Beyond Adventure & Tourism

Beyond Adventure & Tourism Beyond Adventure & Tourism is one of the most innovative tour operators and pioneer in Adventure Tourism in Bangladesh. Beyond started its journey in 2008.

BEYOND started its journey in 2008.

ঈদ মোবারক! সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।
17/06/2024

ঈদ মোবারক! সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

আগাম ঈদের শুভেচ্ছা। দৈনিক কালের কন্ঠে ছাপা হলো ঈদ উপলক্ষে কাছে ধারের ভ্রমণ আখ্যান। মূল লেখা এখানে: https://www.ekalerkan...
12/06/2024

আগাম ঈদের শুভেচ্ছা।
দৈনিক কালের কন্ঠে ছাপা হলো ঈদ উপলক্ষে কাছে ধারের ভ্রমণ আখ্যান।
মূল লেখা এখানে: https://www.ekalerkantho.com/home/magazine/2024-06-10 /2

বিজ্ঞানী ভন নিউম্যানের নাম আপনি আগে শুনেছেন? না শুনলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। দুনিয়ার বহু মানুষই তার নামের সাথে ততটা পর...
28/12/2023

বিজ্ঞানী ভন নিউম্যানের নাম আপনি আগে শুনেছেন? না শুনলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। দুনিয়ার বহু মানুষই তার নামের সাথে ততটা পরিচিত নন। কিন্তু আপনি যদি হাতের দশ আঙুল গুনে বিংশ শতাব্দির বিশ্বসেরা দশ জন ‘মারাত্মক’ প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর নাম বলতে চান তাহলে সন্দেহাতীতভাবে আইনেস্টাইন, স্টিফেন হকিং, এলান তুরিং এর পাশাপাশি হাঙ্গেরী বংশদ্ভূত আমেরিকান বিজ্ঞানী জন ভন নিউম্যানের নাম বলতেই হবে। অথচ অধিকাংশ মানুষ জানেন না, কে এই নিউম্যান! নিউম্যানের নাম নিয়ে কেন মিডিয়া কথা বলে না? কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন, কতটা প্রতিভাবান, মহান ও ভয়ঙ্কর ছিলেন এই বিজ্ঞানী।

বারবার এনাকে ‘মহান’ কেন বলছি কে জানে! হয়ত যে ল্যাপটপে এই লেখাটা লিখছি, নিউম্যান না হলে সেটিও সম্ভব হতো না। তাকে কম্পিউটিং এর জনক বলা হয়। গত ১৫০ বছরে যত বিজ্ঞানী জগতের যত আবিস্কার করেছেন হয়ত ভন নিউম্যানের অবদানই আপনার জীবনকে সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গেছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে জলবায়ূ পরিবর্তন পর্যন্ত বিজ্ঞানের শত শত খাতে তার আবিস্কারের অবদান আছে। হয়ত সেই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যে ভয়াবহ কান্ড করেছেন সে কথা ভুলি কী করে? এমন কি তাকে ভুল বোঝার অবকাশটুকুও তিনি রাখেন নি।

ছয় বছর বয়সের একটি শিশু যদি আট অংকের বিশাল দুটি সংখ্যার গুনফল বা ভাগফল মনে মনে কষে বলে দিতে পারে তাহলে আপনি তাকে কী বলবেন? ঐশ্বরিক প্রতিভা? নাকি জেনেটিক কো-ইন্সিডেন্স? তাই নিউম্যান নিয়ে কথা বলা খুব মুশকিলের। না পারি গিলতে, না পারি ফেলতে। একদিকে ভয়ঙ্কর দানব, অন্যদিকে মহান বিজ্ঞানী। তার বৈজ্ঞানিক বিস্ময়কর অবদানের কথা এই ছো্ট্ট পোস্টে বলে শেষ করা যাবে না। বা বলা হলেও সাধারণ পাঠকের তার বোধগম্য হবে না। যাদের আগ্রহ আছে তারা দয়াকরে গুগল করে আরো বিস্তারিত জেনে নেবেন। বহু বছর আগে ভারতীয় গণিতবিষ্ময় রামানুজনের জীবন নিয়ে পড়াশোনার এক পর্যায়ে হাঙ্গেরীর এই বিষ্ময়বালক জন ভন নিউম্যান সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি। যিনি পরবর্তীতে আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পারমানবিক বোমা তৈরির কুখ্যাত ম্যানহাটন প্রজেক্টের ভাগ্যবিধাতা হয়ে ওঠেন।

ম্যানহাটন প্রজেক্টের অধিকাংশ কুশীলবদের মতো নিউম্যানও আমৃত্যু কোনদিন দুঃখপ্রকাশ করেননি বা অপরাধবোধেও ভোগেন নি। উপরুন্তু তিনি কোল্ড ওয়ারের সময়েও বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের বিপক্ষে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহার (মিউচুউয়ালি এশিওরড ডিস্ট্রাকশন) নীতির পক্ষ নিয়েছেন। আমেরিকার পারমানবিক বোমা তৈরির প্রজেক্টে তিনি কী বৈজ্ঞানিক অবদান রেখেছেন তার জটিল ব্যাখ্যায় না গিয়ে শুধু সহজ ভাষায় কয়েকটা কথা বলি যাতে সাধারণ পাঠক সহজেই অনুমান করতে পারবেন প্রতিভা বিপথে গেলে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
ভন নিউম্যান যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে চাইলেন তখন বয়সের কারণে তাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কিন্তু আমেরিকা জানে প্রতিভার সদ্ব্যবহার কী করে করতে হয়। তাই তাকে বেশ কিছু সামরিক প্রজেক্টে কাজ করার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। অচিরেই তাদের হিরে চিনতে ভুল হয়নি।

