয়ে সরাসরি জার্মান দূতাবাসে যেতে হবে এবং আপনি যে ধরণের ভিসা চান সে সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। তারপর তাদের শর্তানুযায়ী সব কাজ শেষ করে কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাঙ্খিত জার্মান ভিসা। এতো ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে না চাইলে বাংলাদেশে অনেক ভিসা এজেন্সি আছে তাদের কাছে যেতে পারেন যারা গ্রাহকদের কোনো ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো দেশের ভিসা দিয়ে থাকে।

আপনি সরাসরি এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জার্মানির ভিসা পেতে পারেন।

জার্মানির ভিসা পেতে লাগে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জার্মানি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে অর্থাৎ জব ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যেতে হলে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এই কাগজপত্রগুলো জার্মান দূতাবাসে জমা দেওয়ার পরে তারা কোম্পানির কাছে পাঠাবে এবং সবকিছু যাচাই করার পরে কোম্পানি আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যোগ্য বিবেচনা করলে ভিসা ইস্যু করবে।

জার্মানি ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার সার্টিফিকেট, ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং চেয়ারম্যানের সত্যায়িত সনদ। জার্মান দূতাবাসে সত্যায়িত করা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে হবে।

সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদ রয়েছে এরকম একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। নিজের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ছাড়াও বাবা-মার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। জার্মান দূতাবাস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করতে হবে। উপরে উল্লিখিত সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করার পরে, জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর কোন কিছুতে ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিতে হবে।

জার্মানির ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগেঃ

জার্মানির ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে কারো কারো জন্য সময় বেশি লেগে যেতে পারে।

জার্মানি যেতে কত টাকা লাগতে পারেঃ

জার্মানিতে যেতে কত খরচ হয় বা জার্মানিতে ভিসার জন্য বর্তমানে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকা জরুরি। যারা ওয়ার্ক ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে জার্মানি যেতে চান তাদের খরচ হবে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা। কেউ স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে জার্মানিতে যেতে চাইলে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হবে।

আপনি জার্মানিতে থাকার সময় প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ইউরো অতিরিক্ত খরচ হবে৷ খাবার এবং বাসস্থানসহ মাসে খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ৪০০ ইউরো।

ঢাকার জার্মান সাংস্কৃতিক সেন্টার গ্যেটে ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সংস্থায় জার্মান ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।

মিশর ট্যুর 🇪🇬আসসালামু আলাইকুম … আমি সৌদি আরব প্রবাসী। সৌদি এনআইডি ( ইকামা) থাকার সুবাদে মিশরে ভিসা-অন-এরাইভেল পেয়েছি। আম...
25/01/2024

মিশর ট্যুর 🇪🇬

আসসালামু আলাইকুম … আমি সৌদি আরব প্রবাসী। সৌদি এনআইডি ( ইকামা) থাকার সুবাদে মিশরে ভিসা-অন-এরাইভেল পেয়েছি। আমি আর আমার স্ত্রী ফ্লাইনাস এয়ারলাইনে সরাসরি জেদ্দা থেকে কায়রো টিকেট করি। জেদ্দা এয়ারপোর্টে মিশরের ভিসা না থাকায় বর্ডিং দিতে একটু সময় নিয়েছে। পরে ২/৩ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে সৌদি ইকামার পর্যাপ্ত মেয়াদ আর রিটার্ন টিকেট, হোটেল বুকিং থাকায় আর ঝামেলা করে নাই। মিশরের যেকোন এয়ারলাইন্সের টিকেট কাটলে এই ঝামেলাটা হয়তো হতো না।

ডে বাই ডে বিস্তারিত নিচে দেয়া হলোঃ

ডে-১ঃ জেদ্দা টু কায়রো গমন

জেদ্দা থেকে কায়রো যেতে আড়াইঘন্টা লাগে। সকাল ১১ঃ৩০-এ কায়রো পৌছায়। কায়রো এয়ারপোর্ট খুবই অগোছালো মনে হলো। ঢুকেই হাতের বামে কায়রো ব্যাংক থেকে ২৫$ ক্যাশ দিয়ে ভিসা স্টিকার কিনি। তারপর ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়াতে হয় প্রায় ১ ঘন্টা। ইমিগ্রেশন সৌদি এনআইডি আর পাসপোর্ট চেক করেই সাথে সাথেই এন্ট্রি সিল দিয়ে দেয়।
লাগেজ ক্লেম শেষে বের হয়ে দেখি কোন মানিএক্সচেন্জ নাই। উবার ডাকতে ইন্টারনেট লাগবে তাই এয়ারপোর্ট থেকেই সিম কিনা। ভোডাফোন সিম কিনি ১০$ দিয়ে যেখানে ৩০ দিনের জন্য ১৭জিবি ইন্টারনেট আর ১০০০ ফ্রি লোকাল মিনিট ছিলো। এয়ারপোর্টের ফ্রি ওয়াইফাই কোনভাবেই কানেক্ট করতে পারলাম না। পারলে হয়তো সিম না কিনে আরো কম দামে বাহির থেকে সিম কিনতে পারতাম।

উবারে কায়রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি গিজার “হায়াত” হোটেলে গিয়ে উঠি। যেতে ১ঘন্টার মত লাগে। ইজিপ্সিয়ান পাউন্ড( গিনি) না থাকায় উবারকে ডলারে পে করা লাগলো। হোটেলেও ডলারে পে করলাম। তারপর হোটেল থেকেই ১০০$ এক্সচেন্জ করলাম। ১ ডলার = ৩১ গিনি দিলো যেটা অনলাইনে ৩০.৮৫ দেখাচ্ছিলো।

