05/08/2023
🌿☘️🍀সুন্দরবন ভ্রমনে সুখবর,🌳🌴🌱
১লা সেপ্টেম্বর থেকে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন।
🌦️⛈️বর্ষা মৌসুমে সুন্দরবনে এ্যাডভেঞ্চার ট্যুর করুন।
✋✋ দয়াকরে পোষ্টের লেখা সম্পূর্ণ ভালোকরে পড়ুন এর পরে আমাদের কাছে কিছু জানার থাকলে ইনবক্স করুন।
সুন্দরবনে দীর্ঘ ৩-৪ মাস বন্ধ থাকার পর জীব-জন্তু এবং প্রকৃতি তার নিজ রুপ-বৈচিত্রে সেজে ওঠে এবং বন্য প্রানিরা স্বভাবিক ভাবেই বিচড়ন করে বেরায়, আর তাই সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস সিজানের শুরু দিক হবার কারনে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য এবং সুন্দরবনের পশুপাখি খুব কাছ থেকে দেখা যায় এবং বাঘ মামাকে দেখার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে এই সেপ্টেম্বর মাসে। আর যেহেতু বর্ষা মৌসুম তাই হয়তো হঠাৎ 🌦️টাপুর টুপুর বৃষ্টির ছোয়াও পেতে পারেন।
📸এই এ্যাডভেঞ্চা ট্যুরে ফটোগ্রাফারদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ থাকবে এবং ছবি তোলায় জন্য ট্যুরটি অনেক উপযোগী হবে।
🐠🦐🦀জাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থাও থাকবে,
🎵🎹🎸🥁আর প্রতি রাতে বাংলা সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে গানবাজনার ব্যবস্থা তো থাকবেই।
🍗একটি রাতে বিবিকিউ নাইট এর আয়োজন থাকবে।
➡️আর আজই বুকিং করুন আপনার পছন্দের সিপে সিজেনের প্রথম ট্যুরটি।
🧳🧳ভ্রমনের তারিখঃ
১। ৩১শে আগষ্ট রাত ৮টায় ট্যুর শুরু আর সেপ্টেম্বর ১/২/১৩ তারিখ বিকালে ৫টায় প্রস্থান।
সিপের নাম (এম এল কটকা এক্সপ্রেস, ৪২ জনের বেড ক্যাপাসিটি)
বাংকার রুম
ফ্যামিলি রুম with attached bathroom
কাপল রুম
কাপল রুম with attached bathroom
প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ট্যুরিস্ট ভেসেল
Available সিট: ২২ টি
২। ১/২/৩ সেপ্টেম্বর
বিলাস বহুল শিপ the wave
সম্পূর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রত
সব রুমে অ্যাটাচ বাথরুম
সুইমিংপুল ফ্যাসিলিটি
৭৫ ক্যাপাসিটি বড় শিপ
৫* মানের সার্ভিস
খুলনা টু খুলনা
৩। ১৫/১৬/১৭ সেপ্টেম্বর
সিপের নাম- (এম এল কটকা এক্সপ্রেস),
বাংকার রুম
ফ্যামিলি রুম with attached bathroom
কাপল রুম
কাপল রুম with attached bathroom
প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ট্যুরিস্ট ভেসেল
৪। ২৭/২৮/২৯/৩০ সেপ্টেম্বর (ঢাকা টু সুন্দরবন টু খুলনা)
সিপের নাম- (এম ভি ফিলোমিঙ্গ ফুল এসি লাক্সারি সিপ, ৫০ জনের বেড ক্যাপাসিটি, সম্পূর্ণ ৪ ষ্টার সমমান সার্ভিস থাকবে)
🕐ভ্রমন সময়কালঃ ৩ রাত ৩ দিন, ৩ রাত ৪
@@ ট্যুর রুটঃ খুলনা টু সুন্দরবন টু খুলনা
এবং ঢাকা টু সুন্দরবন টু খুলনা
⛵⛴ ভ্যাসেলের নামঃ এম এল কটকা এক্সপ্রেস (ML katka express), the wave
এবং এম ভি ফিলোমিংগ ( MV flamingo)।
# # ভ্রমনের স্থানঃ
১। 🐅 হারবাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার,
অথবা 🧞♂️আন্দারমানিক ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার,
২। 🗾কটকা অফিস পাড়,
৩। 🌳⛱️জামতলা সি বিস ,
৪। 🗼ওয়াচ টাওয়ার,
৫। 🦩কচিখালি অফিস সাইড,
৬। 🦈কচিখালি ক্যানেল ক্রুজিং,
৭। 🦅ডিমের চড়/আইল্যান্ড,
৯। 🐊করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্র।
# # (ঢাকা টু সুন্দরবন টু খুলনা যে সিপের ট্যুর থাকবে সেই সিপের মুল ট্যুর শুরু হবে কচিখালি থেকে)
# # {আবহাওয়া এবং জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে ভ্রমনের স্থানগুলো আগে পরে অথবা পরিবর্তন হতে পারে (ফরেষ্টের অথরিটির অনুমতি সাপেক্ষে)}
==সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট।