নিউম্যানের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক ছিলো যে, তিনি যে কোন বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধান না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হতে পারতেন না। আর তখন আমেরিকার পারমানবিক বোমা তৈরির ম্যানহাটন প্রজেক্টে সবচেয়ে জটিল সমস্যা দেখা দিলো বিস্ফোরক দ্রব্যের কার্যকারিতার মডেল নিয়ে। বলা যায়, প্লুটোনিয়াম-২৩৯ যদি ঠিকভাবে ব্যবহার করা না যায় তাহলে বোমা কাজই করবে না। নিউম্যানকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডাকা হলো।

ভন নিউম্যান তার সকল গাণিতিক মেধা ব্যবহার করে কাজে মননিবেশ করলেন। দিনরাত নেশাগ্রস্তের মতো কাজ করে তিনি শুধু এই সমস্যা সমাধানই করলেন না, বলে দিলেন, বোমাটি মাটিতে পরে বিস্ফোরিত না হয়ে যদি কিছুটা শূন্যে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয় তাহলে ধ্বংসের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। এমনকি ভূমি থেকে কতটা উপরে এবং তাতে মৃ্ত্যুর পরিমান কতগুণ বাড়ানো যেতে পারে তারও সম্ভাব্য হিসেব কষে দিয়েছিলেন।

সেই পারমানবিক বোমার আঘাতে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে যা ঘটছিলো তা পুরো বিশ্বকে বোবা বানিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু আমি দিব্য চোখে দেখতে পাই, লক্ষ লক্ষ নর-নারী-শিশুর পোড়া ঝলসানো আর রক্তাক্ত লাশের শরীর থেকে উড়তে থাকা ছাইভস্মের ধোঁয়ার দৃশ্য দেখে নিউম্যান ও তার অধিকর্তাদের চেহারায় এক অবর্ণনীয় দানবীয় সাফল্যের স্মারক হিসেবে বাঁকা ঠোঁটে উজ্জ্বল হাসি ফুটে উঠেছিলো। হয়ত এই সাফল্যই তাকে ১৯৫০ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধেও রাষায়ণিক বোমা ব্যবহারের পক্ষে মদদ দিতে উতসাহিত করেছিলো।

এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও তার মনে এতটুকু অপরাধবোধ বা অনুশোচনা দেখা দেয়নি। ১৯৫৪ সালে নিউম্যান আমেরিকার পারমানবিক শক্তি কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্ট্র্যাটেজিক মিজাইল ইভোল্যুশন কমিটি এবং আইসিবিএম সায়েন্টেফিক এডভাইজরি কমিটিসহ বেশ কিছু প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাকে আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় পারমানবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ এবং শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী বলা হয়।

অথচ এই ভন নিউম্যানই কিনা ‘দ্য কম্পিউটার এন্ড দ্য ব্রেইন’ বইয়ের এর কিংবদন্তি লেখক, বিশ্বখ্যাত গেম থিওরির উদ্ধাবক (থিওরি অফ গেমস এন্ড ইকোনমিক বিহেভিয়র), কম্পিউটার বিজ্ঞানের লজিক্যাল ডিজাইনের পথপ্রদর্শক এবং আরো ভুড়ি ভুড়ি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সৃষ্টিকর্তা।

হিটলারের অবস্থা ছিলো একদম উল্টো। হিটলারের কোন উচ্চশিক্ষা ছিলো না। নিউম্যান ছিলো অতি উচ্চশিক্ষিতদের একজন। কিন্তু প্রক্রিয়া ছাড়া দু’জনের কাজের মধ্যে অমিল কোথায়? যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের কাছে অমিল নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু আমি বলবো, উদ্দেশ্য এবং বিধেয় ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও দু’জনেই হত্যাযজ্ঞের হোতা। তাই হিটলারকে শিশু-জোয়ান-বৃদ্ধ সারা দুনিয়া ঘৃনা করে। কিন্তু নিউম্যানের কথা সাধারণ মানুষ কেউ জানেই না কেন? মিডিয়া চুপ। নিউম্যান আমেরিকান তাই? নাকি এই পারমানবিক বোমা পার্ল হার্বার আক্রমণের প্রতিশোধ ছিলো বলে? মনে করিয়ে দিতে চাই, কোন যুদ্ধ বা মৃত্যুর পক্ষেই মানবতা দাঁড়াতে পারে না। সেটা যে দেশই হোক না কেন। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপানের পার্ল হার্বার আক্রমণের ফলে আমেরিকার ৬৮ জন সিভিলিয়ানসহ মোট ২,৪০৩ জনের মৃত্যু হয়। অধিকাংশই ছিলেন আমেরিকার সামরিকবাহিনীর সদস্য। কিন্তু ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট ও ৯ আগস্ট হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে আমেরিকার পারমানবিক বোমায় ততক্ষনাত লক্ষাধিক নিরপরাধ সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায় এবং পরবর্তীতে রাষায়ণিক বিষক্রিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, পঙ্গু হয়ে গেছে, আপনারা সকলেই জানেন। আজকে বহু বছর পরে যার বিষক্রিয়ার প্রভাব এখনো জাপানের মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে। আমেরিকার নেলসন ম্যান্ডেলা এক বক্তব্যে বলেছেন, এই বোমা হামলা যতটা না জাপানকে শায়েস্তা করার জন্যে তার চেয়ে অধিক ছিলো রাশিয়াকে স্রেফ তাদের ক্ষমতার নমুনা দেখিয়ে দেয়ার জন্যে। অনেক হয়ত বলবেন, নিউম্যান মহান দেশপ্রেমিক। কিন্তু আমার সেটা বলতে কোথায় আটকাচ্ছে। এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষণ।

১৯০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর, আজকের দিনে, হাঙ্গেরীর বুদাপেস্টের এক ধনাঢ্য ইহুদি পরিবারে জন ভন নিউম্যানের জন্ম হয়। আর মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওয়াশিংটন ডিসির রীড আর্মি মেডিকেল সেন্টারে সামরিক নিরাপত্তাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান।

আমি মনে মনে ভাবি এক ক্ষণজন্মা জগদ্বিখ্যাত বিস্ময়কর বিজ্ঞান প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়!

