Campfire BD

Campfire BD Campfire BD is an initiative to connect local communities with travelers in a responsible way. We pr The dream that keeps us going!

Leading sustainable tourism development for substantial benefits to local communities in Bangladesh. Which will contribute inclusive economic growth in tourism sector by 2021. At Campfire BD, we combine our efforts with a social mission – To connect urban and rural communities through meaningful interactions to reduce distress migration as well as revival of local arts, crafts and culture by creating employment through Eco-friendly tourism practices.

🙄
14/10/2021

🙄

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার, একেবারে দক্ষিনে আছে নির্জন এক সমুদ্র সৈকত-লালদিয়া। এই সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই ...
09/10/2021

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার, একেবারে দক্ষিনে আছে নির্জন এক সমুদ্র সৈকত-লালদিয়া। এই সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। জেলেদের কর্মব্যস্ততাই এখানকার মূল আকর্ষণ। সারা বছরই এই সৈকতে প্রচুর পাখি দেখা মেলে। লালদিয়া সমুদ্রসৈকতের পাশেই লালদিয়া জঙ্গল। এর দুই পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রধান দুটি নদী বিষখালী ও বলেশ্বর। এর আরেক পাশে আছে সাগরের মোহনা। লালদিয়ার জঙ্গলের অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। এক পাশে সমুদ্র অন্য পাশে বন, মাঝে সৈকত, এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রকৃতিতে বিরল। লালদিয়া সমুদ্রসৈকত পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাউবন। হরিণবাড়িয়া বনে নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ফুটট্রেল (পায়ে হাঁটার কাঠের ব্রিজ) সম্প্রসারিত করে লালদিয়া সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।

To the south of Patharghata upazila of Barguna district is a secluded beach - Laldia. It goes without saying that there are no tourists on this beach. The main attraction here is the busyness of the fishermen. Lots of birds can be seen on this beach throughout the year. Laldia forest next to Laldia beach. The two main rivers Bishkhali and Baleshwar flow on either side of it. On the other side of it is the estuary. One of the attractions of Laldia forest is different species of birds.

Sunrise and sunset can be observed from here. The sea on one side and the forest on the other side, the beach in the middle, such natural beauty is rare in nature. Zhaoban has been built on the shores of Laldia beach. The 950 meter long foottrail (wooden bridge for walking) built in Harinbaria forest has been extended to Laldia beach.

বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন  গলির শহর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার নামকরণ নিয়ে মজার কিছু কাহিনী প্...
05/10/2021

বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির শহর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
ঢাকার নামকরণ নিয়ে মজার কিছু কাহিনী প্রচলিত আছে।শোনা যায় প্রাচীন বাংলার রাজা বল্লাল সেন নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি। আবার কারো কারো মতে ১৬১০ সালে রাজধানী প্রতিষ্ঠার সময় মুঘল সুবেদার ইসলাম খান ঢাক বাজিয়ে রাজধানী সীমানা নির্ধারণ করেছিলেন।

সেদিনের বাজানো ঢাকের শব্দ যতদূর পর্যন্ত কানে শোনা গিয়েছিল ততদূরই হয়েছিল তৎকালীন রাজধানীর জাহাঙ্গীরনগরের (আজকের ঢাকা)সীমানা।

প্রায় ১৪৬৩ দশমিক ৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা জেলার উত্তরে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল, দক্ষিনে মুন্সিগঞ্জ ও রাজবাড়ী পূর্বে নারায়ণগঞ্জ এবং পশ্চিমে মানিকগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, শীতালক্ষা,বংশী নদীর প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়েই।
সাভার, ধামরাই, কেরানীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জ ঢাকা জেলার উপজেলা।
দেশের অনেক কৃতি সন্তানের জন্ম এ জেলায়, এদের মধ্যে খাজা আব্দুল গনি, মহাকবি কায়কোবাদ, নবাব আহসান উল্লাহ, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, নরদাপ্রসাদ সাহা প্রমুখ এর নাম উল্লেখযোগ্য।

Dhaka is the capital of Bangladesh. There are some interesting stories about the naming of Dhaka. The origin of the name Dhaka can be heard from the Dhakeswari temple built by King Ballal Sen of ancient Bengal. According to some, when the capital was established in 1610, the Mughal subedar Islam Khan set the boundaries of the capital by playing the drums. Gazipur and Tangail are located in the north of Dhaka district with an area of ​​about 1473.80 sq km, Munshiganj and Rajbari in the south, Narayanganj in the east and Manikganj district in the west. The rivers Buriganga, Dhaleshwari, Ichhamati, Sh*talaksha and Banshi flow through this district. Savar, Dhamrai, Keraniganj, Dohar, Nawabganj upazilas of Dhaka district. Many famous children of the country were born in this district, among them Khwaja Abdul Gani, Mahakabi Kaikobad, Nawab Ahsan Ullah, Nawab Sir Salimullah, scientist Meghnad Saha, Nardaprasad Saha and others.

03/10/2021

ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল। বরিশাল কে নিয়ে এই প্রবাদের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় সেখানে গেলে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বরিশালের পূর্ব নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ।
প্রায় ২৭৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জেলার উত্তরে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলা। দক্ষিণে পটুয়াখালী,বরগুনা, ঝালকাঠি জেলা। পূর্বে ভোলা ও লক্ষীপুর জেলা এবং পশ্চিমে ঝালকাঠি,পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা। কীর্তনখোলা, আরিয়াল খা,কচা,তেঁতুলিয়া, সন্ধ্যা ইত্যাদি জেলার প্রধান নদী।
কবি জীবনানন্দ দাশ, সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার দত্ত, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক,বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, দার্শনিক আরজ আলী মাতব্বর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বরিশালের সন্তান। বরিশাল সদর,বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া,হিজলা, মুলাদি উজিরপুর,মেহেন্দিগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ বরিশাল এর দশটি উপজেলা।

Paddy-river-canal Barisal these three. The success of this proverb about Barisal can be found by going there. Located on the banks of the river Kirtankhola, Barisal was formerly known as Chandradwip. With an area of ​​about 2790 sq km. Madaripur, Shariatpur and Chandpur districts are in the north of this district. Patuakhali, Barguna, Jhalokati districts on the south, Bhola and Laxmipur districts on the east and Jhalokati, Pirojpur and Gopalganj districts on the west. Kirtankhola Arial Kha, Kacha, Tentulia, Sandhya etc. are the main rivers of the district. Poet Jibanananda Das, social worker Ashwini Kumar Dutt, Sher-e-Bangla AK Fazlul Haque, Bir Shrestha Mohiuddin Jahangir, philosopher Arj Ali Matabbar and other personalities are the children of Barisal. Barisal Sadar, Babuganj, Banaripara, Gournadi-Agailjhara, Hijla, Muladi Wazirpur, Mehendiganj and Bakerganj are the ten upazilas of Barisal.

15/12/2019

❤BANGLADESH❤

01/12/2019

Campfire BD

04/10/2019

কেমন হবে আগামী দিনের পর্যটন?

