BanJan

BanJan PLEASE DON'T MAKE PHONE CALL(S) TO US BETWEEN PRAYER TIME(S) !

-সৌজন্যেঃ ব্যঞ্জন
(8)

মুল্য দেখতে বা পণ্য অর্ডার করতে নিচের লিংকে যান-Visit us for MRP-
www.facebook.com/banjanthebrand/shop

PLEASE DON'T MAKE PHONE CALL(S) TO US BETWEEN PRAYER TIME(S) ! আমাদের পণ্য দেখে/ট্রায়াল দিয়ে তারপরে মুল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে, তাই দুঃশ্চিন্তার কোন কারন নেই ! আপনার পছন্দ না হলে সাথে সাথেই আপনি নিশ্চিন্তে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের কাছে-এর জন্য অতিরিক্ত কোন মুল্য পরিশোধ করতে হবে না আপনাক

ে ।
আমাদের পেইজ এ সংযুক্ত থাকুন নিয়মিত নতুন পণ্যের তথ্য জানতে-
Page: www.facebook.com/banjanthebrand

Facebook-এ পণ্য অর্ডারের নিয়মাবলীঃ-

• মুল্য দেখতে বা পণ্য অর্ডার করতে আমাদের শপে/নিচের লিংকে যান-
Shop: www.facebook.com/banjanthebrand/shop

• পণ্যটি নির্বাচন করে ইনবক্স করুন আমাদেরকে, আমাদের কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবে, কোন কারনে উত্তর পেতে দেরি হলে সরাসরি যোগাযোগ করুন-০১৫১১১৯১৪১৪ অথবা ০১৭০৩১৯১৪১৪ এই নাম্বারগুলোতে ।

• আপনার পণ্যটির ডেলিভারী লোকেশন নিশ্চিত করুন ।

• শিডিউলড ডেলিভারীর জন্য সম্ভাব্য সময়ও নিশ্চিত করুন* ।

• ডেলিভারী চার্জ প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করুন ।

• সবকিছু সম্পন্ন হলে আপনি আপনার সরবরাহকৃত যোগাযোগের নাম্বার/ইমেইলে আপনার পণ্যটির ডেলিভারী সংক্রান্ত কনফার্মেশন পাবেন ।

• পণ্যটি বুঝে পেলে তা দেখে/ট্রায়াল দিয়ে নিশ্চিত হোন ।পছন্দ হলে তারপরে মুল্য পরিশোধ করুন ।

• পছন্দ না হলে ফেরত পাঠিয়ে দিন, অতিরিক্ত কোন মুল্য পরিশোধ করতে হবে না ।


Website-এ পণ্য অর্ডারের নিয়মাবলীঃ-

-www.banjan.ecwid.com

-সাইটে প্রদর্শিত পণ্যগুলো দেখতে সেগুলোর উপরে ক্লিক করুন ।

-সাইটে প্রদর্শিত ডলারে দেয়া মূল্য ১ ডলার সমান ৮০ টাকা ধরা হয়েছে ।

-আপনার পছন্দের পণ্যটি নির্বাচন করে পণ্যের কালার, সাইজ ও পরিমান উল্লেখ করে চেক আউট করলে একটি নতুন পেইজ আসবে অর্ডার কনফার্মেশনের জন্য ।

-পণ্যের কালার, সাইজ ও পরিমান পরিবর্তন করতে চাইলে এখানেও করা যাবে (অর্ডার কনফার্মেশনের পেইজ এ) ।

-তথ্য সম্পাদনা সম্পন্ন করে পরবর্তী পেইজ এ আপনার পণ্যটির ডেলিভারী লোকেশন নিশ্চিত করুন ।

- ডেলিভারী চার্জ প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করুন ।

-অর্ডার প্লেইসমেন্ট পেইজ এর যাবতীয় তথ্য সম্পাদনা করুন ।

-সবকিছু সম্পন্ন হলে আপনি আপনার সরবরাহকৃত যোগাযোগের নাম্বার/ইমেইলে আপনার পণ্যটির ডেলিভারী সংক্রান্ত কনফার্মেশন পাবেন ।

-পণ্যটি বুঝে পেলে তা দেখে/ট্রায়াল দিয়ে নিশ্চিত হোন ।পছন্দ হলে তারপরে মুল্য পরিশোধ করুন ।

-পছন্দ না হলে ফেরত পাঠিয়ে দিন, অতিরিক্ত কোন মুল্য পরিশোধ করতে হবে না ।

আমাদের সার্ভিস আরও উন্নত করতে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত অবশ্যই জানাবেন আমাদের পেইজের ইনবক্স এ অথবা সরাসরি (০১৫১১১৯১৪১৪ অথবা ০১৭০৩১৯১৪১৪) এই নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করে । আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য । আপনাদের সেবা এবং সন্তুষ্টিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ।

N.B.

Thobes
21/02/2024

Thobes

09/09/2023

وَ مَا تَوۡفِیۡقِیۡۤ اِلَّا بِاللّٰهِ ؕعَلَیۡهِ تَوَکَّلۡتُ وَ اِلَیۡهِ اُنِیۡبُ ﴿۸۸﴾

আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোন তওফীক নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই’
-সূরাঃ হূদ | سورة هود - আয়াতঃ ৮৮

21/10/2022

জেনে নিন কোন কোন কাজে সঙ্গী প্রতিদিনই আপনার প্রেমে পড়বেন-

💞 নিজেদের জন্য আলাদা সময় রাখুন প্রতিদিন

বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যেই অশান্তি কিংবা দূরত্বে সৃষ্টি হয় মূলত একে অন্যকে সময় না দেওয়ার কারণে। বর্তমানে সবাই কর্মব্যস্ত সময় কাটান, এ কথা সত্যিই। তবে দিনশেষে অবশ্যই সঙ্গীকে সময় দিতে হবে।

তাহলে সম্পর্ক ভালো থাকবে, এমনকি নিজেদের মধ্যকার বোঝাপোড়াও বাড়বে। মনে রাখবেন, আপনার বিপদে-আপদে এমনকি জীবনের সব ক্ষেত্রেই কিন্তু পাশে থাকবেন সঙ্গী। তাই তাকে খুশি রাখুন ও সময় দিন।

💞 বিভিন্ন কাজে সঙ্গী সমর্থন করুন

সঙ্গীর প্রতি আপনি যতটা সহজ-সরল ও সৎ হবেন, দেখবেন তিনি আপনাকে ততটাই ভালোবাসবেন। আপনার বিশেষ গুণের কারণে সঙ্গী প্রতিদিনই আপনার প্রেমে পড়তে বাধ্য হবে। তার প্রতিটি কাজে সমর্থন করুন। তার পাশে থাকুন ও সাহস দিন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে।

💞 নিজেদের মধ্যকার সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন

প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে উত্থান-পতন থাকে। তাই বলে অশান্তি কিংবা ঝগড়ার কারণে একে অন্যের সঙ্গে কখনো রাগ করে দূরত্ব বাড়াবেন না। এতে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটান। দেখবেন সম্পর্ক আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এবং একে অন্যের প্রতি আরও ভালোবাসা বোধ করবেন ইন শা আল্লাহ ।

💞 সব কাজ ভাগ করে নিন

সংসারে একে অন্যকে সাহায্য করা সব দম্পতিরই উচিত। এক্ষেত্রে সঙ্গীকে সময়ও দেওয়া যায় আবার দু’জনে মিলে কাজ ভাগাভাগি করে তা দ্রুত সম্পন্নও হয়। সঙ্গীকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করলে আপনার প্রতি তার সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই বাড়বে।

💞 সঙ্গীর প্রশংসা করুন

বিভিন্ন কাজে সঙ্গীর প্রশংসা করুন। এতে সঙ্গী আপনার প্রেমে পড়বেন নতুনভাবে। অনেকেই সঙ্গীর প্রশংসা মনে মনে করলেও মুখে উচ্চারণ করেন না। আপনার মনে হতে পারে, দাম্পত্যে এটি কোনোভাবে প্রভাব ফেলবে না।
তবে মনে রাখবেন, সঙ্গীর প্রশংসা করলে আপনি তার কাছে ছোট হয়ে যাবেন না বরং তিনি খুশি হবে আপনার প্রতি। এমনকি আপনার প্রতি তার সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই বাড়বে।

💝💝💝 যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.

‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।[1]

خَيْرُ النِّساءِ الَّتِي تَسُرُّهُ إذا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إذا أمَرَ ولا تُخالِفُهُ في نَفْسِها ولا مالِها بِما يَكْرَهُ.

‘‘শ্রেষ্ঠ রমণী সেই, যার প্রতি তার স্বামী দৃকপাত করলে সে তাকে খোশ করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং তার জীবন ও সম্পদে স্বামীর অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে না।’’[2]

স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা বিরাট। এই মর্যাদার কথা ইসলাম নিজে ঘোষণা করেছে। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন, ‘‘স্ত্রীর জন্য স্বামী তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’’[3]

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا.

‘‘যদি আমি কাউকে কারো জন্য সিজদা করতে আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে।’’[4]

مِن حَقِّ الزَّوجِ عَلَى زَوجَتِهِ إن سَالَ دَماً وَقَيحاً وَصَديداً فَلَحَسَتهُ بِلِسَانِهَا مَا أَدَّتْ حَقَّهُ.

‘‘স্ত্রীর কাছে স্বামীর এমন অধিকার আছে যে, স্ত্রী যদি স্বামীর দেহের ঘা চেঁটেও থাকে তবুও সে তার যথার্থ হক আদায় করতে পারবে না।’’[5]
..فَإِنَّ الْمَرْأَةَ لَوْ تَعْلَمُ مَا حَقُّ زَوْجِهَا ، لَمْ تَزَلْ قَائِمَةً مَا حَضَرَ غَدَاؤُهُ وَعَشَاؤُهُ.

‘‘মহিলা যদি নিজ স্বামীর হক (যথার্থরূপে) জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত সে (তার পাশে) দাঁড়িয়ে থাকতো।’’[6]
..فَوَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا كُلِّهِ حَتَّى إِنْ لَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ أَعْطَتْهُ أَوْ قَالَ لَمْ تَمْنَعْهُ.

‘‘তাঁর শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে! নারী তার প্রতিপালকের হক ততক্ষণ পর্যন্ত আদায় করতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার স্বামীর হক আদায় করেছে। সওয়ারীর পিঠে থাকলেও যদি স্বামী তার মিলন চায় তবে সে বাধা দিতে পারবে না।’’[7]

اثْنَانِ لا تُجَاوِزُ صَلاتُهُمَا رُءُوسَهُمَا : عَبْدٌ آبِقٌ مِنْ مَوَالِيهِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْهِمْ ، وَامْرَأَةٌ عَصَتْ زَوْجَهَا حَتَّى تَرْجِعَ.

‘‘দুই ব্যক্তির নামায তাদের মাথা অতিক্রম করে না (কবুল হয় না) ; সেই ক্রীতদাস যে তার প্রভুর নিকট থেকে পলায়ন করেছে, সে তার নিকট ফিরে না আসা পর্যন্ত এবং যে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্যাচরণ করেছে, সে তার বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত (নামায কবুল হয় না।)’’[8]

ثَلاَثَةٌ لاَ يُقبَلُ منهُم صَلاَةٌ وَلاَ تَصعُدُ إلَى السَّمَاءِ وَلاَ تَجَاوزُ رُءُوسُهُم : رَجُلٌ أَمَّ قَوماً وَهُم لَه كَارِهُونَ ، وَرَجُلٌ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ وَلَمْ يُؤمَر ، وَامرَأَةُ دَعَاهَا زَوجُهَا من اللَّيلِ فَأَبَتْ عَلَيه.

‘‘তিন ব্যক্তির নামায কবুল হয় না, আকাশের দিকে উঠে না; মাথার উপরে যায় না; এমন ইমাম যার ইমামতি (অধিকাংশ) লোকে অপছন্দ করে, বিনা আদেশে যে কারো জানাযা পড়ায় এবং রাত্রে সঙ্গমের উদ্দেশ্যে স্বামী ডাকলে যে স্ত্রী তাতে অসম্মত হয়।[9]

إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ أَنْ تَجِيءَ لَعَنَتْهَا الْمَلَائِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ.

‘‘ স্বামী যখন তার স্ত্রীকে নিজ বিছানার দিকে (সঙ্গম করতে) আহ্ববান করে তখন যদি স্ত্রী না আসে, অতঃপর সে তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রি কাটায়, তবে সকাল পর্যন্ত ফিরিশ্তাবর্গ তার উপর অভিশাপ করতে থাকেন।’’ অন্য এক বর্ণনায় ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত না স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফিরিশ্তা তার উপর অভিশাপ করতে থাকেন।’’[10]

স্বামীর আনুগত্য স্ত্রীর জন্য আল্লাহ ও তদীয় রসূলের আনুগত্য। সুতরাং স্বামীকে সন্তুষ্ট করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। বলাই বাহুল্য যে, অধিকাংশ তালাক ও দ্বিতীয় বিবাহের কারণ হল স্বামীর আহ্বানে স্ত্রীর যথাসময়ে সাড়া না দেওয়া। উক্ত অধিকার পালনেই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন মজবুত ও মধুর হয়ে গড়ে উঠে, নচেৎ না।

২- স্বামীর মান-মর্যাদা ও চাহিদার খেয়াল রাখা স্ত্রীর জন্য জরুরী। স্বামী বাইরে থেকে এসে যেন অপ্রীতিকর কিছু দেখতে, শুনতে, শুঁকতে বা অনুভব করতে না পারে। পুরুষ বাইরে কর্মব্যস্ততায় জ্বলে-পুড়ে বাড়িতে এসে যদি স্ত্রীর স্মিতমুখ ও দেহ-সংসারের পারিপাট্য না পেল, তাহলে তার আর সুখ কোথায়? সংসারে তার মত দুর্ভাগা ব্যক্তি আর কেউ নেই, যাকে বাইরে মেহনতে জ্বলে এসে বাড়িতে স্ত্রীর তাপেও জ্বলতে হয়।

💗💗💗সে নারী কত আদর্শ পতিভক্ত, যে তার স্বামীকে মিলন দিয়ে খুশী ও সন্তুষ্ট করার জন্য কারো মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করে না। অতি ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে এমনটি করা অনুপম পতিভক্তির পরিচয়। পরন্তু এরূপ করার পশ্চাতে প্রভূত কল্যাণের আশা করা যায়। যেমন ঘটেছিল উম্মে সুলাইম রুমাইসা (বিবি রমিসা) ও তাঁর স্বামী আবু তালহা (রাঃ) এর সাংসারিক জীবনে। তাঁদের একমাত্র সন্তান ব্যাধিগ্রস্ত ছিল। আবু তালহা প্রায় সময় নবী (ﷺ) এর নিকট কাটাতেন। এক দিন সন্ধ্যায় তিনি তাঁর নিকট গেলেন। এদিকে বাড়িতে তাঁর ছেলে মারা গেল। উম্মে সুলাইম সকলকে নিষেধ করলেন, যাতে আবু তালহার নিকট খবর না যায়। তিনি ছেলেটিকে ঘরের এক কোণে ঢেকে রেখে দিলেন। অতঃপর স্বামী আবু তালহা রসূল (ﷺ) এর নিকট থেকে বাড়ি ফিরলে বললেন, ‘আমার বেটা কেমন আছে?’ রুমাইসা বললেন, ‘যখন থেকে ও পীড়িত তখন থেকে যে কষ্ট পাচ্ছিল তার চেয়ে এখন খুব শান্ত। আর আশা করি সে আরাম লাভ করেছে!’