লেখা: Syed Akhteruzzaman

তার নাম রাম চরণ। কে এই লোক? পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের রুমে বিনা এপয়েন্টমেন্ট ঢ...
27/12/2023

তার নাম রাম চরণ। কে এই লোক? পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের রুমে বিনা এপয়েন্টমেন্ট ঢুকে যেতে পারেন এই লোক। তাতে টেবিলের ওপাশে বসা লোকটি বরং ধন্যই হয়ে যান। কে এই রাম চরণ?

একবার বিখ্যাত ফরচুন ম্যাগাজিনে তার সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিলো যেখানে বিশাল কলেবরে জোড়া পাতায় একটা আস্ত পৃথিবীর মানচিত্র ছাপিয়ে তার মধ্যে রঙধনুর মতো বাঁকা দাগ কেটে দেখানো হয়েছে গত দুই সপ্তাহ তিনি কোন দিন দুনিয়ার কোথায় ছিলেন। ২০০৭ সালের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারটির শিরোনাম ছিলো ‘The Strange Existence of Ram Charan’. সংখ্যাটি এখনো আমার সংগ্রহে আছে। ভেবেছিলাম পুরো সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করবো কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি।

তাঁর প্রসঙ্গে শুধু মজার মজার কয়েকটা কথা বলবো। যতই বলি ততই কম বলা হবে। যে কথাগুলো শুনে দুনিয়ার তাবত মোটিভেশন স্পিকার আর ম্যানেজমেন্ট গুরুরা খাবি খেতে পারেন। কারণ তাদের আওড়ানো তথাকথিত সূত্রগুলো এই মানুষটির ক্ষেত্রে কাজে লাগেনা। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সেরাদের সেরা একজন ব্যবসাবিষয়ক পরামর্শদাতা – বিজনেস কনসাল্ট্যান্ট – যাকে জেনারেল ইলেক্ট্রিক (GE) এর সাবেক সিইও জ্যাক ওয়েলচ একবার বলেছিলেন, আপনাকে এত এত ট্রাভেল করতে হয় একটা প্রাইভেট জেট নিয়ে নিচ্ছেন না কেন? রাম রচণ এই প্রসঙ্গ মাছি তাড়ানো মতো বাতাসে হাত নেড়ে বলেছিলেন, আরে ধূর, এতসব সামলানোর মতো সময় কই? এখন পর্যন্ত একটা গাড়িই হলো না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই বিশ্বখ্যাত ব্যবস্থাপনাবিষয়ক লেখক ও পরামর্শদাতার একটা গাড়ি পর্যন্ত নেই। থাকবে কী করে, গাড়ি চালাতে শেখেন নি সারা জীবনে। জিজ্ঞেস করা হলে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলেন, গাড়ি কিনে রাখবো কোথায়, রাখার জায়গা তো নেই।

রাম চরণের কাজের কোন সঙ্গী নেই। একা কাজ করেন। কোন অফিস নেই। তার দিন কাটে সারা দুনিয়ার ফাইভ স্টার হোটেলের রুমে থেকে থেকে। না, ভুল বললাম, তার একটা অফিস আছে। আমেরিকার ডালাসে, নর্থ সেন্টার এক্সপ্রেস ওয়েতে। এই ঠিকানাই তার পাসপোর্টে লেখা। রাম চরণ একজন ভারতীয় বংশদ্ভূত আমেরিকান। সেই অফিস সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানে না, কারণ সেখানে তিনি কখনো থাকেন না, এমন কি, কখনো যানও না। সেখানে দুই জন ভদ্রমহিলা কর্মরত আছেন যাদের একজনের নাম সিন্থিয়া বার, যিনি রাম রচণের খেপাটে এপয়েন্টমেন্ট শিডিউল ম্যানেজ করতে করেতে হিমশিম খান আর দু’জনে মিলে সপ্তাহে ৩ দিন (সোম, বুধ আর শুক্রবার) রাম চরণের জন্য একটা কার্ডবোর্ড বক্সে পরিস্কার জামা কাপড় প্যাকেট করে নির্ধারিত হোটেলের ঠিকানায় কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেন। এই কার্ডবোর্ড বক্সের মধ্যে রাম চরণের চরণের জন্যে একজোড়া সাড়ে নয় সাইজের কালি করা জুতা, টুথব্রাশ, টুথপেষ্ট, শেভিং রেজর, শ্যাম্পু, কয়েকটা জামা, খাকি প্যান্ট, জাঙ্গিয়া, গেন্জি ইত্যাদি পাঠিয়ে দেন, যখন যেটা লাগে। দুই দিন পরে সেই কার্ডবোর্ড বক্সটি ময়লা কাপড় নিয়ে ডালাস অফিসে ফেরত আসে। এই হলো দুই কর্মকর্তার কাজ। ৬ বছর আগে এই দুই কর্মকর্তার ইন্টারভিউ নিয়ে চাকরি দেয়া হয়েছে তারপর থেকে রাম চরণের সাথে কখনো দেখা হয় নি। আমি পড়ি আর মাথায় হাত দিয়ে ভাবি, এ কেমন মানুষ! আপনিও বলুন, এই মানুষটি সম্পর্কে ফরচুন ম্যাগাজিন ‘রাম চরণের আজব অস্তিত্ব’ শিরোনাম ছাড়া আর কী দিতে পারে। এখনতো বাকি আশ্চর্যের কথা বলাই হয়নি।