হোটেল রুমে মালপত্র রেখে সরাসরি গেলাম হোটেলের রুফটফ ওপেন রেস্টুরেন্টে। হোটেলটা পিরামিডের একেবারে উল্টাপাশে - অসাধারন ভিউ ছিলো। পিরামিড ভিউ রুম না পেলেও সেটা পরে পোষায় গেছে। ৪০$/ডে তে এই হোটেলটা যথেষ্ট ভালো পেয়েছি। ফ্রি ব্রেকফাস্টও ইনক্লুডেট ছিলো।

তারপর গেলাম লান্চ করতে। হোটেলের নিচেই একটা মিশরীয় রেস্টুরেন্ট ছিলো। এ্যাম্বিয়েন্স ভালো মনে হলো। কিন্তু অনেক ট্রাভেল গ্রুপ একসাথে লান্চ করছিলো দেখে ভীড় ছিলো আর ওয়েটারও আমাদেরকে তেমন একটা গুরুত্ব দিলো না। প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম তাই আর অন্য কোথাও যাবার শক্তিও ছিলো না। অর্ডার দিলাম রাইস ও কবুতর ফ্রাই আর চিকেন বারবিকিউ। সাথে ফ্রেস জুস আর সফ্ট ড্রিংক্স। খরচ ১৪$।

তারপর রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যার আগে আগে গেলাম রুফটপে। এক কাপ কফি নিয়ে পিরামিডের পাশে সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ ছিলো।
রাত হতেই প্রচন্ড শীত নামে গিজাতে। হোটেল থেকে বের হয়ে দোকানপাটে ঘুরাঘুরি করলাম। দেখি সব দোকানীরাই ডলার কেনাবেচার দালাল। রেটও আকাশচুম্বী!! ১$ = ৫০-৫৫ গিনি। এ ব্যাপারে অনলাইলে পড়েছিলাম কিন্তু মনে হলো পুরো গিজাই ডলার কেনাবেচার ব্ল্যাকমার্কেট। ১০০ ডলার ক্যাশ দিয়ে ৫০০০ গিনি পেলাম। সন্দেহ হচ্ছিলো জাল নোট নাকি..! চেক করে দেখি ঠিকই আছে। অনেকেই এদের কাছ থেকে ডলার-ইউরো ভাঙ্গাচ্ছে। কোন দুই নম্বরি নাই।

তারপর এক লোকালের সহায়তায় অথেনটিক ইজিপসিয়ান রেস্টুরেন্টের খোঁজ পেলাম। অর্ডার দিলাম আধা কিলো মিক্সড কাবাব ( খাসি- মুরগী- কবুতর) আর লাবান/ড্রিংক্স। দুপরের থেকে বেটার আর ফ্রেস খাইলাম। খরচ ৯$।

ডে ২ঃ গিজা ঘুরোঘুরি

২য় দিন সকালে উঠেই গেলাম রুফটপে ব্রেকফাস্ট করতে। পিরামিড এন্ট্রি শুরু হয় সকাল ৯টায়। ভীড় এড়াতে গেলাম ৯ঃ৩০ এ। এন্ট্রি ৫৭০ গিনি/জন। স্টুডেন্ট কার্ড থাকলে ৫০% অফ। কিন্তু সব পেম্যান্ট ক্রেডিট কার্ড দিয়ে করতে হয়। কার্ড না থাকলে পাশে লোকাল দালাল আছে। তারা ৭০০ গিনি করে নিবে। তাদের কার্ড দিয়ে তারা পে করে দিবে।

পিরামিডের পুরো এলাকাটা বিশাল বড়। শুরুতে হেটে ঘুরার চিন্তা করলেও পরে একটা ঘোড়া-গাড়ী নিলাম দামাদামি করে ঘন্টা ৩০০ গিনি হিসেবে। তারা ৩টা পিরামিডের প্যানারোমিক ভিউয়ের এলাকাতে নিয়ে গেলো।

বড় পিরামিড ( খুফু ) অনেক কাছাকাছি গিয়ে দেখলাম। পিরামিড যে বিশাল বড় সেটা ছবি দেখে আন্দাজ করা কঠিন। খুফু পিরামিড লম্বায় ৪৫তলা বিল্ডিং-এর সমান। ৪০০০ বছর ধরে এটা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও উঁচু মানবসৃষ্ট স্থাপনা এটা। খুফু পিরামিড পুরোটা হেটে একবার ঘুরতে ১৫-২০ মিনিট লাগে। পাথরগুলো কি অসাধারণ ভাবে কেটে বসানো হয়েছে। নিখুঁত জ্যামিতি! যেটাকে বলে লেজার-প্রিসিশন। আগে পিরামিডের উপরে উঠা যেতো। এখন আর খুব উপরে উঠার অনুমিত নাই। আশাপাশে অনেক ট্যুরিস্ট পুলিশ। পিরামিডের ভিতরে ঢুকার জন্য আলাদা করে টিকেট কাটা লাগে ( ১০০০ গিনি/পিরামিড)।

শুধু এই একটা পিরামিড দেখতেই মিশর আসা স্বার্থক। টাকা উসুল! 😌

আর আমরা পিরামিড দেখা শেষে যেখানে ঘোড়াগাড়ী নামায়ে দিলো সেখানেই দা গ্রেট স্ফিন্ক্স অব গিজা। এটাও বিশাল , লম্বায় ২০ মিটার। নিচে একটা টেম্পেল আছে। এটাকে খুব একটা ভালো লাগে নাই। সিংহদেহী মানুষ তাও নাক ভাঙ্গা। 😜

ঐ এলাকাতে মোট ৯টা পিরামিড আছে। ৩টা পিরামিডই অক্ষত। বাকীগুলো কম-বেশি ভাঙ্গা। ৯টা পিরামিডের প্যানারোমিক ভিউ দেখতে হলে উট ভাড়া করা লাগবে।

এছাড়া গিজায় সাক্কারা পিরামিড, পাপাইরাস মিউজিয়াম আর ইউসুফ (আ)-এর জেলখানা দেখা যেতো। কিন্তু দুপুরে কায়রো টু হুর্গহাদা ( রেড সি বিচ ) যাবার ফ্লাইট থাকায় আমরা কায়রো ব্যাক করি।
চলবে….