অতঃপর পতিপ্রাণা স্ত্রী স্বামী এবং তাঁর সাথে আসা আরো অন্যান্য মেহমানদের জন্য রাত্রের খাবার পেশ করলেন। সকলে খেয়ে উঠে গেল। আবু তালহা উঠে নিজের বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন। (স্ত্রীর কথায় ভাবলেন, ছেলে আরাম পেয়ে ঘুমাচ্ছে।) ওদিকে পতিব্রতা রুমাইসা সব কাজ সেরে উত্তমরূপে সাজ-সজ্জা করলেন, সুগন্ধি মাখলেন। অতঃপর স্বামীর বিছানায় এলেন। স্বামী স্ত্রীর নিকট থেকে সৌন্দর্য, সৌরভ এবং নির্জনতা পেলে উভয়ের মধ্যে যা ঘটে তা তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে (মিলন) ঘটল। তারপর রাত্রির শেষ দিকে রুমাইসা স্বামীকে বললেন, ‘হে আবু তালহা! যদি কেউ কাউকে কোন জিনিস ধার স্বরূপ ব্যবহার করতে দেয়, অতঃপর সেই জিনিসের মালিক যদি তা ফেরৎ নেয় তবে ব্যবহারকারীর কি বাধা দেওয়া বা কিছু বলার থাকতে পারে?’ আবু তালহা বললেন, ‘অবশ্যই না।’ স্ত্রী বললেন, ‘তাহলে শুনুন, আল্লাহ আপনাকে যে ছেলে ধার দিয়েছিলেন তা ফেরৎ নিয়েছেন। অতএব আপনি ধৈর্য ধরে নেকীর আশা করুন!’

এ কথায় স্বামী রেগে উঠলেন; বললেন, ‘এতক্ষণ পর্যন্ত কিছু না বলে চুপ থেকে, এত কিছু হওয়ার পর তুমি আমাকে আমার ছেলে মরার খবর দিচ্ছ?!’ অতঃপর তিনি ‘ইন্না লিল্লাহি----’ পড়লেন ও আল্লাহর প্রশংসা করলেন। তারপর আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর নিকট ঘটনা খুলে বললে তিনি তাঁকে বললেন, ‘‘তোমাদের উভয়ের ঐ গত রাত্রে আল্লাহ বরকত দান করুন।’’ সুতরাং ঐ রাত্রেই রুমাইসা তাঁর গর্ভে আবার একটি সন্তান ধারণ করেন💗।[11]

৩- স্বামীর দ্বীন ও ইজ্জতের খেয়াল করা ওয়াজেব। বেপর্দা হয়ে, পাড়াকুঁদুলী হয়ে, দরজা, জানালা বা ছাদ হতে উঁকি ঝুঁকি মেরে, স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে অথবা কোথাও গেয়ে-এসে নিজের তথা স্বামীর বদনাম করা এবং আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা মোটেই বৈধ নয়। স্বামী-গৃহে হিফাযতের সাথে থেকে তার মন মতো চলা এক আমানত। এই আমানতের খেয়ানত স্বামীর অবর্তমানে করলে নিশ্চয়ই সে সাধবী নারী নয়।

মহান আল্লাহ বলেন,

﴿فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ﴾

‘‘সুতরাং সাধবী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজেদের ইজ্জত রক্ষাকারিণী। আল্লাহর হিফাযতে তারা তা হিফাযত করে।’’[12]

স্বামীর নিকট স্বামীর ভয়ে বা তাকে প্রদর্শন করে পর্দাবিবি বা হিফাযতকারিণী সেজে তার অবর্তমানে গোপনে আল্লাহকে ভয় না ক’রে কুটুমবাড়ি, বিয়েবাড়ি প্রভৃতি গিয়ে অথবা শ্বশুরবাড়িতে পর্দানশীন সেজে এবং বাপের বাড়িতে বেপর্দা হয়ে নিজের মন ও খেয়াল-খুশীর তাবেদারী ক’রে থাকলে সে নারী নিশ্চয় বড় ধোঁকাবাজ। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

ثَلَاثَةٌ لَا تَسْأَلْ عَنْهُمْ رَجُلٌ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ وَعَصَى إِمَامَهُ وَمَاتَ عَاصِيًا وَأَمَةٌ أَوْ عَبْدٌ أَبَقَ فَمَاتَ وَامْرَأَةٌ غَابَ عَنْهَا زَوْجُهَا قَدْ كَفَاهَا مُؤْنَةَ الدُّنْيَا فَتَبَرَّجَتْ بَعْدَهُ فَلَا تَسْأَلْ عَنْهُمْ.

‘‘তিন ব্যক্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্নই করো না; যে জামাআত ত্যাগ করে ইমামের অবাধ্য হয়ে মারা যায়, যে ক্রীতদাস বা দাসী প্রভু থেকে পলায়ন করে মারা যায়, এবং সেই নারী যার স্বামী অনুপস্থিত থাকলে---তার সাংসারিক সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস বন্দোবস্ত করে দেওয়া সত্ত্বেও---তার অনুপস্থিতিতে বেপর্দায় বাইরে যায়।’’[13]

শ্রেষ্ঠা রমণী তো সেই যে কোন পরপুরুষকে নিজের মুখ দেখায় না এবং বেগানার মুখ নিজেও দেখে না। স্বামী বাড়িতে না থাকলে গান-বাজনা শুনে নয়; বরং কুরআন ও দ্বীনী বই-পুস্তক পড়ে নিজের মনকে ফ্রী করে। কারণ গান শুনে মন আরো খারাপ হয়। স্বামীকে কাছে পেতে ইচ্ছা হয়। যৌন ক্ষুধা বেড়ে উঠে। তাইতো সলফগণ বলেন, ‘গান হল ব্যভিচারের মন্ত্র।’[14]

পক্ষান্তরে-

﴿الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللهِ﴾

‘‘আল্লাহর যিকরেই মুমিনদের চিত্ত প্রশান্ত হয়।’’[15]

