Travel World Trade

Travel World Trade Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Travel World Trade, Travel Agency, Dhaka.

সাজেক ভ্যালি:::সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley), বর্তমান সময়ে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য সাজেক। রাঙামাটি জেল...
09/07/2024

সাজেক ভ্যালি:::

সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley), বর্তমান সময়ে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য সাজেক। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসাবে খ্যাত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট। সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে সাজেক যাতায়াত অনেক সহজ। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার আর দীঘিনালা থেকে ৪০ কিলোমিটার।

কি দেখবেন
চারপাশে মনোরম পাহাড় সারি, সাদা তুলোর মত মেঘের ভ্যালি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাজেক এমনই আশ্চর্য্যজনক জায়গা যেখানে একই দিনে প্রকৃতির তিন রকম রূপের সান্নিধ্যে আপনি হতে পারেন চমৎকৃত। কখনো বা খুব গরম অনুভূত হবে তারপর হয়তো হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাবেন কিংবা চোখের পলকেই মেঘের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাবে আপনার চারপাশ। প্রাকৃতিক নিসর্গ আর তুলোর মত মেঘের পাহাড় থেকে পাহাড়ে উড়াউড়ির খেলা দেখতে সাজেক আদর্শ জায়গা।

কংলাক পাহাড় হচ্ছে সাজেক ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। আর সাজেক ভ্যালির শেষ গ্রাম কংলক পাড়া লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। কংলাক পাড়া থেকেই কর্ণফুলী নদী উৎপত্তিস্থল ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়। চাইলে রুইলুই পাড়া থেকে দুই ঘন্টা ট্রেকিং করে কমলক ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন। সুন্দর এই ঝর্ণাটি অনেকের কাছে পিদাম তৈসা ঝর্ণা বা সিকাম তৈসা ঝর্ণা নামেও পরিচিত।

সাজেক এর সূর্যোদয়সাজেক এর সূর্যোদয়
সাজেক এর সূর্যোদয়,

দিন কিংবা রাত সাজেক যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত, সময় গড়ায় তবু সাজেক পুরাতন হয় না। সাজেকে গেলে অবশ্যই সকালে ভোরের সময়টা মিস করবেন না। মেঘের খেলা আর সূর্যোদয়ের আলোর মেলা এই সময়েই বসে। এই জন্যে আপনাকে খুব ভোরে উঠে চলে যেতে হবে হ্যালিপ্যাডে, সেখান থেকেই সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয় দেখা যায়। বিকেলের কোন উঁচু জায়গা থেকে সূর্যাস্তের রঙ্গিন রূপ আপনাকে বিমোহিত করবেই। আর সন্ধ্যার পর আকাশের কোটি কোটি তারার মেলা, আপনার প্রাণ জুড়িয়ে দিবে নিমিষেই। আকাশ পরিস্কার থাকলে দেখা পাবেন মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথের।

ঘুরে দেখতে পারেন চারপাশ ও আদিবাসীদের জীবন যাপন। সহজ সরল এই সব মানুষের সান্নিধ্য আপনার ভাল লাগবে। আর হাতে সময় থাকলে সাজেক ভ্যালি থেকে ফেরার পথে ঢু মেরে আসতে পারেন হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার থেকে।

কখন যাবেন
সাজেকের রূপের আসলে তুলনা হয় না। সারা বছরই বর্ণিল সাজে সেজে থাকে সাজেক। বছরের যে কোন সময় আপনি সাজেক ভ্রমণ করতে পারেন। তবে জুলাই থেকে নভেম্বর মাসে সাজেকের চারপাশে মেঘের খেলা দেখা যায় বেশি। তাই এই সময়টাই সাজেক ভ্রমণের জন্যে সবচেয়ে ভালো।

সাজেক যাবার উপায়
সাজেকের অবস্থান রাঙামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সাজেক যাতায়াত অনেক সহজ। তাই প্রথমেই আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন হুন্দাই, ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস, দেশ ট্রাভেলস, শ্যামলী, শান্তি পরিবহন, এস আলম, ঈগল ইত্যাদি বাসে করে যেতে পারবেন। নন এসি এইসব বাস ভাড়া ৭৫০-৮৫০ টাকা। এসি বাসে যেতে চাইলে সেন্টমার্টিন হুন্দাই রবি এক্সপ্রেস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট, শ্যামলী, দেশ ট্র্যাভেলস, ইকোনো সার্ভিস ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন। আর বাসগুলো সাধারণত রাত ১০ টার মধ্যে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া শান্তি পরিবহন বাস সরাসরি দীঘিনালা যায়, ভাড়া ৭০০ টাকা। ঢাকায় গাবতলী, কলাবাগানসহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এইসব পরিবহণের কাউন্টার। ছুটির দিন গুলোতে যেতে চাইলে আগে থেকেই টিকেট কেটে রাখা ভালো নয়তো পড়ে টিকেট পেতে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক এর দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরের কাছ থেকে জীপগাড়ি/চাঁন্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারবেন। যাওয়া আসা সহ দুইদিনের জন্যে ভাড়া নিবে ৯,০০০-১০,৫০০ টাকা। এক গাড়িতে করে ১২-১৫ জন যেতে পারবেন। তবে লোক কম থাকলে অন্য কোন ছোট গ্রুপের সাথে কথা বলে শেয়ার করে গাড়ি নিলে খরচ কম হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে সিএনজি দিয়ে সাজেক যেতে পারবেন। রিজার্ভ ভাড়া লাগবে ৪০০০-৫০০০ টাকা। তবে পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা বলে সিএনজি দিয়ে ভ্রমণ না করাই ভালো।

জীপ সমিতি ও পার্বত্য যানবাহন মালিক কল্যান সমিতি কর্তৃক খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার ভাড়ার তালিকা

যাত্রার ধরণ পিক আপ গাড়ি জীপ (চাঁদের) গাড়ী
সাজেক যাওয়া ও আসা ৬,০০০ ৬,০০০
সাজেক ১ রাত্রি যাপন ৮,৩০০ ৭,৭০০
সাজেক ১ রাত্রি যাপন, আলুটিলা, রিচাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ সহ ১০,৪০০ ৯,০০০
সাজেক ২ রাত্রি যাপন ১১,১০০ ৯,৬০০
সাজেক ২ রাত্রি যাপন, আলুটিলা, রিচাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ সহ ১৩,২০০ ১১,৪০০
এছাড়া আপনি যদি একা বা ২-৩ জন হন তাহলে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্ত্বর থেকে অনেক গ্রুপ পাওয়া যায়, সেখানে অন্য গ্রুপের সাথে কথা বলে তাদের সাথে শেয়ার করে যেতে পারবেন অথবা জিপ সমিতির অফিসে গেলে ওরা ম্যানেজ করে দিবে অন্য কোন গ্রুপের সাথে।

এছাড়া খাগড়াছড়ি থেকে দিঘীনালায় গিয়ে সেখান থেকে সাজেক যেতে পারবেন। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালার দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। খগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা বাস ভাড়া ৪৫ টাকা, মোটর সাইকেল জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা। আবার চাইলে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে সাজেক ঘুরে আসা যায়। যে কোন গাড়ি ঠিক করার আগে কি দেখবেন, কি করবেন এইসব ভালো মত কথা বলে নিবেন।