এর উত্তর খুঁজতে আমাদের দক্ষিণে যেতে হবে। চট্টগ্রাম জোন।

ছবিতে বেগুনি রঙে মার্কড পয়েন্টগুলো লক্ষ্য করুন। ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়ের ১ নং সীতাকুন্ড পয়েন্ট থেকে হাজারিখিল রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্য দিয়ে ফটিকছড়ির ২ নং পয়েন্ট পর্যন্ত হাইওয়ে নির্মিত হচ্ছে। যারা ভাটিয়ারিতে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের মধ্য দিয়ে নির্মিত রাস্তাটি দেখেছেন, তাঁরা ভালোই জানেন যে এই সড়কটি কতটা নয়নাভিরাম হবে। পার্থক্য একটাই। ক্যান্টনমেন্টের রাস্তাটা হবে এক্সেস কন্ট্রোল্ড, আর এটি ওপেন ফর অল।

ফটিকছড়ির ২ নং পয়েন্ট থেকে সহজেই ৩ নং পয়েন্টের খাগড়াছড়ি বা ৪ নং পয়েন্টের হাটহাজারি হয়ে ৫ নং পয়েন্টের রাঙ্গামাটি চলে যাওয়া যাবে। এর ফলে আপনি চিটাগাংকে একটি স্ট্যান্ডার্ড হাইওয়ের মাধ্যমে বাইপাস করে সরাসরি চলে যেতে পারবেন রাঙ্গামাটি অথবা খাগড়াছড়ি।

প্রশ্ন হলো, খাগড়াছড়ি গিয়ে আপনি করবেনটা কী?

এখন পর্যন্ত যারা খাগড়াছড়ি যাচ্ছেন, তাঁরা প্রধানত ট্যুরিস্ট গ্রুপগুলোর যেই প্যাকেজে যান, সেখানে ঢাকা থেকে বৃহবার রাতে রওনা দিয়ে শুক্র সকালে খাগড়াছড়ি (পয়েন্টঃ ৩)-এ পৌঁছে সকাল সাড়ে ১০টায় আর্মির প্রোটোকলে একসাথে চাঁদের গাড়ি নিয়ে ৬ নং বাঘাইহাট পয়েন্ট পার হয়ে ৭ নং সাজেকে গিয়ে লাঞ্চ করে কটেজে ঢুকে যান অথবা রুইলুইপাড়ার পাহাড়ে বেড়ান। সন্ধ্যায় গানবাজনা করে শনিবার সকালের সুন্দর সূর্যোদয় দেখে আবার সাড়ে ১০টায় আর্মির প্রোটোকলে একসাথে খাগড়াছড়ির ৩ নং পয়েন্টে ফিরে দুপুরে আলুটিলা, রিঝাং ঝর্ণা, আলুটিলা তারেং হেলিপ্যাড এবং হর্টিকালচার দেখে রাতের বাসে ঢাকায় স্টার্ট করেন। বৃহ রাত থেকে রবির সকাল এভাবেই যায়।

মজার ব্যাপার হলো, ইদানিং ওখানে ঘুরতে যায় ভার্সিটির ছেলেমেয়েদের বিশাল সমাহার, কটেজে তাঁদের বিরাট অংশ হাজবেন্ড-ওয়াইফ পরিচয়ে, ভার্সিটিতে বোধহয় জাস্ট ফ্রেন্ড, জানা নাই।

আগামী ৩ বছরের মধ্যে আমরা খাগড়াছড়ির আরও ৩টা নয়নাভিরাম অ্যালাইনমেন্ট আপনাদের জন্য পুরোপুরি ওপেন করবো। বর্তমানে এগুলো বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। চিত্রের ৩-৮-৯ তথা খাগ-লোগাং-দুপকছড়া, ৩-১০-১১-১২ তথা খাগ-মাটিরাঙ্গা-করল্লাছড়া-তানাক্কাপাড়া এবং ৩-১৩-১৪-১৫ তথা খাগ-দীঘিনালা-বাবুছড়া-ধনপাতা-নারাইছড়ি লিংক টু দা বর্ডার। এই ৩টি লিংক আবার সীমান্ত সড়কের সাথে ১২-৯-১৫ নং পয়েন্টে কানেক্টেড হবে। ফলে খাগড়াছড়ির উত্তরাঞ্চল দুটি কমপ্লিট লুপ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এক রাস্তা দিয়ে ঢুকে রাতে কোথাও থেকে আরেক রাস্তা দিয়ে আবার খাগড়াছড়ি চলে আসা যাবে। চাইলে রাতে কোথাও থাকাও যাবে।

এই স্থানগুলোর কিছু নিজস্ব ইতিহাস/ঐতিহ্য/পর্যটনমূল্য রয়েছে।

১১ নং তানাক্কাপাড়া পয়েন্টের পথে আছে তৈন্দং ইউনিয়ন। সেখানে ভগবানটিলা নামক স্থানটির ভিউ সাজেকের মতো পুরোপুরি। এখানে সাজেকের মতো আগামী দিনে গড়ে উঠবে পর্যটন কটেজের সারি।

৮ নং পানছড়ির পথে আছে সাজানো গোছানো মায়াবিনী লেক। এর পর লোগাং পয়েন্টের কাছাকাছি হয়েছিল কুখ্যাত পানছড়ি গণহত্যা। ঘটনাটি ১৯৮৬ সালের। দুই পক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য অনুযায়ী, সে বছর ২৯ এপ্রিল শান্তিবাহিনীর সদস্যরা বাঙালিদের উপর হত্যা চালায়। এক দিন পর ১ মে এই লোগাং গ্রামের পাশাপাশি কয়েকটি ইউনিয়নে পাহাড়িদের জবাই করা হয়। শেষ তথ্যটি দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ বাসন্তী চাকমা। প্রতিক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা শত শত। সময়টা এরশাদের। যারা তাঁকে হিরো মনে করেন, তাঁরা তার আমলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অদ্ভুত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন।

১৪ নং ধনপাতার পথে আছে ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা রাজার খননকৃত মাইনি দীঘি। বর্তমানে এটি চাকমা রাজার অধীনে। দীঘিতে বোট রাইড করা যায়। খানাপিনার জায়গাও আছে।

সীমান্ত সড়কের কনসেপ্ট খুব সহজ। পুরো সীমান্ত ঘিরে সড়ক হবে। তবে আসল কৌশল লুক্কায়িত আছে সড়কটিকে স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনগুলোতে কানেক্ট করার মাধ্যমে। চলুন, দেখে আসি।

শুরুটা হবে ১৬ নং পয়েন্টে ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে। চলে যাবে ১৭-১১-১২-৯-১৫-১৮-১৯-২০-২১ নং পয়েন্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ ছাগলনাইয়া-রামগড়-তানাক্কাপাড়া-দুপকছড়া-নারাইছড়ি-তেজকাছড়া-গোবিন্দবাড়ি-বেতলিং-উদয়পুর।
এই ২১ নং পয়েন্টের উদয়পুর থেকে সাজেক পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে। যারা রিসেন্টলি সাজেক যাবেন, কটেজের ৯ কিলোমিটার আগে ডানদিকে চলে যাওয়া রাস্তা দেখলেই বুঝবেন।

আবার সাজেক যাওয়ার পথে ৬ নং পয়েন্টের বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প সোজা উত্তরে সংযুক্ত হবে সীমান্তের ১৯ নং পয়েন্টের গোবিন্দবাড়ির সাথে। ফলে সীমান্তে কোনো আনরেস্টের বিপরীতে প্ল্যাটুন মুভমেন্ট সহজ হবে।