৪- স্বামীর বৈয়াক্তিক ও সামাজিক জীবনের প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখা স্ত্রীর কর্তব্য। সুতরাং তার ব্যক্তিগত কাজ-কারবার, পড়াশুনা প্রভৃতিতে ডিস্টার্ব করা বা বাধা দেওয়া হিতাকাঙিক্ষনী স্ত্রীর অভ্যাস হতে পারে না। স্বামীর নিকট এমন বিষয়, বস্ত্ত বা বিলাস-সামগ্রী স্ত্রী চাইবে না, যার ফলে সে বাধ্য হয়ে অবৈধ অর্থোপার্জনের পথ অবলম্বন করে ফেলে। হারাম উপার্জন ও অসৎ ব্যবসায় মোটেই তার সহায়তা করবে না। সাধবী স্ত্রী তো সেই; যে তার স্বামীকে ব্যবসায় বের হলে এই বলে সলফের স্ত্রীর মত অসিয়ত করে, ‘‘আল্লাহকে ভয় করবেন, হারাম উপার্জন থেকে দূরে থাকবেন। কারণ, আমরা না খেয়ে ক্ষুধায় ধৈর্য ধরতে পারব; কিন্তু জাহান্নামে ধৈর্য ধরতে পারব না!’’[16]

৫- স্বামীর ঘর সংসার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখা স্ত্রীর কর্তব্য। স্বামীর যাবতীয় খিদমত করা, ছেলে-মেয়েদেরকে পরিষ্কার ও সভ্য করে রাখাও তার দায়িত্ব। সর্বকাজ নিজের হাতে করাই উত্তম। এতে তার স্বাস্থ্য ভালো এবং দেহে স্ফূর্তি থাকবে। একান্ত চাপ ও প্রয়োজন না হলে দাসী ব্যবহার আলসে মেয়ের কাজ। সাহাবী মহিলাগণ সবহস্তে ক্ষেতেরও কাজ করতেন। একদা হযরত ফাতেমা (রাঃ) কাজের চাপের এবং নিজের মেহনত ও কষ্টের কথা আব্বার নিকট উল্লেখ ক’রে কোন খাদেম চাইলে প্রিয় নবী (ﷺ) তাঁকে সবহস্তে কর্ম সম্পাদন করতে নির্দেশ দিলেন এবং অলসতা কাটিয়ে উঠার ঔষধও বলে দিলেন; বললেন, ‘‘যখন তোমরা শয়ন করবে তখন ৩৪ বার ‘আল্লা-হু আকবার’ ৩৩ বার ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ এবং ৩৩ বার ‘আলহামদু লিল্লা-হ’ পড়বে। এটা তোমাদের জন্য খাদেম থেকেও উত্তম হবে!’’[17]

তাই তো একজন বাদশাহর কন্যা হয়েও তিনি সবহস্তে চাকি ঘুরিয়ে আটা পিষতেন। তাঁর হাতে ফোস্কা পড়ে যেত, তবুও আব্বার কথামত কোন দাস-দাসী ব্যবহার না করেই সংসার করেছেন।

৬- স্বামী তার স্ত্রীকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে থাকে। যথাসাধ্য উত্তম আহার-বসনের ব্যবস্থা করে থাকে। তবুও ত্রুটি স্বাভাবিক। কিন্তু সামান্য ত্রুটি দেখে সমস্ত উপকার, উপহার ও প্রীতি-ভালোবাসাকে ভুলে যাওয়া নারীর সহজাত প্রকৃতি। কিছু শিক্ষা বা শাসনের কথা বললে মনে করে, স্বামী তাকে কোনদিন ভালোবাসে না। স্বামীর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার মনে নিদারুণ ব্যথা দিয়ে থাকে। এটি এমন একটি কর্ম যার জন্যও মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে অধিক সংখ্যায় জাহান্নামবাসিনী হবে।[18]

প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى امْرَأَةٍ لاَ تَشْكُرُ لِزَوْجِهَا وَهِىَ لاَ تَسْتَغْنِى عَنْهُ.

‘‘আল্লাহ সেই রমণীর দিকে তাকিয়েও দেখেন না (দেখবেন না) যে তার স্বামীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, অথচ সে স্বামীর মুখাপেক্ষিনী।[19]

আসলেই ‘মেয়ে লোকের এমনি সবভাব, হাজার দিলেও যায় না অভাব।’ সে দেখে না যে, তার স্বামী তার জন্য কত কি করছে। সে শুধু তাই দেখে, যা তার জন্য করা হয় না।

৭- স্ত্রী হয় সংসারের রানী। স্বামীর ধন-সম্পদ সর্বসংসার হয় তার রাজত্ব এবং স্বামীর আমানতও। তাই তার যথার্থ হিফাযত করা এবং যথাস্থানে সঠিকভাবে তা ব্যয় করা স্ত্রীর কর্তব্য। অন্যায়ভাবে গোপনে ব্যয় করা, তার বিনা অনুমতিতে দান করা বা আত্মীয়-স্বজনকে উপঢৌকন দেওয়া আমানতের খেয়ানত। এমন স্ত্রী পুণ্যময়ী নয়; বরং খেয়ানত-কারিণী। অবশ্য স্বামী ব্যয়কুণ্ঠ কৃপণ হলে এবং স্ত্রী ও সন্তানের জন্য যথার্থ খরচাদি না দিলে, স্ত্রী গোপনে শুধু ততটুকুই নিতে পারবে যতটুকু নিলে তার ও তার সন্তানের প্রয়োজন মিটানোর জন্য যথেষ্ট হবে। এর বেশী নিলে অবৈধ মাল নেওয়া হবে।[20]

অবশ্য স্বামী দানশীল হলে এবং দানের জন্য সাধারণ অনুমতি থাকলে স্ত্রী যদি তার অনুপস্থিতিতে দান করে, তাহলে উভয়েই সমান সওয়াবের অধিকারী হবে।[21]

৮- স্বামীর বিনা অনুমতিতে বাইরে, মার্কেট, বিয়েবাড়ি, মড়াবাড়ি ইত্যাদি না যাওয়া পতিভক্তির পরিচয়। এমনকি মসজিদে (ইমামের পশ্চাতে মহিলা জামাআতে) নামায পড়তে গেলেও স্বামীর অনুমতি চাই।[22]

এই পরাধীনতায় আছে মুক্তির পরম স্বাদ। মাতৃক্রোড় উপেক্ষা করে ঝড়-বৃষ্টি, শীত-গ্রীষেম যেমন শিশু নিজেকে বিপদে ফেলে, তা-এর কোল ছেড়ে ডিম যেমন ঘোলা হয়ে যায়, ঠিক তেমনি নারীও স্বামীর এই স্নেহ-সীমাকে উল্লংঘন করে নিজের দ্বীন ও দুনিয়া নষ্ট করে।

রুচিতে যা রুচে তাই যদি খাওয়া পরা, বলা, চলা হয় এবং রুচিতে যা বাধে তাই যদি না খাওয়া, না পরা, না বলা, না চলা হয়, তাহলে নৈতিকতাই বা কি? মানবিকতাই বা কি? তাও মানুষের রুচির ব্যাপার নয় কি? তাহলে থাকল আর কি? বন্ধন, শৃঙ্খল ও সীমাবদ্ধতা ছাড়া কি কোন নৈতিকতা, কোন শান্তি ও সুখ আছে?