তবে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, যেভাবেই যান আপনাকে দিঘীনালায় ৯টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। দিঘীনালা থেকে বাকি রাস্তা নিরাপত্তার জন্যে আপনাকে সেনাবাহীনির এসকোর্টে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর এসকোর্ট দিনে দুইবার পাওয়া যায়। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে একবার, আবার ২ টা ৩০ মিনিটে আরেকবার। সকালের এসকোর্ট মিস করলে আপনাকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, আর বিকেলের টা মিস করলে আপনাকে পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এসকোর্ট ছাড়া যাবার অনুমতি পাবেন না। দিঘীনালা পৌঁছে হাতে সময় থাকলে হাজাছড়া ঝর্ণা ঘুরে দেখে আসতে পারবেন।

দিঘীনালা থেকে যাবার পথে বাগাইহাট, মাচালং বাজার, তারপর রুইলুই পাড়া হয়ে পৌঁছে যাবেন সাজেকে। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক যেতে সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘন্টা। এই সময় আঁকাবাঁকা উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা ধরে চলার সময়টুকু আপনার জন্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চারদিকে সারি সারি পাহাড় আর সবুজের সমারোহ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে পথের সব ক্লান্তি।

চট্রগ্রাম থেকে সাজেক ভ্রমণ : চট্রগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালা হয়ে সাজেক যেতে পারবেন। চট্রগ্রামের কদমতলী থেকে বিআরটিসি এসি বাস সারাদিনে ৪টি বাস চলাচল করে, ভাড়া ২০০টাকা । এছাড়া অক্সিজেন মোড় থেকে ১ ঘণ্টা পর পর শান্তি পরিবহনের (ভাড়া ১৯০টাকা) বাস চলাচল করে। চট্রগ্রাম থেকে বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘন্টা।

রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক ভ্রমণ : রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথ এবং সড়কপথ উভয়ভাবেই বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭ টা ৩০ থেকে ১০টা ৩০ এর মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে যেতে আর সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। জনপ্রতি ভাড়া ১৫০-২৫০ টাকা। রাঙ্গামাটি বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭ টা ৩০ থেকে ৮ টা ৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, জনপ্রতি ভাড়া নেয় ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। এছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকেও সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব। বাঘাইছড়ি থেকে জীপ (চাদেঁর গাড়ি) অথবা মোটর সাইকেলে সাজেক ভ্যালীতে পৌঁছানো যায় এতে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৩০০/-টাকা।

কক্সবাজার থেকে সাজেক ভ্রমণ: কক্সবাজার থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যাওয়া যায়। শান্তি পরিবহনের বাস কক্সবাজার – খাগড়াছড়ি রুটে চলাচল করে। কক্সবাজার থেকে রাত ৯ টা ও ১০টায় বাস খাগড়াছড়ির উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়, নন এসি এই বাসের ভাড়া ৫৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন
সাজেকে থাকার জন্যে প্রায় শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজ আছে। এক রাতের জন্যে রুম নিতে রিসোর্ট ভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগবে। ছুটির দিনে যেতে চাইলে মাসখানেক আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখা ভালো, নয়তো ভালো রুম পাবার নিশ্চিয়তা কম। আর কম দামে থাকতে চাইলে আদিবাসী কটেজ গুলোতে থাকতে পারেন। এছাড়া বর্তমানে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নতুন নতুন অনেক কটেজ হয়েছে। সাজেকের সব কটেজ থেকেই মোটামুটি সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়।

সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজ
সাজেক রিসোর্ট (Sajek Resort) : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট সাজেক রিসোর্ট। নন এসি রুম গুলোর ভাড়া ১০,০০০ – ১৫,০০০ টাকা। আছে খাবারে ব্যবস্থা। সেনাবাহিনিতে কর্মরত বা প্রথম শ্রেনীর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যে ডিসকাউন্ট রয়েছে। যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারেঃ 01859-025694 / 01847-070395 / 01769-302370

রুন্ময় রিসোর্ট (Runmoy Resort) : মোট ৫ টি রুম আছে। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। নিচ তলার রুম ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। যোগাযোগ: 0186547688

মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট (Meghpunji Resort) : সুন্দর ইকো ডেকোরেশনের ও আকর্ষণীয় ল্যান্ডস্কেপিক ভিউ সহ মেঘপুঞ্জিতে আছে ৪টি কটেজ, প্রতিটি কটেজে সর্বোচ্চ ৪ জন থাকা যাবে। ভাড়া ৪০০০-৪৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01815-761065, ফেসবুক পেইজ।

রিসোর্ট রুংরাং (Resort RungRang) : সাজেকের বেস্ট রিসোর্ট গুলোর একটি রিসোর্ট রুংরাং। রিসোর্টে বসেই দিগন্তজোড়া সারি সারি পাহাড় এবং মেঘের উড়োউড়ি দেখার জন্য আদর্শ। নান্দ্যনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সাজানো এই রিসোর্টে আছে ৪টি ডাবল এবং ৪টি কাপল রুম। ছুটির দিনে ডাবল বেড রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা এবং কাপল ২৮০০ টাকা। অন্য সকল দিনে ডাবল বেড রুম ভাড়া ২৮০০ এবং কাপল ২০০০ টাকা। বুকিং এর জন্যে যোগাযোগ নাম্বার: 01884-710 723, 01869-649 817

ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট (Madventure Resort) : রিসোর্টের প্রতি তলায় আছে প্রশস্ত বারান্দা। ২৪ ঘন্টা ইলেকট্রিসিটি ও পানির ব্যবস্থা আছে। ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্টে প্রিমিয়াম কাপল রুম ভাড়া ৪০০০ টাকা, কাপল ক্লাসিক রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা এবং ডাবল ক্লাসিক রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01885-424242, ফেসবুক পেইজ।

মেঘ মাচাং (Megh Machang) : সুন্দর ভিউ ও তুলনামূলক কম খরচে থাকার জন্যে মেঘ মাচাং রিসোর্ট অনেকের পছন্দ। আছে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। মেঘ মাচাং-এ পাঁচটি কটেজ আছে । ভাড়া ৩৫০০-৪৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01822-168877, ফেসবুক পেইজ।

জুমঘর ইকো রিসোর্ট (Jumghor Eco Resort) : থাকার জন্যে এই রিসোর্টে পৃথক কটেজে মোট ৬টি কাপল রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ ৪ থাকার ব্যবস্থা আছে। কটেজ প্রতি ভাড়া ৪০০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01884-208060, ফেসবুক পেইজ।

লুসাই কটেজ (TGB Lushai Cottage) :সুন্দর ডেকোরেশন ও ভালো ল্যান্ডস্কেপিক ভিউয়ের টিজিবি লুসাই কটেজে কাপল, ফ্যামিলি কিংবা গ্রুপের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির কক্ষ রয়েছে। এসব রুমের ভাড়া ২৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01634-198005, ফেসবুক পেইজ।

আলো রিসোর্ট (Alo Resort) : সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়ায়। ৬ টি রুমের মধ্যে ডাবল রুম ৪ টি (২টি বেড)। ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ 01841-000645, ফেসবুক পেইজ।

আদিবাসী ঘর: এ ছাড়া আরও কম খরচে থাকতে চাইলে আদিবাসিদের ঘরেও থাকতে পারবেন। জনপ্রতি ১৫০-৩০০ টাকায় থাকা যাবে। ফ্যামিলি বা কাপল থাকার জন্যে আদর্শ না হলেও বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে থাকা যাবে।