৬ নং বাঘাইহাট থেকে ২২ নং মারিশ্যা লঞ্চঘাট পর্যন্ত বর্তমানে সড়ক আছে। মারিশ্যা থেকে একটি সড়ক সীমান্তের দোকানঘাটে ২৪ নং পয়েন্টে মিলবে, আরেকটি সড়ক চলে যাবে লংগদু উপজেলার দিকে। ২৩ নং লংগদু পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণ করে চলে যেতে হবে ২৫ নং নানিয়ারচর পয়েন্টে। এই নানিয়ারচর উপজেলা সকল ইন্সার্জেন্সির মাদার। শান্তি বাহিনী, জনসংঘতি, জেএসএস, ইউপিডিএফ-যেই নামেই ডাকেন না কেন, সকল বড় বড় নেতাদের জন্মস্থান এই নানিয়ারচর উপজেলা। এখন পর্যন্ত এটা পুরোপুরি এক্সেসেবল না। মোটর সাইকেলে এই ২৩-২৫ রুটে চলাচল করা যায়, তবে চড়তে হবে পাহাড়ি মোটরসাইকেলের পিছে। বাঙালি রাইডার অ্যালাউড না। চিন্তা করেন অবস্থা। একটা স্বাধীন দেশে এখনো আমরা কোন অবস্থায় আছি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ২৩ নং নানিয়ারচর পয়েন্টে একটা ব্রিজ নির্মাণ চলছে। শেষ হবে ডিসেম্বর, ২০২০ সালে।

সাস্টেইনেবল ট্যুরিজমের অন্যতম প্রধান শর্ত মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি। শুধু সড়ক নিয়ে থাকলে হবে না, নদী, লেক, রেলকেও এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ২০৪৫ সালে ৬৩ জেলা রেলের আওতায় আসার কথা। রেল ক্যাডারের বন্ধুগণ ভালো বলতে পারবেন যে কিভাবে এই কানেকশন আরও ভালো হবে। আপাতত লেক আর নদী নিয়েই থাকি।

কাপ্তাই লেক। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে আমেরিকার অর্থায়নে এই বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬২ সালে নির্মাণ শেষ হয়। ফলে ২৬ নং পয়েন্টের থেগামুখ দিয়ে আসামের লুসাই পাহাড় থেকে যেই কর্ণফুলী নদী আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, তা রূপ নেয় কাপ্তাই লেকে।

২২ নং মারিশ্যা থেকে ৫ নং রাঙ্গামাটি পর্যন্ত বর্তমানে লঞ্চ চালু আছে। ওদিকে থেগামুখে ইন্ডিয়ান অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। সেই ব্রিজের স্বদেশি মাথা থেকে কর্ণফুলী নদীর এমন একটা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে, যার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির মালামাল কিছুদূর সড়কে নিয়ে তারপর নৌপথে নেয়া যাবে। এটা শুকনা মৌসুমে ট্রলারেও নেয়া যাবে। সেই সাথে গতিময় হবে পর্যটনও।

রাঙ্গামাটির বড়কল উপজেলার ২৭ নং পয়েন্টে ব্রিটিশ আমলের বাজার রয়েছে একটা। এখান থেকে সীমান্তে সড়কপথে যাওয়ার উপায় নেই। এর সাথে সীমান্তের ২৮ নং লৈতংপাড়া পয়েন্ট কানেক্ট করা হবে। একই কথা ২৯ নং পয়েন্টের জুরাইছড়ি উপজেলার জন্য প্রযোজ্য। একে আমরা ৩০ নং পয়েন্টে সীমান্ত সড়কের থাচ্চির সাথে কানেক্ট করে দেবো।

রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় মাসখানেক আগে ইনসার্জেন্টদের সাথে আমাদের সেনাবাহিনীর এনকাউন্টার হয়েছিল। ফলাফলঃ আমাদের নিহত এক, ওদের কয়েক। এই রাজস্থলী থেকে ব্রিটিশ আমলের আরেক বাজার ফারুয়া হয়ে যাওয়া হবে সীমান্তের দুমদুমিয়ায়, ৩১-৩২ কানেকশনের মাধ্যমে।

স্টাডি করা হবে ফারুয়া-বিলাইছড়ি উপজেলা-জুরাইছড়ি ৩১-২৯ কানেকশন। সব ঠিক থাকলে রাঙ্গামাটির বিচ্ছিন্ন সব উপজেলা যেমন কানেক্টেড হবে, তেমনি দুর্গম বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি ও বরকল উপজেলাও সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। বিলাইছড়িতে আছে নকাটা, মুপ্পাছড়া, ধুপ্পানি ঝর্ণা যা রিসেন্টলি পর্যটকদের প্রবল আকর্ষণ করছে। বোটে যেতে হয়, এখনো হাইওয়ে কানেকশন নেই।

এবারে বান্দরবান। বর্তমানে ঢাকা থেকে চিটাগাং হয়ে বান্দরবান যাওয়ার জন্য কেরানীরহাট-বান্দরবান ৩৩-৩৪ রুটটি ব্যবহৃত হয়। এই রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য বর্তমানে প্রকল্প চলছে। এর পাশাপাশি আমাদের টার্গেট খানহাট-ধোপাছড়ি-দুলুপাড়া ৩৩-৩৪ রুট চালু করা। ফলে সাতকানিয়ার যানজট বাইপাস করেই আমরা খুব সহজে বান্দরবান পৌঁছাতে পারবো। পথে খাল আছে একটা বড়, আছে পাহাড়। এগুলো অতিক্রম করে যেতে হবে আমাদের। তবে প্রকল্পটি পাস হয়ে যাবে। কারণ আগেই এই বিষয়ে প্ল্যানিং কমিশনের গ্রিন সিগন্যাল রয়েছে। সরকারি ভাষায়, সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩৭ নং পয়েন্ট পর্যন্ত বর্তমানে সড়ক রয়েছে। এই সড়ক ৩৮ নং পয়েন্টের রুমা পর্যন্ত নির্মাণ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদ। ৩ বছরের মধ্যে এই সড়ক কমপ্লিট হয়ে যাবে। ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ডান। এর ফলে একদিকে যেমন তিনাপ সাইতার ঝর্ণা আরেকটু সুগম হবে পর্যটকদের জন্য, তেমনই তৈরি হবে আরেকটি কার্যকর লুপ নেটওয়ার্ক।

বর্তমানে যারা বগালেকে ঘুরতে বা কেওকাড়াডং ট্রেকিং করতে যান, তাঁরা আসলে কিভাবে যান?

