Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি

Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি বাংলার দার্জেলিং সাজেক ভ্যালি মূলত রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে।

নীলগিরি, বান্দরবান
14/02/2024

নীলগিরি, বান্দরবান

17/12/2023

সেন্ট মার্টিন যাবার সময়:
১. দামী স্বর্ন সাথে করে নিবেন না। বলছিনা, Unsafe। কিন্তু সাগরপাড়ে স্বর্ন কাকে দেখাবেন। বরঞ্চ খুলে সাগরে পড়লে হারাবেন।
২., নিজের Towel, brush, Toothpaste, একটি বেডসীট সাথে রাখতে পারলে ভাল।
৩. Cotton buds, personal toiletries, আগে Pack করুন। যত ভাল হোটেলেই থাকুন, তাদের দেয়া জিনিসগুলো serious commercial. Shampo brand change করলে, অনেকের চুল ই পড়ে যায়।
৪. বাচ্চাদের সুইমিং Costume, নিজেদের swimming clothing নিন।
৫. এতদুর থেকে হৈ হৈ করে গিয়ে হৈ হৈ করে ১ দিনে চলে আসা লস্। ৩/৪ দিনের প্ল্যান করুন। রিলাক্স করে ঘুরুন। আপনি মেমরী করতে যাচ্ছেন, Racing এ নয়।
৬. পাবলিক হলিডে Avoid করার চেষ্টা করুন।
৭. হলিডে করার জন্য ছুটি নিন। প্ল্যান করুন। ছুটি পেলে হলিডে নয়।
৮. সেন্ট মার্টিনের শুটকী ভর্তা, বড় চিংড়ী, লইট্যা ফ্রাই টেস্ট করুন। সম্ভব হলে মাংস avoid করুন। কোরাল, ইলিশ, মাছ আর ভাজি বর্তা খান।
৯. যে কোন বিপদে টুরিস্ট পুলিশকে কল দিন।
১০.অসুস্হ হলে সরকারী হাসপাতালে যান।
১১. যে কোন টমটম, সিএনজিতে উঠলে, ড্রাইবারের সাথে দরদাম করে নিবেন।
১২. বীচে ক্যামেরাম্যানের সাথে আগেই দরদাম করে নিবেন।
১৩. খোলা আকাশের সস্তা সি ফুড খাবেন না।
১৪. সুইমিংপুল Avoid করে সাগরে গোসল করুন। বীচে খালি পায়ে হাটুন।
১৫. কটেজে ঢোকার আগে পা ধুয়ে নিন।
১৬. বাসে আসার সময় রাস্তায় জান্ক ফুড খেয়ে পেট খারাপ করবেন না।
১৭. এমন জায়গায় হোটেল নিন, যেখানর প্রকৃতির কাছে থাকা যায়। বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্হা যেন থাকে।
১৯. সবাই সুর্যাস্ত দেখে, সুর্যোদয় দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। সুর্যোদয় দেখুন,
২০. ফজরের পর পর সাগরের সৌন্দর্য একেবারে অন্যরকম। যেকোনো সময়ের চেয়ে সুন্দর।

12/12/2023
11/12/2023

সাজেকের অপূর্ব সুন্দর রাস্তা🌿💚❤️

11/12/2023

কোন সিজনে সাজেক আসা উচিৎ? - রিসোর্টের বারান্দা থেকে মেঘের সেরা ভিউ 😍

আমাদের পুরানো দিনের সাজেক 💚
07/12/2023

আমাদের পুরানো দিনের সাজেক 💚

Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি
07/12/2023

Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি

Sajek Valley Tour | Sajek Travel Guide (A to Z) | সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের সকল তথ্য | ভ্রমণ গাইড
21/07/2023

Sajek Valley Tour | Sajek Travel Guide (A to Z) | সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের সকল তথ্য | ভ্রমণ গাইড

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ (Sajek Valley Tour): সাজেক যাওয়ার উপায়, সুন্দর রিসোর্ট, কোথায় কি খাবেন, সাজেকের দর্শনীয় স্থান, খরচ এবং সাজেক ...

সাজেক ভ্যালিকিভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? কি কি দেখবেন? টোটাল ট্যুর প্ল্যান-এই লেখা পড়ার পর সাজকে নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন...
13/07/2023