পক্ষান্তরে ইসলামী নৈতিকতা ও গন্ডী-সীমার ভিতরে থেকেও নারী কর্ম, চাকুরী ও উপার্জন করতে পারে। যেখানে দ্বীনের কোন বাধা নেই, নারীত্ব ও সতীত্বের কোন আঁচড় নেই, সেখানে স্বামীরও কোন বাধা থাকতে পারে না। মহিলা কেবল মহিলা কর্মক্ষেত্রে, শিশু ও মহিলা শিক্ষাঙ্গনে অফিস বা শিক্ষকতার কাজ, বাড়িতে বসে শিশু ও মহিলা পোষাকের দর্জিকাজ অথবা কোন হাতের শিল্পকাজ বা ম্যাকানিকেল কাজ দিব্যি করতে পারে; যাতে পরপুরুষের সাথে কোন সংস্রবই নেই। অন্যথা পর পুরুষের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে অবাধভাবে মিলেমিশে কর্ম করা নারী স্বাধীনতা নয়, বরং নারীর হীনতা এবং স্বামীর দ্বীনতা।[23]

বলাই বাহুল্য যে, ধর্ম ও নৈতিকতাকে কবর দিয়ে উচ্চ শিক্ষিতা হয়ে, প্রতিষ্ঠিতা হয়ে, চাকুরী করে মোটা টাকা উপার্জন করে, স্বামীর তোয়াক্কা না করে, পার্থিব সুখ লুটা ভোগবাদী, বস্ত্তবাদী এবং পরকালে অবিশ্বাসিনীদের লক্ষ্য। পক্ষান্তরে ধর্ম ও নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে পার্থিব বিষয়াদি পরকালে বিশ্বাসিনী মুসলিম নারীর উপলক্ষ্য মাত্র। মুসলমানের মূল লক্ষ্য হল পরকাল। মুসলিম দু’দিনের সুখস্বপ্নে সন্তুষ্ট নয়। সে চায় চিরস্থায়ী উপভোগ্য অনন্ত সুখ।

এ জন্যই প্রিয় নবী (ﷺ) দুআ করতেন,

(وَلاَ تَجْعَل الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا)

অর্থাৎ, দুনিয়াকে আমাদের বৃহত্তম চিন্তার বিষয় এবং আমাদের জ্ঞানের শেষ সীমা (মূল লক্ষ্য) করে দিও না।[24]

৯- স্বামীর অনুমতি না হলে তার উপস্থিতিতে স্ত্রী নফল রোযা রাখতে পারে না। যেহেতু তার সাংসারিক কর্মে বা যৌন-সুখে বাধা পড়লে আল্লাহ সে রোযায় রাযী নন।[25]

১০- কোন বিষয়ে স্বামী রাগান্বিত হলে স্ত্রী বিনীতা হয়ে নীরব থাকবে। নচেৎ ইঁটের বদলে পাটকেল ছুঁড়লে আগুনে পেট্রল পড়বে। যে সোহাগ করে, তার শাসন করার অধিকার আছে। আর এ শাসন স্ত্রী ঘাড় পেতে মেনে নিতে বাধ্য হবে। ভুল হলে ক্ষমা চাইবে। যেহেতু স্বামী বয়সে ও মর্যাদায় বড়। ক্ষমা প্রার্থনায় অপমান নয়; বরং মানুষের মান বর্ধমান হয়; ইহকালে এবং পরকালেও। তাছাড়া অহংকার ও ঔদ্ধত্যের সাথে ‘বেশ করেছি, অত পারি না’ ইত্যাদি বলে অনমনীয়তা প্রকাশ সতী নারীর ধর্ম নয়। সুতরাং স্বামীর রাগের আগুনকে অহংকার ও ঔদ্ধত্যের পেট্রল দ্বারা নয় বরং বিনয়ের পানি দ্বারা নির্বাপিত করা উচিৎ।

প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

وَنسَاؤُكُم من أَهْل الجَنَّة الوَدُود العَؤودُ عَلَى زَوجهَا الَّتي إذَا غَضِبَ جَاءت حَتَّى تَضَعَ يَدَهَا في يَده ثُمَّ تَقُولُ : لاَ أَذُوقُ غَمضاً حَتى تَرضَى.

‘‘তোমাদের স্ত্রীরাও জান্নাতী হবে; যে স্ত্রী অধিক প্রণয়িণী, সন্তানদাত্রী, বার-বার ভুল করে বার-বার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পণকারিণী, যার স্বামী রাগ করলে সে তার নিকট এসে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি রাজি (ঠান্ডা) না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাবই না।’’[26]

⛔নারী হয়ে একজন পুরুষের মন জয় করতে না পারা বড় আশ্চর্যের ব্যাপার! ⚠️⚠️⚠️

খেয়াল রাখার বিষয় যে, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে শয়তান বড় তৎপর। সমুদ্রের উপর নিজ সিংহাসন পেতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তার ‘স্পেশাল ফোর্স’ পাঠিয়ে দেয়। সবচেয়ে যে বড় ফিৎনা সৃষ্টি করতে পারে সেই হয় তার অধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত। কে কি করেছে তার হিসাব নেয় ইবলীস। প্রত্যেকে এসে বলে, ‘আমি অমুক করেছি, আমি অমুক করেছি। (চুরি, ব্যভিচার, হত্যা প্রভৃতি সংঘটন করেছি)। কিন্তু ইবলীস বলে, ‘কিছুই করনি তুমি!’ অতঃপর যখন একজন বলে ‘আমি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে রাগারাগি সৃষ্টি করে উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ছেড়েছি’ তখন শয়তান উঠে এসে তাকে আলিঙ্গন করে বলে, ‘হ্যাঁ, তুমিই কাজের ব্যাটা কাজ করেছ![27]

সুতরাং রাগের সময় শয়তানকে সহায়তা ও খোশ করা অবশ্যই কোন মুসলিম দম্পতির কাজ নয়।

১১- পতিপ্রাণা নারীর সদা চিন্তা স্বামীর মনোসুখ, তার পরম আনন্দ ও খুশী। যেহেতু তার আনন্দেই স্ত্রীর পরমানন্দ। স্বামীর আনন্দ না হলে নিজের আনন্দ কল্পনাই করতে পারে না স্ত্রী। বাইরে থেকে রোদে-গরমে এলে সবতঃস্ফূর্তভাবে তার সামনে পানি পেশ করা, হাওয়া করে দেওয়া ইত্যাদি সতীর ধর্ম। তাছাড়া স্বামী সালাম দিয়ে যখন বাড়ি প্রবেশ করে, তখন উত্তর দিয়ে হাসিমাখা ওষ্ঠাধরের স্পর্শ উপহার যদি উভয়ে বিনিময় করে, তবে এর মত দাম্পত্য সুখ আর আছে কোথায়?

এমনিতেই স্ত্রী স্বামীর জন্য হয়ে থাকবে ফুটন্ত গোলাপ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়, অঙ্গসজ্জা এবং বেশভূষায় স্বামীর চক্ষুশীতল করবে। সৌন্দর্য ও সৌরভে ভরা গোলাপের দিকে একবার তাকিয়ে যেমন মন-প্রাণ আকৃষ্যমাণ হয়, ঠিক তেমনি হবে স্বামীর মন তার স্ত্রীকে দেখে। স্বামী-স্ত্রীর এ পরম সুখ থাকলে, কোন নারী সংগঠন বা নারী-স্বাধীনতা ও নারী-মুক্তির আন্দোলনের প্রয়োজনই নেই।

নারী-পুরুষের মধুর সহাবস্থান ও মধুর মিলনে পরম সুখ, এই শান্তিই পরম শান্তি।

বলাই বাহুল্য যে, যে স্বামী তার স্ত্রীর প্রগাঢ় ভালোবাসা পায়, বিপদে সান্ত্বনা, কষ্টে সেবাযত্ন, যৌবনে পরম মিলন পায়, রাগ-অনুরাগ বা অভিমান করলে যাকে তার স্ত্রী মানিয়ে নেয় এমন স্বামীর মত সৌভাগ্যবান স্বামী আর কে হতে পারে?