ঘুরে এলাম স্বপ্নের থাইল্যান্ড এখানে অনেকেই থাইল্যান্ডে অনেকবার ট্যুর দিয়েছেন, তাই তারা আমার থেকে অনেক ভালো বলতে পারবেন,...
25/01/2024

ঘুরে এলাম স্বপ্নের থাইল্যান্ড

এখানে অনেকেই থাইল্যান্ডে অনেকবার ট্যুর দিয়েছেন, তাই তারা আমার থেকে অনেক ভালো বলতে পারবেন, কিন্তু আমার এই পোস্ট টা তাদের জন্য, যারা প্রথমবার ট্রাভেল করছেন্ আর মোস্ট ইমপোরটেন্টলি, কোনো ট্রাভেল এজেন্সী ছাড়া সম্পূর্ণ নিজে নিজে প্ল্যান করে ট্যুর দিতে চাচ্ছেন।

আমাদের এই ট্রিপের পুরো আইটিনারি প্ল্যান করা থেকে শুরু করে হোটেলবুকিং, ফ্লাইটবুকিং, আইল্যান্ড আর সিটি ট্যুর প্ল্যানিং আমাদের নিজেদের করা, কোন থার্ডপার্টি বা ট্রাভেল এজেন্সি ইনভলভ্ড ছিলো না

আমাদের ট্রিপ টা ছিলো ৮ রাত ৯ দিনের

৩ রাত Bangkok
৩ রাত Phuket
২ রাত Phi Phi Islands

নিচে পুরো ডিটেইলস দেয়া হলো

Day 1: Fly to Bangkok in US BANGLA Airlines. ফ্লাইট ছিলো সকাল ১০ টায়, কিন্তু ফ্লাইট ১ ঘণ্টা লেট হওয়ায় বাংলাদেশ ছেড়ে যায় সকাল ১১ টায়। থাইল্যান্ড পৌঁছে ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেল এ চেক ইন করতে করতে বেলা ৪ টা। প্রথমদিন আঁশেপাশে শপিং মল (Terminal 21) এবং sukumvit ঘুরে ডিনার করে হোটেলে এসে ঘুম দিলাম কারণ পরের দিন Phuket এর ফ্লাইট

Day 2: Fly to Phuket from Bangkok. সকাল ১০ টায় এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট ধরে ফুকেটের উদ্দ্যেশে রওনা দেই। ১১ঃ৩০ এ ফুকেট পৌঁছে শাটল সার্ভিসের মাধ্যমে হোটেলে পৌঁছাই দুপুর ১ঃ৩০ এ। এখানে একটু বলে রাখি, ১/২ জন ট্রাভেল করলে এয়ারপোর্ট থেকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মোড অফ ট্রান্সপোর্টেশন হচ্ছে শাটল সার্ভিস কারণ গ্র্যাব বা ট্যাক্সি তে ডাবল খরচ হবে। তবে ৪ জন এর গ্রুপ হলে গ্র্যাব বেস্ট অপশন কারণ তখন এয়ারপোর্টও থেকে বের হয়েই চলে যেতে পারবেন। শাটলএর জন্য ওয়েট করা লাগবে না।

ফুকেট পৌঁছে হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে বের হই লাঞ্চ এর জন্য। চমৎকার ভিউ এর সাথে লাঞ্চ শেষ করে একটু Patong Beach Phuket Thailand ঘুড়ে হোটেলে ফিরে রেস্ট করলাম। এরপর সন্ধ্যায় বের হলাম বিখ্যাত বাংলা রোড এক্সপ্লোর করতে। ওখান থেকেই রাতের ডিনার শেষ করে হোটেলে এসে ঘুম, কারণ পরদিন আমাদের Phi Phi Island এ ট্যুর ছিলো

Day 3: Transfer to Phi Phi Islands in Ferry. ফি ফি আইল্যান্ডে যাওয়ার অনেকগুলো ফেরি সার্ভিস আছে, যার মধ্যে আমরা বেছে নিয়েছিলাম ফি ফি ক্রুসার। এই কোম্পানির সুবিধা হলো আপনি ফুকেটে যেই হোটেলেই স্টে করবেন, আপনাকে হোটেল থেকে পিক করে ডকে নিয়ে যাবে। এইখরচ টা ফেরী টিকেটে ইনক্লুডেড। আমরা সকাল ৭ঃ৩০ এ ডকে যাবার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি এবং সকাল ৮ঃ৪৫ এ rassada pier এ পৌঁছাই। ফেরী ছাড়ে সকাল ৯ঃ১৫ তে। ২ঃ৩০ ঘণ্টার ম্যাজিকাল রাইড শেষে আমরা ফি ফি আইল্যান্ডের টন সাই পিয়েরে পৌঁছাই বেলা ১২ টায়।

ডকে নেমেই প্রথমে পরেরদিনের আইল্যান্ড হপিং এর জন্য ট্যুর প্যাকেজ ঠিক করে ফেলি। এখানে বেশ কিছু ট্যুর কোম্পানি এর শপ পাবেন, একটু ভালো করে দেখেনিবেন কোন প্যাকেজ টায় সবচেয়ে কম টাকায় সবচেয়ে বেশি একটিভিটি পাবেন। অবশ্যই ভালো মত দামদর করে নিবেন।

