30/10/2022
ঘুরে আসি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন থেকে ।
ভ্রমনের তারিখঃ ১১/১২/১৩ ই নভেম্বর ২০২২ ইং পর্যন্ত।
ভ্রমনের সময়: ৩ দিন ২ রাত
(খুলনা -সুন্দরবন -খুলনা)
ভ্যাসেলঃ এম.এল কটকা এক্সপ্রেস
বেড ক্যাপাসিটিঃ ৪২ জন।
কাপল এটাষ্ট বাথ জনপ্রতি ১১,৫০০ টাকা (১ রুমে ২জন)
কাপল নন এটাষ্ট (১ রুমে ২জন) জনপ্রতি ১০৫০০ টাকা,
৩ বেড রুম এটাস্ট বাথরুম জনপ্রতি ১১,৫০০ টাকা,
টুইন রুম (এক রুমে ২জন): ১০০০০/- জনপ্রতি।
৪ বেড বাঙ্কার(১ রুমে ৪জন): ৯,০০০/- জনপ্রতি।
আমাদের ভ্রমনের স্থানঃ
১ঃ হারবাড়িয়া।
২ঃ কটকা জামতলা সী বিচ।
৩ঃ কটকা অফিস।
৪ঃ কচিখালি।
৫ঃ করমজল।
★১ম দিন :
নির্ধারিত দিনে ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাসে/ট্রেনে করে খুলনা শহরের রয়েল মোড়/রেল স্টেশন থেকে অটোরিক্সাতে করে ৫ মিনিটে জেলখানা ঘাটে সকাল ৭ টার মধ্যে পৌঁছানো। আপনাকে আমাদের ট্যুর গাইড রিসিভ করে ট্রলারে শীপে নিয়ে আসবে। তারপর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা পরিবেশন। জাহাজ মংলা পোর্টে পৌঁছানোর পূর্বে রুপসা ব্রীজ, খুলনা শীপ ইর্য়াড ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখা যাবে। দুপুর ১ টা থেকে ২:৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা চাঁদপাই ফরেস্ট অফিস পৌছাবো। বন বিভাগের অনুমোদনপত্র ও গার্ড নিয়ে বিকাল ৩:৩০- ৪ টার মধ্যে হাড়বাড়িয়ায় পৌছানো যেখানে বন বিভাগের ইকো ট্যুরিজম স্পট দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর বনের ভিতর দিয়ে ছোট ছোট ক্যানেল পার হয়ে কটকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত ১ টায় পৌছানো এবং রাতে জাহাজে অবস্থান।
★★২য় দিন :
ভোরে ট্রলারে করে কটকার আশেপাশে ক্যানেল ক্রুজিং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গভীরভাবে উপলব্দি করার জন্যে ট্রলার বন্ধ করে বিভিন্ন প্রকার প্রানী যেমন হরিন,মাছরাঙা, বানর, বনমোরগ, হরিণ, বন্য শূকর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলী উপভোগ করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার। ব্রেকফাস্ট করে কটকার অফিস পার নামবো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে সেখানে প্রচুর হরিন দেখা পেতে পারি, সেখান থেকে ঘুরে আমরা লঞ্চে ফিরবো,
লাঞ্চ করে আমরা কচিখালীর দিকে রওনা করবো পূর্বে ডিমের চর ( যদি আবওহা অনুকূল থাকে ডিমের চরে যাবো) ও বিকাল ৪ টায় ভয়ংকর কিন্তু সুন্দর কচিখালীতে ঘুরাঘুরি করে বিকাল নাগাদ ট্যুরিষ্ট শীপে চলে আসব। রাতে বার-বি-কিউ ডিনার করে জাহাজে রাত্রি যাপন।
★★৩য় দিন :
সকালের নাস্তা খেয়ে করমজল ইকো ট্যুরিজম স্পট পরিদর্শন। সকালে ১০ টায় করমজলে নেমে প্রচুর বানর, হরিন, কুমিরের প্রজননকেন্দ্র দেখতে পাওয়া যাবে। দুপুরের দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা। আনুমানিক রাত ৫/৬ টা নাগাদ খুলনা আসা এবং রাতের বাসে/ ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে।
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। এখানে আপনি পাবেন এক সাথে চারটি সৌন্দর্য।
১) নৌ বিহার।
২) ওয়াইল্ড লাইফ।
৩) প্রকৃতি।
৪) সাগর
বাংলাদেশের আর কোথাও নৌযানে করে তিনদিন ভ্রমনের সুযোগ নাই একমাত্র সুন্দরবন ছাড়া, আপনি এখানে সেই সুযোগ পাচ্ছেন সাথে বোনাস হিসাবে পাচ্ছেন প্রকৃতি, ওয়াইল্ড লাইফ, সমুদ্র। এই সময় বনে পর্যটক এর সংখ্যাও থাকে কম আর সেই সুযোগে খুব কাছে থেকে বন্যপ্রানী দেখার এক অপূর্ব সুযোগ পাওয়া যায়। এমন কি এই সময় পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারও দেখা যাবার সম্ভবনা খুব বেশী।