বৃহ রাতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে শুক্র সকালে ৩৪ নং পয়েন্টের বান্দরবান। তারপর শুক্রবার ৩৯ নং চিম্বুক পয়েন্টে আর্মি ক্যাম্পে হাজিরা দিয়ে হয় সাইরু রিসোর্টে/নীলগিরিতে একদিন থেকে শনিবার রাতে ঢাকার বাস; অথবা ৩৯-৩৮-৪০ রুটে চিম্বুক থেকে বগালেক পর্যন্ত চাঁদের গাড়িতে গিয়ে সেখানে এক রাত স্টে, দেন ব্যাক। অথবা ৪০ নং বগালেক থেকে হেঁটে কেওকাড়াডং।

আমরা এই বগালেক থেকে কেওকাড়াডং পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করে তাকে বর্ডারের ৪১ নং পয়েন্টের দুপানিছড়ায় নিয়ে যাবো। এই দুপানিছড়া হলো দেশের একমাত্র পয়েন্ট যেখানে ইন্ডিয়া, মিয়ানমার সীমান্ত বাংলাদেশের সাথে মিলিত হয়েছে। এখানে প্রায় ৩০ কিলোমিটার অঞ্চলের উপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। মিয়ানমার তাদের দুর্বৃত্তদের এদিকে পাঠানোয় ওরা এই অঞ্চলে স্যাঙ্কচুয়ারি বানিয়ে বসেছে। তবে খুব একটা বেশিদিন এই অবস্থা আর থাকবে না।

ট্রেকারদের আরেকটা পছন্দ থানচির রাস্তাটা। ৪২ নং পয়েন্টের নীলগিরি থেকে ৪৩ নং বলীপাড়া বিজিবি ক্যাম্প হয়ে থানচির ৪৪ নং পয়েন্টে ডিসকভারি হোটেলে খানাপিনা করে নদীপথে তাঁরা চলে যান ৪৫ নং পয়েন্টের রেমাক্রি বাজার। সেখান থেকে হেঁটে নাফাকুম, আমিয়াখুম অথবা ৪৬ নং পয়েন্টের তাজিনডং পাহাড়।

এই ৪৪-৪৫-৪৬-৪৭ পয়েন্টগুলোকে হাইওয়ের মাধ্যমে কানেক্ট করা হবে। অর্থাৎ থানচি থেকে রেমাক্রি-তাজিনডং হয়ে বঙ্কুপাড়ায় দেখতে পাবেন দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় সাকা হাফং।

এর ফলে কী হবে?

ঢাকা থেকে বৃহ রাতে বান্দরবান রওনা দিয়ে সকালে নাস্তা করে চাঁদের গাড়িতে চিম্বুকে চেকিন। তারপর বগালেক, কেওক্রাডং দেখে দুপানিছড়া দিয়ে বর্ডারে সর্বোচ্চ সাকা হাফং। তারপর তাজিনডং দেখে বাকলাইপাড়া হয়ে থানচিতে ফিরে লেটলাঞ্চ এবং ব্যাক টু চিম্বুক।

থানচির পর বলীপাড়া চেকপোস্ট বন্ধ হয় ৬টায়, চিম্বুক চেকপোস্ট রাত ৭টায়।

তাই আর্লি মর্নিঙে বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়িতে স্টার্ট করলেই দেশের সর্বোচ্চ ৩ শৃঙ্গ দেখা যাবে একদিনেই, শুক্রবারে। রাতের বাসে ঢাকা, শনিবার অফিস।

তবে চাপ পড়ে যাবে শরীরে। কারণ পুরো জার্নিটাই টানা গাড়িতে। মাঝখানে একরাত থাকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত থানচি আর বগায় আছে। এই ক্ষেত্রে প্রাইভেট অর্গানাইজেশন সমূহকে এগিয়ে আসতে হবে, নইলে সম্ভব না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন হওয়ার পর আড়ং ছাড়া খুব কম প্রাইভেট অর্গানাইজেশন ময়মনসিংহে আউটলেট দিয়েছিল। ধীরে ধীরে অন্যেরা এসেছে। জামালপুর আর নেত্রকোণার লোকজন ময়মনসিংহে বাড়ি করা শুরু করেছে।

সব কিছু সরকারের পক্ষে করে দেয়া সম্ভব না। সরকার ইউটিলিটি এনসিওর করতে পারে, বাকিটা প্রাইভেটকেই করতে হবে। যদিও সরকার এখন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে আপটুদা ইন্টারন্যাশনাল মার্ক ইউটিলিটি সার্ভিস দিতে পারে নি, তথাপি একটা কথা আজীবন মনে রাখতে হবে যে, আমাদের মতো রাষ্ট্রকাঠামোয় প্রাইভেট আর পাবলিক সেক্টরকে হাতে হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটতে হবে। একটা আরেকটা চেয়ে বেশি এগিয়ে গেলে সমাজে নানা সমস্যার উদ্ভব হবে। মিয়ানমারে এরকম হয়েছিল। ওখানে গভমেন্ট অনেক এগিয়ে গিয়েছিল প্রাইভেটের চেয়ে।

সরকারের টার্গেট বার্ষিক উন্নয়নের ৩০% পিপিপি-তে নেয়ার। অর্থাৎ প্রাইভেট সেক্টরও বিনিয়োগ করবে, টোল বসাবে, লাভও নিবে। একপর্যায়ে সরকারকে ফেরতও দিবে, যেমন যাত্রাবাড়ি ফ্লাই।

যাই হোক, ম্যাপে ফিরে যাই। বাইকারদের পছন্দ থানচি-আলীকদম রাস্তা, ৪৪-৪৫। এটা দেশের সর্বোচ্চ অলটিট্যুডে অবস্থিত। আলীকদম থেকে একটা রাস্তা আগামী ২ বছরে বর্ডারের পোয়ামুহুরী (৪৯) পর্যন্ত জনতার জন্য ওপেন করা হবে। পুরোদমে কাজ চলছে।

বান্দরবানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা লামা (৫০)। এখানের ইউএনও অফিসের সামনের রাস্তাটা প্রতিবছর বর্ষায় ডুবে যায় যা কংক্রিট রিজিড পেভমেন্টের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। ফলে জনভোগান্তি কম হবে।

লামার সাথে অবশ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের লোহাগড়া উপজেলাস্থ ৫১ ও ৫২ নাম্বার পয়েন্টের আজিজনগর আর বড়আউলিয়া এখনো পুরোপুরি কানেক্টেড না। এগুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

৫২ আর ৫৩ নং পয়েন্টের বাইশারিবাজার এবং নাইক্ষ্যংছড়ি এখন পর্যন্ত আলীকদম (৪৮) থেকে বিচ্ছিন্ন। মাঝে পাহাড়। এই জায়গাগুলো স্টাডি করা দরকার। এ মাসেই যাওয়ার ইচ্ছা, দেখা দরকার কেমনে কী।

এক সময় প্রায় প্রতি সপ্তাহে অস্ত্র উদ্ধার হতো এই নাইক্ষ্যংছড়িতে। একে মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য সীমান্ত সড়কের ৫৪ নং আশারতলী পয়েন্টে কানেক্ট করা হবে।

৫৪-৫৫ আশারতলী-ঘুনধুম রাস্তাটা খুব ঝামেলাদায়ক, এখানে মিয়ানমারের ইন্সার্জেন্ট গ্রুপ আরাকান আর্মির ঘাঁটি। এদের উচ্ছেদ করা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। কারণ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সেই সময়টা ২০৩০ সাল। সেই দিন আমরা কেউ আমাদের ডেস্কে থাকবো না। তবে মাস্টারপ্ল্যানের অনেকাংশই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল, জাতিসংঘের এসডিজি সবকিছুর মেয়াদ ২০৩০।

এর জন্য পলিটিকাল স্ট্যাবিলিটি খুব প্রয়োজন। সিপরির গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্সে আমাদের সেনাবাহিনী ৪৫ তম, ইন্ডিয়া চতুর্থ, মিয়ানমার ৩৭তম।