এখানে আপনি এক সাথে যে সকল সুযোগ-সুবিধাগুলো পাবেন ।
# অনেকগুলো সমুদ্র সৈকত/বিস্
# অনেকগুলো ছোট বড় দ্বীপ ভ্রমন
# ফরেষ্ট ট্রেকিং
# বনের খালে জাল দিয়ে মাছ ধরা
# খেলাধুলা
# তিন বেলা ভিন্ন ভিন্ন সুস্বাদু খাবার
# দুই বেলা হাল্কা নাস্তার ব্যবস্থা,
# ১৬-১৮ ঘন্টা চা/কফির ব্যবস্থা,
# জাহাজের ক্যাবিনে রাত্রীযাপন
# নামাজের সময় নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।
# বাংলা সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে গান-বাজনার ব্যবস্থা
# রাতে বারবিকিউ নাইট
# ফরেষ্ট আর্ম গার্ড
# দক্ষ ট্যুর গাইড
# কেটারিং এর ব্যবস্থা
# অভিজ্ঞ বাবুর্চি/ সেফ
# বিশুদ্ধ খাবার জল
# খালে ঘুরে বেরাবার জন্য ছোট ট্রলার
# #
📢 ট্যুরের বিস্তারিত :
১ম দিন :
প্রথম রাতে ৮ টার মধ্যে আপনাকে পৌঁছাতে হবে খুলনার রুপসা ঘাটে । সেখান থেকে আপনাকে আমাদের ট্যুর গাইড রিসিভ করে ট্রলারে শীপে নিয়ে আসবে। রাতে আমরা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
সকালে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা পরিবেশন। জাহাজ মংলা পোর্টে পৌঁছানোর পূর্বে রুপসা ব্রীজ, খুলনা শীপ ইর্য়াড ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখা যাবে। দুপুর ১ টা থেকে ২:৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা চাঁদপাই ফরেস্ট অফিস পৌছাবো। বন বিভাগের অনুমোদনপত্র ও গার্ড নিয়ে বিকাল ৩:৩০- ৪ টার মধ্যে হাড়বাড়িয়ায় পৌছানো যেখানে বন বিভাগের ইকো ট্যুরিজম স্পট দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর বনের ভিতর দিয়ে ছোট ছোট ক্যানেল পার হয়ে কটকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত ১ টায় পৌছানো এবং রাতে জাহাজে অবস্থান।
২য় দিন :
ভোরে কটকার আশেপাশে ক্যানেল ক্রসিং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গভীরভাবে উপলব্দি করার জন্যে ট্রলার বন্ধ করে বিভিন্ন প্রকার প্রানী যেমন হরিন,মাছরাঙা, বানর, বনমোরগ, হরিণ, বন্য শূকর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলী উপভোগ করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার, কটকার অফিস পার, জামতলা সী বীচে নেমে ঘু্রাঘুরি করব এবং হেঁটে টাইগার টিলাতে যাব। টাইগার টিলাতে প্রচুর হরিণ দেখতে পাওয়া যাবে এবং ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বাঘ ও দেখা যেতে পারে। দুপুরের খাবারের পূর্বে ডিমের চর ও বিকাল ৪ টায় ভয়ংকর কিন্তু সুন্দর কচিখালীতে ঘুরাঘুরি করে বিকাল নাগাদ ট্যুরিষ্ট শীপে চলে আসব। রাতে বার-বি-কিউ ডিনার করে জাহাজে রাত্রি যাপন।
৩য় দিন :
সকালে ক্যানেল ক্রুজিং ও সকালের নাস্তা খেয়ে করমজল ইকো ট্যুরিজম স্পট পরিদর্শন। সকালে ১০ টায় করমজলে নেমে প্রচুর বানর, হরিন, কুমিরের প্রজননকেন্দ্র দেখতে পাওয়া যাবে। দুপুরের দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা। আনুমানিক বিকাল ৫/৬ টা নাগাদ খুলনা আসা এবং বাসে/ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে।
খাবারঃ
তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি থাকছে দুই বেলা স্ন্যাকস এবং প্রতিবেলা খাবারে থাকবে ভিন্নতার ছোয়া। আরও থাকছে ১৬ ঘন্টা চা/ কফির ব্যাবস্থা।
আর হ্যাঁ সুন্দরবনে আপনাদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে বার-বি-কিউ নাইট।
সিজনের কারনে খাবার মেনুর সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
@@ নিরাপত্তাঃ
# নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোস নেই।
# আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগের সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী ।
# আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VSF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
# সকলের জন্য থাকবে লাইফ জ্যাকেট এবং পর্যাপ্ত লাইফ বয়্যা,
সুন্দরবনভ্রমণেরকরনীয় :
🍀উজ্জল রঙ্গের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিব পোশাক পরা।
🍀কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
🍀পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল / কেডস সাথে নিতে হবে। সু/ হাই হিল নিবেন না।
🍀এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।
🍀জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্র্যাকিং করতে হবে।
🍀যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
🍀জঙ্গলে নামার পর সু-শৃক্ষল ভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।
🍀গাছের ডাল, পাতা বা লতায় হাত দেওয়া বা ছেড়া যাবে না
🍀পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না।
🍀স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
🍀গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।
🍀আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক
ভ্রমণের জন্য তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।
==ভ্রমনকালে যা যা সাথে বহন করবেন:
টেলিটক সিম, কেডস, প্লাষ্টি/বার্মিজ বেলওয়ালা স্যান্ডেল, ব্রাশ, পেস্ট, সানব্লক লোশন, টর্চ লাইট, প্রয়োজনীয় ওষুধ, এবং অন্য কোন অপরিহার্য ব্যক্তিগত পন্য।
বি_দ্রঃ বনের গভীরে কিছু যায়গায় শুধু টেলিটক মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
# # # বুকিং করার নিয়োম ও শর্তঃ
১) বুকিং এর সময় ৫০℅ টাকা প্রদান করিতে হইবে এবং সিপে ওঠার পূর্বে ৫০% টাকা প্রদান করে ভ্রমন শুরু করতে হবে।
২) ট্যুরটি ক্যান্সেল করিতে হইলে যাত্রার ১৫-২০ দিন পূর্বে ১০% সার্ভিস চার্জ কর্তন সাপেক্ষে ক্যান্সেল করিতে পারিবে৷
৩) যাত্রার ১০-১৫ দিন এর মধ্যে ক্যান্সেল করিলে মোট টাকার ৫০% কর্তন করা হবে৷
৪) যাত্রার ১-৫ দিনের মধ্যে ক্যান্সেল করিলে মোট টাকার ৭৫% কর্তন করা হবে।
৫) কোনো প্রকার জাতীয় দূর্যোগে যদি সকলের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা হয় তবে ভ্রমণ তারিখের ১ দিন পূর্বে হইলেও ৯০% অগ্রীম টাকা ফেরত দেওয়া হইবে।
৬) বুকিং করতে হলে সকল ভ্রমন সদস্যদের ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম-নিবন্ধন এর ফটোকপি বুকিং এর সময় জমা দিতে হবে এবং বিদেশী অতিথিদের পাসপোর্ট এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৭) বিদেশি অতিথিদের ক্ষেত্রে ফরেষ্ট রেভিনিউ এবং ভ্যাট ও সার্ভিস চার্চ বাবদ প্রতিদিন ৩৬৬৬/- টাকা করে ৩দিনের ট্যুরের জন্য মোট ১১০০০/- টাকা মুল প্যাকেজের সাথে যোগ হবে।
৮) বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বুকিং পলিসি হচ্ছেঃ
১। ০-৩ বছরের মধ্যে ফ্রিঃ
২। ৩-৭ বছরের ভিতরে ৫০% টাকা পে করতে হবে এবং বাবা-মায়ের সাথে বেড সেয়ার করতে হবে।
৩। যদি কোন বাচ্চা একটি বেড নেয় তাহলে তাকে ফুল প্যাকেজ রেট পে করতে হবে।
# # # বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতিঃ
১. সরাসরি অফিসে এসে জমা দেওয়া যাবে।
২. বিকাশ অথবা নগদ করা যাবে
৩। আমাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এ জমা দিতে পারেন।
৪। যেকোন ভিসা কার্ড/ মাস্টারকার্ড এর মাধ্যমে পে করতে পারেন।
এছাড়া অক্টোবর ২০২৩- মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত যেকোন তারিখে ৯-৭৫ ক্যাপাসিটির এসি / নন এসি শিপ রিজার্ভ করতে পারেন।
. , , , , , , , , ,