সাজেক এর খাওয়া দাওয়া
সব রিসোর্টে খাবার ব্যবস্থা আছে তাই আগেই রিসোর্টগুলোতে বলে রাখলে পছন্দমত রান্না করে দিবে সেক্ষেত্রে প্রতিবেলা প্রতিজন ১০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে আর মেনু হিসেবে পাবেন ভাত আলুভর্তা, মুরগীর মাংস ইত্যাদি। চাইলে রাতে বার বি কিউও করতে পারবেন। এছাড়া আদিবাসী ঘরেও খাওয়া যায়, আগে থেকেই বলে রাখতে হবে কি খাবেন, তাহলে রান্না করে দিবে। সাজেকে খুব সস্তায় পেঁপে, আনারস, কলা ইত্যাদি ফল পাবেন চেখে দেখতে ভুল করবেন না।

সাজেক ভ্রমণ টিপস
সাজেকে অনেক জায়গায় বিদুৎ নেই, সোলার পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সাথে করে পাওয়ার ব্যাংক রাখতে পারেন।
সাজেকে শুধুমাত্র রবি, এয়ারটেল ও টেলিটক এর নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায়।
সাজেক যাবার পথ অনেক আঁকাবাঁকা ও উঁচু নিচু, তাই এই পথ বিপদজনক। জীপের ছাঁদে ভ্রমনে সতর্ক থাকুন।
সাজেক যেতে গাইডের প্রয়োজন হয় না।
আদিবাসীদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি নিয়ে নিন। অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না।
আদিবাসী মানুষজন সহজ সরল তাদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করুন ও তাদের কালচারের প্রতি সম্মান দেখান।
ছুটির দিনে গেলে ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই (মাস খানেক) রুম বুকিং দিয়ে রাখুন।
যাবার পথে কয়েক জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প আছে। সেখানে ভ্রমণকারী সদস্যদের কিছু তথ্য জমা দিতে হয়। নিরাপত্তার সার্থে তাদের সহযোগিতা করুন। সাথে করে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি রাখুন।
দুই তিন দিনের জন্যে গেলে গাড়ি বসিয়ে না রেখে, শুধু যাবার জন্যে গাড়ি ঠিক করুন, ফিরে আসার সময় অন্য কোন গাড়িতে আসুন কিংবা দিঘীনালা থেকে ফোন করে গাড়ি পাঠিয়ে ফেরত আসতে পারবেন।

TRAVEL WORLD TRADE
01815060519

ভিয়েতনাম ভ্রমণ: মিনিমাম বাজেটে সৌন্দর্য উপভোগ করুন:::::::ইতিহাস, ঐতিহ্য, ও সংস্কৃতিতে ঘেরা ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামকে মধ্যবিত...
08/07/2024

ভিয়েতনাম ভ্রমণ: মিনিমাম বাজেটে সৌন্দর্য উপভোগ করুন:::::::