প্রতিবেশীদের সাথে তালে তালে না আগালে উন্নয়ন সাস্টেইনেবল হয় না। আমাদেরও সাবমেরিনে, হাইওয়েতে আগাতে হবে। বিদ্যমান ১১% চরম দারিদ্র বিমোচন যেমন টার্গেট, একইভাবে ফিজিকাল উন্নয়নও দরকার শুধু প্রতিবেশীদের সাথে পাল্লাপাল্লিতে টিকে থাকার নিমিত্ত।

কক্সবাজার-টেকনাফ ৫৫-৫৬ রাস্তায় এডিবির অর্থায়নে কাজ চলছে। এখনো অবস্থা অনেক খারাপ, তবু ধীরে ধীরে আগাচ্ছি আমরা।

৫৬-৫৭ শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নে প্রোজেক্ট চালু হয়েছে। এখানের রাস্তাটা আগে একবার নির্মাণ করা হয়েছিল, কিন্তু সাগর এসে সব ছিনিয়ে নিয়েছে। বে-অব-বেঙ্গল এর Bay বা উপসাগর উপকূলবর্তী অংশে এভাবেই আক্রমণ করে।

মেরিন ড্রাইভে সাইমন হোটেলের সামনে দিয়ে উঠা যায় না কেন? কেন পৌরসভার চিপা একটা রাস্তা দিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার গিয়ে উঠতে হয়?

কারণ সাইমনের পরের এই অংশটাও শাহপরীর মতো একই ধরণের। সাগর এই দুই অংশে খুবই ডেঞ্জারাস। বাকি অংশে নমিনাল, যতক্ষণ না জলোচ্ছ্বাস হয়।

বিদ্যমান মেরিন ড্রাইভটা ৫৭-৫৮ লাইনে অবস্থিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একে নিচদিকে শাহপরীর দ্বীপ (৫৮) এবং উপরের দিকে সীতাকুণ্ড (১ নং পয়েন্ট) পর্যন্ত নিয়ে যেতে অনুশাসন দিয়েছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন বিদ্যমান মেরিন ড্রাইভের প্রশস্ততা বাড়িয়ে পুরো মেরিন ড্রাইভের পাশের বিচ আলোকিত করতে, করা হবে। ফিজিবিলিটি চলছে।

সীমান্ত সড়কের সকল অংশ বিজিবির সাথে কানেক্টেড। ফলে যে কোনো প্রয়োজনে বিজিবির প্ল্যাটুন মুভ করানো যাবে। গুনধুম-শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্তও সীমান্ত সড়কের স্টাডি করা হচ্ছে, কারণ বিদ্যমান রাস্তাটা এই যাত্রা রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে পারেনি। প্রয়োজনে আরও পূর্বদিকে রাস্তা ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে।

এই যে সাইমনের সানসেট ক্যাফেতে বৃহবার সন্ধ্যায় এটাসেটা খেয়ে, সেই রাতেই ওশান প্যারাডাইজের পাইরেটস ক্যাফেতে অর্ধরাত নাচাগানা ডিজেমিজে করে আমরা সরকারকে তিনবেলা গালিগালাজ করি, আমরা নিজেরাই বা আমাদের দেশ সম্পর্কে কতটুকু জানি?

চারদলীয় সরকারের আমলে শুধু টাকার অভাবে মেরিন ড্রাইভ প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, বর্তমান সরকার রিভাইভ করে কমপ্লিট করেছে। গত ১০ বছরে একটা প্রকল্পও টাকার অভাবে বন্ধ হয় নাই। অর্থনীতির প্রতিটা গ্লোবাল ইন্ডিকেটর আমাদের উন্নয়নের কথা বলে, আমরাও পলিটিকাল স্ট্যাবিলিটির কথা বলি,

কারণ সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের…
collected Mahabub

11/07/2019

আগামী ১২ ও ১৩ই জুলাই সাজেকে ভ্রমণ বাতিলের নির্দেশনা এসেছে।

30/06/2019
বান্দরবানে নিখোঁজ পর্যটকদের সন্ধানে কাল নামানো হবে ৫ ডুবুরি

এডভেঞ্চার করুন সমস্যা নাই কিন্তু কিছু জিনিস করার আগে ঝুঁকি বিবেচনায় আনা উচিৎ তাহলে জানমাল রক্ষা পায়! বাকিটা উপরওয়ালার ইচ্ছা!
নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করি! আমীন!

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা হয়ে ভ্রমণে এসে রুমা উপজেলার পাইন্দু খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী.....

23/06/2019

উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কবলিত😢 ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা.... সকলেরজন্য দোয়া করবেন😩

সিলেটের বরমচালে ৭৪০ উপবন এক্সপ্রেস দূর্ঘটনায় ৪টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে খুব খারাপ ভাবে,এরমধ্যে গার্ডব্রেক কালভার্ট হতে ছিটকে খালে উল্টে পড়েছে।

23/06/2019

Sunsets are among the most beautiful things we’re lucky to see almost every day. That beautiful mix of colors lighting up the sky is just breathtaking.

It’s really sad that though it happens every day, a lot of us miss out on the opportunity of seeing this. Sure, others may not live in areas where the sunset is highly visible. But for those who do, a lot of them are too busy that the moment just passes them by without them noticing.

That’s why whenever you feel the need to see a thing of beauty, get a good spot. Then wait for that sun to slowly set. If you capture one of the best ones, I assure you, you’ll have tears at the corners of your eyes at the very least.

23/06/2019

#জুলাই_থেকে_ই_পাসপোর্ট:
আগামী ১ জুলাই থেকে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন দেশের নাগরিকরা। জুনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে ১ জুলাই থেকেই নাগরিকদের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেয়ার কাজ চলছে।প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেলে আগামী ১ জুলাই থেকেই ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে।সূত্র জানায়, পৃথিবীতে ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এবার ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।বর্তমানের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকবে না। সেখানে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড থাকবে। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটা পেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এই ই-পাসপোর্টের মেয়াদ বয়স অনুপাতে ৫ ও ১০ বছর হবে।
এ ছাড়া ই-পাসপোর্ট চালু হলেই এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হবে না বলে জানায় পাসপোর্ট অধিদফতর।তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেয়া হবে।সূত্র আরও জানায়, বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। কারণ ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে।ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।
Collected from: https://www.jugantor.com/national/

22/06/2019

পেজের সকল ভাই ও বোনেরা,আমি আজ আপনাদের সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাই।গত সপ্তাহে আমার খালা আমার মামাতো ভাইকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় এসেছিলেন।২ দিন থেকে ডাক্তার দেখানো শেষ করে গত বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে উনারা ২ জন & আমার স্ত্রী সিলেট যাওয়ার জন্য ইউনিক পরিবহন এর মুগদাপাড়া কাউন্টারে যান।ওখানে যাওয়ার পর উনারা জানতে পারলেন যে শাহবাজপুর ব্রিজ এর মেরামত কাজ চলায় সিলেটগামী সব বাস বন্ধ থাকবে আজ।বাধ্য হয়ে ওইদিন ই (২০-৬-২০১৯) আমি উনাদের জন্য পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এর শনিবারের তারিখের (২৩-০৬-২০১৯) এর শোভন চেয়ারের ৩টা সিট কমলাপুর রেলস্টেশন এর ২ নং কাউন্টার থেকে আনুমানিক সকাল ৮.৫০ মিনিটের দিকে ক্রয় করি।আজ যথারীতি তাদের ট্রেন এ ভালোয় ভালোয় তুলে ও দিয়ে আসি।ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া স্টেশন অতিক্রম করার পর আমার কাছে খবর আসে আমার টিকেট নাকি নকল।একই সিট নাম্বারের টিকেটগুলো ডাবল বিক্রি হয়েছে।ওই ৩টা টিকেট আরো ৩ জন এর কাছে বিক্রয় করা হয়েছে।আমি তাদেরকে ফোনের মাধ্যমেই অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমারটা আসল।আমি কাউন্টার থেকে কিনেছি।ব্ল্যাক এ কিনিনি।টিকেট এ সব ডিটেইলস দেওয়া আছে।কিন্তু উনারা তা মানতে নারাজ।পরে তাদের অনেক অনুরোধ করার পর আমার খালা & স্ত্রীকে বসার সুযোগ করে দিয়েছে।কিন্তু আমার কাজিনকে সিট থেকে উঠতে বাধ্য করেছে।আমার প্রশ্ন হল এটা কি করে সম্ভব যে একই সিট একাধিক ব্যাক্তির কাছে বিক্রয় হওয়া??????
আমি খুব ছোটকাল থেকেই ট্রেনে নিয়মিত সিলেট যাতায়াত করে থাকি।কখনো এরকম বাজে পরিস্থিতিতে এ পড়িনি।আজ আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে ট্রেনের টিকেট নিয়ে যা ঘটল,তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক!!!!!!"আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি!!!!
এক কথায় ট্রেনের টিকেট এর চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে এসব অবৈধ & টিকেটবিহীন যাত্রীরা এসব কারসাজি করে সাধারণ যাত্রীদের বিপাকে ফেলছে।এর কি কোন বিচার নেই????

অভিযোগকারী ভাইয়ের লিংকঃ https://www.facebook.com/tawsif.ahmed.3382

22/06/2019

Tag Someone who brings smile on your face!

15/06/2019
ভ্রমণে নামাজ যেভাবে পড়বেন

ভ্রমণে নামাজ যেভাবে পড়বেন

ব্যক্তিগত প্রয়োজন, অফিসিয়াল কাজকর্ম কিংবা আনন্দ-ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে দূর-দূরান্তে সফর করতে হয়। এটা মানুষের জী....

26/05/2019


11/05/2019

10/05/2019
18/07/2018
Waleed Basyouni

SubhanAllah...

Zam Zam - The Best water on Earth.. MUST WATCH!

18/07/2018
Bright Side

Useful camping hacks!!!

Clever camping hacks for you to try. 🏕 bit.ly/2s0h92Y

31/05/2018

Its smarter to Travel in a group!😜😎😜

22/05/2018

🙉✋🙉

19/05/2018

FYI

16/05/2018

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া এভারেস্টে ২২ বারের মতো আরোহণ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন নেপালের এক শেরপা।বিশ্বরেকর্ড গড়া নেপালি পর্বতারোহীর নাম #কামি_রিতা_শেরপা। বুধবার আরও ১৩ জন পর্বতারোহীর সঙ্গে এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন তিনি। এ নিয়ে ২২ বার এভারেস্ট জয় করলেন ৪৮ বছর বয়সী কামি রিতা। নেপালের পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ বেস ক্যাম্প থেকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। দক্ষিণ-পূর্বের রিজ রুট দিয়ে এবার তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেন। 😎😎😎
🙌🙌

14/05/2018

আমাদের পরবর্তী ট্যুর হবে বাংলাদেশের শস্য ভান্ডার এবং প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল বিভাগে! ইনশাআল্লাহ!! 😊
সেই বরিশাল নিয়ে #মজার একটি ছড়া চোখে পরলো যা আপনাদের সাথে শেয়ার না করলেই নাহ। 😍
বরিশাল এর #আঞ্চলিক ভাষায় ছড়াটি লিখেছেন নাজমুল ইসলাম।
https://www.facebook.com/sondhatararnazmul

14/05/2018

Ratargul Swamp Forest is a freshwater swamp forest located in Gowainghat, Sylhet, Bangladesh. It is the only swamp forest located in Bangladesh and one of the few freshwater swamp forest in the world. The forest is naturally conserved under the Department of Forestry, Govt. of Bangladesh.

The evergreen forest is situated by the river Goain and linked with the cannel Chengir Khal. Most of the trees grow here are Pongamia pinnata (Koroch tree). The forest goes under 20-30 feet water in the rainy season. Rest of the year the water level is about 10 feet deep.

13/05/2018

যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তারা জানেন পূর্ণিমা রাতের মাদকতা কত গভীর!
তাদের জন্য পূর্ণিমা রাতের সময়সূচী...

12/05/2018

Campfire BD's cover photo

12/05/2018

আমাদের নাফাখুম ভ্রমণবৃত্তান্ত 😍
#নাফাখুমে_মাছধরা
#সেক্রেন_পারায়_ফুটবল_খেলা
#জলকেলি

রূপের রাণী বান্দরবানের রূপের নেইকো শেষ :)...
বিস্তারিত পড়ুন নিচের লেখায়....

কি গ্রীষ্মে,কি বর্ষায় আর কি উৎসবে..যত যাই বলি, সবকিছুতে যেন সেরা সেই রূপের রাণী।

হ্যাঁ বন্ধুগণ রূপের রাণী বাঙালির সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষতেও সেরা। আর তাই এবারের পহেলা বৈশাখ পালন করতে আমরা Campfire BD এবং Chatga Tourism Team ছুটে চলেছি রূপের রাণী বান্দরবানের পথে।

আমরা ঢাকার বন্ধুগন ১২ই এপ্রিল রাতের গাড়ি চেপে রওনা দিলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। এদিকে চাটগাঁর বন্ধুগণ পরের দিন ১৩ই এপ্রিল ভোরের গাড়িতে চেপে বসবে। আল্লাহতালার রহমতে আমাদের চাটগাঁর বন্ধুগণ আমাদের আগেই বান্দরবান পৌছে থানছির চাঁদের গাড়ি ঠিক করে ফেলে।

১৩ তারিখ সকালে আমরা বান্দরবন নেমে প্রিয় মানুষদের সাথে নিয়ে আর দেরী না করে চাঁদের গাড়ি করে থানছির পথে রওনা দিলাম। আবার সেই সবুজের মাঝে ফিরে এসে কি যে শান্তি লাগছে :-)।

থানছি যেতে যেতে জানলাম নবি ভাই এবারো পলটি মারছে।যাই হোক নতুন ও পুরাতন সবার সাথে গল্প করতে করতে থানছি পৌছালাম। এবার আমাদের team এর নতুন সদস্য আরমান traveller arman,রুশো Rashed shahriar Rushi ,পাশা ভাই Monabber Pasha,রাকিন,সিদ্ধার্থ, শহীদ। আর বরাবরের মতই আছে আরিফ Arif Shahin,শামীম,মুন্না Ahsan Habib Munna,তারেক Tareque Rahman Siddique,সাব্বির Sabbir Ahmed এবং সাইফ Md. Syfuddin :) ।

চাঁদের গাড়িতে ছেপে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট মত রূপের রাণীর বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দরীকে মনের চোখে, কিছু মেশিনের চোখে জমা করতে করতে থানছি এগিয়ে চললাম। পথিমধ্যে চিম্বুক আর্মি ক্যান্টিনে আমাদের সকালের নাস্তাটাও সেরে নিলাম। দুপুরের কিছু পরে থানছি পৌছে টুকিটাকি বাজার সেরে দুপুরের ভুরিভোজ শেষ করে ২টা নৌকা ঠিক করে যাত্রা শুরু করলাম তিন্দু হয়ে রেমাক্রি যাব।

এমনিতেই বান্দরবন এর প্রেমে পরছি সেই কবে,এখন তো প্রেম আরো বেড়ে যাচ্চে,এ যেন নতুন বউ এর প্রতি প্রেম ১০০বছর হলেও বারে বারে একইরকম ;-)।

তিন্দু পৌছে যেন পাথরের রাজ্যে প্রবেশ করলাম।তিন্দুর সৌন্দর্য গ্রহণ করে রেমাক্রির দিকে আমরা।রেমাক্রি ফলস এর সৌন্দর্য দেখে আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।কারন আমাদের উদ্দেশ্য রেমাক্রির বাজার এড়িয়ে পাশের ছোটো একটি গ্রামে থাকা ।

ছোট্ট সেই গ্রামে পোঁছে সবাই নেমে গেল রেমাক্রির সেই শীতল পানিতে নিজের উষ্ণতাটুকু প্রশমিত করতে। আকাশভরা তারার নিচে বয়ে চলা নদী সে এক অপার্থিব ব্যেপার। 😍

এদিন রাতে আমাদের সাব্বির, শামীম খিচুড়ি রান্না করল, সাথে সাইফ এবং মুন্না হাত বাড়িয়ে দিলো কাজের দ্রুততার জন্য। খেয়ে পরম শান্তি পেলাম।এবার আমাদের team এ স্পেশাল রাধুনে আছে,আশা করি ভালই হবে।খাওয়া শেষ করে মাফিয়া খেলার প্ল্যান থাকলেও সবাই ঘুম কুমারীর কাছে হার মেনে ঘুমিয়ে পড়ল।

সকালে উঠে সেই আমাদের স্পেশাল রাঁধুনে শামীম,আরিফ নুডুলস রান্না করে ফেলল। সবাই এক বার, দুইবার নিয়ে বুঝিয়ে দিল ভালই ছিল রেসিপি :)

আর দেরি না করে সবাই রওনা দিলাম নাফাক্ষুমের উদ্দেশ্যে।

অসাধারণ সৌন্দর্যময় পথে ট্রেক করে আমরা এগিয়ে যাচ্চিলাম।হঠাৎ নাফাক্কুম এর আগে অসাধারণ এক ফলস পেলাম।যাকে আমরা নাম দিলাম ছোটো নাফাক্কুম। যার ছবি দেখে আমাদের এক আমেরিকান বন্ধু রীতিমত অবাক এবং সে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

যাই হোক ছোটো নাফার সৌন্দর্য উপভোগ করে বড় নাফার দিকে এগিয়ে গেলাম।এক সময় পৌছে গেলাম বড় নাফার কাছে।

এ যেন ছোটো বউ এর ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে বড় বউ এর কাছে এলাম ;-). বড় বউ আসলেই সব কিছুতেই বড়।সে তার ঘর সাজিয়েছে অনেকগুলা বাথ টাব দিয়ে।তাই আর দেরি না করে আমরা সেই বাথ টাব এ গোসল এর সাধ নিলাম।এ যেন life time achievement :-).

সাধ নিতে নিতে হঠাৎ শুনি চিৎকার, এ যেন বাঁচার আর্তনাদ।
হ্যা বন্ধুগণ অসাবধান বশত অন্য এক টিমের এক ভাই পড়ে গিয়েছিল নাফাক্ষুমের কুমে। হয়ত মরেই যেত যদি আমাদের পাহাড়ি বন্ধুটি (অনেকের ভাষায় গাইড) লাফ না দিত। আমাদের পাহাড়ি বন্ধুটিই তাকে বাঁচিয়েছে। নাহলে হয়ত আবার কুম ট্রেইল বন্ধ হয়ে যেত কিছু দিনের জন্য। পরে অবশ্য ওই ভাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

যাই হোক আমরা আমাদের কুমের সাধে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে এগিয়ে চললাম পাশের সেকরেন পাড়াতে।

পৌছে পাহাড়ী তুরমুজে সবাই সতেজ হতে না হতেই শুনি আমাদের জলকেলিতে অংশ নিতে হবে :) পাড়ার বন্ধুরা আমাদের এক অনন্য সম্মান দিল যা সারাজীবন মনে থাকাবে!!😍

হ্যা বন্ধু যা বলেছিলাম এক এক সময় রূপের রাণীর এক এক রূপ। পহেলা বৈশাখে আদিবাসিদের এ জলখেলা সবচেয়ে আকর্ষণীয়।

সবাই এই রৌদ্রস্নাত দুপুরে unlimited জলখেলা শেষে পরিতৃপ্ত হলেও আমাদের আরিফ কিন্তু এখনো পরিতৃপ্ত নয় ;)

তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে চরম শান্তি নিয়ে শেষ বিকেলের আলোয় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হল সেকরেন একাদশ এর বিপক্ষে। আর তাতে সবাই পেটপুরে খেলল।

সাইফ আর আরিফের পেট একটু বেশিই ভরল :D। দুটি গোলে তাদের অবদান যে একটু বেশি ;) যদিও রুশোর মাঝখানে একটু ম্যারাডোনা টাইপ খেলেছিল ;)
আর শামীম তো তার পুরনো দিনে ফিরে গেল, পাহাড়িদের সাথে ফুটবল খেলার পুরোনো রেকর্ড আছে যে তার।
আমাদের পাশা ভাইও কিন্তু ছোপা রুস্তম,সেই খেলে। মজার ব্যাপার হল আমাদের টিমে ৮/৯ জন আর সেকরেন একাদশে ১৮/১৯ জন :)
আর পুরো খেলা চোখের ক্যামেরার পাশাপাশি স্মৃতির ক্যামেরায় ধারণ করেছে আমাদের স্পেশালিষ্ট ClickBazz মুন্না। আর Cinematography তে ছিল আরমান,ও অবশ্য ফাঁকেফাঁকে সেই খেলা খেলেও নিচ্ছিল।

যাই হোক খেলা শেষে আমাদের স্পেশাল রাধুনেরা স্পেশাল রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এবার মুন্না আর তারেকও যোগ দিল এ রান্নায়। আর সাইফ তো আছেই সব কিছু তদারকি করতে :)

অবশেষে জম্পেশ খানা শেষে সবাই আবার চাংগা হয়ে উঠল। কি বন্ধুগণ কি চিন্তা করেছেন!! চাংগা কি ঘুমাতে!! না রাত এখনো অনেক বাকি। আজকে যে পুরো রাতটাই স্মরণীয় করে রাখতে হবে।

চিন্তা করেছিলাম চুলা বানিয়ে,আগুন জালিয়ে রান্নাবান্না করে নাফাক্ষুমের বুকে খাবো।যেই কথা সেই কাজ,সবাই লেগে পড়ল কাজে।