এরপর আমরা হোটেল এ চেক ইন করি। আমাদের হোটেলটা আইল্যান্ডের অনেকটাই ভেতরে ছিলো তাই অনেক হাঁটতে হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, ফি ফি তে কোন ট্যাক্সি বা টুকটুক নাই, সবখানে পায়ে হেঁটে যেতে হবে, সো প্রচুর হাঁটার প্রিপারেশন নিয়ে রাখা ভালো।

হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে একটু সুইমিং পুলের ইনফিনিটি ভিউ উপভোগ করলাম, এবং পাশের বীচের স্বচ্ছ টল টলে নীল পানিতে গা ভিজালাম। এত স্বচ্ছ, ক্রিস্টাল ক্লিয়ার পানি, প্রাণ জুড়িয়ে যায় পুরা। এরপর ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চের জন্য বের হলাম। লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিয়ে বের হলাম আইল্যান্ড এক্সপ্লোরে। চমৎকার এই প্যারাডাইজ এক্সপ্লোর করতে করতে কখন যে ডিনারের টাইম হয়ে গেলো টের ই পেলাম না। এরপর ডিনার করে আরও কিছুক্ষন বীচে হাঁটাহাটি করে রুমে ব্যাক করে ঘুম।

Day 4: সকালে একটু দেরিকরে ঘুম থেকে উঠে হোটেলেই ব্রেকফাস্ট করে বের হলাম আমাদের আজকের দিনের একটিভিটি আইল্যান্ড হপিং এ। আমরা আগেরদিন ৭ আইল্যান্ড ট্যুর প্যাকেজটি নিয়েছিলাম যার মধ্যে এনক্লুডেড ছিলো ব্যামবু আইল্যান্ড, মাঙ্কি আইল্যান্ড, ন্যুইট বে, পিলেহ ল্যাগুন, ভাইকিংস কেভ আর বিখ্যাত মায়া বে। মায়া বে প্রতি বছর অগাস্ট সেপ্টেম্বর এই দুইমাস বন্ধ থাকে পর্যটক দেড় জন্য। অক্টোবর এর ১ তারিখ থেকে আবার খোলা। তাই আপনারা যারা ফি ফি আইল্যান্ড যাবেন, চেষ্টা করবেন অক্টোবর এ যেতে।

আমাদের যাত্রা স্পিড বোটে করে শুরু হয় দুপুর ১২ঃ৩০ এ, প্রথমেই যাই ব্যামবু আইল্যান্ডে। আমাদের স্পিডবোট টা বড় ছিলো এবং আমাদের সাথে বিভিন্ন দেশের আরও ২২-২৩ জন ট্যুরিস্ট ও ছিলেন। এরপর ওখান থেকে মাঙ্কি আইল্যান্ড, ন্যুইট বে তে গিয়ে পরে পিলেহ ল্যাগুন এ গিয়ে স্নরকেলিং করি। আপনারা যারা ভালো সুইমিং পারেন, তারা অবশ্যই এই একটিভিটি টা করবেন, কারণ পানির নীচে রঙ বেরঙের মাছ আর বেবী শার্ক দেখার এক্সপেরিয়েন্স টা মিস না করাই ভালো। কিন্তু সাঁতার না জানলে এইএকটিভিটি না করাই ভালো, কারণ পানিতে অনেক ঢেউ থাকে।

স্নরকেলিং শেষে আমরা যাই এইদিনের ট্রিপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গায়, মায়া বে তে। যারা গিয়েছেন তারা জানেন, যারা জাননি, অবশ্যই যাবেন। মায়া বে তে আলাদা এন্ট্রি ফি পার পারসন ৪০০ বাহ্ত, যেটা আমাদের প্যাকেজে ইনক্লুডেড ছিলো। মায়া বে তে ৩০ মিনিট ছিলাম, এরপর ঐখান থেকে রওনা হয়ে সানসেট দেখে আমরা আমাদের ওইদিন এর ট্যুর শেষ করি সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ এ।ফি ফি আইল্যান্ডে সবকিছু অনেক তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, তাই আমরা হোটেলে ফ্রেশ হয়েই ডিনার এর জন্য বের হই। রাতে ফি ফি এর বিখ্যাত হিপিস বারে লাইভ ফায়ার শো দেখতে দেখতে চমৎকার ডিনার সেরে নিয়ে আমাদের ফি ফি আইল্যান্ড ট্রিপ শেষ করি

Day 5: Phi Phi Island থেকে ফেরীত ফুকেট চলে আসি সকাল ১১ঃ৩০ টায়। ডক থেকে হোটেলে এসে পৌঁছাই দুপুর ১২ঃ৩০ এ। হোটেলে চেক ইন করে লাঞ্চের জন্য বের হই। তখন আমাদের পরের দিনের ফুকেট ডে ট্রিপ এর প্যাকেজ টা ঠিক করে ফেলি। আমাদের হোটেলের পাশেই একটা ট্যুর কোম্পানির শপ ছিলো, ওখানে গিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ এক্সপ্লোর করে দামাদামি করে আমরা একটা ডে ট্রিপের প্যাকেজ সিলেক্ট করি। এরপর লাঞ্চ করে, হোটেলে কিছুক্ষন সুইমিং পুলে দাপাদাপি করে একটু রেস্ট নিয়ে বাংলা রোড এক্সপ্লোর করতে বের হই। এরপর রাতে ডিনার করে ঘুম।

Day 6: সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট সেড়ে হোটেল লবিতে ওয়েট করি, এরপর আমাদের ডে ট্যুর এর ড্রাইভার এসে আমাদের পিক আপ করে নিয়ে যায়। আমাদের সাথে গাড়িতে আরো ১০ জন ছিলো।