ইতিহাস, ঐতিহ্য, ও সংস্কৃতিতে ঘেরা ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামকে মধ্যবিত্তদের সেরা পর্যটন স্থান বলা যায়। এখানকার রাস্তাঘাট, শপিং মল, লেক, ও রেস্তোরা, সবকিছুই ট্রাভেলারদের কাছে আকর্ষণীয়। তাই আজ আমরা ভিয়েতনামের দর্শনীয় স্থান, ঢাকা টু ভিয়েতনাম বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া ও ভিয়েতনামের ভিসা আবেদন করার নিয়ম আলোচনা করবো।
৭টি বিমান সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে যেতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন খরচে থাকার জন্য ৬টি হোটেল ও হোস্টেল রয়েছে। সহজেই সেরা হোটেলে থেকে হ্যানয় শহরে ১০টির বেশি স্থানে ঘুরতে পারবেন। চলুন এসবকিছু এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
কিভাবে বিমানে ঢাকা থেকে ভিয়েতনাম যাবেন?
দুটি দেশী আর পাঁচটি বিদেশী সংস্থা বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে বিভিন্ন মানের ফ্লাইট চালু রেখেছে। ২০২৪ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া সকলেই ফিরদিত টিকেটের ব্যবস্থা রেখেছে। বর্তমানে ৭টি আলাদা বিমানে ঢাকা থেকে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়-এ অবতরণ করতে পারবেন।
ঢাকা টু ভিয়েতনাম যাবার বিমানসমূহ—
থাই এয়ারওয়েজ
চাইনিজ ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স
ফ্লাই এমিরেটস
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
ঢাকা টু ভিয়েতনাম বিমান ভাড়া—
বিমান ভাড়া কখনো নির্দিষ্ট থাকেনা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাপ্তাহিক ছুটি, ফ্লাইটের সময় ও মৌসুম অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি হতে পারে। তবে আপনি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে ৪৩,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,৯০,০০০ হাজার টাকায় ওয়ান ওয়ে ট্রিপ এবং ৭৩,০০০ টাকা ধেকে শুরু করে ২,৭০,০০০ টাকায় রাউন্ড ট্রিপের টিকেট পেয়ে যাবেন। নতুন বছরে ভাড়ায় হয়তো কিছুটা তারতম্য দেখা যেতে পারে।
ভিয়েতনামের কোন হোটেলে থাকবেন?
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিয়েতনামের হোটেল ভাড়া অনেক কম, আরাম আয়েশের সুযোগও অনেক বেশি।
বিলাসবহুল পরিবেশে থাকার জন্য ডায়মন্ড ওয়েস্টলুক স্যুট ও গ্র‌্যান্ড প্লাজা হ্যানয় হোটেল আছে।
কম খরচে ভাল সুবিধা পাওয়ার জন্য সমারসেট গ্র‌্যান্ড হ্যানয় ও হ্যানোয়িয়ান সেন্ট্রাল হোটেল অ্যান্ড স্পা ভালো চয়েস।
একা ভ্রমণে গেলে একেবারে কম খরচে থাকতে হ্যানয় ওল্ড কোয়ার্টার্স ব্যাকপ্যাকার্স হোস্টেল ও হ্যানয় কোজি হোস্টেল রয়েছে।
চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক:
ডায়মন্ড ওয়েস্টলেক স্যুট>>
ঠিকানা: ৯৬ টো নক ভ্যান স্ট্রিট, কোয়াং এন, তাই হো, হ্যানয়
হ্যানয়-এর হো তাই লেকের পাশে কোয়াং অ্যান নামক স্থানে গেলে ডায়মন্ড ওয়েস্টলেক স্যুট হোটেল পাবেন। হোটেলে বাচ্চাদের রাখার রুম, টেনিস-ব্যাডমিন্টন-গলফ খেলার জায়গা, সুইমিং পুল ও গরম বাষ্প দিয়ে গোসলের জায়গা আছে। রুম গুলা পরিবার নিয়ে থাকার মত এবং রুম থেকে সরাসরি লেক দেখা যায়।। রুমের মধ্যে সবরকম আসবাবপত্র, কিচেন ও ডাইনিং সুবিধা আছে। বিলাসবহুল এসব সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া কিছুটা কম। এখানে ভাড়া প্রায় ৮,০০০ টাকা, যা সিজন ও রুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
গ্র‌্যান্ড প্লাজা হ্যানয়>>
ঠিকানা: ১১৭, ট্রান দুই হাং, কাও জিয়াই, হ্যানয়
হ্যানয় বিমানবন্দরের ২৩ কিলোমিটার দূরে পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ড প্লাজা হ্যানয় অবস্থিত। এখান থেকে হেঁটে বিখ্যাত কিয়াংমাং হ্যানয় ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারে যাওয়া যায়। সারা হোটেল রাজকীয় কার্পেটে মোড়ানো। হেয়ার ড্রাইয়ার ও অন্যান্য সুবিধা সহ কাচের বাথরুম আছে। খাওয়ার জন্য হোটেলে সবসময় রেস্তোরা খোলা পাবেন। এখানে বিকেলের নাস্তা ও বিনোদনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও হোটেলটি পরিবার নিয়ে থাকার জন্য সেরা হবে। যেহেতু এটি একটি পাচ-তারকা হোটেল, তাই ভাড়া প্রায় ১৩,০০০ টাকা যা সিজন ও রুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
সমারসেট গ্র‌্যান্ড হ্যানয়>
ঠিকানা: ৪৯ হাই বা ট্রুং স্ট্রিট, হোয়ান কিয়েম, হ্যানয়
বিমানন্দর থেকে সমারসেট গ্র‌্যান্ড হ্যানয় হোটেলে যেতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। এখান থেকে ১৫ মিনিটে হোয়ান কিয়েম লেক, পুরনো কোয়ার্টার এলাকা, ক্যাথেড্রাল ও অপেরা হাউজে যাওয়া যায়। হোটেলের মধ্যে পুল ও শরীরচর্চা কেন্দ্র আছে। ফ্লোর থেকে সিলিং পর্যন্ত বড় জানালায় সারা শহর দেখা যায়। রুমের মধ্যে চেয়ার, টেবিল, সোফা-সহ সকল আসবাবপত্র ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা আছে। ১০,০০০ টাকায় সুন্দর পরিবেশে থাকতে চাইলে এই হোটেলটি বেছে নিতে পারেন।
হ্যানোয়িয়ান সেন্ট্রাল হোটেল অ্যান্ড স্পা>
ঠিকানা: ৪২/এ হ্যাং কট স্ট্রিট, হোয়ান কিয়েম, হ্যানয়
পুরনো কোয়ার্টারের কাছে এই হোটেলটিতে যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। এখান থেকে ১০ মিনিট হেঁটে ওয়াটার পাপেট থিয়েটারে যেতে পারবেন। হোটেলে কাঠের ফ্লোরের রুমগুলি অনেক পরিচ্ছন্ন। রুমের মধ্যে ফ্রিজ ও ইলেক্ট্রিক কেটলি পাবেন। এছাড়া রেস্তোরায় ভিয়েতনামী ও পশ্চিমা খাবার পাওয়া যায়। হোটেলে ডলার থেকে ভিয়েতনামী ডং ভাঙানোর সুবিধা আছে। মধ্যবিত্তদের থাকার জন্য এই হোটেলে কম টাকায় বড় রুমের ব্যবস্থা আছে। এখানে ভাড়া প্রায় ৭,০০০ টাকা, যা সিজন ও রুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
হ্যানয় ওল্ড কোয়ার্টার্স ব্যাকপ্যাকার্স হোস্টেল>
ঠিকানা: ২৮ ফো নুয়েন সিউ, হোয়ান কিয়েম, হ্যানয়
হ্যানয় পুরনো সিটি গেট থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই হ্যানয় ওল্ড কোয়ার্টার্স ব্যাকপ্যাকার্স হোস্টেলটি পাবেন। এর খুব কাছেই হ্যানয় অপেরা হাউজ ও সিটাডেল অবস্থিত। এখানে প্রত্যেকটি রুমের সাথে ব্যক্তিগত ওয়াশরুম আছে। ভেজিটেরিয়ানরা সকালের নাস্তায় নিরামিষ খেতে পারবেন। হোস্টেলে ইংরেজি, ভিয়েতনামী, ফ্রেঞ্চসহ বিভিন্ন ভাষার গাইড পাওয়া যায়। যেহেতু এখানের ভাড়া ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা, তাই একা কোথাও ঘুরতে গেলে এখানে উঠে যেতে পারেন. মনে রাখা ভালো সিজন ও রুম অনুযায়ী ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে।
হ্যানয় কোজি হোস্টেল>
ঠিকানা: ১৬ পি, ফুং হোং, হাং মা, হোয়ান কিয়েম, হ্যানয়
ডং জুয়ান মার্কেট থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরেই হ্যানয় কোজি হোস্টেল। এখানে খুব কম খরচে সাধারণ মানের রুম পাওয়া যায়। হোস্টেলে আমেরিকান নাস্তা খাওয়া যায়। কাছাকাছি কোথাও হাইকিং-এর জন্য একা ভ্রমণ করলে হোস্টেলটি আপনার জন্য সেরা হবে। এখানে একজন, দুজন ও দুইয়ের বেশি মানুষ থাকার জন্য রুম ও দোতলা বেড রয়েছে। বন্ধুদের নিয়ে সীমিত খরচে ভ্রমণে গেলে মাত্র ৫০০ থেকে ৮০০ টাকাতে এই হোস্টেলে থাকতে পারবেন। তবে সিজন ও রুম অনুযায়ী ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে।
ভিয়েতনামের দর্শনীয় স্থান কি কি?
প্রথমবার ভ্রমণে গিয়ে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় ঘুরে দেখা সেরা সিদ্ধান্ত। হ্যানয়-এর সেরা দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে— উইমেন’স মিউজিয়াম, টেম্পল অব লিটারেচার, ওয়েস্ট লেক, মিউজিয়াম অব এথনোলজি, হোয়ান কিয়েম লেক, লং বিএন ব্রিজ, ফাইন আর্টস মিউজিয়াম, লটে অবজারভেশন ডেক, হোয়া লো প্রিজন মিউজিয়াম ও ওয়ান পিলার প্যাগোডা। প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ এসব জায়গা ঘুরে দেখতে যায়।
১. উইমেন’স মিউজিয়াম
হ্যানয়ের এই জাদুঘরে নারীদের পরিবার, ফ্যাশন ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন যুদ্ধে নারীদের বীরত্বের অনেক ছবি ও পোস্টার রয়েছে। এখানে নৃগোষ্ঠীদের পোশাক, উপকরণ, কারুকার্যসহ সর্বমোট ৪০,০০০ জিনিস দেখতে পাবেন।
২. টেম্পল অব লিটারেচার
দশম শতাব্দীর এই মন্দির একসময় ভিয়েতনামের সেরা পন্ডিতদের আবাসস্থান ছিল। রাজ বংশধররা-ই এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেত। মন্দিরে সুন্দর সুন্দর বেদি ও ডোজো আছে। এখনও প্যাভিলিয়ানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও হলগুলোতে বিভিন্ন পরীক্ষা হয়।
৩. ওয়েস্ট লেক
হো তাই নামের এই ওয়েস্ট লেক ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় লেক। ১৭ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত লেকটির আশেপাশে অনেক বাগান, হোটেল ও ভিলা আছে। লেকের পাশের রেস্তোরায় মানুষ খাবার খেতে খুব পছন্দ করে।
৪. মিউজিয়াম অব এথনোলজি
এই জাদুঘরে নৃ-গোষ্ঠীদের শিল্প, জীবন ও জীবিকার প্রতিফলন দেখা যায়। এখানে ৫৪টি নৃ-গোষ্ঠীর গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্য দেখতে পারবেন। মঙ্গলবার থেকে রবিবার এই জাদুঘর সবার জন্য খোলা থাকে।
৫. হোয়ান কিয়েম লেক
পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরি করা লেকটি দেখতে খুব সুন্দর। সম্রাটের হাত থেকে কচ্ছপের তলোয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার মত রূপকথার গল্প মিশে আছে এই লেকের ইতিহাসে। লেকের মাঝে কিছু মন্দিরের মত পুরনো স্থাপনা আছে।
৬. লং বিএন ব্রিজ
রেড রিভারের উপর ভিয়েতনামের দুটো শহরকে এক করেছে এই ব্রিজ। আমেরিকানরা যুদ্ধের সময় অনেকবার এই ব্রিজের উপর বোমা হামলা করে। রাতের বেলা ব্রিজের উপর অসাধারণ আবহ বিরাজ করে।
৭. ফাইন আর্টস মিউজিয়াম
এটি দেশের প্রধান শিল্প জাদুঘর। এখানে বিংশ শতাব্দীর শিল্প ও সাহিত্যের নিদর্শন বেশি দেখা যায়। জাদুঘর বানানোর আগে এটি ক্যাথলিক মেয়েদের বোর্ডিং হাউজ ছিল।
৮. লটে অবজারভেশন ডেক
হ্যানয়ের ৬৫ তলা উঁচু একটি টাওয়ার লটে অবজারভেশন ডেক। এখান থেকে সারা শহরের সবকিছু দেখা যায়। টাওয়ারের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শপিং মল, রেস্তোরা, বার, নাইটক্লাবসহ অনেক কিছু আছে।
৯. হোয়া লো প্রিজন মিউজিয়াম
ফরাসি সৈনিকেরা বিপ্লবীদের ধরে নিয়ে এই জেলখানায় আটকে রেখে অত্যচার করতো বলা হয়। ১৯৯০ সালে এর অনেক অংশ ভেঙে যায়, কিন্তু গেট-সহ অবশিষ্টাংশ দেখতে অনেক মানুষ এখানে ভিড় করে।
১০. ওয়ান পিলার প্যাগোডা
বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান এই ওয়ান পিলার প্যাগোডা। এক পিলারের উপর নির্মিত প্যাগোডাটি একবার ফরাসিরা ধ্বংস করে ফেলে। পরে কাঠের মাধ্যমে এটাকে আবার মেরামত করা হয়।
কিভাবে ভিয়েতনামের ভিসা আবেদন করবেন?
যেসব উপায়ে ভিয়েতনামের ভিসা আবেদন করতে পারবেন—
নিজে অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে পারেন
শেয়ারট্রিপ ওয়েবসাইটের ভিসা পেইজ থেকে ই-ভিসা অনুরোধ করতে পারেন
সরাসরি ভিয়েতনাম এমব্যাসিতে গিয়ে আবেদন করতে পারেন
অন এরাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন
ভিসা আবেদন করার সময় যেসব জিনিস লাগতে পারে—
৪*৬ সেন্টিমিটার সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট ছবি
৭ মাসের বৈধতা আছে এমন পাসপোর্ট
বিমানের টিকেটের ফটোকপি নিশ্চিত করা
ইমিগ্রেশনের অনুমতিসহ হোটেল বুকিং নিশ্চিত করা
TRAVEL WORLD TRADE
01815060518