সাজেক ভ্যালি
কিভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? কি কি দেখবেন? টোটাল ট্যুর প্ল্যান-
এই লেখা পড়ার পর সাজকে নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকতে পারে বলে মনে হয়না ।
দিন ০১: ঢাকা থেকে রাতের বাস খাগড়াছড়ি পৌছবে সকাল
৮টার মধ্যে।শহরের শাপলা চত্বরে নেমে নাস্তা
সেরেই রওনা দেবেন সাজেকের দিকে।জীপ এবং
বাইক পাবেন শাপলা চত্বরেই, রিজার্ভ যেতে হয়,লোকাল
কোন গাড়ি নেই। শাপলা চত্বরের একটু পেছনেই একটি
ব্রিজ আছে, ব্রিজের পাশেই সিএনজি স্টেশন, ওখান
থেকে সিএনজি রিজার্ভ করতে পারবেন। চাইলে লোকাল
সিএনজি-তে দিঘীনালা এসে দিঘীনালা থেকেও বাইক/
সিএনজি/জীপ- সাজেক যেতে পারবেন। শান্তি পরিবহণে
সরাসরি দিঘীনালা এসে দিঘীনালা থেকেও যেতে
পারেন। খাগড়াছড়ি -সাজেক ৩ ঘন্টা সময় লাগে।পথে মাচালং
বাজারে নেমে নাস্তা করে নিতে পারেন। সাজেকে
নেমেই হোটেলে চেক ইন দিয়ে খাবারের অর্ডার
করে নেবেন,অর্ডার না করলে সাজেকে এমনিতে
খাবার পাওয়া যায়না।রুইলুই পাড়ায় বেশকিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন
যারা খাবার করে দেয়। ফ্রেশ হয়েই ঘুরে আসতে
পারবেন হেলিপ্যাড ১,২ এলাকা থেকে।বিকেলটা রুইলুই
পাড়াতেই কাটাবেন
দিন০২:খুব ভোরে উঠেই কংলাক পাড়ায় চলে
যাবেন,হেটে যেতে ৩০-৪০ মিনিট লাগবে।কাঁচা রাস্তা এবং
কিছুটা পাহাড় আছে তাই ভালো গ্রিপ আছে এমন জুতো
পড়ে যাবেন। রুইলুই পাড়ার ২নং হেলিপ্যাডের পাশ দিয়ে
সোজা উত্তরে একটি রাস্তা চলে গেছে,সেই রাস্তা
ধরে এগুলেই কংলাক পাড়ায় পৌঁছে যেতে পারবেন। কংলাক
আগে মূলত লুসাই এবং পাংখোয়া অধ্যূষিত পাড়া ছিলো।এখন
পাংখোয়া নেই বললেই চলে,কিছু লুসাই পরিবার আছে।আর
আছে ত্রিপুরা। কংলাক সাজেকের সর্বোচ্ছ চূড়া। কংলাকে
কারো বাসায় ঢুকতে চাইলে বিনা সংকোচেই ঢুকতে
পারেন,তবে ঢুকার আগে অনুমিত নেয়া ভালো।আর
অবশ্যই জুতোজোড়া বাহিরে রেখে! ওদের রুম
গুলো অনেক পরিপাটি এবং গোছানো থাকে। যেকোন
কারো সাথেই ছবি তুলতে পারবেন,আগে অনুমতি নিয়ে
নেবেন। চাইলে কংলাক থেকে আরো সামনের দিকে
যেয়ে ঘুরে আসতে পারেন।কিছুদূর গেলে কমলা বাগান
দেখতে পারবেন। ঘুরে এসে দুপুরের আগেই গাড়িতে
উঠবেন,আসার পথে বাঘাইহাট এলাকায় হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে
আসবেন।রাস্তা থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই ঝর্ণায় যাওয়া
যায়,যাওয়ার পথে তেমন কোন পাহাড় নেই তাই যে
কেউই যেতে পারে। দিঘীনালার লারমা স্কয়ারে নেমে
উপজাতি রেস্টুরেন্ট -এ লাঞ্চ সেরে নিতে পারেন। গাড়ি
খাগড়াছড়ি পৌছবে সন্ধ্যার আগেই।খাগড়াছড়িতে রাত্রিযাপন।
দিন ০৩:সকালে শহরের শাপলা চত্বর থেকে জীপ
রিজার্ভ নিয়ে চলে যাবেন রিসাং ঝর্ণায়,সাথে করে দুএকটা
পুরনো জিন্স প্যান্ট যেগুলো ফেলে দেয়ার সময়
হয়েছে এমন প্যান্ট নিয়ে যাবেন,কাজে লাগবে! ঝর্ণা
থেকে আসার সময় আলুটিলা প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ দেখে
আসবেন।সুড়ঙ্গে ঢোকার জন্য মশাল কিনতে পারবেন
ওখান থেকেই,তবে মোবালের ফ্ল্যাশলাইটই সবচেয়ে
ভালো,মশালের আলোতে কিছুই দেখা যায়না,ওইটা শুধু
সুড়ঙ্গের ভেতরে ছবি তোলার কাজে লাগে! grin
emoticon ফিরে এসে শহরের পানখাইয়া পাড়ায় "সিস্টেম "
রেস্টুরেন্ট-এ লাঞ্চ। বিকেলে শহরের পাশের
জেলাপরিষদ পার্কে পাহাড়, ঝুলন্ত ব্রিজ এবং লেকে
বিকেলটা কাটিয়ে রাতের বাসে ঢাকা,রাতের সব বাস
একসাথেই রাত ৯ টায় ছাড়ে।সব গুলো বাসের কাউন্টারই
শহরের নারকেল বাগান এলাকায় পাবেন।
*যাদের ট্রেকিং-এর অভিজ্ঞতা আছে তারা একদিন সময়
বেশি নিয়ে দিঘীনালার তৈদুছড়া ঝর্ণা এলাকা ঘুরে আসতে
পারেন,একই এলাকায় বেশ কয়েকটি ঝর্ণা পাবেন,যাওয়ার
ঝিরিপথটাও অনেক সুন্দর! সকালে রওনা দিলে ফিরতে
বিকেল হবে,পুরো পথটাই হেটে যেতে হয়।গাইড
নিতে হবে সাথে না হয় চিনবেন না।
*আরো একদিন বাড়তি সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন
সিজুক ১,২ ঝর্না থেকে।সাজেক রোডের নন্দারাম এলাকা
হয়ে যেতে হবে ঝর্নায়।৬-৭ ঘন্টার ট্রেকিং আসাযাওয়ায়।
গাইড নিতে হবে সাথে।ওখানে স্থানীয় লোক পাবেন
৩০০-৪০০ দিলে ঘুরিয়ে আনবে।
যাবেন যেভাবে :