এই সময় সমুদ্রকে পাবেন আপনার মনের মত করে।
আর হ্যাঁ সুন্দরবনে আপনাদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে বার-বি-কিউ নাইট।
জোয়ার ভাটার কারনে ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যবধান হতে পারে।
★শিশু পলিসি : ০-২ বছরের বাচ্চাদের জন্য চার্জ প্রযোজ্য নয়, ৩-৬ বছরের বাচ্চার জন্য ৪,৫০০/- প্রযোজ্য।
★ বিদেশীদের জন্যে অতিরিক্ত ১০,৫০০/- টাকা ফরেষ্ট এন্ট্রি ফি দিতে হবে।
★নিরাপত্তা: নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোষ নেই। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগ থেকে দুই জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে রেডিওর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।
★ খাবার: প্রতিদিন ২ বেলা স্ন্যাক্স সহ ৫ বেলা ডবল মেনুর খাবার। এবং পর্যাপ্ত চা/কফির ব্যবস্থা।
★প্যাকেজে যা থাকবে নাঃ
★ ব্যক্তিগত কোন ঔষধ,
★ সফট বা হার্ড ড্রিংকস,
★ক্যামেরা বা ভিডিও ক্যামেরার এন্ট্রি ফি
ভ্রমণকালীন স্বাস্থ্য বিধিঃ
📌 নির্ধারিত দিনে যাত্রার পূর্বে পুরা লঞ্চে সঠিক মাত্রার জীবাণু নাশক স্প্রে করা হবে।
📌প্রয়োজনীয় সময়ে মাক্স, হ্যান্ড গ্লোব এবং হ্যান্ড স্যানিটারি সরবারাহ করা হবে।
📌সার্ভিসে নিয়োজিত স্টাফ এবং গাইডের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে।
📌খাবারের বিশুদ্ধতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
📌সুন্দরবন ভ্রমণের করনীয় :
🔹উজ্জল রঙের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিভ পোশাক পরা।
🔹কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
🔹পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল/কেডস সাথে নিতে হবে। সু/হাই হিল নিবেন না।
🔹এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।
🔹জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্রাকিং করতে হবে।
🔹যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
🔹জঙ্গলে নামার পর সুশৃঙ্খলভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।
🔹গাছের ডাল, পাতা বা লতায় হাত দেওয়া বা ছেড়া যাবে না এবং কোন ধরনের প্রাণী ধরা ঢিল মারা যাবে না
🔹পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না।
🔹স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
🔹গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।
✅আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।
📌সাথে কি কি নিবেন:
▪প্রয়োজনীয় ঔষধ।
▪টুথ ব্রাশ ও পেস্ট।
▪ক্যাপ,সান গ্লাস সানস্ক্রিন লোশন
▪ক্যামেরা, মেমরি কার্ড ও পাওয়ার ব্যাংক
▪ সাবান,শ্যাম্পু
▪রেইন কোর্ট বা ছাতা
▪ব্যাক্তিগত অভ্যাসের সামগ্রী।
📶 সুন্দরবনে কোন অপারেটর কাজ করে না একমাত্র টেলিটক ছাড়া।
✋বি দ্রঃ ভেসেলে উঠার পরে কোন প্রকার কেনাকাটার সুযোগ নেই।
✅আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।
📌সাথে কি কি নিবেন:
▪প্রয়োজনীয় ঔষধ।
▪টুথ ব্রাশ ও পেস্ট।
▪ক্যাপ,সান গ্লাস সানস্ক্রিন লোশন
▪ক্যামেরা, মেমরি কার্ড ও পাওয়ার ব্যাংক
▪ সাবান,শ্যাম্পু
▪রেইন কোর্ট বা ছাতা
▪ব্যাক্তিগত অভ্যাসের সামগ্রী।
📶 সুন্দরবনে কোন অপারেটর কাজ করে না একমাত্র টেলিটক ছাড়া।
✋বি দ্রঃ ভেসেলে উঠার পরে কোন প্রকার কেনাকাটার সুযোগ নেই।
বুকিং মানি ৫,০০০ টাকা (জনপ্রতি)
বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতিঃ
★ সরাসরি অফিসে এসে জমা দেও্য়া যাবে।
★বিকাশ করা যাবে।
★ ব্যাংক ডিপোজিট করে যাবে।
Booking
01972217452
01612217452