বাংলাদেশীদের জন্য নেপাল ভ্রমণ গাইডঃ ভ্রমণ খরচ ও দর্শনীয় স্থানসমূহ::::উপমহাদেশের- বিশেষত বাঙালি পর্যটকদের কাছে নেপাল ঘুরত...
06/07/2024

বাংলাদেশীদের জন্য নেপাল ভ্রমণ গাইডঃ ভ্রমণ খরচ ও দর্শনীয় স্থানসমূহ::::

উপমহাদেশের- বিশেষত বাঙালি পর্যটকদের কাছে নেপাল ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ জায়গা। নেপালের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক বৈচিত্র্য একে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ও কৌতূহলপ্রদ করেছে। দেশটির মধ্যে এক ধরনের ধ্যানমগ্নতা রয়েছে যা আপনার আত্মাকে জাগিয়ে তোলে। নেপাল ভ্রমণকারীরা দেশটির সৌন্দর্য ও বিশালত্বে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন।

“নেপাল” শব্দটা শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় যা আসে তা হলো হিমালয় ও মাউন্ট এভারেস্ট- পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। নেপাল বৃহদায়তন হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। নেপালের মানুষ শান্ত, নম্র ও স্থির প্রকৃতির। নেপালি ভাষায় বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত অনেক শব্দ আছে। নেপালিরা মূলত হিন্দিতে কথা বলে।

প্রতি বছর ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটকেরা নেপাল ঘুরতে আসেন হিমালয় দেখতে ও ট্রেকিং করতে। এছাড়া এখানকার মন্দির ও বুদ্ধস্তুপগুলোও নেপালের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাঠমান্ডুতে ২ দিন, পোখারাতে ২ দিন, নাগরকোটে ২ দিন এবং চিতওয়ান পার্কে সাফারির জন্যে ১ দিন– মোট ৭ দিন হাতে রেখে নেপাল যাওয়া উচিত।

এই ব্লগে আমরা চেষ্টা করবো আপনার জন্য নেপাল ভ্রমণ খরচ ও দর্শনীয় স্থানগুলো মিলিয়ে একটা পরিপূর্ন নেপাল ভ্রমণ গাইড তৈরি করে দিতে যাতে আপনার নেপাল ভ্রমণ সহজ ও সাশ্রয়ী হয়। তো চলুন শুরু করা যাক।

নেপাল ভ্রমণ গাইড ও নেপাল ভ্রমণ খরচ:

নেপাল ভ্রমণ গাইড::::

নেপালে সার্কভুক্ত দেশ তথা বাংলাদেশিদের জন্য বিনামূল্যে অন-এরাইভাল ভিসার ব্যবস্থা আছে। নেপালের ভিসা পেতে আপনাকে নেপাল এমব্যাসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অন-এরাইভাল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরন করতে হবে। ফর্ম পূরনের সময় আপনাকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে-

1.পাসপোর্ট সাইজ ছবি

2.জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ

3.পাসপোর্ট

4.সুপারিশপত্র (যদি থাকে)

সাধারণত ১ দিন লাগে নেপালের ভিসা পেতে। নেপালে যাওয়ার দুটি পদ্ধতি আছে– বাই রোড অথবা বাই এয়ার। বাই রোডে খরচ কম কিন্তু কোভিডের কারণে নেপাল ভ্রমণ বাই রোডে বন্ধ আছে। প্লেনে নেপাল যেতে হলে ১৭,৫০০ থেকে ভাড়া শুরু। ঢাকা থেকে নেপাল বিমানের সাশ্রয়ী টিকেট পাওয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস আগে টিকেট কেটে রাখলে ভাড়া অনেক কম পড়বে। ঢাকা থেকে নেপাল যেতে দেড় ঘন্টার মতো লাগে।

ধরি আপনি কাঠামান্ডু ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে নামলেন। ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় হাতে করে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যেতে হবেঃ