এত কিছু শোনার পরে ভাবতে পারেন, কী যোগ্যতা আছে এই মানুষটার যে এমন জীবন যাপন করেও পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা ব্যবস্থাপনা গুরুর মর্যাদা পেয়ে বসে আছেন। এই ফরচুন ম্যাগাজিনই তাকে ‘সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে ইনফ্লুয়েনশিয়াল জীবন্ত ব্যবসা পরামর্শক’ (Possibley the most influential business consultant alive’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ছোট্ট পরিসরে অনেক কিছু লেখার অবকাশ নেই। শুধু জানিয়ে রাখি, রাম চরণ ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন, ভারতেই পড়াশোনা করেছেন। ইচ্ছে ছিলো হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পড়াশোনা করার। তার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এবং ফলাফল এতই ভালো ছিলো যে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল তাকে ছাড়েনি। প্রফেসর বানিয়ে রেখে দিয়েছিলো। তার শিক্ষাগত সাফল্যের সব কথা এখানে বলতে গেলে এই লেখা আর ফুরোবে না।

সিটিকর্পের সিইও জন রীড একবার উল্লেখ করেছন, যে মুহুর্তে আপনি ব্যবসার বড় সমস্যার একটা যুতসই সমাধান বের করে এক কাপ কফি নিয়ে আয়েশ করে বসবেন ঠিক তক্ষুণি ভেলিকবাজির মতো রাম চরণের ফোন আসবে। আর আপনাকে সে বুঝিয়ে দেবে, আপনি যা এতক্ষণ ভেবেছেন তার কোন মাথামুন্ডু নেই। আপিন আবার অগাধ জলে ডুবে যাবেন। এই লোকের এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে সঠিক সমস্যাটি খুঁজে বার করার আর আর যুক্তিসংগ্ত সমাধান বার করার।

জেলারেল ইলেক্ট্রিক (GE) এর জ্যাক ওয়েলচ অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, একদিন আমরা বোর্ড রুমে সব পরিচালকরা বসে একটা জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্য চুল ছিড়ছিলাম। কোত্থেকে ভূতের মতো দরজা নক করে রাম চরণ বোর্ডরুমে ঢুকে পড়লেন। যদিও দরজা নক না করে সে ঢুকে যেতে পারতেন। দুনিয়ার এমন কোন কোম্পানি নেই যার বোর্ডরুমে রাম রচণ দরজায় টোকা না দিয়ে ঢুকলে কেউ টু শব্দটি করবে। বরং ধন্যই হবে। তো, আমরা সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম। যথারীতি বোর্ড রুমে তখন পিন পতন নিরবতা। রাম চরণ সোজা হোয়াইট বোর্ডের কাছ চলে গেলেন এবং এক মনে কী সব লিখতে শুরু করলেন। এভাবে অস্বস্তিকর কয়েক মিনিট কেটে গেলো। কেউ কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছে না, আমিও না। এবং বিশ্বাস করবেন না, রাম চরণ যে সমাধানটি হোয়াইট বোর্ডে লিখলেন আমরা সেই সমস্যাটি নিয়েই এতক্ষণ তর্কবিতর্ক করে যাচ্ছিলাম। রাম চরণ সেটা জানলেন কি করে? এই হচ্ছে তার যোগ্যতার নমুনা। সে তার ক্লায়েন্টের সমস্যা সম্পর্কে এতটাই ভালো জানেন যে ক্লায়েন্ট নিজেও অনেক সময় সেটা জানেন না। আর তার একটা বদ অভ্যাস হচ্ছে, একবার যদি তার পরামর্শে আপনি রাজি হয়ে যান, তারপর দশ মিনিট পর পর সে ফোন করতে থাকবেন - যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি যেটা করার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছেন সেটা না করেন।

লতা মঙ্গেশকর রাম চরণের সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী। কিন্তু গান তিনি তেমন একটা শোনেন না, শোনার অবকাশ তিনি পান না। কারণ গান শুনলে তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আর সেটা তার বিজনেস থিংকিংকে এলোমেলো করে দেয়। সুতরাং চিন্তার সময় কোন সঙ্গীত নয়। কিন্তু কোন সময় তিনি বিজনেস থিংকিং করেন না? হ্যাঁ, জীবনে একটা সময় আছে, যখন তিনি ভারতে যান, তাঁর মায়ের সাথে দেখা করেন, নিজ হাতে গরুকে ঘাস খাওয়ান, নিজ হাতে গরুর গোবর দিয়ে মায়ের চুলার জন্য জ্বালানী বানান আর মায়ের সাথে বসে দুধ দিয়ে ভাত খান। তারপর সোজা বিজনেস ক্লাসে ফ্লাই করে চলে আসেন তার কোন বিলিওনিয়ার ক্লায়েন্টের বোর্ড রুমে, হয়ে ওঠেন তাদের গাইডিং স্টার।

