ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারী পার্কটির অবস্থান।সাফারী পার্কটি দক্ষিণ এশিয় মডেল বিশেষ করে থাইল্যান্ডে সাফারী ওয়ার্ল্ড এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং ইন্দোনেশিয়ার বালি সাফারী পার্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ধারণা নিয়ে ৩৬৯০.০০ একর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে।সাফারী পার্কের মূল আকর্ষন কোর সাফারী পার্ক ১৩৩৫ একর এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছ
ে-যার মধ্যে ২০.০ একরে বাঘ, ২১.০ একরে সিংহ, ৮.৫০ একরে কালো ভালুক, ৮.০ একরে আফ্রিকান চিতা, ৮১.৫০ একর চিত্রা হরিণ, ৮০.০ একরে সাম্বাব ও গয়াল, ১০৫.০ একরে হাতী, ৩৫.০ একরে জলহস্তী, ২২.০ একরে মায়া ও প্যারা হরিণ, ২৫.০ একরে নীলগাই এবং বারো সিংগা, ১১৪.০ একরে Oryx Gazelle, Sable এবং Black Buck সহ পাখীদ্বীপ, ৪০৭.০ একরে বন্য মহিষ, Water Buffalo, Water Buck এবং Indian Bison থাকবে এবং আফ্রিকান সাফারী পার্কের জন্য বরাদ্দ ২৯০.০ একর এলাকা ।৫৬৬.০ একরে সাফারী কিংডম, ৮২০.০ একরে বায়োডাইভার্সিটি পার্ক,৭৬৯.০ একরে এক্্রটেন্সিভ এসিয়ান সাফারী ও ৩৮.০ একর এলাকায় বঙ্গববন্ধু স্কয়ার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বন ও অবমুক্ত বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য ২৬ কি:মি: মাষ্টার বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। দেশী বিদেশী পর্যটকরা যাতে গাড়ীতে বসে বিচরন করে বন্যপ্রাণী দেখতে পারে সেজন্য বাঘ, সিংহ,সাদা সিংহ, ব্লিজ বাঘ, ভল্লুক, চিত্রা হরিণ , মায়া হরিণ,সাম্বার হরিণ, জেব্রা,জিরাফ, ওয়াইল্ডিবিষ্ট,ব্লেসবক উটপাখি,হাতি,কুমির,ইমু, অজগরসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র, নেচার হিষ্ট্রি মিউজিয়াম, পার্ক অফিস, বিশ্রামাগার,ডরমেটরী,বন্যপ্রাণী হাসপাতাল,কুমির পার্ক,লিজার্ড পার্ক, ফেন্সি ডাক গার্ডেন, ক্রাউন ফিজেন্ট এভিয়ারী,প্যারট এভিয়ারী, ধনেশ পাখিশালা,ম্যাকাউ ল্যান্ড, মেরিন একোয়ারিম,অর্কিড হাউজ, প্রজাপতী বাগান,ক্লাইমেট হাউজ, ভালচার কর্ণার, ঝুলন্ত ব্রীজ, পর্যটন টাওয়ার,ফোয়ারা,বাঘ পর্যবেক্ষন রেস্তোরা,সিংহ পর্যবেক্ষন রেস্তোরা, কচ্চপ প্রজনন কেন্দ্র, ইকো-রিসোর্ট,ফুডকোর্ট,এলিফেন্ট শো গ্যালারী, বার্ড শো গ্যালারী,এগ ওয়াল্ড ও শিশু পার্ক আছে।