14/03/2024
বিভিন্ন সময়ে নিজে নিজে ওমরাহ করার ব্যাপারে বিভিন্ন পোষ্ট ভাইরাল হয়, শুধু টিকিট ভিসা করে একা চলে যেতে উৎসাহ দেয়া হয়। এতে নাকি কম খরচে উমরাহ করা যাবে।
একটা জিনিস বুঝতে হবে, এজেন্সি আপনার খরচ বাড়ায় না, বরং কমায়, কিভাবে?
১-এজেন্সি এয়ারলাইন্স থেকে গ্রুপ টিকিট নেয়, গ্রুপ টিকিট নরমাল টিকিট থেকে বেশ কিছুটা কমে পাওয়া যায়।
২- এজেন্সি জেদ্দা-মক্কা-মদিনা ট্রান্সপোর্ট এর জন্য বাস ইউজ করে, যাতে ট্রান্সপোর্ট খরচ অনেক কমে আসে, নিজেরা একা গেলে তিন গুন ট্রান্সপোর্ট কস্ট আসবে।
৩- এজেন্সি আপনার জন্য শেয়ারিং রুমের ব্যবস্থা করবে আপনার হোটেল খরচ কমাতে, চার থেকে পাচ জন এক রুম শেয়ার করবে পুরুষ মহিলা আলাদা। এভাবে হোটেল খরচ অনেক কম আসে একা হোটেল নেয়ার চেয়ে।
ওমরাহে গিয়ে এর ওর বাসায় থাকা বা পারমানেন্ট মসজিদে থাকা কোনো বাস্তববাদী চিন্তা না, যারা এতেকাফের চিন্তা করে হোটেল ছাড়া প্যাকেজে যায় তাদের ৯০% দুই দিনের মাথায় তিন গুন দাম দিয়ে রুম বুক করে।
৪- এজেন্সি খাবারের ব্যাবস্থা করে ক্যাটারিং থেকে। নিজেরা হোটেল থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে খরচ কম আসে, হ্যা যদি দিনে এক বেলা খাবার নিয়ত থাকে তাহলে নিজেরা খেলে কমে খাওয়া সম্ভব। কিন্তু ওখানে প্রচুর হাটার উপর থাকতে হয় তাই আসলে কম খাওয়ার চিন্তা এখানে বসে করলেও ওখানে গিয়ে কষ্টকর হয়ে যায়।
৫- যারা প্রথম যাচ্ছেন তাদের জন্য সাথে গাইড থাকা খুব জরুরী। বিশেষ করে যদি সচরাচর বিদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে প্রথমবারই একা গেলে ভোগান্তির সীমা থাকবেনা। অন্য দেশে আনন্দ ভ্রমনে যাওয়া আর যেখানে লাখ লাখ লোক প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট ইবাদতের জন্য যাচ্ছে সেখানে সফর করা এক কথা না।
৬- এজেন্সি অবশ্যই প্রফিট রাখে, কিন্তু সেটা জনপ্রতি ৩-৫ হাজারের বেশী খুব সাধারনত হয় না। যে এজেন্সিই হোক। গ্রুপে যাওয়ার কারনে এই প্রফিটের চেয়ে অনেক বেশী টাকা আপনার সেভ হয়।
যাদের বহুবার যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা আমার কথাগুলোর বাস্তবতা আশা করি অবশ্যই বুঝবেন। তাই টিকিট ভিসা করে একা চলে যাওয়া - এসব পোষ্টে বিভ্রান্ত হবেন না। এতে শেষে গিয়ে আপনার খরচ এবং ভোগান্তি দুইই অনেক বেশী হবে।
আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন।