01/08/2019
বহির্গমন ছাড়পত্রের স্মার্ট কার্ড ও বিদেশ ফেরত কর্মীর অভিযোগের দায়-দায়িত্ব এর বিষয় প্রসঙ্গ ঃ-- সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ জনশক্তি রপ্তানী ব্যুরো ( বিএমইটি ) হতে বিদেশগামী কর্মীদের BMET EMIGRATION CLEARANCE CARD অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে বৈধভাবে বিমানে উঠে বিদেশে পাড়ি দিতে ; উক্ত স্মার্ট কার্ড বিদেশ গমনেচ্ছু কোন কর্মী তাঁর নামের পাসপোর্ট নম্বরে ভিসা প্রাপ্ত হলে সে স্ব-নির্ধারনী পদ্ধতিতে বা কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিএমইটি হতে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন ; বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী স্ব-নির্ধারনী পদ্ধতিতে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির পরে বিদেশে গিয়ে চাকুরী না'পেয়ে বা কোন সমস্যায় নিপতিত হয়ে দেশে ফেরত এলে বিএমইটি কর্তৃপক্ষের কিছু যায় আসে না, কিন্তু উক্ত কর্মী কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির পরে বিদেশে গিয়ে কোন অজুহাতে দেশে ফেরত এলে বিএমইটি'র মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় ফেরত আসা কর্মীকে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির নিকট হতে অভিবাসন ব্যয় নামক ক্ষতিপূরণের নূন্যতম ১,৬৫,০০০/- টাকা আদায় করে দেয়া ; অথচ শুনানীর বক্তব্যে কর্মী জানায় সে তাঁর আত্নীয়কে ভিসা সংগ্রহ ও বিদেশে গমনার্থে টাকা দিয়েছেন, কিন্তু স্মার্ট কার্ড প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির কাউকে অভিবাসন ব্যয়কৃত কোন টাকা প্রদান করেননি, কেবল বহির্গমণ ছাড়পত্র প্রক্রিয়ান্তে স্মার্ট কার্ড করিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে ৫,০০০/- টাকা প্রদান করা হয়েছিল ; পক্ষান্তরে, বিএমইটি'র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক/ প্রতিনিধি-কে চাপ সৃষ্টি করেন ফেরত আসা কর্মীকে অভিবাসন ব্যয়কৃত ক্ষতিপূরণ বাবদ নূন্যতম - ১,৬৫,০০০/-টাকা আগামী ০৩ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে, অন্যথায় রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বিএমইটি'র সার্ভারে লক / বিকল করে রাখা হবে ; বিএমইটি'র অনুষ্ঠিত শুনানীতে রিক্রুটিং এজেন্সির কোন বক্তব্যই গৃহীত হয় না, তৎপর রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে ফেরত আসা কর্মীর অভিবাসন ব্যয়কৃত বা অর্থ লেনদেনের কোন প্রমানাদি পাওয়া যায় নি, তবে রিক্রুটিং এজেন্সি বিএমইটি হতে কর্মীর স্মার্ট কার্ড গ্রহন করায় রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন-২০১৩ এর বিধানমতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ তড়িঘড়ি করে তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয় ; উল্লেখ্য যে, রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে ফেরত আসা কর্মীর অর্থ লেনদেনের দালিলিক প্রমাণ না'থাকলে কেবল কর্মীর স্মার্ট কার্ড এর উপর ভিত্তি করে তাঁকে অভিবাসন ব্যয়কৃত অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিশোধ করতঃ বিএমইটি'র গৃহীত এহেন সিদ্ধান্ত যুক্তিসংগত নহে এবং আইন, বিবেক ও যুক্তিমতে কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নহে ; অর্থল লেনদেনের যথাযথ রশিদ বা দালিলিক প্রমাণ ছাড়া কারো আর্থিক দাবীর সমর্থনে অভিযোগ/মামলা আইনামলে গ্রহনযোগ্য হবার কোন সুযোগ নেই ; প্রসংগত যে, বিএমইটি হতে প্রচার করা হয়ে থাকে - " বৈধভাবে বিদেশ গমনে বিনা রশিদে কোন রিক্রুটিং এজেন্সীকে টাকা প্রদান করিবেন না " যা ক্রেতা সাবধান আইনের প্রচলন বটে ; তাই, বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীকে " অভিবাসন ব্যয় " নামীয় ক্ষতিপূরণের টাকা শয়তানি বৃটিশ আইন ( অভিবাসন আইন-২০১৩) এর অসংগত ধারার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক রিক্রুটিং এজেন্সির নিকট হতে আদায় করিয়ে দেয়া বা পাইয়ে দেয়ার সাথে জড়িত বিএমইটি'র কর্মকর্তা'দের এহেন অন্যায় ও অন্যায্য কার্যকলাপের দায়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'য়ালার আইনে রোজ কিয়ামতের বিচার দিবসে সাজা প্রাপ্ত হবেন মর্মে প্রতীয়মাণ হয় ; সুতরাং, দুনিয়া ও আখিরাতে ন্যায় বিচারে নাজাত পেতে সরকারের বিএমইটি ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত বিদেশ থেকে ফেরক আসা কর্মীর অর্থ দাবীর যথার্থতা সংক্রান্তে অভিযোগ তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলকারী কর্মকর্তা'দের-কে নূন্যতম ১(এক) বছর মেয়াদে জুডিশিয়াল ট্রেনিং করিয়ে এনে অভিযোগ তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলকরণের দায়িত্ব দেয়া সমীচীন হবে ; অতএব, বর্ণিতাবস্থা সদয় অবলোকন পুর্বক সরকারের বিএমইটি'র মাধ্যমে দেশে ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে অভিযোগ তদন্তের মতামত, সিদ্ধান্ত, আইন, বিচার, সালিশ ও রায় সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অগ্রাধিকারক্রমে অতি জরুরীভিত্তিতে জুডিশিয়াল ট্রেনিং করানোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হোক ।।।