রিটার্ন প্লেন টিকেট

ট্যুর প্ল্যান (হোটেল বুকিং এর কাগজ)

পাসপোর্ট

ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর অল্প কিছু ডলার এক্সচেঞ্জ করে নিন বিমানবন্দরের মানি এক্সচেঞ্জ বুথ থেকে। বিমানবন্দরে সাধারণত রেট কম দেয় তাই খুব বেশি টাকা এক্সচেঞ্জ করার দরকার নেই। শহর থেকে বাকিটা করে নেবেন। বিমানবন্দরের বুথে ভারতীয় রুপি এক্সচেঞ্জ করে না। মানি এক্সচেঞ্জ করার পর নেপাল টেলিকমের একটা সিম কিনে নিন। ৫০০ নেপালি রুপি পড়বে সিমের দাম।

নেপালের দর্শনীয় স্থানসমূহ নিম্নরুপঃ

কাঠমান্ডু

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এর মন্দির, মঠ, ও বুদ্ধস্তুপের জন্য বিখ্যাত। সমগ্র নেপালের মধ্যে শুধু কাথমান্ডুতেই আছে ৫টি “বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান” যথা– দরবার স্কয়ার, বৌধনাথ স্তুপা, পশুপতিনাথ মন্দির, ও স্বয়ম্ভূনাথ স্তুপা। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩৪৪ ফুট ওপরে অবস্থিত এবং নেপালের সবচেয়ে জনবহুল শহর। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে এখানে মানুষের বাস।

কাঠমান্ডুকে হিমালয়ের প্রবেশপথ বলা হয়। এশিয়ার অন্যতম দ্রুত ক্রমবর্ধমান বহুজাতিক শহর কাঠমান্ডু উপত্যকা। এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে এবং তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠাণ কাঠমান্ডুর সংস্কৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।

কাঠমান্ডু সম্পূর্ণটা ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হলে এখানে কমপক্ষে দুই রাত দুই দিন কাটানো উচিত। এখানকার হোটেলগুলো মোটামুটি। ট্যুরিস্ট এরিয়া বলে খরচ তুলনামূলক অন্য শহরগুলোর চেয়ে একটু বেশি। সোলো ট্রাভেলারদের জন্যে এক হাজার টাকায় রাত কাটানোর মতো হোটেল আছে। একটু খুঁজলে আপনার বাজেটের মধ্যেই হোটেল পেয়ে যাবেন।

কাঠমান্ডুতে হালাল খাবার খেতে হলে আলহামদুলিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ হোটেলে যেতে পারেন। নেপালের খাবারের সাথে আমাদের বাংলাদেশি খাবারের অনেক মিল আছে। তাই নেপালে খাবার নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। যেকোন দোকানে ঢুকে “নেপালি থালি” অর্ডার করে দিলে ঠকবেন না। নেপালি থালিতে ভাত, ডাল, শাক, সবজির তরকারি ও অর্ডার অনুযায়ী মুরগী বা খাসির মাংস থাকে।

দরবার স্কয়ার:

নেপালের রাজপ্রাসাদের ঠিক উল্টোদিকেই অবস্থিত কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার। এখানে অনেকগুলো মন্দির, মূর্তি, আর খোলা উঠান আছে। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় উৎসবের কাজে এ জায়গাটি ব্যবহার করে থাকে। রাজ-রাজড়াদের আমলে জনসাধারণের একত্র হওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হতো দরবার স্কয়ার। এখানে রাজকীয় অনুষ্ঠান যেমন রাজ্যাভিষেক, বিয়ে, পূজা-মন্ত্রপাঠ হতো।

২০১৫ সালে ভয়াবহ নেপাল ভূমিকম্পে দরবার স্কয়ারের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো হয়ে যায়। তার মধ্যে কিছু পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ পুনরুদ্ধারের কাজই ধীরলয়ে চলছে।

বৌধনাথ স্তূপ:

ঐতিহাসিকগণের মতে, ১৪ শতকে বুদ্ধের মৃত্যুর পর বৌধনাথ স্তূপ নির্মীত হয়। এটিকে বৌদ্ধ ধর্মের আলোকবর্তিকা বলা হয়। এর গঠন ও কারুকার্য শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা বয়ে আনে। বৌধনাথ স্তূপ যে এলাকায় অবস্থিত তা এককালে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিলো। জাহাজ থেকে নেমে দেশ-বিদেশের বণিকরা এই এলাকা দিয়েই যাওয়া আসা করতো। তাদের ধর্মান্তরিত করতে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রধানত স্তূপটি তৈরি করা হয়।

স্থাপনাটি দেখলে সবার আগে চোখে পড়ে একটি বিশাল গম্বুজ। তার ওপর রয়েছে পিরামিড আকৃতির টাওয়ার। গম্বুজ ও টাওয়ার এর মাঝখানে চারকোণা বাক্স যার চার দিকে ৪ জোড়া চোখ বুদ্ধের সর্বদর্শীতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই পুরো স্তাপনাটি দাঁড়িয়ে আছে একটি মান্ডালার ওপর। বৌদ্ধ তন্ত্রবাদে মান্ডালা একটি প্রতীকী চিত্র যা পবিত্র আচার সম্পাদনে এবং ধ্যানের একটি উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

পশুপতিনাথ মন্দির:

হিন্দু দেবতা পশুপতি অথবা শিবকে উৎসর্গ করে বানানো হয়েছে পশুপতিনাথ মন্দির। পশুপতি নেপালের জাতীয় দেবতা। পশুপতিনাথ মন্দির সৌন্দর্য্যের দিক থেকে নেপালের হিন্দু স্থাপনাশৈলীগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ইউনেস্কোর “বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান” এর মর্যাদা পেয়েছে। মন্দির এলাকাইয় প্রচুর সাধু, পন্ডিত, মৃত অথবা মৃতপ্রায় মানুষ, সৎকারকার্যে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, বানর, হরিণ ও পর্যটকের দেখা পাওয়া যায়।

প্রতি বছর শত শত বয়স্ক হিন্দু ভীড় করেন পশুপতিনাথ মন্দিরে। তারা বিশ্বাস করেন যে এই মন্দিরে মারা গেলে পরের জন্মে তারা মানুষ হিসেবেই জন্মাবেন। তাই অসুস্থু, মৃতপ্রায় ব্যক্তিগণ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে এই মন্দির প্রাঙ্গনে চলে আসেন। তারপর এখানেই তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় ও বাগমতি নদী যা কিনা গঙ্গার শাখা নদী- তাতে তাদের দেহাবশেষ ছিটিয়ে দেয়া হয়।

স্বয়ম্ভূনাথ স্তূপ :

স্বয়ম্ভূনাথ স্তূপ কাঠমান্ডু ভ্যালীতে অবস্থিত। এটি কাঠমান্ডু ভ্যালীকে ওপর থেকে পর্যবেক্ষণ করে ও পর্যটকদের ৩৬০-ডিগ্রী প্যানারমিক ভিউ দেয়। স্বয়ম্ভূনাথ বৌধনাথ এর পর নেপালের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তূপ। আশেপাশে অনেক বানর থাকায় কিছু কিছু ট্যুরিস্ট একে “মাঙ্কি টেম্পল” বা “বানরের মন্দির” বলেও ডাকে। এই স্তূপটি নেপালের অন্যতম পুরোনো একটি স্থাপনা যা প্রায় ২০০০ বছর আগে নির্মীত হয়েছিলো। স্তূপ এলাকার মধ্যে অসংখ্য পবিত্র গুপ্তস্থান ও মঠ রয়েছে।