শুরুতেই আমরা স্টার্ট করি এলিফেন্ট স্যাঙ্কচুএরি ভিজিট করে। সেখানে কেও কেও এলিফ্যান্ট সাফারি নিয়েছিলো, কিন্তু আমরা নেই নি। বাট হাতির সাথে ছবি তুলে আর সময় কাটিয়ে ভালোই লেগেছিলো। এরপর ওইখান থেকে আমরা গেলাম ওল্ড টাউন ফুকেট দেখতে। খুবই কালারফুল একটা প্লেস। ছবি তোলার জন্য পারফেক্ট। এরপর গেলাম ক্যাশোনাট ফ্যাক্টরি, হানি হার্ভেস্টীং, এবং এরপর শ্যালং (Challong) টেম্পলে। সেখান থেকে বিগ বুদ্ধা দেখতে গেলাম, যেটা পাহাড়ের একদম টপে এবং এখান থেকে চারপাশে পুরো ফুকেট দেখা যায়। ট্রিপের মেইন এট্রাকশান, টাইগার কিংডমে, বাঘের সাথে ছবি তোলার জন্য। বাঘের এতো কাছ থেকে এক্সপেরিয়েন্স করাটা ছিলো একটা ওয়াইল্ড এডভেঞ্ছার। অবশ্যই এটা ট্রাই করবেন। সেখান থেকে হোটেলে ব্যাক করে আমাদের ওইদিনের ডে ট্রিপের সমাপ্তি।

Day 7: Fly back to Bangkok. সকাল ১০ টার ফ্লাইটে ব্যাংকক এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ব্যাংকক পৌঁছে দুপুর ১ টায় হোটেলে চেক ইন করি। এরপর বের হই শপিং এ। প্রথম দিন MBK তে শপিং সেড়ে একেবারে রাতে ডিনার করে হোটেলে এসে ঘুম।

Day 8: Last Day. সকাল ১০ টা থেকে শপিং এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে প্লাটিনাম মল, প্রাতুনাম এসব জায়গা ঘুরে টুক টাক কেনা কাটা সেরে ৫ টায় হোটেলে ব্যাক করে ফ্রেশ হয়ে আমাদের এবারের থাইল্যান্ড ট্যুর এর লাস্ট এক্টিভিটি করার জন্য বের হই, যেটা হচ্ছে প্রায়া লিভারে রিভার ক্ররুজ। গ্র্যাব নিয়ে সোজা এশিয়াটীক রিভারফ্রন্ট পিএরে চলে যাই সন্ধ্যা ৭ টায়। ৭ঃ৪৫ এ আমাদের ক্রুজ স্টার্ট। পুরো ২ ঘন্টার এই ক্রুজে ফ্রি বাফেট ডিনার ও ইঙ্কলুডেড ছিলো। এখানে পুরো ব্যাংকক এর একটা গ্লিম্পস আপনি পেয়ে যাবেন। ব্যাংকক এলে অবশ্যই এটা ট্রাই করবেন। রাত ৯ঃ৪৫ এ ক্রুজ শেষ করে হোটেলে ফিরে একটু আশেপাশের এরিয়া এক্সপ্লোর করে শুয়ে পরি, কারন পরদিন আবার ফিরতি ফ্লাইট।

Day 9: বেলা ৩ঃ৩০ এ US Bangla এর ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছাই বিকাল ৫ঃ৩০ এ।

এটা ছিল আমাদের ৮ দিনের আইটিনারি। এবার আমাদের পুরো ট্রিপের খরচের একটা সামারি দিচ্ছি

১। ঢাকা-ব্যাঙ্কক-ঢাকা ফ্লাইট (US Bangla): ২ জনের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ফেয়ার ছিলো ৬০,০০০/= টাকা
২। ব্যাঙ্কক-ফুকেট-ব্যাঙ্কক (Air Asia): ২ জনের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ফেয়ার ছিলো ১৮,০০০/= টাকা
৩। ব্যাঙ্কক হোটেল (৩ রাত) - Arawana Regency Hotel - টোটাল ১০,০০০/= টাকা
৪। ফুকেট হোটেল (৩ রাত) - Patong Lodge Hotel - টোটাল ১২,০০০/= টাকা
৫। ফি ফি আইল্যান্ড হোটেল (২ রাত) - U Rip Resort - টোটাল ১3,০০০/= টাকা
৬। ফুকেট ডে ট্রিপ - টোটাল ৩০০০ বাহত = ৯০০০/= টাকা
৭। ফি ফি আইল্যান্ড ট্রিপ - টোটাল ২৬০০ বাহত = ৭২০০/= টাকা
৮। ফুকেট-ফি ফি-ফুকেট ফেরী - টোটাল - ৫৫০০/= টাকা
৯। এশিয়াটিক রিভার ক্রুজ - টোটাল - ৫৫০০/= টাকা
১০। খাবার (ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুর, রিভার ক্রুজ এর ডিনার আর ওল ব্রেকফাস্ট বাদে, এগুলা ইঙ্কলুডেড ছিলো) - পার মিল এভারেজ ৩০০ বাহত (২ জনের), ১৪ বেলা = ৩০০x১৪= ৪২০০ বাহত = ১২,৬০০/= টাকা, সাথে স্ট্রিট ফুডের জন্য আরো ২,৪০০ টাকা, টোটাল = ১৫,০০০/=
১১। লোকাল ট্রান্সপোর্টঃ (গ্র্যাব, বি টি এস, শাটল) - টোটাল ৩৮০০ বাহত = ১১,৪০০ /= টাকা
১২। শপিং - এটা যার যার বাজেট অনুযায়ী।
১৩। ভিসা ফি - ৯,৫০০ (২ জনের)
১৪। টুরিস্ট সিম - ৫০০ বাহত = ১৫০০ টাকা