১২- স্বামীর সংসারে তার পিতামাতা ও বোনদের সাথে সদ্ব্যবহার করা স্ত্রীর অন্যতম কর্তব্য। স্বামীর মা-বাপ ও বোনকে নিজের মা-বাপ ও বোন ধারণা করে সংসারের প্রত্যেক কাজ তাদের পরামর্শ নিয়ে করা, যথাসাধ্য তাদের খিদমত করা এবং তাদের (বৈধ) আদেশ-নিষেধ মেনে চলা পুণ্যময়ী সাধবী নারীর কর্তব্য।

১৩- নিজের এবং অনুরূপ স্বামীর সন্তান-সন্ততির লালন-পালন, তরবিয়ত ও শিক্ষা দেওয়া স্ত্রীর শিরোধার্য কর্তব্য। এর জন্য তাকে ধৈর্য, স্থৈর্য, করুণা ও স্নেহের পথ অবলম্বন করা একান্ত উচিৎ। বিশেষ করে স্বামীর সামনে সন্তানের উপর রাগ না ঝাড়া, গালিমন্দ, বদ্দুআ ও মারধর না করা স্ত্রীর আদবের পরিচয়। তাছাড়া বদ্দুআ করা হারাম। আর তা কবুল হলে নিজের ছেলেরই ক্ষতি।[29]

স্ত্রীর উচিৎ, সন্তান-সন্ততিকে পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা, সচ্চরিত্রতা, বীরত্ব, সংযমশীলতা, বিষয়-বিতৃষ্ণা, দ্বীন-প্রেম, ন্যায়-নিষ্ঠা, আল্লাহ-ভীরুতা, প্রভৃতি মহৎগুণের উপর প্রতিপালিত ও প্রতিষ্ঠিত করা।

হাদীসের রেফারেন্স/পাদটীকাঃ

[1] (ত্বাবারানী, ইবনে হিববান, সহীহ, মুসনাদে আহমদ, প্রভৃতি, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৫৪নং)

[2] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ১৮৩৮নং)

[3] (ইবনে আবী শাইবাহ ,নাসাঈ, তাবারানী, হাকেম , প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ২৮৫পৃঃ)

[4] (তিরমিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৫৫নং)

[5] (হাকেম , ইবনে হিববান, ইবনে আবী শাইবাহ , সহীহুল জামে ৩১৪৮ নং)

[6] (ত্বাবারানী, সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ৫২৫৯নং)

[7] (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিববান , আদাবুয যিফাফ ২৮৪পৃঃ)

[8] (ত্বাবারানী, হাকেম , আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২৮৮নং)

[9] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ৬৫০নং)

[10] (বুখারী, মুসলিম, আবু দাঊদ, মুসনাদে আহমদ, প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ২৮৩পৃঃ)

[11] (ত্বায়ালিসী ২০৫৬, বাইহাকী ৪/৬৫-৬৬, ইবনে হিববান ৭২৫নং, মুসনাদে আহমদ ৩/১০৫-১০৬ প্রভৃতি। দেখুন, আহকামুল জানায়েয ২৪-২৬ পৃঃ)

[12] (সূরা আন-নিসা (৪) : ৩৪)

[13] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ৫৪২নং)

[14] (তামবীহাতুল মু’মিনাত ১৬২পৃঃ)

[15] (সূরা আর র‘দ (১৩) : ২৮)

[16] (আল মারআতুল মুসলিমাহ, ওয়াহ্বী সুলাইমান আল-আলবানী ১৬৯পৃঃ, সিফাতুল মু’মিনাতিস সা-দিক্বাহ, নাওয়াল বিন্ত্ আব্দুল্লাহ ৫০-৫১পৃঃ)

[17] (মুসলিম ২৭২৭নং)

[18] (বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ১৯ নং)

[19] (নাসাঈ, আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২৮৯নং)

[20] (ইরওয়াউল গালীল ২৬৪৬নং,ফাতাওয়াল মারআহ ৯২পৃঃ)

[21] (বুখারী, মুসলিম, আবু দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, প্রভৃতি, সহীহ আত্তারগীব অত্তারহীব, আল্লামা আলবানী ৯২৬-৯৩০নং)

[22] (জামিউ আহকামিন নিসা, ১/২৭৫-২৭৬)

[23] (ফাতাওয়াল মারআহ ১০৩পৃঃ, তামবীহাতুল মু’মিনাত ১৩১-১৩৩পৃঃ)

[24] (তিরমিযী ৩৪৯৭নং)

[25] (বুখারী, মুসলিম, সহীহ আত্তারগীব অত্তারহীব ৯২৭নং)

[26] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২৮৭ নং)

[27] (মুসলিম ২৮১৩নং)

[28] (ফিকহুস সুন্নাহ ২/১৮৫)

[29] (আবু দাঊদ, আল মারআতুল মুসলিমাহ ১৭৬পৃঃ)

💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞

21/10/2022

রাসূলুল্লাহ সা: একবার সাহাবীদেরকে বললেন,

তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে? তাঁরা বললেন, আমরা তো নিঃস্ব বলতে তাকেই বুঝি, যার কোনো ধন-সম্পদ নেই।

তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, না, নিঃস্ব সে নয়, প্রকৃতপক্ষে নিঃস্ব হচ্ছে সে, যে কিয়ামতের দিন অনেক নামায-রোযা-যাকাতের নেকী নিয়ে আসবে, কিন্তু দুনিয়াতে সে একে গালি দিয়েছে, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল জোর করে দখল করেছে, ওর রক্ত প্রবাহিত করেছে তাই সকল মাযলুম (মাজলুম মানে যাদের উপর যুলুম হয়েছে) তারা সেসব জুলুমের বদলা নিতে আসবে।

আল্লাহ তখন জুলুমের বদলা হিসেবে তার নেকীগুলো মাজলুমদের দিয়ে দিবেন। একপর্যায়ে তার সকল নেকী শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জুলুমের বদলা নেওয়া এখনো শেষ হবে না। তখন মাজলুমের গোনাহগুলো চাপিয়ে দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
-(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮১)

08/10/2022

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ. بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ‎‎. 💝

اِنَّ الْحَمدَ للهِ نَحْمَدُهُ وَ نَسْتَعِيْنُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَ مَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِىَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ 💝

সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বঃ

প্রশ্ন-১ঃ শরীরের কতটুকু অংশ আমি পর্দা করবো? আর কতটুকু অংশ উন্মুক্ত রাখবো?

উত্তর: যতটুকু পরিমান জাহান্নামের উত্তাপ তুমি সহ্য করতে পারবে ততটুকু তুমি খোলা রেখো !!

প্রশ্ন-২ঃ জাহান্নামের উত্তাপ সহ্য করার সামর্থ তো আমার নেই!! এখন আমি কি করবো?

উত্তরঃ তাহলে তুমি এমন ভাবে পর্দা করো যাতে তুমি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে বাঁচতে পারো!

প্রশ্ন-৩ঃ আগে তো পরিপূর্ণ পর্দা করি নি, এখন কী করব?

উত্তরঃ মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে মন থেকে খাটি তাওবাহ করে আগের গুণাহের জন্য ক্ষমা চাও, নতুনভাবে মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধান অনুসারে জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করে সেই মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ কর।

প্রশ্ন-৪ঃ আর কিছুদিন যাক পড়াশোনাটা শেষ করে তারপর কিংবা বিয়ে করে তারপর কিংবা বাচ্চা-কাচ্চা আরেকটু বড় হোক ওদের বিয়ে শাদী করিয়ে তারপর তাওবাহ করে যদি পরিপূর্ণ পর্দা করি আর মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সমস্ত বিধান মেনে চলি তাহলে হবে না?