যে জীবন তিনি যাপন করতে চেয়েছেন, সারা দুনিয়া যাকে ‘স্ট্রেইন্জ’ বলে আখ্যা দিয়েছে, সেই জীবন সাহস করে যাপন করে যাচ্ছেন। ভালো কথা, জীবনে লক্ষ্য ছাড়া নাকি কিছুই হয় না? মোটিভেশন স্পিকাররা হর হামেশাই বলে থাকেন। রাম রচণকে তার উদ্ভট জবাবে ক্লান্ত এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? তার সোজা উত্তর. আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি, এই কাজ আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে সেটাই আমার লক্ষ্য। আমি আগে থেকে কিছু ঠিক করিনা।

এই কথা রাম চরণ বলে পার পেয়ে গেছেন। আপনি আমি বলে পার পাবো না। নজরুল স্কুল পালিয়েছিলেন, তার মানে সব স্কুল পালানো ছেলেই নজরুল হয়নি। ফলে, আপনাকে আমাকে লক্ষ্য অনুসরণ করে চলতে হবে। আমরা লক্ষ্যের কাছে পৌঁছাতে দৌড়াই, আর লক্ষ্য রাম রচণের কাছে পৌঁছানোর জন্য দৌড়ায়। বিশাল ফারাক!

গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন ছিলো। তাঁর বয়স ৮৪ বছর হলো। স্যালুট এই মহান ব্যাক্তিত্বকে।

[সতর্কতা: অনেকের কাছেই রাম চরণের জীবনাচরণ অবিশ্বাস্য লাগা মোটেও অস্বাভাবিক না, দয়াকরে গুগল করলেই আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। ফরচুন ম্যাগাজিন এর ২০০৭ সালের এপ্রিল সংখার সেই সাক্ষাৎকারটিও অনলাইনে আছে। যাদের আগ্রহ আছে তারা আরো বিস্তারিত জানুন।]

আজ ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বখ্যাত পর্তুগীজ নাবিক-অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামার মৃত্যুদিবস। ১৫২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ম্যালেরিয়ায় আক্রান...
24/12/2023

আজ ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বখ্যাত পর্তুগীজ নাবিক-অভিযাত্রী ভাস্কো দা গামার মৃত্যুদিবস। ১৫২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ভারতের কালিকটে মৃত্যুবরণ করেন। ইচ্ছে আছে ভাস্কো দা গামাকে নিয়ে এক সময় বিস্তারিত লিখবো। এই ছো্ট্ট লেখায় শুধু কয়েকটা সন তারিখ নিয়ে বলবো যা জানা জরুরী।

১৪৯৮ সালের ২০ মে ভাস্কো দা গামা ভারতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত কোন ইউরোপীয় বা বৃটিশ শাসন ভারতের মাটিতে সমুদ্রপথে আঁচড় কাটতে পারেনি। ভাস্কো দা গামা এই সমুদ্রপথটি সুগম করেছিলেন। এই কাজটি আর যে কেউ করতে পারতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যিনি করেছেন সেই মানুষটির নাম ভাস্কো দা গামা। একজন নাবিক-অভিযাত্রী হিসেবে তার বুদ্ধি, নেতৃত্ব ও দু্ঃসাহসের তুলনা নেই কিন্তু একজন মানুষ বা শাসক হিসেবে তার কর্মকান্ড সারা বিশ্বে যেমন খুবই গর্বের আর সম্মানের তেমনি ভারতীয় উপমহাদেশের কাছে কলঙ্কের এবং দু্ঃস্বপ্নের। আমার মনে নেই পাঠ্য বইয়ে আমরা তার জীবনী কী ভাষ্যে পড়েছিলাম। হয়ত মহানায়ক হিসেবেই পড়েছি। কারণ পৃথিবী তাকে সেভাবেই স্মরণ করে।

শুধু ভারতে নয় (এখানে ভারত বলতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সব একসাথে তখনকার দিনে) বিশ্ব জুড়ে তাকালে হাজার হাজার বছর ধরে এই একই চিত্র দেখতে পাই। কার চেয়ে কে সেরা, কার চেয়ে কে মন্দ এই হিসেবের কোন শেষ নেই। যুগে যুগে মানুষ মানুষকে হত্যা করেছে, পুড়িয়ে মেরেছে, মানুষেরই রক্তের মানুষের হাত লাল হয়েছে। লালসা বা সম্পদের লোভে, শক্তি বার প্রতিপত্তির লোভে, দম্ভের দাপটে বা আত্মরক্ষার জন্যে মানুষ যুদ্ধ করে গেছে। কেউ হেরে গেছে, কেউ জিতে গেছে। মানুষকে কত বিচিত্র ও অভিনবভাবে মেরে আনন্দ উল্লাস করা যেতে পারে তা কেবল মানুষই আবিস্কার করে গেছে সৃষ্টির আদিপর্ব থেকে। আজো করছে। এই তো! ভাস্কো দা গামা সেই বহমান রক্তগঙ্গার একজন উল্লেখযোগ্য নাবিক ছাড়া আর কিছুই নন। যিনি ইউরোপ থেকে ভারতে আসার সমুদ্রপথও আবিস্কার করেছিলেন একই সাথে। কিন্তু ভাস্কো দা গামা কি এই সংঘর্ষ এড়াতে পারতেন না?

তিনি বিনাযুদ্ধে যুক্তিসংগত ভাবেই ভারতের সাথে ব্যবসা করতে পারতেন, কিন্তু ভারতকে তিনি ব্যবসা করার জন্যে খাজনা দিতে রাজি ছিলেন না। এখানেই দ্বন্দের শুরু। পর্তুগীজরা তখন সমুদ্র অভিযাত্রায় সারা পৃথিবীর মধ্যে সেরা। একের পর এক কলোনী স্থাপন করে যাচ্ছে। নতুন নতুন দ্বীপ, দেশ, রাজ্য দখল করছে, সম্রাজ্য বিস্তার করে চলছে অনায়সে। ফ্রান্স একবার পর্তুগালের জাহাজের উপর আক্রমণ করেছিলো ১৪৯২ সালে। তখন ভাস্কো দা গামাকে পাঠানো হয়েছিলো শায়েস্তা করার জন্য। ফ্রান্সকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই বার। ফলে ভাস্কো দা গামা কে, তার সাহস কতটা আর কোন মাপের উত্তাল সমুদ্র তিনি ঠান্ডা মাথায় সামাল দেয়ার ক্ষমতা রাখেন সেটা মাথায় নিয়ে ১৪৯৭ সালকে বিবেচনা করতে হবে। ফলে এটা এমন মনোভাব থাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার যে, সারা দুনিয়ায় কলোনী স্থাপন করবো, খাজনা আদায় করবো কিন্তু খাজনা দেবো না কাউকে। আমরাই সেরা।

ভাস্কো দা গামা ভারতে ৩ বার এসেছিলেন। প্রথমবার এসে কালিকটের রাজার দরবারে দেখা করলেন। রাজা জানিয়ে দিলেন, ব্যবসা করবেন ভালো কথা, কিন্তু সবার মতো খাজনা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে। এই কথা শুনে ভাস্কো দা গামা বেজায় নাখোশ হয়ে চলে গেলেন। কিছু উপহার-টুপহারও নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাতে রাজার মন গলেনি। ভাস্কো দা গামা চলে আসার সময় ৩ জন নায়েব আর ১৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে আসেন। স্রেফ তাদেরকে অত্যাচার করে গায়ের ঝাল মেটাবেন বলে। আমার জানা নেই, এই হতভাগ্য ১৯ জনের কী পরিণতি হয়েছিলো ইতিহাসে তা লেখা আছে কিনা। মৃত্যুই অনুমেয়। ভাস্কো দা গামা দ্বিতীয়বার এসেছিলেন ১৫০২ সালে। এবার প্রস্তুতি নিয়ে এসছিলেন। গোলা বারুদসহ। কালিকটের রাজাকে শায়েস্তা করতে। এই যাত্রায় তিনি যে পাশবিক কর্মকান্ড চালিয়ে ছিলেন তা ছিলো অবর্ননীয়। ৪০০ হজ্ব যাত্রীসহ জাহাজ পুড়িয়ে দেয়া, শহর থেকে মুসলমানদের সরিয়ে দেয়ার দাবি, উপকূলীয় মানুষদের ধরে ধরে নাক কান কেটে নেয়া, এবং রাজা সামুদিরিকে পরাজিত করে লুটপাট করে জাহাজ ভর্তি গোল মরিচ আর মশলা নিয়ে পর্তুগালে ফিরে এসেছিলেন সেই বার।

এরপর ২০ বছর নিরব ছিলেন। পর্তুগালের রাজা তৃতীয় জন ভাস্কো দা গামাকে ‘ভাইসরয়’ উপাধি দিয়ে তৃতীয় বারের মতো ১৫২৪ সালে ভারত পাঠায়। এটাই ছিলো তার শেষ যাত্রা। যে মাটি শোষণ করার জন্য তার জীবনভর স্বপ্ন ছিলো সেই মাটিই তাকে বরণ করে নিয়েছিলো ২৪ ডিসেম্বর। আজকের দিনে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। যদিও ১৫৩৯ সালে তার দেহাবশেষ ভারত থেকে পর্তুগালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে লিসবন শহরের বিখ্যাত জেরোনিম চার্চের ভেতরে তার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। যাবো যাবে করে যাওয়া হয়নি, একদিন দেখতে যাবো।

আগেই বলেছি সেই যুগে নতুন দেশ আবিস্কার, কলোনী স্থাপন, সম্পদ লুটপাট করা, এবং না করতে পারলে ব্যবসা নামক ফন্দি ফিকির করা সকল শাসকেরই মজ্জাগত ছিলো। আর এই ভয়ঙ্কর কাজের জন্যে রাজা-রানীরা দুঃসাহসী নাবিকদের পেছনে অনেক অনেক অর্থ-সম্পদ লগ্নিও করতেন। পর্তুগালের রাজা যেমন ভাস্কো দা গামার সমুদ্র অভিযানের রসদ জোগান দিয়েছেন, স্পেনের রানী তেমনি কলম্বাসকে জাহাজ, নাবিক, খাবার-দাবার, গোলা-বারুদ সব দিয়েছিলেন। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও এদেশে ব্যবসা করতেই এসেছিলো। ফলে ভাস্কো দা গামা যা করেছিলেন তার বিচার করতে গিয়ে দুটো দিক বিবেচনা করা হয় – ১. তিনি সমুদ্রপথ আবিস্কার করে পুরো ইউরোপের জন্য নতুন বাণিজ্য দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন যা পরবর্তীতে ফান্স-বৃটিশসহ অন্যান্য ইউরোপীয়রা অনুসরণ করেছিলেন। ২. তিনি ভারতে পর্তুগীজ কলোনী স্থাপন করতে গিয়ে যে অত্যাচার ও দুসাশন করেছিলেন। বিশ্ব ইতিহাস এই দুয়ের মধ্যে প্রথমটির জন্যেই তাকে বেশি স্মরণে রেখেছে।

