18/10/2021
!!!00!!! রাসমেলা-২০২১ উপলক্ষে সুন্দরবন ভ্রমণঃ !!!00!!!
রাসমেলা মণিপুরীদের প্রধান উৎসব। বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উৎসব পালন করেন । কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে [Full Moon Light ] সুন্দবনের দুবলার চর, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ সারাদেশে এ উৎসব পালিত হয়। সুন্দরবনের দুবলার চরে সপ্তাহব্যাপী চলে রাসমেলা। এ মেলা উপলক্ষে হাজার হাজার পুণ্যার্থী আর সমুদ্র দর্শনার্থীর পচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে সমুদ্র সৈকত। মেলার শেষ দিন প্রত্যূষে প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নান সমাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাসমেলা। মেলা উপলক্ষে তিন দিনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি দেয়।
🔹 এ বছর রাসমেলার অনুমতি (সম্ভবত) নভেম্বর ১৭, ১৮, ১৯ । ২০২১ [পূর্ণিমা তিথি হিসেবে]
মামুদকাঠি ঘাট থেকে যাত্রা শুরুঃ ১৬ নভেম্বর'২১ রাত ১০ঃ০০ ঘটিকা, যাত্রা শেষ ১৯ নভেম্বর'২১ সন্ধ্যা ৬ঃ০০ ঘটিকা ।
করোনা পরিস্থিতি ও বুলবুল ঝড়ের কারনে গত দু'বছর রাসমেলা হয়নি। এ মেলা উপলক্ষে উপকূল অঞ্চলে একটা উৎসবমুখর আমেজ তৈরি হয়। অনির্বাণ লাইব্রেরি, সারা দেশের সদস্যেদের কথা বিবেচনা করে 'কপোতাক্ষ টুরিস্ট লঞ্চে' সুন্দরবনের রাসমেলায় ভ্রমনের আয়োজন করেছে।
🔹 ভ্রমণের মোট সদস্য সংখ্যাঃ ৪০ জন (শুধুমাত্র পুরুষ)
খরচ প্রতিজন (অনুমানিক)ঃ ৫৫০০/, [অনির্বাণ লাইব্রেরির পক্ষ থেকে একটি টি-শার্ট থাকবে।]
আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং সরকার অনুমতি দিলে অনির্বাণের কপোতাক্ষ লঞ্চটি মামুদকাঠি ঘাট থেকে কপোতাক্ষ নদ দিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টায় যাবে নলিয়ান স্টেশন, সেখান থেকে পাশ নিয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টায় পৌঁছাবে "দুবলার চর"। নদীর দুপাশে সাজানো সুন্দরী, গেওয়া, গরাণ, পশুর আর গোলপাতা বন। বনের মধ্যে দেখবেন হরিণ, বানর, শুকর আর নানা রকম পাখি। ভাগ্য ভাল বা মন্দ হলে দেখবেন বিশ্ববিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে বাঘের দেখা না মিললেও একটু খুঁজলেও তাঁর পদচিহ্ন দেখতে পাবেন। কথায় আছে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। তবে পানিতে ও বনে রয়েছে বিষাক্ত সাপ সেটা খেয়াল রেখেই আমাদের চলতে হবে।
আমাদের লঞ্চটি উপকূল অঞ্চলের সবচেয়ে আধুনিক ট্যুরিস্ট লঞ্চ। এতে আছে সোলার লাইট ও জেনারেটরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা । তিনদিনে ভ্রমণে থাকবে তিনবেলা খাবার, সুপেয় পানি ও চা-নাস্তা ডাইনিং টেবিল-চেয়ারে খাবার ব্যবস্থা। লঞ্চে আছে মোট ৪ টি বাথরুম, লঞ্চের কেবিনে ও ডেকে "রোস্টার সিস্টেমে" পর্যায়ক্রমে ৪০ জনের থাকার বাবস্থা থাকবে, তবে সিলেট ও ঢাকার অতিথিদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। লঞ্চে থাকবে ফুটবল সহ বিভিন্ন রকমের ইন-ডোর খেলাধুলার ব্যবস্থা।
🔹ভ্রমনকালে কি কি সঙ্গে নিবেনঃ
ন্যাশনাল আইডি কার্ড, চপ্পল, ব্রাশ, টুথপেস্ট, সানগ্লাস, ক্যাপ, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও হালকা শীতবস্ত্র ।
🔹 দুবলারচরের রাসমেলায় কি দেখবেনঃ
দেশি-বিদেশি বিপুল সংক্ষক পর্যটক আসেন দুবলারচরের এই মেলায়। সন্ধ্যায় ট্রলার, লঞ্চ আর জাহাজের আলোয় দুবলারচরের সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে এক আলোক নগরী। দুবলারচর থেকে সমুদ্র দর্শন, সূর্যোদয়ও সূর্যাস্ত নিখুতভাবে দেখা যায়। দুবলারচরে পাবেন সাগর থেকে ধরে আনা দুর্লভ কিছু সামদ্রিক মাছ এবং দুবলারচরে শুটকি মাছ বিখ্যাত।
দুবলারচরের যে স্থানে মেলাটি হয় তার নাম আলোরকোল। সেখানে দোকানে পাবেন বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি, খেলনা, ফলমূল, মাটি ও ঝিনুকের তৈরি অলঙ্কারা পাওয়া যায়। মেলা উপলক্ষে একটি অস্থায়ী মন্দিরও তৈরি করে চলে পূজার্চনা। প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয় বাউল, কবিগান, কীর্ত্তন, জারি, গাজিরগান, যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন রকম লোকজ অনুষ্ঠান। রাস পূর্ণিমায় সারা রাত অনুষ্ঠান দেখার পরে খুব ভোরে প্রথম জোয়ারে সবাই পূর্ণস্নান করতে সমুদ্রের পাড়ে আসেন। এ সময় মন্ত্র উচ্চারণ করে ডাব, মিষ্টি, ফলমূল, জীবজন্তু উৎসর্গ করা হয়।
সুন্দরবন ভ্রমণ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি, যতবারই যাই পরের বছর আবারো যেতে ইচ্ছে করে !
🔹 বুকিং চলছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেঃ অগ্রিম বুকিং টাকা ৩,০০০/-; বাকী ২৫০০ টাকা লঞ্চে উঠার পর দিবেন। বুকিং শেষ সময়ঃ ২৩ অক্টোবর'২১ ।
যোগাযোগঃ
প্রভাত দেবনাথঃ ০১৯৪৭-২৮২০০৫; ০১৭২৭-০৩৯৩৬৬
গৌরাঙ্গ বিশ্বাসঃ ০১৭১২-৪২৭৫৬৮
তুহিন পারভেজঃ ০১৭১৩-২৪৩৫৬৫