ঢাকা থেকে এস আলম,সৌদিয়া,শ্যামলী,
ঈগল,ইকোনো,সেন্টমার্টিন (এসি)এবং শান্তি পরিবহনের
বাস আসে খাগড়াছড়ি।দিঘীনালায় শুধু শান্তি পরিবহণ আসে।
ঢাকা-খাগড়াছড়ি ভাড়া ৫২০ টাকা,এসি ৮০০ টাকা।ঢাকা-দিঘীনালা ৫৭০
টাকা। চট্রগ্রাম থেকে ১ঘন্টা পরপর শান্তি পরিবহণ ছাড়ে
খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে,সকাল ৬/৭ টা থেকে রাত ৮টা
পর্যন্ত পাবেন,তবে বিকেল ৫টার পরে লাস্ট বাস ৮টায়,এর
মাঝে আর বাস নেই। চট্রগ্রাম -খাগড়াছড়ি ভাড়া ১৯০ টাকা,
চট্রগ্রাম-দিঘীনালা ২৪০ টাকা। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক
জীপ রিজার্ভ পাবেন ৯০০০+,একদিন দিয়ে আসবে,আবার
যেদিন ফিরবেন সেদিন যেয়ে নিয়ে আসবে এবং
আশপাশের স্পট ঘুরে দেখানোর জন্য এই ভাড়া।সকালে
গিয়ে বিকেলে ফিরে আসলে ৫০০০+। দিঘীনালা-সাজেক
৭০০০+,দিনে দিনে ফিরে আসলে ৪০০০+।বাইক পাবেন
দিঘীনালা-সাজেক একবার দিয়ে আসার জন্য ৬০০+
নিবে,দুইজন যাওয়া যায় এক বাইকে।বলে রাখলে যেদিন
ফিরবেন সেদিন গিয়ে নিয়ে আসবে। সাধারণত সাজেকে
কোন পরিবহণ পাওয়া যায়না,তাই যে গাড়িতে যাবেন তাদের
সাথে কথা বলে রাখবেন ফিরে আসার ব্যাপারে। শাপলা
চত্বর থেকে আলুটিলা প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ এবং রিসাং ঝর্ণা
যাওয়াআসা জীপ রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা। যে
গাড়িতেই যান দরদাম করে ভাড়া ঠিক করবেন,এই রোডে
নির্দিষ্ট করে কোন ভাড়া ঠিক করা নেই।
কোথায় থাকবেন:
ক্লাব হাউজ : এটি মূলত ওখানকার উপজাতিদের জন্য
সেনাবাহিনী নির্মাণ করে দিয়েছে।বড় হল রুম,ফ্লোরিং
করে থাকতে হয়,বেড ওরাই দিবে।ভাড়া প্রতিজন ১৫০ টাকা
খাবারের ব্যাবস্থা স্থানীয় রেস্তোরাঁয় করে নিতে
পারবেন,ওদেরকে ১ঘন্টা আগে বলে রাখলেই করে
দিবে।
আলো রিসোর্ট : এনজিও সংস্থা আলো পরিচালিত
রিসোর্ট "আলো"।এখানে সিংগেল বেড ভাড়া
৭০০টাকা,ডাবল বেড ১০০০টাকা। আলো রিসোর্টের
গ্রাউন্ড ফ্লোরেও থাকার ব্যাবস্থা আছে,প্রতিজন
২৫০টাকা,ধারণক্ষমতা ১৫/২০ জন। আলো রিসোর্টের বুকিং
এর জন্য; ruilui, sajek : 01863 606906 head office :
01755 556699 tel: 0371-62067
সাজেক রিসোর্ট : সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঢুকে
প্রথমেই রাস্তার বাম পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতৃক
নির্মিত সাজেক রিসোর্টের অবস্থান। পাঁচটি ফ্যামিলি থাকার
মত ব্যাবস্থা রয়েছে এই রিসোর্টে। ভাড়া ৭০০০-১২০০০
টাকা।
রিসোর্ট রূনময়: এটিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত
রিসোর্ট।এটি রুইলুই পাড়ার একেবারে শেষ প্রান্তে,এর
আশেপাশে কোন বসতি নেই।ভাড়া ৪৫০০-৪৯৫০ টাকা।
এখানেও পাঁচটি ফ্যামিলি থাকার মত ব্যাবস্থা রয়েছে।
রিসোর্ট রূনময় এবং সাজেক রিসোর্টের বুকিং এবং বিস্তারিত
এখানে - www.rock-sajek.com
এছাড়া সাজেকে স্থানীয়দের বাসায় থাকা যায় ১৫০-২০০
টাকায়।
*শান্তি পরিবহণ দিঘীনালা
কাউন্টার-০১৮৫৫৯৬৬১৪,০১৮১৩২৬৮৯১৯। কলাবাগান কাউন্টার
-০১১৯০৯৯৪০০৮,০৪৪৭৭৭০১১৯১ কমলাপুর কাউন্টার
-০১১৯১১৯৭২৯৭।
*খাগড়াছড়ি শহরে থাকতে পারেন হোটেল ইকোছড়ি
ইন-এ। শহর থেকে একটু বাহিরে পাহাড়ের উপর নিরিবিলি
পরিবেশে গড়ে উঠেছে হোটেলটি। ফোন: ০১৮২৮
৮৭৪০১৪
*যারা তৈদুছড়া যাবেন তারা ভালো গ্রিপ আছে
এমন জুতা আনবেন, সাথে দড়ি রাখবেন,কাজে লাগবে।
*বৃষ্টি হলে রাতে সাজেকে ঠাণ্ডা লাগে,তাই হাকলা কিছু
প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন।
*রেইনকোট আনতে ভুলবেন না।
*শুক্র এবং শনিবারেই পর্যটকের সমাগম হয়
বেশি,সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়িতে জীপ না পেলে
দিঘীনালা থেকে জীপ নেবেন। দিঘীনালাতেও না
পেলে অপেক্ষা করবেন,অন্য রোডের জীপ
গুলো আসলে যেকোনো একটার সাথে কথা বলে
নিয়ে যাবেন।
*সাজেকে বারবিকিউ করা যায়,তবে সব উপকরণ দিঘীনালা
থেকে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
*সাজেকে ঘোরার জন্য গাইডের প্রয়োজন নেই।
অনেকেরই ভুল ধারনা আছে সাজেক যেতে হলে
আগে থেকে আর্মির অনুমতি নিতে হয়। বাস্তবতা হচ্ছে
সাজেক যেতে হলে তেমন কিছু করতে হয়না। তবে
নিজের গাড়ি নিয়ে সাজেক যেতে চাইলে যাওয়ার পথে