এদের মধ্যে জনপ্রিয়–

স্বর্ণ-মুদ্রিত বজ্রপাতের অস্ত্র “বজ্র”

বুদ্ধমূর্তি

ঘুমন্ত বুদ্ধের মূর্তি

দেওয়া-ধর্ম মঠ

হারাতি’র মন্দির

থামেল

থামেল কাঠমান্ডু শহরে অবস্থিত। রাতের থামেল কাঠমান্ডুর একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পট। থামেলের সুন্দর রাস্তাগুলোর দুই পাশে সারি সারি দোকান থেকে আপনি ইচ্ছামতো কেনাকাটা করতে পারবেন। থামেলে প্রচুর নাইটক্লাব, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, ও বার আছে। থামেলের পথ ধরে হাটতে হাটতে অন্যান্য বাঙালি পর্যটকদের সাথে দেখা হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সবাই রাতের খাবারটা এখানেই খেয়ে নেয়।

চন্দ্রগিরি পাহাড়

চন্দ্রগিরি পাহাড় কেবল কার

কাঠমান্ডু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চন্দ্রগিরি পাহাড়। এর প্রধান আকর্ষন কেবল কার রাইড। দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে ৩০০০ ফুট উচু চন্দ্রগিরি পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত কেবল কারে করে চড়তে আসে। কেবল কারে করে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার সময় চোখে পড়ে পাহাড়ের আশেপাশের অপরুপ দৃশ্য। কেবল কারের চারপাশ দিয়ে মেঘ ভেসে যাবে অর্থাৎ আপনি মেঘের ভেতর দিয়ে যাবেন। কেবল কারের টিকেট ১১২০ নেপালি রুপি।

পাহাড়ের চূড়ায় একটি মানমন্দির রয়েছে যেখান থেকে আবহাওয়া ভালো থাকলে হিমালয় পর্বতমালা দেখা যায়। মানমন্দিরে ঢুকতে ৫০ রুপি দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। কপাল ভালো থাকলে গৌরিশঙ্কর হিমাল আর এভারেস্ট ভেসে উঠবে আপনার চোখের সামনে। ক্ষুধা লাগলে মানমন্দিরের কাছেই রেস্টুরেন্ট আর আইসক্রিম পার্লার আছে, খেয়ে নিতে পারেন।

পোখারা

নেপাল ভ্রমণ গাইডে আমাদের পরবর্তী শহর পোখরা। পোখরা শহরটি অত্যন্ত সুন্দর একটি শহর। নেপাল ঘুরতে এলে পোখারা যাওয়া আবশ্যকীয়। কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে পোখরা অবস্থিত। এখানে যাওয়ার উপায় হচ্ছে বাসে করে যাওয়া বা গাড়ি ভাড়া করা। বাসে করে যাওয়া তুলনামূলক সাশ্রয়ী। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার ভালো বাস আছে। যেতে লাগে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা। সময় বাঁচাতে গাড়িতেও যেতে পারেন। গাড়িতে যেতে ৬ ঘন্টা লাগে কিন্তু ভাড়া তুলনামূলক অনেক বেশি।

পোখরা যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশে পাহাড় দেখা যায় যা মনকে উৎফুল্ল করে তোলে। পোখরার হোটেলগুলো বেশ ভালো, দামও রিজনেবল। বেশিরভাগ হোটেেল থেকে পাহাড় দেখা যায়। পোখরায় স্ট্রিট ফুড ট্রাই করে দেখতে পারেন। খাবার বেশ ভালো। পোখরার বিখ্যাত স্থানগুলো ঘুরে দেখতে চাইলে কমপক্ষে ২ দিন এখানে অবস্থান করুন, ভালো লাগবে।

ফেওয়া লেক:

পোখরায় ৩টি লেক আছে যার মধ্যে ফেওয়া হ্রদ অন্যতম। ৩টির মধ্যে যেকোন একটি হ্রদ ঘুরে দেখলেই হয়। ফেওয়া হ্রদের ঠিক মাঝখানে একটি দ্বীপের ওপর তাল বরাহী মন্দির যা দেবতা বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। হ্রদের পানি অনেক পরিষ্কার আর মনোরম দেখতে। বোটে করে হ্রদের পানিতে ঘুরতে ভালো লাগবে। বোটে ঘুরতে খরচ হবে জনপ্রতি ৭০০ টাকা।

সারাংকোট:

সারাংকোট হচ্ছে পোখরার বিখ্যাত প্যারাগ্লাইডিং স্পট। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে প্যারাগ্লাইডিং করতে আসে। এখানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালে আপনার মনে হবে রঙবেরঙের পাখি আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, আসলে তারা মানুষ।

নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো সুন্দর এই জায়গায় আপনিও করতে পারবেন প্যারাগ্লাইডিং। ১৫-২০ মিনিটের প্যারাগ্লাইডিং করতে আপনার খরচ পড়বে ৫,০০০ নেপালি মুদ্রা। সেই সাথে অন-এয়ার অ্যারোব্যাটিকস যোগ করতে চাইলে খরচ করতে হবে আরো এক হাজার নেপালি রুপি।

মহেন্দ্র গুফা:

মহেন্দ্র গুফা একটি বিখ্যাত প্রাকৃতিক চুনাপাথরের গুহা যা পোখরার অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ। গুহার ভেতর একটি শিবমূর্তি রয়েছে আর রয়েছে অনেক অনেক বাদুড়। গুহাটি অন্ধকার আর ভেজা। পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। গুহাটি অনেক বড়, এর অর্ধেক পর্যটকদের জন্য খোলা বাকিটুকু বন্ধ আছে। গুহার বাইরে আশেপাশের এলাকা সুন্দর করে সাজানো, গুহার ভেতরে ঢোকার আগ পর্যন্ত সিঁড়ি বসানো।

ডেভিস ফলস:

পোখরার আরেকটি বিখ্যাত ট্যুরিস্ট আকর্ষণ ডেভিস ফলস। এই ঝর্ণার উৎস ফেওয়া হ্রদের ড্যাম। ডেভিস ফলসের নামকরণের পেছনে একটি গল্প আছে। ডেভিস নামক এক মহিলা তার পার্টনারকে নিয়ে এই ঝর্ণায় গোসল করতে গিয়ে খাদে পড়ে মারা যান। ৩ দিন পর তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তার শোকাহত বাবার ইচ্ছায় ঝর্ণাটির নাম ডেভিস ফলস রাখা হয়। ঝর্ণাটি এখন পোখরার অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট।

নগরকোট:

আমাদের নেপাল ভ্রমণ গাইডের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জায়গা নগরকোট। এখানে পাহারের কোলে বসানো হোটেলের বারান্দা থেকে হিমালয় দেখা যায় । এমনকি হোটেল রুমে শুয়ে শুয়ে জানালা দিয়েও আপনি হিমালয় দেখতে পাবেন । শুধুমাত্র নগরকোট থেকেই একসাথে হিমালয়ের ৮টি রেঞ্জ দেখা যায় যার মধ্যে এভারেস্ট ও আছে। দূর থেকে হিমালয় পর্বতমালা দেখতে পাওয়ার সৌভাগ্য সবার হয়না। আকাশ পরিষ্কার থাকতে হয় বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এই পর্বতমালাটি সম্পূর্ণভাবে দেখার জন্য। আর হিমালয় তো শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও জিনিস।