আমাদের টোটাল ব্যাংকক ট্রিপের খরচ (শপিং বাদে) = ৬০,০০০+১৮,০০০+ ১০,০০০+১২,০০০+১৩,০০০+৯,০০০+৭,২০০+ ৫,৫০০+৫,৫০০+১৫,০০০+১১,৪০০+৯,৫০০+১৫০০ = ১,৭৭,৬০০/= টাকা (২ জনের)

কিছু টিপ্স/নোটঃ

১। ভিসা করিয়েছিলাম শেয়ারট্রিপ থেকে (ব্যাঙ্ক স্টেট্ম্যান্ট, স্যালারি সার্টিফিকেট, এন ও সি, ২ কপি করে ছবি লাগবে), ভিসা পেতে সময় লেগেছিল ১০ দিন।
২। সমস্ত হোটেল, ডমেস্টিক ফ্লাইট, ফি ফি আইল্যান্ড যেতে ফেরী এগুলো বুক করেছিলাম বুকিং ডট কম আর এগোডা থেকে।
৩। ব্যাঙ্ককে যতটা সম্ভব বি টি এস মেট্রো ইউজ করবেন। টুক টুক পরিহার করাই ভালো
৪। খাবারের খরচ কিছুটা কমাতে চাইলে সেভেন ইলেভেন থেকে রেডিমেড ফুড কিনে নিতে পারবেন।
৫। থাইল্যান্ডে যেকোন জিনিষ কেনার ক্ষেত্রে দামাদামি করে নিবেন।
৬। শপিঙের ক্ষেত্রে
- ব্র্যান্ডের ভালো কোয়ালিটির জিনিষ পাবেন - Icon Siam, Terminal 21
- ভালো জুতা এবং ডিলস এন্ড ডিস্কাউন্ট এর জন্য - MBK
- ড্রেস এবং এক্সেসরিজ - Platinum Mall, Pratunam

থাইল্যান্ডে এখন জুতা, ড্রেস এগুলো রিজনেবল বাজেটে কিনতে পারলেও গ্যাজেট, ব্যাগ এগুলো বাংলাদেশে মাচ বেটার কোয়ালিটির পাবেন। কস্মেটিক্স ব্র্যান্ড শপ থেকে নেয়াই ভালো।

উপরের ডিটেইলস এটা সম্পুর্ন আমাদের নিজেদের ঠিক করা এবং এক্সপেরিএন্স শেয়ার করা। আপনাদের প্ল্যান অনুযায়ি অনেক ডিটেইলস ভিন্ন হতে পারে। তবে আশা করি যারা প্রথমবারের জন্য যাচ্ছেন, এই ট্যুর প্ল্যান কিছুটা হলেও আপনাদের হেল্প করবে। এই সেইম আইটিনারি কোন ট্রাভেল এজেন্সি এর কাছ থেকে নিলে খাবার, ইন্টারনাল ট্রান্সপোর্ট বাদেই খরচ ১,৬০,০০০/১,৭০,০০০ টাকা এর কাছাকাছি পরবে। সো এখানে আপনারা অনেকটা টাকা সেইভ করতে পারবেন।

হ্যাপি ট্রাভেলিং 😁😊

17/01/2024
17/01/2024

গ্রামীন পরিবেশে কুযাশায় সড়কপথ অসাধারন

#কুয়াশা

28/12/2023

ভ্রমণ ভিসায় কাজের সুযোগ তৈরি করেছে যুক্তরাজ্য। এতদিন ভ্রমণ ভিসায় কাজের সুযোগ ছিল না। গত ৭ ডিসেম্বর এই নিয়ম পরিবর.....

১-২ টি দেশ ট্রাভেল ও ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা থাকলে নো ভিসা নো সার্ভিস চার্জে কানাডার টুরিস্ট ভিসা।
28/12/2023

১-২ টি দেশ ট্রাভেল ও ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা থাকলে নো ভিসা নো সার্ভিস চার্জে কানাডার টুরিস্ট ভিসা।

ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা করুন ফ্রেশ পাসপোর্টে.!🇮🇳সঠিক গাইডলাইন ও নির্ভুলভাবে ভিসা প্রসেস করুন Sadid Tours & Travels থেকে।ভ...
28/12/2023

ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা করুন ফ্রেশ পাসপোর্টে.!🇮🇳
সঠিক গাইডলাইন ও নির্ভুলভাবে ভিসা প্রসেস করুন Sadid Tours & Travels থেকে।

ভিসা প্রসেসের সঠিক গাইডলাইন পেতে কল বা WhatsApp করুন নিম্নোক্ত নম্বরেঃ
📞Visa Support:- +8801921082819

🔰ইন্ডিয়ান ভিসার করার জন্য :-
👉 ছবি ১ কপি ২"/২"‌ ।
👉 NID ফটোকপি।
👉 বিদ্যুৎ বিল ফটোকপি।
👉 ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ডলার এন্ডোর্সমেন্ট।
👉 ব্যাবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
👉 চাকুরীজিবী হলে NOC লাগবে।
👉 মেডিকেল ভিসার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসা পত্রের মেডিকেল পেপার সমূহ।
👉 পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
👉 পূর্বে ভারতে ভ্রমণ করে থাকলে সর্বশেষ ভিসার ফটোকপি।
👉 যেই বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া যাইতে চান সেই বর্ডারের নাম।
👉 মোবাইলে ম্যাসেজের জন্য সক্রিয় মোবাইল নাম্বার

আমাদের সাপোর্ট টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে আপনার সেবায়।
✅আমাদের উল্লেখযোগ্য সেবাসমুহ হচ্ছে:
➡ Visa Processing.
➡ Tour Package.
➡ Air Ticket.
➡ Group/Corporate Tour.
➡ Group Visa Process.
➡ Hotel & Resort Booking.

🛑Please inbox us for more queries & information.!