আর তাই আমরা পুরো টিম ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেলাম। এক দল যাবে নাফাক্ষুমের মাছ ধরতে, আর এক দল নাফাক্ষুমের ঝিরির বিশাল বড় মাঠে তাবু খাটাতে। হবে সেই এক ক্যাম্পিং।

আবার চলতে শুরু করলাম। রাতের আলোয় পথ চলা।রাতে ট্র্যাক করার মজাই আলাদা।চাঁদের আলোয় এ পথ চলা যেন অনন্যা। চলতে চলতে মাছ ধরার আদর্শ জায়গাগুলোতে নেমে গেলাম।উদ্দেশ্য যে কুমের মাছের বারবিকিউ।

রাত সম্ভবত ৮টা। ১ম জাল ফেলা হল,আর তাতেই বাজিমাত :) নাফাক্ষুমের স্পেশাল মাছ। প্রায় ঘন্টা ২ এর মত মাছ ধরার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। আরিফ হাত দিয়েই চিংড়ী মাছ ধরে ফেলল।এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে কারো এতকানি ভয় কাজ করেনি,কাজ করেছে শিহরিত রোমাঞ্চ ;)। শামীম জাল ফেলার সাথে সাথেই রাকিন পানিতে ঝাপ দেয়। একটি মাছও যেন পালাতে না পারে :)। বড় ছোট মিলিয়ে অনেক মাছ ধরা হলো। এ সমস্ত Unreleased Video আসছে খুব শীঘ্রই যা আরমানের special Cinematography তে ধরা পড়েছে।
এক ফাঁকে নাফাক্ষুমের রাতের ভিউও উপভোগ করলাম।আবারো এগিয়ে পড়লাম।

রাত সম্ভবত ১০টা,পৌছে গেলাম নাফাক্ষুম ঝিরির পাশের সেই মাঠটিতে যেখানে আমাদের ক্যাম্পিং ফেলা হয়েছে।

যাই হোক আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ২য় দিন রাতে আমাদের প্ল্যান মত সবই হচ্ছিল।যত সময় যাচ্ছে এ ভ্রমণ যেন রসালো হয়ে উঠছে।কেন?can u believe it..কোন ট্র্যাকিং এ এসে খাবার নিয়ে কখনো চিন্তা করি নাই,কিন্তু এবার দেখি প্রতি রাতেই রসালো খাবার।আমাদের special রাধুনে শামীম,সাব্বির,আরিফ,মুন্না এবং আমরা বাকি সবাই এর chemistry এর গুনে আমরা পেয়েছি পাহাড়ি মোরগ এর বারবিকিউ এর সাথে সাধময় নাফাক্কুম এ ধরা মাছ এর বারবিকিউ। বারবিকিউ এর রসনে যেমন ClickBazz ছিল আমাদের মুন্নী ঠিক তেমনি এ মুহুর্তগুলো স্মৃতির খাতায় ধরে রাখতেও ভুল করেনি।

এত সহজে কি আর উদোর পূর্তি ভূতোর ঘাড়ে!! হ্যা ঠিক তাই বন্ধুগণ। আমাদের Dedicated আরিফ এর ২খানি হাত এর একটি কিছুটা কাটা গিয়েছে।
সত্যি তাদের রসায়নে দারুণ সাধের খাবার পেয়েছি আমরা।আমাদের কুম ভ্রমণ এর রসায়ন যেন বেড়েই চলছিল,তার মাত্রা বাড়াতে সাথে যোগ হল এ তারাময় রাত।

আকাশে তারার মেলা বসেছে আজ,ওরাও মনে হয় আকাশে কোনো ভুরিভোজের আয়োজন করেছে। খাবার তৈরি হলে পরিবেশন করা শুরু হয়ে গেল।হায়রে এ যেন সপ্নের চাইতে বেশি কিছু। can u believe it!!

তারাখচিত রাতে নাফাক্ষুমের বুকে ঝিরির পাশে বসে ডিনার করছি বয়ে চলা রিমাক্রির কল কল শব্দে।ইশ সে যদি আমার পাশে থাকত আজ ;-)

তবে হ্যা তাকে নিয়ে আসব আবার কোন এক চাঁদনী রাতে,ততদিন নাহয় এ স্মৃতি বুকে বাসা বেধে থাকবে।

পেঠ ভরে খাওয়ার পর নাফাক্ষুম ঝিরির পাশে চলে গেলাম যাদের ঘুম পাচ্ছে না ;-).ঝিরির কলকল ধ্বনির সাথে তারাময় আকাশ,মেঘের মধ্যে আমাদের আডডাটা যেন জমে উঠছিল।কিন্তু ঘুমাতেও তো হবে। যদিও ইচ্ছে করছে না ঘুমাতে। তারপরও হাল্কা ঘুমাতে তাবুতে ঢুকে পরলাম ;-)

৩য় দিন ভোরটা একটু স্পেশাল ছিল। পানির উপর মেঘের ভেসে যাওয়ার দৃশ্যটা কখনো ভুলার নয়।

নাস্তা সেরে যাত্রা শুরু রেমাক্রির উদ্দেশ্যে। ফিরার ক্ষণ শুরু।

যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়... প্রিয় সময়গুলো কিভাবে জানি চলে যাচ্ছে। ফিরার পথে রূপের রাণীর প্রতিটি ঘ্রাণে নিজেকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করে নিচ্ছিলাম। ছোটো নাফাতে আবারো একটু হৃষ্টপুষ্টু হয়ে আমরা রেমাক্রিতে পৌছে গেলাম।

আর দেরি না করে পাহাড়ি বন্ধুদের বিদায় দিয়ে নৌকাযোগে এগিয়ে চললাম থানছির দিকে। মাঝপথে বড় পাথর রাজ্যে আরো কিছুটা সময় অনুভব করা নিরবতা, তিন্দুর বিশালতা সব মিলিয়ে অসাধারণ নৌভ্রমণ শেষ হতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই জলস্নান। না নদীর পানিতে নয়, সেই জলখেলা, পাহাড়িরা যেখানে পাচ্ছিল সেখানেই খেলার অংশীদার করে নিচ্ছিল বিনা অনুমতিতে :)

থানছি নেমে চাঁদের গাড়িতে করে রওনা বান্দরবান এর উদ্দেশ্যে। এখানে unlimited গোসল হল সবার জলখেলাতে।

মাঝপথে অবশ্য আবারো সেই ভুরিভোজ ছিল চিম্বুকের ক্যান্টিনে। আর নাস্তা হিসেবে ছিল surprise পাওয়া বান্দরবানের আমরুপালি আমের সাধ। এভাবেই কেটে গেল রূপের রাণী বান্দরবানে মুগ্ধময় কিছুটা দিন।

সত্যি এ মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
আবার হবে দেখা প্রিয় রূপের রাণী কোন এক পাহাড়ের বাঁকে গহীনে নির্জনতায়।😍😉

Address

House#41, Road#08, Block#E, Banassree Rampura
Dhaka
1219

Opening Hours

Monday 12:00 - 23:00
Tuesday 12:00 - 23:00
Wednesday 12:00 - 23:00
Thursday 12:00 - 23:00
Friday 12:00 - 23:00
Saturday 12:00 - 23:00
Sunday 12:00 - 23:00

Telephone

+8801711082337

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Campfire BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Campfire BD:

Videos

Share

Nearby travel agencies