পোখরা থেকে কাঠমান্ডু ফিরে এসে নগরকোট যেতে বেশিক্ষণ লাগবে না। বাসে করে যেতে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো লাগে। নগরকোটে বেশিরভাগ মানুষই রাত কাটাতে যায় যাতে সকাল সকাল সূর্যোদয় দেখা যায়। কিন্তু আমাদের মতে নগরকোটে দুই রাত কাটাতে পারলে ভালো। হিমালয় দেখার সুযোগ যখন পাওয়াই গেছে মনের সাধ মিটিয়ে দেখে নেয়াই ভালো। যারা এক রাত কাটাতে নগরকোট যান তারা প্রায় সবাই ই পরে আফসোস করেন কেন আরেকটু সময় নিয়ে গেলেন না।

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক:

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক নেপালের সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। এটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। নেপাল এর তরাই অঞ্চলে অবস্থিত এই বিশাল পার্কটি ৯৫২ স্কয়ার কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখানে ৬৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৪৪ প্রজাতির পাখি, ও ১২৬ প্রজাতির মৎস্য রয়েছে। বন্য প্রাণীরা এখানে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায়।

নেপাল ভ্রমণে গিয়ে এই পার্কটি ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। পার্কে পর্যটকদের জন্য নানারকম বিনোদনের সুযোগ আছে যেমন- হাতির পিঠে চড়া, পাখি দেখা, আশেপাশের গ্রাম ঘুরে দেখা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নদীর তীরে বসে সূর্যাস্ত দেখা ও অন্যান্য। চিতওয়ান পার্কে বিপন্ন পাখি, ভারতীয় গন্ডার ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে যা আসলেই প্রশংসার যোগ্য।

নেপাল ভ্রমণ গাইডে আমাদের সর্বশেষ দর্শনীয় স্থান বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনী। বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম নেপালের তরাই অঞ্চলের লুম্বিনী নামক জায়গায়। তাই এটি বৌদ্ধধর্মের অন্যতম তীর্থস্থান ও বটে। এলাকাটিতে বুদ্ধের সময়কার নানান পুরাকীর্তির দেখা পাওয়া যায়। আপনার যদি ইতিহাস ভালো লাগে তবে এই জায়গাটিও ভালো লাগবে। চিতওয়ান পার্ক থেকে লুম্বিনীর দূরত্ব ১৭৪ কিলোমিটার। তাই চাইলে দুটো জায়গা একদিনে ঘুরে আসতে পারেন।

হিমালয় রেঞ্জে ট্রেকিং:

আমাদের নেপাল ভ্রমণ গাইডটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি আমরা নেপালের বিখ্যাত ট্রেকিং স্পটগুলো নিয়ে আলোচনা না করি। নেপাল ট্যুরিজম এর একটি বড় অংশ হিমালয় রেঞ্জে ট্রেকিং। নেপালেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে এক্সাইটিং কিছু ট্রেক। এভারেস্ট বেস ক্যাম্প, অন্নপূর্ণা সার্কিট, এবং অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প থেকে শুরু করে ল্যাংটাং, আপার মাসট্যাং– হিমালয় রেঞ্জে রয়েছে বৈচিত্র্যময় সব ট্রেকিং এর রাস্তা। আপনার অভিজ্ঞতা, পারদর্শীতা ও সহনশক্তির ওপর নির্ভর করে আপনি কোন ট্রেকটি বেছে নেবেন।

হিমালয় রেঞ্জে ট্রেকিং করতে গিয়ে আপনি দেখতে পাবেন অসম্ভব সুন্দর স্বর্গীয় কিছু দৃশ্য। এ অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো না। তাই তো অভিজ্ঞ ট্রেকাররা বারবার ছুটে যান হিমালয়ে। নতুনদের জন্য ল্যাংট্যাং ও অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্রেকিং তুলনামূলক সহজ। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস বাদে সারা বছরই কিছু বাছাই করা পথে ট্রেকিং করা যায়। যেসব পথ আবহাওয়ার কারনে বিপদজনক সেগুলো বছরে কয়েক মাসের জন্য খোলে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে হিমালয়ে ট্রেকিং করা এখন আগের চেয়ে তুলনামূলক সহজ।

নেপালি খাবার ও অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম:

নেপালিদের আমাদের মতোই ডাল ভাত প্রিয়। নেপালের জনপ্রিয় খাবার নেপালি থালি যাতে ভাত, ডাল, সব্জির তরকারি, মুরগি বা খাসির মাংস থাকে। নেপালিরা আমাদের মতো এত মসলা ব্যবহার করে না কিন্তু তাদের রান্না খেতে ভালো। নেপালের সব জায়গাতেই নেপালি থালি সহজলভ্য, এমনকি হিমালয়ে গিয়েও আপনি নেপালি থালি খেতে পারবেন। এছাড়া নেপালিরা মোমো, সিঙ্গাড়া, নানান রকম পিঠা, ও ডেজার্ট ও পছন্দ করে।

নেপাল রিভার র‍্যাফটিং:

অ্যাডভেঞ্চার প্রত্যাশীরা নেপালে গিয়ে হতাশ হবেন না। প্রত্যেকের জন্যই আছে কিছু না কিছু। সারাংকোটের প্যারাগ্লাইডিং আর ফেওয়া লেকের বোট রাইডিং এর কথা তো বললামই, এছাড়াও আছে রিভার র‍্যাফটিং ও বাঞ্জি জাম্পিং এর সুযোগ।

ত্রিশূলী রিভারসাইড রিসোর্টে পাবেন জনপ্রতি ২,৫০০ নেপালি মুদ্রায় রিভার র‍্যাফটিং করার আকর্ষনীয় সুযোগ। রিভার র‍্যাফটিং করতে গিয়ে প্রথমে একটু ভয় লাগলেও একটু পরেই শুরু হবে এক্সাইটমেন্ট।

নেপাল বাঞ্জি জাম্পিং:

নেপালের দ্যা ক্লিফ রিসোর্টে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্পিং পয়েন্ট। এখান থেকে লাফ দেয়ার অভিজ্ঞতা অতুলনীয়।

নেপাল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন?

নেপাল ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় শীত শুরু আগে আগে– অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময় আকাশ পরিস্কার থাকে, উষ্ণ তাপমাত্রা থাকে, সবুজ গাছগাছালি থাকে এবং অনেক দূর থেকেও হিমালয়ের দৃশ্য দেখা যায়।

নেপাল ভ্রমণ খরচ কত লাগে?

মোটামুটি ভালো হোটেলে থাকলে ও সবগুলো দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখলে ৭ দিনের নেপাল ভ্রমণ খরচ জনপ্রতি সব মিলিয়ে ৫০,০০০-৫৫,০০০ টাকা লাগে। এ খরচ কমিয়ে আনা যায় যদি আপনি বাজেট ট্যুরে অল্প কিছুদিনের জন্য নেপাল গিয়ে হোস্টেলে থাকেন ও অল্প কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন।

TRAVEL WORLD TRADE
01815060519

Address

Dhaka
1000

Telephone

+8801815060519

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Travel World Trade posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Travel World Trade:

Share

Category

Nearby travel agencies