আপনাকে চারটি আর্মি এবং একটি পুলিশ ক্যাম্পে আপনারা কিছু
তথ্য দিতে হবে(এই রোডের কোন গাড়ি রিজার্ভ করে
গেলে এই কাজ গুলো গাড়ির স্টাফই করবে)।
মেঘের রাজ্য সাজেক সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের
উত্তর!
*সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন,
তবে যেতে হয় খাগড়াছড়ির দিঘীনালা হয়ে।
*ঢাকা-খাগড়াছড়ি বাস পাবেন,ভাড়া ৫২০ টাকা,এস আলম,সৌদিয়া,ঈগল,
শ্যামলী, শান্তি এবং সেন্টমার্টিন(এসি) পরিবহণের বাস চলাচল
করে এই রোডে। ঢাকা-দিঘীনালা বাস ভাড়া ৫৭০
টাকা,খাগড়াছড়ি -সাজেক জীপ রিজার্ভ ৯০০০+। দিঘীনালা-
সাজেক জীপ রিজার্ভ ৭০০০+ যাওয়াআসা মিলিয়ে(একদিন
দিয়ে আসবে আরেকদিন যেয়ে নিয়ে আসবে এবং
আশপাশের স্পট গুলো ঘুরিয়ে আনবে)সকালে গিয়ে
বিকেলে ফিরে আসলে ৪০০০+। দুইতিনজন হলে বাইক/
সিএনজি-তে যাওয়া যায়,বাইকে দুজন ৬০০+ শুধু যাওয়ার
জন্য,সিএনজি রিজার্ভ ৩০০০+ যাওয়াআসা।
*একটি জীপ১৫ জন যাওয়া যায়।
*দিঘীনালা থেকে সাজেক যেতে দুই আড়াই ঘন্টা লাগে।
*এই রোডে কোন লোকাল পরিবহণ নেই।
*সাজেকে কোন গাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম,তাই যে
গাড়িতে যাবেন তাদের সাথেই আসার ব্যাপারে কথা বলে
রাখবেন।
*সাজেকে হোটেল রিসোর্ট -এর পাশাপাশি
স্থানীয়দের বাসায় থাকা যায়।
* আর্মি পরিচালিত সাজেক রিসোর্ট এবং রিসোর্ট রূনময়ের
সকল তথ্য পাবেন www.rock-sajek.com -এ।
আলো রিসোর্ট -এ বুকিং-এর জন্য-ruilui, sajek : 01863
606906 head office : 01755 556699 tel: 0371-62067
*সাজেকে সর্বনিম্ন ১৫০ টাকায় থাকা যায়।১৫০ টাকায়
মোটামুটি মানের খাবার পাওয়া যায়।
*ক্যাম্পিং করা যায় তবে ডিউটি আর্মি অফিসারের অনুমতি
সাপেক্ষে।
*সাজেকে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নাই।
*২জন যান অথবা ১০জন যান প্রতিজন ৪০০০ টাকার মধ্যেই
ট্যুর শেষ করা সম্ভব।
*সাজেকে বিদ্যুৎ নেই,সবকিছু সোলারে চলে,এমনকি
ল্যাম্পপোস্টও!
*সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পাড়া যেতে প্রায়
৩০-৪০মিনিট লাগে।
*প্রাইভেট কার নিয়ে সাজেক যাওয়া যায়।
*রবি এবং টেলিটক ছাড়া আর কোন নেটওয়ার্ক নেই ,রবি
অপেক্ষাকৃত ভালো।
*সাজেকে যাওয়ার উপযুক্ত সময় সারাবছরই, যখনি যান
সাজেকের একটা রুপ পাবেনই,সাজেক আপনাকে
কখনোই নিরাশ করবেনা। (তবে আমার ভালো লাগে
বর্ষার বিকেলের সাজেক এবং শরৎ অথবা হেমন্তে
সাজেকের পূর্ণিমারাত!)
*সাজেকের উচ্চতা ১৮০০ ফুট (আমি নিজে মেপে
দেখিনি,তবে আর্মি যেদিন তাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে
মাপছিলো সেদিন সেখানে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো!)
*যদি আর্মি অফিসারদের কোন অনুষ্ঠান না থেকে থাকে
তাহলে রাতে যতক্ষণ ইচ্ছে বাহিরে থাকতে পারবেন।
অফিসার গেলে সাধারণত ১১/১২ টার পরে বাহিরে থাকতে
দেয়না।
*২-৩ ঘন্টা সময় নিতে ঘুরে আসতে পারেন সিকাম তৈসা
ঝর্ণা,স্থানীয় কাউকে নিয়ে নেবেন গাইড
হিসেবে,৩০০-৪০০ টাকা দিলেই হবে। *মিনারেল
ওয়াটার,বিস্কিট, সিগারেট এই ধরনের ছোটখাটো জিনিষ
সাজেকে পাওয়া যায়,কষ্ট করে বয়ে নিয়ে যাওয়ার
প্রয়োজন নেই।
*সর্বশেষ একটি গোপন প্রশ্নের ওপেন উত্তর দেই!
সাজেকে বিয়ার, হুইস্কি অথবা এই টাইপের কিছু এখন পাওয়া
যায় না।স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি একটি পানীয় পাওয়া
যায়,তবে ওইটা খেলে খুব মাথা ঘোরায় এবং আপনি সোজা
হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না,যেখানেই দাঁড়াবেন
সামনেপিছনে এবং ডানেবামে দুলতে থাকবেন!এটা
থেকে দূরে থাকাই ভালো!)
যোগাযোগ- +8801816585757
NB: যেখানেই ঘুরতে যান না কেন, খেয়াল রাখবেন আপনার এবং ভ্রমণসঙ্গীদের দ্বারা পরিবেশের যেন কোন ধরণের ক্ষতি না হয় । স্থানীয়দের সাথে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করবেন ।
যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (খালি প্যাকেট বা বোতল বা এই টাইপের সব কিছুই) সাথে করে নিয়ে আসবেন, প্রকৃতির কোলে রেখে আসবেন না ।
শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনদের সাথে ।
পোস্ট লেখকঃ শাহীন কামাল