ভাস্কো দা গামার মুসলিমদের উপর বিতৃষ্ণার দুটি কারণ স্পষ্ট দেখতে পাই। এক. ৭১১ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১২৯৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০০ বছর পর্তুগালে মুসলিম শাসন ছিলো। হতে পারে ভাস্কো দা গামা সেই পরাধীনতার অপমান দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। দুই. সমুদ্র পথে ভারত আসার এই পথ আবিস্কারের আগে ইউরোপীয়দেরকে ভারত ও চীন আসার সময় স্থল পথে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে হতো এবং মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাসীন শাসকরা ইউরোপীয় বণিকদের কাছ থেকে কর আদায় করতেন। যেটা তাদের মোটেও ভালো লাগতো না। বোধ করি এই করের ঝামেলা এবং মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের দাদাগিরি থেকে মুক্তি পেতে এতটা ঝুঁকি নিয়ে ভাস্কো দা গামা যখন ভারত এসে কালিকটের রাজা সামুদিরির কাছে আবার সেই করের দাবির মুখোমুখি হন, তখন তিনি তেলে বেগুণে জ্বলে উঠেছিলেন। কিন্তু কর দেয়া আর মুসলামনের অবস্থানের মধ্যে ভাস্কো দা গামা মুসলমানদের অবস্থান মেনে নেয়াকে কোনভাবেই বরদাস্ত করতে পারেন নি। তিনি সমঝোতার এক পর্যায়ে রাজা সামুদিরিকে বলেন, ঠিক আছে কর দেবো কিন্তু তোমার শহর থেকে সব মুসলমানদেরকে তাড়াও। কিন্তু সামুদিরি তাতে রাজি হননি। ফলে যুদ্ধ ছিলো অনিবার্য।

যদিও ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক ঘটনা এতটা সাদা-কালো নয়, যতটা সহজে এখানে লিখলাম, হয়ত আরো তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে ঘটনার নতুন মোড় আবিস্কার করা যেতে পারে। তবে তার আগ পর্যন্ত ভাস্কো দা গামার এই সমুদ্র পথ আবিস্কার পুরো বিশ্ব বাণিজ্যের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলো বলে পৃথিবী আজো তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এ সত্যই মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। ভাস্কো দা গামা এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর নাম।

[ ছবি: এই সেই স্থান যেখান থেকে ভাস্কো দা গামা ১৪৯৭ সালের ২০ মে পর্তুগাল থেকে ভারত যাত্রা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সেই স্মৃতি স্মরণে এখানে একটি সুউচ্চ মনুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। ]

লেখা @ Syed Akhteruzzaman

11/12/2023


Don't miss the iconic Arabic dish   when traveling to Arabian countries. Explore with   to ensure you experience unforge...
29/11/2023

Don't miss the iconic Arabic dish when traveling to Arabian countries. Explore with to ensure you experience unforgettable culinary moments.
DM your travel enquries.

06/11/2023

Coming soon with my YouTube Channel loaded by unconventional Travel Tips, Travel Experience and many more...

আমার ক্ষুদ্র জীবনে যে সকল ভ্রমণপ্রিয়, জ্ঞানপিপাসু, নিপাট, নির্ভেজাল, ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি তাদের মধ্যে Kazi Sameeo Sh...
31/08/2023

আমার ক্ষুদ্র জীবনে যে সকল ভ্রমণপ্রিয়, জ্ঞানপিপাসু, নিপাট, নির্ভেজাল, ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি তাদের মধ্যে Kazi Sameeo Sheesh ভাইয়া আর Radia Tamim আপা দুইজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। গত প্রায় ১০ বছর ধরে ভাইয়া এবং আপাকে ভ্রমণ সেবা দিয়ে এসেছি। মিশর, কাশ্মীর, সিকিম (আর কোথায় কোথায় মনে নেই) এর পরে সম্প্রতি ওনাদের ইউরোপ ভ্রমণের যাবতীয় আয়োজন করে দেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। যেহেতু এখন ইউরোপে (পর্তুগাল) থাকি ফলে ভ্রমণ আয়োজন করা আরো সহজ হয়েছে। আপনারা যারা ইউরোপ (যেকোনো দেশ) ভ্রমণে আগ্রহী বা পড়াশোনার জন্য বা মাইগ্রেট করার কথা ভাবছেন তারা +8801321189000 (WhatsApp only) এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

Beyond Adventure & Tourism
www.beyondtourismbd.com
[email protected]
যোগাযোগর সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (পর্তুগাল সময়)

[ছবি কৃতজ্ঞতা: রাদিয়া আপার ওয়াল থেকে, স্থান: সান্তোরিনি, গ্রীস।]

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই... এভাবেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন খাত। বলা বাহুল্য, এভাবে দেশের অন্যান্য মন্ত্রনালয়গ...
13/04/2023

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই... এভাবেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন খাত। বলা বাহুল্য, এভাবে দেশের অন্যান্য মন্ত্রনালয়গুলোকেও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সাথে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে, কেননা পর্যটন উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, সড়ক ও পরিবহন, প্রত্নতত্ত্ব, বিমান, রেল, নৌ, পরিবেশসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের দপ্তরের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। কোন একক মন্ত্রনালয় বা দপ্তর বা এককভাবে ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পারবে না।
An excellent initiative taken by Dhaka City Corporation (South) for the development of the national tourism industry. Congratulations!

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পর্যটন খাতে শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে ‘ঐতিহ্য বল...

https://www.prothomalo.com/world/alp8gxr3roখবরটা ঠিক ভ্রমণ সংক্রান্ত না হলেও, ভ্রমণে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যাপারটা খুবই আতঙ্কজ...
08/04/2023

https://www.prothomalo.com/world/alp8gxr3ro
খবরটা ঠিক ভ্রমণ সংক্রান্ত না হলেও, ভ্রমণে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যাপারটা খুবই আতঙ্কজনক হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই রিপোর্টটির একদম শেষ প্যারাগ্রাফটা না পড়া পর্যন্ত আপনি বুঝতেই পারবেনা বিষয়টা কতটা হাস্যকর আর 'কীয়্যাক্টাবস্থা'র উতকৃষ্ট উদারণ হতে পারে। পড়েই দেখুন। আপনার জীবনে ভ্রমণে এমন কোন 'কীয়্যাক্টাবস্থা' থাকলে কমেন্টে জানান।

পাইলটের আসনের নিচে সাপ শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সোমবার। যেনতেন সাপ নয়, এটা যে বিষাক্ত গোখরো! এরপর উড়োজাহাজ নিয়...

Reichstag, building in Berlin that is the meeting place of the Bundestag, the Federal Assembly. This is one of Berlin's ...
28/03/2023

Reichstag, building in Berlin that is the meeting place of the Bundestag, the Federal Assembly. This is one of Berlin's most famous landmarks.

নিও রেনেঁসা ধাঁচের এই ভবনটি জার্মানির সংসদ ভবন। ১৮৯৪ সালে কাজ শেষ হওয়া এই ভবনটির নকশা করেন পল ওয়ালট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়, আগুনে পুড়ে যায়। দীর্ঘকাল পরে যখন বার্লিন ওয়ালের পতন হয়, পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিন এক হয়ে যায়, ১৯৯০ এর পরে বিখ্যাত বৃটিশ স্থপতি স্যার নরম্যান ফস্টার এর তত্ত্বাবধানে এই ভবনটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ১৯৯৫ এর জুন মাসে এই ভবনটি উদ্বোধনের সময় ১০ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি কাপড় দিয়ে এটাকে পুরোদস্তুর মোড়ানো হয়েছিলো। বিশ্ব দেখেছিলো ভবন উদ্বোধন কেমন হতে পারে!!!
প্রত্যকেটা স্থপত্যশৈলির পেছনে কিছু গল্প থাকে। আর রেইশট্যাগের মতো বিশ্বখ্যাত স্থপত্যকলার পেছনে তো থাকে আরো কত ইতিহাস! ভ্রমণের সেই গল্পগুলো খাঁটি পর্যটককে রোমাঞ্চিত করে।

Travel Europe with Beyond Adventure & Tourism

Travel that makes sense. Travel that reveals the story behind the monuments and fills heart with fullest of joy. পোস্টের...
28/03/2023

Travel that makes sense. Travel that reveals the story behind the monuments and fills heart with fullest of joy.

পোস্টের ছবিতে যে মনুমেন্টটি দেখছেন তাকে অনেকেই বলেন - বার্লিন গেট। কারন এটাই বলতে সহজ হয়। কেউ বলেন - ব্রান্ডেনবুর্গ গেট। কারন এটাই এখনকার অফিসিয়াল নাম। কিন্তু আজকের এই আসল নামটার আগে আরো একটা আসল নাম ছিলো - দ্য পিস গেট – প্রশান্তি ফটক। সেটা আজ থেকে ২৩০ বছর আগের কথা। জার্মান সম্রাজ্যের প্রুসিয়া রাজ্যের রাজা ফ্রেডেরিক উইলিয়াম দ্বিতীয়র উদ্যোগে এই গেট বানানো শুরু হয় ১৭৮৮ সালে। মাত্র ৩ বছরে এই গেটটির ডরিক ধাঁচের ১২টি বিশালাকৃতির খিলান আর তার উপর আগের পিস গেটের স্মৃতিস্মরণে সেই অশ্বচালিত একখানা চ্যারিওট বসানো সহ পুরো কাজ শেষ হয় ১৭৯১ সালে।

আজব খবর হচ্ছে, রাজা ফ্রেডেরিক যাকে এই ফটক ডিজাইনের গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার নাম - কার্ল গোথার্ড ল্যাংহ্যান্স, যার স্থাপত্যবিদ্যায় কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না, তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত স্থাপত্যবিদ। বিশ্বাস করা যায়??

ভ্রমণে এমন অনেক মজার মজার তথ্য আপনার ভ্রমণকে অর্থবহ করে তুলবে। আপনার দরকার এমন একজন ভ্রমণ আয়োজক যে বাজারে সবচেয়ে সস্তায় হোটেল আর বিমানের টিকেট কেটে দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করবে না। বরং দায়িত্ব এখান থেকেই শুরু ভাববে।

Travel Europe with Beyond Adventure & Tourism

Now its time to go Beyond. Get ready! Call for enquery@+8801914099700 (whatsapp)
26/02/2023

Now its time to go Beyond. Get ready!
Call for enquery@+8801914099700 (whatsapp)

If you like French Bakery, Dhaka will not let you down...
21/01/2023

If you like French Bakery, Dhaka will not let you down...

১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
16/12/2022

১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

Address

House 13, Road 9, Block-D, Banasree, Rampura
Dhaka
1219

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00
Tuesday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00
Wednesday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00
Thursday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00
Saturday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00
Sunday 10:00 - 18:00
19:00 - 20:00

Telephone

+8801914099700

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Beyond Adventure & Tourism posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Beyond Adventure & Tourism:

Videos

Share

Category

Nearby travel agencies