উত্তরঃ হ্যাঁ হবে, যদি তুমি জান যে আগামীর সেই সময় পর্যন্ত তুমি বেচে থাকবে-তাহলে মৃত্যুর আগে আগে খাটি তাওবাহ করে মহান রবের কাছে যেতে পারলে ক্ষমা পেয়েও যেতে পার ইন শা আল্লাহ ❤️। (যদি বান্দার হক না নষ্ট করে থাক-কেননা বান্দার হক ঐ সংশ্লিষ্ট বান্দা ক্ষমা করা ব্যতীত মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ক্ষমা করবেন না এটা মহান রব্বুল আলামীনের ওয়াদা-আর তিনি ওয়াদার বরখেলাপ করেন না 💝)।

প্রশ্ন-৫ঃ কিন্তু আমি তো জানি না কখন আমার মৃত্যু হবে?

উত্তরঃ তাহলে দেরী করছ কেন, আজ এই মূহুর্ত থেকেই খাটি তাওবাহ করে নিজেকে সংশোধন করে নাও-কারণ এর পরের দিনটা বা পরের নামাজের ওয়াক্তটা বা পরের মূহুর্তটা নাও আসতে পারে তোমার জীবনে। তাই নিজেকে শুধরে নেয়ার এখনই উত্তম সময়।

প্রশ্ন-৬ঃ তাহলে পরিপূর্ণ পর্দা করলাম, নামাজ পড়লাম আর কী করব?

উত্তরঃ পবিত্র আল কুর'আন পরিপূর্ণ জীবন বিধান, দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করা নামাজ-রোজার মতই গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। পবিত্র আল কুর'আন অর্থ ও তাফসীর সহ পড়, সহীহ হাদীসের অনুসরণ কর, প্রকৃত ইলমের অনুসন্ধান কর ও সে অনুযায়ী নিজের জীবন গড়-ইন শা আল্লাহ তুমি সফল হবেই 💗।

প্রশ্ন-৭ঃ এখন তো এক হুজুর এক কথা বলে আরেকজন আরেক মত পোষণ করে-কোনটা করব, কাকে মানব?

উত্তরঃ একমাত্র মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার দেয় বিধান পবিত্র আল কুর'আন ও রসূল (স) এর হাদীস বা সুন্নাহ অনুসরণ কর-আর যদি কাউকে পাও যার জান্নাতে যাওয়ার সার্টিফিকেট আছে তাকে অনুসরণ করতে পার। অথবা যদি এমন কাউকে পাও যে সে পবিত্র আল কুর'আন ও সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন করে তাহলে তাকে অনুসরণ করতে পার যতক্ষণ পর্যন্ত সে সঠিক পথে থাকে (এক্ষেত্রে নিজেকে ইলম অর্জন করতে হবে ও যাচাই বাছাই করে তারপর সে বিষয়ে সে ব্যক্তিকে অনুসরণ করতে পার) মনে রাখতে হবে যে, একমাত্র রসূল (স) ব্যতীত দুনিয়াতে কেউই শতভাগ ভাল নয়। দুনিয়াতে আমাদের প্রত্যেকের যেমন সবকিছুই ভাল হয় না, তেমনি সবার সবকিছুই খারাপও হয় না। তাই যার যার ভালটা গ্রহণ কর, আর খারাপটাকে বর্জন কর-এতেই তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে ইন শা আল্লাহ ❤️।

বি।দ্র। আজ পর্যন্ত ফরজ আমল বা কাজ নিয়ে কোন আলেমই দ্বন্দ্ব করেন নি, যত দ্বন্দ্ব সব মুস্তাহাব বা সুন্নাত আমল বা রুকনগুলো নিয়ে। আর কোন ব্যক্তি যদি কোন বান্দার হক নষ্ট না করে, শিরক বা কুফরি না করে, হালাল-হারাম মেনে চলে, আর মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার শুধুমাত্র ফরজ বিধানগুলোও মেনে চলে-তারপরও সে জান্নাতে যাবে ইন শা আল্লাহ ❤️। (এটা আমার কথা না-রসূল (স) এর হাদীস থেকে নেয়া)

💟💟💟

পুনশ্চঃ তবে জীবনে যাই করবে একমাত্র মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে ভয় করে-ভালবেসে-খুশী করার জন্য বিশুদ্ধ হৃদয়ে করবে। কখনোই দুনিয়ার কাউকে বা কোন কিছুকে ভয় করে, ভালবেসে বা খুশী করানোর জন্য নয়। তাহলে দেখবে দুনিয়া ও আখিরাত সবটাই একদিন তোমার পদাবনত হবে ইন শা আল্লাহ 💝। (মনে রাখবে, দুনিয়ায় মহান রব্বুল আলামীন তোমাকে আমাকে পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য-এখানে কোন কিছুই স্থায়ী নয়-চিরস্থায়ী সুখের জন্য তো জান্নাত 💝)


[الله أعلم ❤️]

سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ❤️ سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ وَبِحَمْدِهِ ❤️ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ ❤️

شكريّة-جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا (أمين)

💟💟💟💟💟💟💟💟💟💟💟💟💟

06/10/2022
01/10/2022

মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ওয়াদা খেলাফকারীর বিরুদ্ধে বাদী হবেনঃ

হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হবো। ১. যে ব্যক্তি অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে, ২. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করে এবং ৩. যে ব্যক্তি কোনো কর্মচারী নিয়োগ করে তার কাছ থেকে পূর্ণ কাজ আদায় করে, কিন্তু তার পারিশ্রমিক প্রদান করে না’ (সহিহ বুখারি)।

ওয়াদা/অঙ্গীকার ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ

باب فِي الْوَفَاءِ بِالْعَهْدِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ ‏"‏ ‏.‏

২৭৪৭. ’আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা কা’নবী (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন ওয়াদা ভংগকারীর জন্য একটা ঝান্ডা স্থাপন করে বলা হবে, এ হলো অমুকের সন্তান, ওয়াদা খেলাফীর চিহ্নস্বরূপ। (সহীহ হাদিস-সুনান আবু দাঊদ)

হাদিসঃ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ: «آيةُ المُنافقِ ثلاثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعدَ أخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية: «وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِمٌ».

বাংলা অনুবাদঃ আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে তার খিয়ানত করে।’’ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, যদিও সে রোযা রাখে এবং নামাজ পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম (তবু সে মুনাফিক)।’’ [বুখারি৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৬০৯৫, মুসলিম ৫৯, তিরমিযি ২৬৩১, নাসায়ি ৫০২১, আহমদ ৮৪৭০, ৮৯১৩, ১০৫৪২]

[الله أعلم ❤️]

[نَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ ذَالِكْ- أمين 💝]

01/10/2022

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ. بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ‎‎.

نَحْمَدُهُ وَ نُصَلِّىْ عَلَى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ ❤️ اِنَّ الْحَمدَ للهِ نَحْمَدُهُ وَ نَسْتَعِيْنُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَ مَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِىَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ 💝

মানুষের সৌভাগ্য ও দূর্ভাগ্যের কারণঃ

প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

أَربَعٌ منَ السَّعَادَة : المرأَةُ الصَّالحَةُ وَالمسكَنُ الوَاسعُ وَالجَارُ الصَّالِحُ وَالمَركَبُ الهَنيءُ، وَأَربَعٌ منَ الشَّقَاوَة : الجارُ السُّوء وَالمرأَةُ السُّوء وَالمسكَنُ الضَّيِّقُ وَالمركَبُ السُّوء.