রিসোর্টের তালিকামেঘমাচাং রিসোর্টসাজেক ইকো ভ্যালিসাম্পারি রিসোর্টসাংগ্রাই হিল রিসোর্টজুমঘর ইকো রিসোর্টমেঘপুঞ্জিমেঘছুট রিস...
13/07/2023

রিসোর্টের তালিকা

মেঘমাচাং রিসোর্ট
সাজেক ইকো ভ্যালি
সাম্পারি রিসোর্ট
সাংগ্রাই হিল রিসোর্ট
জুমঘর ইকো রিসোর্ট
মেঘপুঞ্জি
মেঘছুট রিসোর্ট
আদ্রিকা ইকো কটেজ
গরবা রিসোর্ট
সারা নীলকুটির রিসোর্ট
মেঘ বাতায়ন ইকো রিসোর্ট
লক্ষণ কটেজ – সালকা ইকো রিসোর্ট
সুমুই ইকো রিসোর্ট
সাজেক ক্লাসিক রিসোর্ট
ইন্দুবালা রিসোর্ট
চাঁদের বাড়ি রিসোর্ট
অবকাশ ইকো কটেজ
লুসাই হেরিটেজ ভিলেজ রিসোর্ট
কিন্নর কটেজ
মেঘরাজ রিসোর্ট

কম খরচে সাজেক ভ্যালি ট্যুর || সাজেকের আপডেট | Sajek budget tour plan
13/07/2023

কম খরচে সাজেক ভ্যালি ট্যুর || সাজেকের আপডেট | Sajek budget tour plan

✪খরচের বিস্তারিত লিস্ট ১/ ট্রেন ভাড়া = ৮০/১০০ টাকা ফেনী পর্যন্ত ২/ ফেনী স্টেশন থেকে সি এন জি করে মহিপাল ভাড়া= ১৫ টাকা .....

সাজেকে কম খরচে সেরা ৫ হোটেল ও রিসোর্ট। Sajek Hotel,Resort ।Dhaka to Sajek। Sajek Vally Travel Guide
13/07/2023

সাজেকে কম খরচে সেরা ৫ হোটেল ও রিসোর্ট। Sajek Hotel,Resort ।Dhaka to Sajek। Sajek Vally Travel Guide

সাজেকের সেরা ৫ হোটেল ও রিসোর্ট। Dhaka To Sajek। Sajek Vally Tour Plan। Saintmartin Hyundai১/মেঘমাচাং / Megh Machang 1:25২/মেঘপুঞ্জি / Megh Punji 5:58৩/কিন্ন...