আপনার ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন

সুখবর🇮🇹সুখবর!এই প্রথম জাল নুলস্তা ঠেকাতে ইতালি নুলস্তায় থাকতে পারে QR Code? 👍এবার ইতালির নুলস্তা চেক করবেন ঘরে বসে নিজে ...
16/12/2023

সুখবর🇮🇹সুখবর!এই প্রথম জাল নুলস্তা ঠেকাতে ইতালি নুলস্তায় থাকতে পারে QR Code? 👍
এবার ইতালির নুলস্তা চেক করবেন ঘরে বসে নিজে নিজে ???🇮🇹🇪🇺

ইউরোপ এর তথ্য জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ

14/12/2023
Contact with us for
07/12/2023

Contact with us for

06/12/2023

প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ী মো. নেছার আহমেদ। তার প্রতিষ্ঠানে মাঝেমধ্যে লিফলেট ছাপানোর কাজে আসতেন কাজী মো. আনোয়ার হো...

26/11/2023

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে চান?

কানাডায় সবচেয়ে সহজে ও কম সময়ের মধ্যে আসার একটা অন্যতম মাধ্যম হলো স্টুডেন্ট ভিসা।

স্টুডেন্ট ভিসায় আসলে কী সুবিধা পাবেন?

১. পড়াশোনা চলাকালীন কাজের সুবিধা পাবেন। এখনো বিশ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবেন। দরকার হলে দুটো কাজও করতে পারবেন।

২. পার্ট টাইম জব খুঁজে পাওয়া যায়। এখানকার employer রা স্টুডেন্টদের হায়ার করতে চায়, কারণ মিনিমাম ওয়েজে তাদের হায়ার করা যায়।

৩. পড়ালেখা শেষ করার পর তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাবে। কিন্তু তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য অবশ্যই দুই বা তার বেশি বছর মেয়াদী কোর্স করতে হবে। এক বছরের কোর্স করলে পড়াশোনার পর এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাবে। এক বছর ওয়ার্ক পারমিটের পর PR (permanant resident) এর আবেদন করতে যে ওয়ার্ক টাইম কাউন্ট করা হয় সেটা মিট হয় না। ফলে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তখন স্টুডেন্ট ভিসা থেকে ভিজিট ভিসায় রূপান্তরিত হয়ে থাকতে হয়। নতুবা নতুন করে কোনো কোর্স করতে হয়। তাই শুরুতে যখন আবেদন করা হয় তখন কমপক্ষে দুই বছরের কোর্সে আবেদন করা ভালো। তিন বা চার বছরের কোর্সে আসলে ভিসা পেতে সুবিধা হয়। তবে দুই বছরের কোর্সেও আসা যায়।
এজেন্সির মাধ্যমে যদি আবেদন করেন তাহলে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

৪. পড়ালেখা শেষ করার পর প্রফেশনাল পার্মানেন্ট জবও পাওয়া যায়। প্রথম ছয় মাস probationary periods এর পর চাকরি পার্মানেন্ট হয়ে যায় পলিসি অনুযায়ী। এর জন্য PR পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। বেশিরভাগ চাকরির জায়গায় ছয় মাস probationary period হয়।

৫. হেলথ সুবিধা সহ নানা রকম সুবিধা পাওয়া যায়।

৬. তিন বছর চাকরি করার পর বা চলাকালীন PR এর জন্য আবেদন করা যাবে । তবে PR এর জন্য যে points থাকে সেটা মিট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার তিন বছর পর সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করা যাবে।

৭. বাবা-মাকে sponsor করে আনা যাবে।

স্টুডেন্ট ভিসায় আসার জন্য সবার আগে দরকার মনোবল, শক্তি ও সাহস। ধরুন, সবকিছু অতিক্রম করে কানাডায় চলে আসার পর যদি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় হোঁচট খান তাহলে পথ চলা এগুবে না। আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা কানাডায় চরমভাবে জীবন-যুদ্ধে লড়তে থাকে যা কল্পনার বাইরে। কিন্তু কোনো স্টুডেন্টের প্যারেন্টস যদি দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা সন্তানের জন্য পাঠান সেটা ভিন্ন চিত্র হতে পারে। পার্ট টাইম যেসব কাজ করা হয় তা কতোটা পরিশ্রমের বাইরে থেকে অনেকেই বোঝেন না। অন্যদিকে ঘরে ফিরে নিজেকেই সব করতে হবে। মা ভাত বেড়ে বসে থাকবেন না সন্তানের জন্য। যদিও অধিকাংশ স্টুডেন্টরা এসব অত্যন্ত দক্ষভাবে মানিয়ে নিতে পারেন।

তারপর যেটা দরকার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডটা অত্যন্ত ভালো হওয়া দরকার।

তারপর যেসব চেকলিস্ট থাকবে:
1. Valid passport

2. Proof if Acceptance by Designated Learning Institution.

3. Proof of Funds.

4. Passport size photographs

5. immigration Medical Examinatiin (IME)

6. English Language Proficiency Exam score IELTS (score টা 7-8 হলে ভালো হয়। 6-7 হলেও চলবে। টার্গেটটা বেশি রাখতে হবে। 6 এর টার্গেট থাকলে আপনি 5.5 পেতে পারেন। IELTS যত বেশি তত ভালো।)

7. Statement of Purpose.

8. Credit Card (to pay the application fee).

কানাডায় সকল স্টুডেন্টদের জন্য রইল শুভকামনা।

@ কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

 পোল্যান্ডের জন্য যারা পারমিট হাতে পেয়েছেন অথবা যারা পোল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য এপ্লাই করেছেন তাদের জন্য বিরাট সু...
11/11/2023


পোল্যান্ডের জন্য যারা পারমিট হাতে পেয়েছেন অথবা যারা পোল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য এপ্লাই করেছেন তাদের জন্য বিরাট সুখবর।