‘‘পুরুষের জন্য সুখ ও সৌভাগ্যের বিষয় হল চারটি; পুণ্যবতী নারী, প্রশস্ত বাড়ি, সৎ প্রতিবেশী এবং সচল সওয়ারী (বাহন)। আর দুখ ও দুর্ভাগ্যের বিষয়ও চারটি; অসৎ প্রতিবেশী, অসতী স্ত্রী, অচল সওয়ারী (বাহন) এবং সংকীর্ণ বাড়ি। (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২৮২নং হাদিস)

‘‘সৌভাগ্যের স্ত্রী সেই; যাকে দেখে স্বামী মুগ্ধ হয়। সংসার ছেড়ে বাইরে গেলে স্ত্রী ও তার আমানতের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকে।

আর দুর্ভাগ্যের স্ত্রী হল সেই; যাকে দেখে স্বামীর মন তিক্ত হয়, যে স্বামীর উপর জিভ লম্বা করে (মুখে মুখে তর্ক করে) এবং সংসার ছেড়ে বাইরে গেলে ঐ স্ত্রী ও তার আমানতের ব্যাপারে সেই স্বামী নিশ্চিন্ত হতে পারে না।’’
(আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ১০৪৭ নং হাদিস )

সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘চার বস্তু সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ি, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন।

আর চার বস্তু দুর্ভাগ্যের নিদর্শন: মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ি, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন।

(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৪৪৫; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪০৩২)

‘নারী তিন প্রকারঃ

💝 প্রথম প্রকার নারী; যারা হয় সরলমতী, সতী এবং আত্মসমর্পণকারিণী, অর্থের ব্যাপারে স্বামীকে সাহায্য করে, স্বামীর কোন প্রকার ক্ষতি ঘটতে দেয় না।

💝 দ্বিতীয় প্রকার নারী সন্তানের আধার।

⛔ আর তৃতীয় প্রকার নারী হল সংকীর্ণ বেড়ি; আল্লাহ যে বান্দার জন্য ইচ্ছা তার গর্দানে তা লটকিয়ে দেন।’

এই তৃতীয় প্রকার স্ত্রীরা হল স্বামীর দূর্ভাগ্যের কারণ। এরা কেবল দুনিয়াদারী নিয়ে ব্যস্ত থাকে অর্থাৎ ‘হাম করে খায় আর ধুম করে শোয়।’ এদের না স্বামীর প্রতি ভালবাসা থাকে, না আখিরাতের চিন্তা থাকে, আর না-ই ইসলামের দ্বীনের বিষয়ে কোন আগ্রহ বা ভালবাসা অর্থাৎ পবিত্র আল কুর'আন বা হাদীসের কোন কথা তাদের মনমত না হলে সরাসরি উপেক্ষা করে চলে-জেনেও না জানার ভান করে চলে তথা নফসের ধোঁকায় চলে নিজেরাও ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং অন্যের ক্ষতিসাধন করতেও দ্বিধাবোধ করে না বা এতে এদের কোন অনুতাপও হয় না ! ⛔

💔 এক প্রকার স্ত্রী আছে; যারা স্বামীর আদেশ-পালনে গড়িমসি, কুঁড়েমি ও প্রতারণা করে। বরং তার সে হুকুম তা’মীল না করতে বাহানা খোঁজে। কখনো বা নাক সিঁটকে তর্ক উপেক্ষাও করে বসে।

💗 দ্বিতীয় প্রকার স্ত্রী; যারা আদেশ শোনামাত্র নিমেষে পালন করে। কোন প্রকারের ওজর পেশ বা গড়িমসি করে না, তারা হুকুমে হাজির হয়।

💞 তৃতীয় প্রকার নেককার স্ত্রী আছে; যারা হুকুমের আশা করে না। হুকুমের পূর্বে স্বামীর প্রয়োজন অনুমান করে পূর্ণ করে রাখে।

রেফারেন্সঃ

[1] (তিরমিযী, ২৮৪পৃঃ)

[2] (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ৩৪১৩নং)

[3] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২৮২নং)

[4] (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ১০৪৭নং)

[5] (আবু দাঊদ, নাসাঈ, তুহফাতুল আরূস, ১৪৬-১৪৭পৃঃ)

[6] (আল ইকদুল ফারীদ ৬/১১২)

সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘চার বস্তু সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ি, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন।

আর চার বস্তু দুর্ভাগ্যের নিদর্শন: মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ি, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন।

(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৪৪৫; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪০৩২)

উল্লিখিত হাদিসে একটি উত্তম পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে পুণ্যবতী স্ত্রীকে প্রথমে আনা হয়েছে।

এর মানে সব সম্পদের সেরা সম্পদ হলো পুণ্যবতী স্ত্রী। যেমন-রাসুল (সা.) বলেন, দুনিয়াটাই সম্পদে ভরপুর।

এরমধ্যে সেরা সম্পদ হল পুণ্যশীলা স্ত্রী। (মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৭)

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অশেষ অনুগ্রহে যে ব্যক্তি চারটি জিনিসের মালিক সে পরম সৌভাগ্যবান। হজরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, চারটি জিনিসে সৌভাগ্য বিদ্যমান-নেককার স্ত্রী, প্রশস্ত সুরম্য গৃহ, উত্তম প্রতিবেশী, আরামদায়ক দ্রুতগামী যানবাহন। (সহিহ ইবনে হিব্বান : হাদিস : ৪০৩২, সহিহ আলবানী : হাদিস : ২৮২)। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়া হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) নেককার (সতী-সাধ্বী) স্ত্রী ।’ (হাদিসঃ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)।

🎁 চারটি জিনিস হচ্ছে সৌভাগ্যের নিদর্শনঃ
💝 নেককার স্ত্রী,
💝 প্রশস্ত বাসস্থান,
💝 উত্তম প্রতিবেশী ও
💝 আরামদায়ক যানবাহন।

🚷 চারটি জিনিস হচ্ছে দুর্ভাগ্যের নিদর্শনঃ
⛔ খারাপ স্ত্রী,
⛔ সংকীর্ণ বাসস্থান,
⛔ খারাপ প্রতিবেশী ও
⛔ মন্দ যানবাহন।

হাদীসঃ মুসনাদে আহমাদঃ ২৪৪৫, ইবনে হিববানঃ ৪০৩২; হাদীসটি সহীহ,সিলসিলাহ ছহীহাহঃ ২৮২; ছহীহুল জামেঃ ৮৮৭।

[الله أعلم ❤️]

🤲 رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا 💝

🤲 اَللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ.💝

🤲 اْللّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ، وَقُدْرَتَكَ عَلَى اْلَخلْقِ، أَحْيِنِي إِذَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْراً لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَا. وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى. وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لاَ يَنْفَدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَ تَنْقَطِعُ. وَأَسْأَلُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ. وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ، مِنْ غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ، وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اَللَّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِينَةِ الإِيمَانِ، وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِين. 💝

[أمين ❤️]

سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ❤️ سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ وَبِحَمْدِهِ ❤️ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ ❤️

ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ , ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ . 💞

**********************************************

Address

Dhaka
1230

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Friday 15:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801511191414

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BanJan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BanJan:

Share

Nearby travel agencies



You may also like