সাজেকে জনপ্রিয় যে খাবার
13/07/2023

সাজেকে জনপ্রিয় যে খাবার

পাহাড় আর মেঘের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সাজেক ভ্যালি। যেকারো মন কেড়ে নেয় এই দৃশ্যপট। সাজেকের এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ...

সাজেক ভ্যালি ও খাগড়াছড়ি তে দুই দিন written by জাকির হোসাইনবাংলাদেশের সুন্দরতম দর্শনীয় স্থান গুলোর একটি হচ্ছে সাজেক ভ্যাল...
13/07/2023

সাজেক ভ্যালি ও খাগড়াছড়ি তে দুই দিন written by জাকির হোসাইন

বাংলাদেশের সুন্দরতম দর্শনীয় স্থান গুলোর একটি হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। মূলত রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। অনেক বেশি সুন্দর একটা জায়গা। আরো আগেই আসা উচিত ছিল। এখানে আসাও সহজ। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি। সেখান থেকে জীপে করে সাজেক ভ্যালি। খাগড়াছড়ি থেকে আসতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মত লাগে। দুই পাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখে কখন যে পৌছাবেন, টেরই পাওয়া যাবে না। থাকার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ঘরোয়া পরিবেশের সুন্দর খাবার। সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট গুলো রুইলুই তে অবস্থিত। অনেক পরিষ্কার এবং গোছানো একটি জায়গা। অনেক নিরিবলি। সাজেক ভ্যালিকে বাংলার দার্জেলিং বলে। আমার কাছে দার্জেলিং থেকে সাজেক ভ্যালি ভালো লেগেছে। কারণ দার্জেলিং এ অনেক হিবিজিবি। সাজেক সত্যিকারের নিরিবিলি।

বিজয় দিবসের দিন আমরা সাজেক ভ্যালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। এসেছি S Alam পরিবহনে করে। রাত এগারটায় বাস ছিল। কলাবাগান থেকে। সায়দাবাদ ছেড়ে আসতে প্রায় ১২টা ভেজে গিয়েছে। হাইওয়ে যত গুলো হোটেল রয়েছে, সব গুলোর কোন না কোন প্রবলেম থাকেই। আজই প্রথম একটা হোটেলে গাড়ি থামিয়েছে, যাকে মোটামুটি পারফেক্ট বলা যায়।

খাগড়াছড়ি পৌঁছাতে সকাল হয়ে গেলো। গাড়িতে হালকা ঠাণ্ডা লাগলেও তা ছিল সয্য করার মত। কিন্তু খাগড়াছড়ি নামার পর আর সয্য করতে পারি নি। আমি প্রিফারেশন নিয়ে এসেছি শীতের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। সেগুলো পরে নিলাম। এরপর আমরা নাস্তা করলাম। মনটানা নামক হোটেলে। হোটেলের নামটা সুন্দর ছিল। হোটেলের ঐখানে মোবাইল হাত থেকে ফেলে স্ক্রিন ফাঠিয়েছি। বেচারা মোবাইল। অনেক উপর থেকে পড়ে ফাটে না। আবার সামান্য একটু উপর থেকে পড়েই ভেঙ্গে যায়।

আমাদের জন্য জীপ বা চান্দের গাড়ি আগেই রেডি ছিল। তারপর ও আমরা সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারি নি। কারণ চট্রগ্রাম থেকে আমাদের সাথে সাজেক যারা যাবে, তারা তখনো পৌঁছায়নি। তারা পৌঁছাতে পৌঁছাতে ১১টা ভেজে গেলো। সূর্য উঠার সাথে সাথে শীত ও চলে যেতে লাগল।

সাজেক ভ্যালিতে আসার পথটা অসাধারণ থেকে একটু বেশি। উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা। দুই পাশে সবুজ গাছ গাছালি। দূরে রয়েছে বড় বড় পাহাড়। আকাশ পরিষ্কার থাকায় আকাশ সত্যিকারের নীল দেখাচ্ছিল। আকাশের নীল, সাদা মেঘ আর সবুজ গাছের কম্বিনেশন থেকে ভালো কোন দৃশ্য হতে পারে না। ৬৩ কিলোর মত রাস্তা। প্রায় তিন ঘণ্টা লেগেছে আমাদের সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছাতে। চান্দের গাড়ির ছাদে করে সারাটি পথ এসেছি। আমরা ছিলাম সর্বোমট ১৩ জন। গল্প করতে করতে আর প্রকৃতি দেখতে দেখতে পৌঁছিয়েছি মেঘের শহর সাজেকে। সাজেকের কাছা কাছি আসার পথে বাতাসে আমার ক্যাপটা পড়ে যায়। এমন জায়গায় পড়ে যে গাড়ি বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। গাড়ি তখন উপরের দিকে উঠছিল। পরে ক্যাপটা ফেলেই চলে যেতে হয়েছে।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক আসার সারা পথে প্রচুর ছোট ছেলে মেয়ে দেখা যাবে। তারা হাত নাড়তে থাকবে। হাত নাড়ারা মানে হচ্ছে তাদেরকে চকলেট দেওয়া। অপন ভাই আগেই জানত এ বিষয়টা। উনি আমাকে বলল চকলেট কিনে নিতে। আমরা চকেলেট কিনে নিলাম। যারাই আমাদের দেখে হাত নাড়ল, আমরা তাদেরকেই চকলেট ছুঁড়ে মারলাম। অসাধারণ অনুভূতি।