পোল্যান্ড ভিসা নীতিতে বিরাট পরিবর্তন এনেছে পোল্যান্ড সরকার। আমরা বাংলাদেশী, যারা পোল্যান্ডের ওয়ার্ক ভিসার জন্য ট্রাই করি আমাদেরকে ইন্ডিয়া ভিএফএস এর মাধ্যমে পোল্যান্ডের ফাইল জমা করতে হয়, ভিএফএস এর এপয়ানম্যান্ট নিতে গুনতে হয় বড় অংকের টাকা, পোল্যান্ড সরকার ভিএফএস এর সাথে সকল ধরনের চুক্তি বাতিল করেছে, এখন থেকে পোল্যান্ড এম্বাসি সরাসরি ফাইল জমা নিবে যার জন্য আমাদেরকে বাড়তি টাকার প্রয়োজন হবেনা একদম ফ্রিতে পোল্যান্ড এম্বাসির এপয়ানম্যান্ট ডেট পাওয়া যাবে।

পোল্যান্ডের ওয়ার্ক ভিসার
নতুন নিয়মাবলি👉👉

"D" টাইপ (দীর্ঘ মেয়াদী)
৯০ দিনের উপরে থাকার আবেদন করলে ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন সেইটার ক্যাটাগরি হয় "D" বা ন্যাশনার ভিসা । যেমন — ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা সহ অন্যান্য।

▶▶ উল্লেখিত এই ধরণের ভিসার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্য ইন্ডিয়া অবস্থিত পোল্যান্ড এম্বাসিতে সরাসরি গিয়ে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে।

▶▶ ইন্ডিয়া গিয়ে সরাসরি এম্বাসিতে এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার জন্য অবশ্য সরাসরি এম্বাসি থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক কি ভাবে ইন্ডিয়া যাওয়ার আগে সরাসরি এম্বাসিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবেন -

▶▶ প্রথমে আপনাকে e-konsulat ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে নাম, ফোন নাম্বার, ই-মেইল, পাসপোর্ট নাম্বার এবং ওয়ার্ক পারমিটের ডিটেইলস দিয়ে।

▶▶ রেজিষ্ট্রেশন করা হলে যেই ই-মেইল দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করবেন সেই ই-মেইলে একটি এক্টিভিশন লিংক যাবে।

▶▶ লিংকে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন এক্টিভ করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন এক্টিভ হলে কিছুক্ষণের মধ্যে আরেকটি ই-মেইল আসবে, অথাৎ দ্বিতীয় ই-মেইল।

▶▶ এবার দুই - তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে পারমিট ভেরিফাই করার জন্য। বলে রাখা ভালো, এখন থেকে রেজিষ্ট্রেশন করলে আগে পারমিট ভেরিফাই করবে পোল্যান্ড ফরেন মিনিস্ট্রি থেকে।


যদি পারমিট ভ্যালিড হয় তাহলে আপনাকে পুল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করার জন্য আরেকটি লিংক দিবে।
সেই লিংকে ক্লিক করে পুল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আর যদি পারমিট ভ্যালিড না হয়, ফেক পারমিট হয় তাহলে আপনার রেজিষ্ট্রেশন রিজেক্ট করে দিবে।

▶▶ পুল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে একটি PDF ফাইল ডাউনলোড করার অপশন আসবে।

▶▶ সেটি ডাউনলোড করে সেভ করে রাখবেন। পুল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা হলে আর কোনো কাজ নেই।

▶▶ এবার অপেক্ষা করতে হবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য। প্রতি সাপ্তাহ একদিন ইলেক্ট্রনিক ড্র হবে। ড্রতে যার নাম আসবে তাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিবে এবং যে দিন ড্র হবে পরেন দিন ই-মেইলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাঠাবে।

▶▶ আর ড্রতে নাম না আসলে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নাম আসে নি আজকের ড্রতে। আগামী ড্রয়ের অপেক্ষা করতে হবে।এই ইলেক্ট্রনিক ড্র সিস্টেমটা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সিস্টেম।

▶▶ তাই হয়তো অনেকেই ক্লিয়ার বুঝে উঠতে পারছে না। কিন্তু এই সিস্টেমটা আগে ছিলো ইন্ডিয়া বাদে অন্য যে সব দেশে পোল্যান্ড এম্বাসি আছে সেই সব দেশে।

এখন থেকে আর লাখ লাখ টাকা খরচ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে না। আপনি যদি নিজে সিস্টেম বুঝে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন তাহলে এক টাকা ও লাগবে না। নিজে না পারলে এক্সপার্ট কাউকে দিয়ে করালে তাকে পারিশ্রমিক যা দিয়ে মানতে পারেন।
ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার কোনো সিস্টেম নেই।ভিসা ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা লাগবে না। আগে VFS অতিরিক্ত একটা সার্ভিস চার্জ রাখতো। এখন আর সেটা দেওয়া লাগবে না।

➡️➡️
এবার সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক!

প্রশ্ন: কারো সাহায্য ছাড়া আমি কি নিজে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবো?
উওর: হ্যাঁ, অবশ্য পারবেন যদি আপনি নিয়ম বুঝেন।

প্রশ্ন: এখন থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কত দিন সময় লাগবে?
উওর: নিদিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করা নেই। যার নাম ড্রতে যখন আসে তখনই অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিবে।

প্রশ্ন: এখন থেকে কি ইন্টারভিউ হবে নাকি?
উওর: হ্যাঁ, অবশ্য ইন্টারভিউ হবে। তবে এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন করবে, সব ওয়ার্ক পারমিট রিলেটেড। বেসিক ইংলিশ জানলেই হবে।

Address

Banani
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sadid Tours & Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category