সাজেক ভ্যালিতে আমাদের জন্য রুম এবং খাবার দাবার প্রস্তুত ছিল। ঐখানে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এরা অনেক সুন্দর রান্না করেছে। ভাতের সাথে ছিল ডাল, সবজি, ডিম, মুরগি এবং হাঁসের মাংস। খাওয়া দাওয়া করে আর একটুও সময় নষ্ট করিনি। ঘুরতে বের হয়েছি। সাজেক ভ্যালি খুব পরিষ্কার পরিছন্ন। চারপাশ থেকে পাহাড় গুলোর অসাধারণ ভিউ। আকাশ পরিষ্কার ছিল। হয়তো বর্ষা কালে আসলে আমরা মেঘ ছুঁতে পারতাম। এখন পরিষ্কার নীল আকাশ, সাথে অল্প দুই একটা মেঘের টুকরো।

সন্ধ্যার পর সাজেকের সত্যিকারের সৌন্দর্য দেখা যায়। আকাশের তারা গুলো এত কাছে মনে হয়। এত পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়। গুণা শুরু করা যাবে। আকাশে ছিল একটা অর্ধ বাঁকা চাঁদ। তা দিয়েই চারপাশ আলোকিত হয়ে গিয়েছে জোছনার আলোতে। সন্ধ্যায় আমাদের সবাই মিলে এক সাথে চা খেলাম। তারপর সবাই রুমে আসল। আমি থেকে গেলাম হেলিপ্যাডে। ঐখানে অন্য অনেক ট্রাভেলার বা ট্যুরিস্ট ছিল। গাজীপুর থেকে তিনজন এসেছে। যারা প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইলে পড়েছিল। এখন জব করে। ফানুস উড়ানো দেখতে দেখতে তাদের সাথে কথা হলো। এরপর আমরা এক সাথে বসলাম। তারা গান গাইল এক সাথে। ভালো লাগল অনেক। এরপর আমি রুমে ফিরলাম।



পাহড়ী যত অঞ্চল দেখলাম, বেশির ভাগ জায়গায়ই মেয়েরা বেশি পরিশ্রম করে। ছেলেরা হেঁটে, হেলে দুলে খায়। ছেলে মেয়েদের কোলে করে হেঁটে বেড়ায়। এখানেও তেমন দেখলাম। অল্প কিছু বসতি তাপররও সাজেকে প্রধান চার ধর্মের মানুষই আছে। মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এসব।

আমরা রাতের খাবার খেয়ে হেলিপ্যাডে গেলাম। বারবিকিউ আর ক্যাম্প ফায়ার করার জন্য। রাতের খাবার খেয়েছি ৮টার দিকে। বার-বি-কিউ রিসোর্ট থেকেই করে নিয়ে গিয়েছি। ক্যাম্প ফায়ার করে ঐখানে আমরা ফানুস উড়িয়েছি। এবং শেষে ছোট্ট খাটো একটা কালচারাল প্রোগ্রাম করেছি আমরা। আমরা মোট ১৩ জনের মত এক সাথে ঘুরছি। সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। কেউ কাউকে ঠিক মত চিনে না। সারাদিন এক সাথে মজা করলেও এখন সবাই এক সাথে সবাই সবরা সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেলাম। সবাই সবার পরিচয় বলল। ক্যাম্প ফায়ারের চারপাশে দাঁড়িয়ে। এরপর সবাই ছোট খাটো একটা পারফর্ম করতে হয়েছে। কেউ নাচল, কেউ গাইলো, কেউ কৌতুক বলল। অনেক মজা হয়েছে। কালচারাল প্রোগ্রাম শেষে বার-বি-কিউ খেয়ে রুমে ফিরলাম। এরপর ঘুম।

সকালে সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে বের কথা থাকলেও বের হতে হতে ৬টা ভেজে গেছে। আমরা গিয়েছি সূর্যদয় দেখতে। আমাদের মত অনেকেই বের হয়েছে। অনেকে আমাদের আগেই বের হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় সূর্য ঠিক মত দেখা যায় নি। আমরা এরপর চলে গেলাম কংলাক। সাজেকের মূল পয়েন্ট থেকে আরো উপরে একটা জায়গা। ঐখানে উঠতে হয় ট্র্যাকিং করে। ঐখান থেকে চার পাশ অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যায়। কংলাক যাওয়ার পথে কমলা বাগান পড়ে। কংলাক থেকে ফিরলাম সকাল আটটার দিকে। আকাশে অনেক মেঘ ছিল। রুমে ফিরতে ফিরতে দেখি হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রুমে ফিরে খেতে বসেছি, শুনলাম বাহিরে মেঘ এসেছে। রাস্তায়, রুমের পাশে। খাবার রেখে মেঘ দেখতে বের হলাম। শুভ্র মেঘ, আমাদের সাথে। আমাদের থেকে নিচে, ভালো লাগা। ভাগ্য ভালো বলতে হবে। কারণ মেঘ সাধারণত বর্ষাতে দেখা যায়। আমরা শীতে এসেও মেঘের দেখা পেয়েছি।

সকালে নাস্তা করে আমরা খাগড়াছড়ির দিকে রওনা দিয়েছি। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশ ও মেঘলা ছিল। প্রথম দিন পাহাড়ের উপরে উঠেছি। আজ নামছি। খাগড়াছড়ি আসারর পথে এক জায়গায় জীপ থামিয়ে আমরা নাস্তা করলাম। ১টার দিকে খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছিয়েছি।

খাগড়াছড়িতে সিস্টেম নামে একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ঐখানে দুপুরের খাবার খেলাম। যথেষ্ট ভালো খাবার। দুপুরে খাবারের মেনুতে ছিল বাঁশ। চিকেন বাঁশ। অন্যরকম ফ্লেভার। এছাড়া ছিল ভিবিন্ন ভর্তা, কাঠিতে ভাজা মাছ ইত্যাদি। খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। ঐখানে ছিল আলুটিলা রহস্যময় গুহা। গুহার এক পাশ দিয়ে ঢুকে হয়ে অন্য পাশ দিয়ে বের হওয়া যায়। গুহার ভেতর দিয়ে অল্প অল্প করে পানি প্রবাহিত হয়। গুহার ভেতর মশাল নিয়ে আমরা সবাই ঢুকেছি। ৩৬৮ ফুটের মত গুহাটি। ভালোই লেগেছে।

মার্মা ভাষায় রি মানে পানি আর ছাং মানে গড়িয়ে পড়া। রিছাং ঝর্নাকে তেরাং ঝর্ণা বা তৈকালাই ঝর্ণা নামেও ডাকে। ঝর্ণাটা অনেক সুন্দর। ঝর্ণায় যাওয়ার পথটাও এডভেঞ্চার পূর্ণ। বান্দরবনের বগালেক যাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যাবে। ঝর্ণাটা দেখে এতই ভালো লেগেছে যে গায়ে থাকা সব গুলো শীতের জামা খুলে থ্রিকোয়াটার প্যান্ট পরে নেমে গেলাম। ছোটবেলায় পুকুরের পাড়ে পিচ্ছিল খাওয়ার মত সুযোগ পেলাম। ঝর্ণাটাতে স্লাইডিং করার জন্য কিসুন্দর জায়গা রয়েছে।

স্লাইডিং করলাম। প্রথম বার স্লাইডিং করা ভালো লাগায় আবার নামলাম। প্রথম বার কিছু না হলেও দ্বিতীয় বার হাতের কনুইতে ছিঁড়ে গেলো। এখানে স্লাইডিং করে অনেকেই প্যান্ট ছিঁড়ে। আমি ছিঁড়লাম হাত।

ঝর্ণা থেকে শহরে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। আমাদের সাথে কেউ চট্রগ্রাম যাবে, তারা পথে নেমে চট্রগ্রামের দিকে গেলো। কেউ যাবে সেন্টমার্টিন, তারা সেন্টমার্টিনের দিকে গেলো। আর আমরা তিনজন আসব ঢাকায়। আমাদের গাড়ি নয়টায়। হাতে কিছু সময় থাকায় একটু বাজার করে নিলাম আমরা। খাগড়াছড়ির হলুদ নাকি বিখ্যাত। বাড়ির জন্য হলুদ কিনলাম। ঐখানে অনেক শীতল পাটি দেখলাম। দুইটা কিনে নিলাম। সুন্দর এবং ঢাকার তুলনায় অনেক কম দাম। ৮টার দিকে আবার সিস্টেম রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। অনেক সুন্দর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করে। এত বেশি ভিড় হয় ঐখানে। অনেক ভালো রান্না করে তারা। খাগড়াছড়ি গেলে ট্রাই করা যেতে পারে। খাওয়া দাওয়া করে গাড়িতে এসে উঠলাম।

২০১২ এর বিজয় দিবসে গিয়েছিলাম বান্দরবন। এমন অনেক জন এক সাথে। ঐখানের সবাই অনলাইনে আগেই পরিচিত ছিল। ঐটা সুন্দর একটা ট্যুর ছিল। এবছর বিজয় দিবসের সময় এসেছি খাগড়াছড়ি। আরেকটা সুন্দর ট্যুর। মনে থাকার মত। ঢাকা থেকে যাওয়া আসা সহ ট্যুরে টোটাল খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫০০ টাকা। এক সাথে সবাই মিলে যাওয়াতে এত কম খরচ হয়েছে। অপন ভাইকে ধ্ন্যবাদ ট্যুরটা অরগানাজাইজ করার জন্য।

02/06/2023

ভ্রমণে গেলে বাড়বে খরচ, গুনতে হবে বাড়তি কর

সাজেকে ৫০০০ টাকায় রিলাক্স ট্যুর কিভাবে সম্ভব
22/05/2023

সাজেকে ৫০০০ টাকায় রিলাক্স ট্যুর কিভাবে সম্ভব

সাজেকে ৫০০০ টাকায় রিলাক্স ট্যুর কিভাবে সম্ভব 😱 | Sajek Travel Guide 2023 । Dhaka to Sajek Vlog ...

22/05/2023

মেঘাচ্ছন্ন সাজেক

Address

Sajek
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sajek Valley - সাজেক ভ্যালি:

Share

Sajek

We are coming soon at www.sajek.xyz


Other Tourist Information Centers in Chittagong

Show All